শ্রী শ্রী গুরুমহারাজ স্বামী পরমানন্দের সাথে ভক্তদের “সুন্দরবন ভ্রমণ”-এর আনুপূর্বিক ঘটনার কথা এখানে বর্ণনা করা হচ্ছিলো – যে ভ্রমণের দায়িত্বে ছিল সিঙ্গুর তত্ত্বমসি যোগাশ্রমের কয়েকজন ভক্ত তরুণ-তরুণী বা young কর্মকর্তাগণ ৷ এদের মধ্যে অন্যতম একজন সদস্য ছিল পাপু (দেবব্রত দাস) ৷ ওর বাবা ছিলেন একজন সেন্ট্রাল গভর্মেন্টের employee । কর্মসূত্রে ওনাকে মাঝে মাঝেই হিন্দমোটরের বিড়লা কোম্পানিতে আসতে হোতো ৷ তাই ওর বাবা সপরিবারে সিঙ্গুর অঞ্চলে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন ৷ কিন্তু গুরুমহারাজের সাথে যুক্ত হবার পর থেকে পাপু ঘরবাড়ি ছেড়ে (বোধহয় কোনো চাকরিতেও বাবা ঢুকিয়ে দিয়েছিলেন, ও সেটাও ছেড়ে দিয়েছিল৷) সিঙ্গুর আশ্রমকে কেন্দ্র করেই থেকে যেতে শুরু করেছিল ৷ ওদের পৈত্রিক বাড়ি ছিল কাকদ্বীপে, ফলে ওখানে ওর আত্মীয়-স্বজন এখনোও রয়েছে।
পাপু সম্বন্ধে এতো কথার অবতারণা করার একটা কারণ হোচ্ছে এই যে, ও সিঙ্গুর আশ্রমের ঐ দলের একজন অন্যতম active সদস্য তো ছিল, তাছাড়া অন্য একটা কারণের কথাও বলছি। আগেই বলা হয়েছে যে, আশ্রম থেকে দুটি বাসে করে সমস্ত ভক্তদেরকে নিয়েছ্য ১২ তারিখ (জুন, ১৯৯২) ভোরে যাত্রা শুরু করা হয়েছিল এবং সকাল দশটা থেকে সাড়ে দশটার মধ্যেই ওরা কাকদ্বীপে পৌঁছে গিয়েছিল ৷ ওখানে পাপু ওর খুড়তুতো ভাইদেরকে বলে(যেহেতু কাকদ্বীপে ওদের পৈতৃক বাড়ি) একটি আশ্রমের (সৎসঙ্গ) ভক্তনিবাস ‘book’ করে রেখেছিল, যাতে করে সমস্ত ভক্তগণ সেখানে স্নানাদি সেরে নিতে পারে ৷ খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা তো আয়োজকদের নিজস্ব, রাঁধুনি ওদের সাথেই ছিল – ফলে মধ্যাহ্নের আহারাদি ওখানেই প্রস্তুত করা হয়েছিল এবং সকলে যথাসময়ে খাওয়া সারাও হয়েছিল ৷ পাপুদের পৈত্রিক বাড়িতেও অনেকে গিয়ে স্নানাদি সেরেছিল (যেহেতু প্রায় ১২০ জন মানুষ একসাথে ছিল – তাই যে যেখানে সুবিধা পেয়েছে সে সেখানেই fresh হবার সুযোগ গ্রহণ করেছিল ৷) ৷
তবে একটা কথা আগেই বলা হয়েছিল যে, এখনো পর্যন্ত কিন্তু গুরুমহারাজ স্পটে ছিল না। খাওয়া-দাওয়া এবং একটু বিশ্রাম সেরে যখন বাস বৈকালে নামখানায় পৌঁছায় – তখন ওখানেই গুরুমহারাজ ও তপিমা সবার সাথে একজায়গায় হয়েছিলেন ৷ ওনারা একটা গাড়িতে চেপে কলকাতা থেকে সরাসরি ওখানে এসেছিলেন। এরপরেই শুরু হয়েছিল লঞ্চযাত্রা। যে দুটো লঞ্চ ভাড়া করা হয়েছিল – তার মধ্যে একটা লঞ্চ ছিল বড় এবং একটা ছোটো – যাত্রীদের সংখ্যা অনুযায়ী অর্থাৎ লঞ্চের সিটের সংখ্যা অনুযায়ী এই ব্যবস্থা করা হয়েছিল। বড় লঞ্চটির ‘সারেং’ (নাবিক)-ই ছিল সবচাইতে expert ও অভিজ্ঞ লঞ্চচালক ৷ ওর নাম ছিল সুভাষ ৷
সুন্দরবন সম্বন্ধে একটি প্রচলিত প্রবাদ রয়েছে – “ওখানে জলে কুমির ডাঙ্গায় বাঘ৷” – অর্থাৎ ওখানে বিপদ পদে পদে ৷ কিন্তু এছাড়াও যে ভয়ংকর বিপদ ওখানে বছরের বিশেষ বিশেষ সময়ে (বিশেষতঃ জুন-জুলাই মাসে) সংঘটিত হয় – তা হোলো ঝড় – সামুদ্রিক ঝড় ! এই ঝড় কখনো ভয়ঙ্কর সাইক্লোনে আবার কখনো ভয়ঙ্করতম ‘টর্নেডো’-তেও রূপ নেয় ! এইজন্যই যখন ‘তত্ত্বমসি যোগাশ্রম’ থেকে প্রায় ১২০ জন মতো ভক্ত এবং গুরুমহারাজ নামখানা থেকে সুন্দরবন ভ্রমণের উদ্দেশ্যে যাত্রার জন্য লঞ্চ দুটিতে ওঠার তোড়জোড় করছিলেন, তখন ওখানকার স্থানীয় জনগণ রহস্য করে বলেছিল – ‘এরা কি সব পাগল নাকি – এই সময়ে সুন্দরবন ভ্রমণে যেতে চাইছে !! সবার মরার শখ হয়েছে নাকি ??” সত্যিই তো – ‘পরমানন্দের চেলা__ যেন পাগলের মেলা ! বাবা – তোমার দরবারে সব পাগলের খেলা !’
প্রথম দিনে (১২ই জুন) নামখানা থেকে লঞ্চে চেপে মাত্র কয়েক ঘন্টা যাত্রা হয়েছিল ৷ কারণ, বিকালের দিকে লঞ্চ ছেড়ে কিছুদুর আগাতেই সন্ধ্যার অন্ধকার নেমে এসেছিল ৷ আর ওখানে নিয়ম রয়েছে – সন্ধ্যার পর আর অধিকক্ষণ নৌচলাচল করা যায় না, এক জায়গায় নোঙর করে বিশ্রাম নিতে হয় ৷ জলপুলিশ এবং বর্ডার-পুলিশ (যেহেতু পাশেই বাংলাদেশ এবং ওদিকে মায়ানমার) সব সময়ই এই ব্যাপারে খুবই নজর রাখে ৷ ওখানে এখনোও জলদস্যুদের খুবই ভয় রয়েছে – মাঝে মধ্যেই জলদস্যুরা ছোটো ছোটো দ্বীপের মানুষের উপর, ট্রলারগুলির উপর – এমনকি যাত্রীবাহী লঞ্চের উপরেও চড়াও হয়ে থাকে ৷
পূর্ণানন্দ মহারাজের কাছে শুনেছিলাম__ওই যাত্রাপথেই গুরুমহারাজ কোনো একটি দ্বীপের[জম্বুদ্বীপ হোতে পারে ! জম্বুদ্বীপের কথা পরে আবার বিস্তারিত বলা হবে। তপিমার কাছ থেকে(ভায়া-সৌরভজী) অনেকটাই শোনা হয়েছে।]এমন এক জায়গায় গিয়েছিলেন, যেখানে মাত্র কয়েকঘর লোকের বাস – কিন্তু বয়স্ক পুরুষেরা প্রায় কেউ বেঁচে নেই বললেই চলে ! যেন বিধবাদের দ্বীপ ! কারণ মহিলাদের মধ্যে প্রায় সবারই স্বামী মারা গেছিলো ! হয় তারা সুন্দরবনের বাঘের পেটে গেছে অথবা কুমিরের কামড়ে, আর না হোলে জলদস্যুদের আক্রমণে মারা গেছে ৷ পরম করুণাময় ভগবান পরমানন্দ সেই বিপন্ন মহিলাগণসহ বাকিদের কাছে স্বয়ং গিয়েছিলেন ৷ ওখানকার অধিবাসীরা সকলেই মেছুয়া –ওরা মাছ ধরে শুকিয়ে রাখে । বাইরে থেকে চোরা ব্যবসায়ীরা এসে স্বল্প মূল্যে সেগুলি কিনে নিয়ে যায় এবং বিনিময়ে কিছু খাদ্য, বস্ত্র বা অন্যান্য সামগ্রী দিয়ে যায় ৷ জনসমাজ থেকে বহুদূরে – বিপদসংকুল স্থানে – চরম সংকটের মধ্যে বসবাস করা ওই মানুষগুলির প্রতি করুণাময়ের করুণা ছিল ভরপুর ৷
গুরুমহারাজ তপিমাকে দিয়ে সঙ্গে থাকা মহিলা ভক্তদের কাছ থেকে সিঁদুর চেয়ে নিয়ে – ওই দ্বীপের অধিষ্ঠাত্রী দেবী(কয়েক ঘর মানুষ যেখানে ছিল, সেখানেই একটা ছোট্ট মন্দির মতো জায়গা ছিল) কে পড়িয়ে দিতে বলেছিলেন !
গুরু মহারাজ পরে বলেছিলেন – ”এই স্থানটি ছিল খুবই অভিশপ্ত (কারণ ওখানে হয়তো জলদস্যুরা বহুদিন থেকে নানা পাপাচার করেছিল) – তাই এখানে বসবাসকারী মানুষজনেদের এতো দুর্গতি ৷” সিঙ্গুরের ছেলেরা পরে খবর নিয়ে জেনেছিল যে, ওই দ্বীপটির সেই অল্পসংখ্যক মানুষ জনেদের অর্থনৈতিক না হোলেও, ওদের অনেকটাই নিরাপত্তাজনিত উন্নতি ঘটেছে। ওখানে কোষ্ট গার্ডদের ওয়াচ টাওয়ার বসেছে। তাছাড়া এখন আর কোনো পর্যটকদের ঐ দ্বীপে নামতেই দেওয়া হয় না ৷৷
পাপু সম্বন্ধে এতো কথার অবতারণা করার একটা কারণ হোচ্ছে এই যে, ও সিঙ্গুর আশ্রমের ঐ দলের একজন অন্যতম active সদস্য তো ছিল, তাছাড়া অন্য একটা কারণের কথাও বলছি। আগেই বলা হয়েছে যে, আশ্রম থেকে দুটি বাসে করে সমস্ত ভক্তদেরকে নিয়েছ্য ১২ তারিখ (জুন, ১৯৯২) ভোরে যাত্রা শুরু করা হয়েছিল এবং সকাল দশটা থেকে সাড়ে দশটার মধ্যেই ওরা কাকদ্বীপে পৌঁছে গিয়েছিল ৷ ওখানে পাপু ওর খুড়তুতো ভাইদেরকে বলে(যেহেতু কাকদ্বীপে ওদের পৈতৃক বাড়ি) একটি আশ্রমের (সৎসঙ্গ) ভক্তনিবাস ‘book’ করে রেখেছিল, যাতে করে সমস্ত ভক্তগণ সেখানে স্নানাদি সেরে নিতে পারে ৷ খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা তো আয়োজকদের নিজস্ব, রাঁধুনি ওদের সাথেই ছিল – ফলে মধ্যাহ্নের আহারাদি ওখানেই প্রস্তুত করা হয়েছিল এবং সকলে যথাসময়ে খাওয়া সারাও হয়েছিল ৷ পাপুদের পৈত্রিক বাড়িতেও অনেকে গিয়ে স্নানাদি সেরেছিল (যেহেতু প্রায় ১২০ জন মানুষ একসাথে ছিল – তাই যে যেখানে সুবিধা পেয়েছে সে সেখানেই fresh হবার সুযোগ গ্রহণ করেছিল ৷) ৷
তবে একটা কথা আগেই বলা হয়েছিল যে, এখনো পর্যন্ত কিন্তু গুরুমহারাজ স্পটে ছিল না। খাওয়া-দাওয়া এবং একটু বিশ্রাম সেরে যখন বাস বৈকালে নামখানায় পৌঁছায় – তখন ওখানেই গুরুমহারাজ ও তপিমা সবার সাথে একজায়গায় হয়েছিলেন ৷ ওনারা একটা গাড়িতে চেপে কলকাতা থেকে সরাসরি ওখানে এসেছিলেন। এরপরেই শুরু হয়েছিল লঞ্চযাত্রা। যে দুটো লঞ্চ ভাড়া করা হয়েছিল – তার মধ্যে একটা লঞ্চ ছিল বড় এবং একটা ছোটো – যাত্রীদের সংখ্যা অনুযায়ী অর্থাৎ লঞ্চের সিটের সংখ্যা অনুযায়ী এই ব্যবস্থা করা হয়েছিল। বড় লঞ্চটির ‘সারেং’ (নাবিক)-ই ছিল সবচাইতে expert ও অভিজ্ঞ লঞ্চচালক ৷ ওর নাম ছিল সুভাষ ৷
সুন্দরবন সম্বন্ধে একটি প্রচলিত প্রবাদ রয়েছে – “ওখানে জলে কুমির ডাঙ্গায় বাঘ৷” – অর্থাৎ ওখানে বিপদ পদে পদে ৷ কিন্তু এছাড়াও যে ভয়ংকর বিপদ ওখানে বছরের বিশেষ বিশেষ সময়ে (বিশেষতঃ জুন-জুলাই মাসে) সংঘটিত হয় – তা হোলো ঝড় – সামুদ্রিক ঝড় ! এই ঝড় কখনো ভয়ঙ্কর সাইক্লোনে আবার কখনো ভয়ঙ্করতম ‘টর্নেডো’-তেও রূপ নেয় ! এইজন্যই যখন ‘তত্ত্বমসি যোগাশ্রম’ থেকে প্রায় ১২০ জন মতো ভক্ত এবং গুরুমহারাজ নামখানা থেকে সুন্দরবন ভ্রমণের উদ্দেশ্যে যাত্রার জন্য লঞ্চ দুটিতে ওঠার তোড়জোড় করছিলেন, তখন ওখানকার স্থানীয় জনগণ রহস্য করে বলেছিল – ‘এরা কি সব পাগল নাকি – এই সময়ে সুন্দরবন ভ্রমণে যেতে চাইছে !! সবার মরার শখ হয়েছে নাকি ??” সত্যিই তো – ‘পরমানন্দের চেলা__ যেন পাগলের মেলা ! বাবা – তোমার দরবারে সব পাগলের খেলা !’
প্রথম দিনে (১২ই জুন) নামখানা থেকে লঞ্চে চেপে মাত্র কয়েক ঘন্টা যাত্রা হয়েছিল ৷ কারণ, বিকালের দিকে লঞ্চ ছেড়ে কিছুদুর আগাতেই সন্ধ্যার অন্ধকার নেমে এসেছিল ৷ আর ওখানে নিয়ম রয়েছে – সন্ধ্যার পর আর অধিকক্ষণ নৌচলাচল করা যায় না, এক জায়গায় নোঙর করে বিশ্রাম নিতে হয় ৷ জলপুলিশ এবং বর্ডার-পুলিশ (যেহেতু পাশেই বাংলাদেশ এবং ওদিকে মায়ানমার) সব সময়ই এই ব্যাপারে খুবই নজর রাখে ৷ ওখানে এখনোও জলদস্যুদের খুবই ভয় রয়েছে – মাঝে মধ্যেই জলদস্যুরা ছোটো ছোটো দ্বীপের মানুষের উপর, ট্রলারগুলির উপর – এমনকি যাত্রীবাহী লঞ্চের উপরেও চড়াও হয়ে থাকে ৷
পূর্ণানন্দ মহারাজের কাছে শুনেছিলাম__ওই যাত্রাপথেই গুরুমহারাজ কোনো একটি দ্বীপের[জম্বুদ্বীপ হোতে পারে ! জম্বুদ্বীপের কথা পরে আবার বিস্তারিত বলা হবে। তপিমার কাছ থেকে(ভায়া-সৌরভজী) অনেকটাই শোনা হয়েছে।]এমন এক জায়গায় গিয়েছিলেন, যেখানে মাত্র কয়েকঘর লোকের বাস – কিন্তু বয়স্ক পুরুষেরা প্রায় কেউ বেঁচে নেই বললেই চলে ! যেন বিধবাদের দ্বীপ ! কারণ মহিলাদের মধ্যে প্রায় সবারই স্বামী মারা গেছিলো ! হয় তারা সুন্দরবনের বাঘের পেটে গেছে অথবা কুমিরের কামড়ে, আর না হোলে জলদস্যুদের আক্রমণে মারা গেছে ৷ পরম করুণাময় ভগবান পরমানন্দ সেই বিপন্ন মহিলাগণসহ বাকিদের কাছে স্বয়ং গিয়েছিলেন ৷ ওখানকার অধিবাসীরা সকলেই মেছুয়া –ওরা মাছ ধরে শুকিয়ে রাখে । বাইরে থেকে চোরা ব্যবসায়ীরা এসে স্বল্প মূল্যে সেগুলি কিনে নিয়ে যায় এবং বিনিময়ে কিছু খাদ্য, বস্ত্র বা অন্যান্য সামগ্রী দিয়ে যায় ৷ জনসমাজ থেকে বহুদূরে – বিপদসংকুল স্থানে – চরম সংকটের মধ্যে বসবাস করা ওই মানুষগুলির প্রতি করুণাময়ের করুণা ছিল ভরপুর ৷
গুরুমহারাজ তপিমাকে দিয়ে সঙ্গে থাকা মহিলা ভক্তদের কাছ থেকে সিঁদুর চেয়ে নিয়ে – ওই দ্বীপের অধিষ্ঠাত্রী দেবী(কয়েক ঘর মানুষ যেখানে ছিল, সেখানেই একটা ছোট্ট মন্দির মতো জায়গা ছিল) কে পড়িয়ে দিতে বলেছিলেন !
গুরু মহারাজ পরে বলেছিলেন – ”এই স্থানটি ছিল খুবই অভিশপ্ত (কারণ ওখানে হয়তো জলদস্যুরা বহুদিন থেকে নানা পাপাচার করেছিল) – তাই এখানে বসবাসকারী মানুষজনেদের এতো দুর্গতি ৷” সিঙ্গুরের ছেলেরা পরে খবর নিয়ে জেনেছিল যে, ওই দ্বীপটির সেই অল্পসংখ্যক মানুষ জনেদের অর্থনৈতিক না হোলেও, ওদের অনেকটাই নিরাপত্তাজনিত উন্নতি ঘটেছে। ওখানে কোষ্ট গার্ডদের ওয়াচ টাওয়ার বসেছে। তাছাড়া এখন আর কোনো পর্যটকদের ঐ দ্বীপে নামতেই দেওয়া হয় না ৷৷