শ্রী শ্রী গুরুমহারাজ স্বামী পরমানন্দের সাথে ভক্তগণের (সিঙ্গুর তত্ত্বমসি যোগাশ্রমের কর্মকর্তাদের ব্যবস্থাপনায়) সুন্দরবন ভ্রমণের কথা এখানে আলোচনা করা হচ্ছিলো ৷ আমরা ওনাদের যাত্রাপথে ভয়ংকর টর্নেডো (যেটা সুন্দরবন এলাকায় খুবই কম দেখা যায় ৷ এগুলি উত্তর আমেরিকার উপকূল অঞ্চলে প্রায়শঃই দেখা যায়।)-র কবলে পড়ে সকলের কি অভিজ্ঞতা হয়েছিল – সেইসব কথা এখন বর্ণনা করবো। কিন্তু তার আগে কতকগুলো টুকরো টুকরো কথা সেরে নেওয়া যাক !
ওনারা ‘নেতা ধোপানী’ বা ‘নেতি ধোপানী’-তে গিয়েছিলেন ৷ এই ‘নেতা ধোপাানী’ একটি ঐতিহাসিক (পৌরাণিক) চরিত্র। মনসামঙ্গল কাব্যে যে বেহুলা-লক্ষীন্দরের কথা পাওয়া যায় – সেখানে রয়েছে যে, বেহুলা মৃত স্বামীকে কলার ভেলায় চাপিয়ে স্বর্গের উদ্দেশ্যে (এখানে স্বর্গ কাল্পনিক নয়, স্বর্গ অর্থাৎ যেখানে দেবতাগণ, ঋষি-মুনিগণ থাকেন ৷ দেবতা অর্থে যিনি দে’ন ৷ সাধারণ কিশোরী গৃহবধূ বেহুলা সর্প-দংশনে কোমায় চলে যাওয়া স্বামীর জীবনদান করতে পারেন এমন ঋষি-মুনি-দেবতা অর্থাৎ আধ্যাত্মিকভাবে উন্নত মানুষের সন্ধানে বেরিয়ে পড়েছিলেন নদীপথ ধরে ৷ কারণ সাধারণতঃ বাংলায় ছোটো ছোটো নদী গঙ্গায় এসে মেশে এবং গঙ্গা এসে মেশে সাগরে ৷ আর এই গঙ্গাতীরবর্তী অঞ্চলে বা গঙ্গার মোহনা অঞ্চলে সবসময়ই বহু সাধু-সন্ত ও উন্নত যোগীরা থাকেন, আবার ওঝা-গুণীন-তান্ত্রিকরাও বাস করেন। সুতরাং একা সদ্যবিবাহিতা একজন কিশোরী নিজের প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে স্বামীর জীবন বাঁচানোর চেষ্টা করা ছাড়া আর কি-ই বা করতে পারে !) যাত্রা করেছিল ৷ কথিত আছে তার সেই যাত্রাপথে বেহুলার সাথে ‘নেতা-ধোপানী’-র সাক্ষাৎ হয়েছিল, যে স্বর্গের দেবতাদের কাপড় কাচতো ! আর সেই ‘নেতা ধোপানী’-ই বেহুলাকে স্বর্গে দেবতাদের কাছে (অর্থাৎ ঋষি-মুনি-আধ্যাত্মিকভাবে উন্নত ব্যক্তিদের কাছে) পৌঁছাতে সাহায্য করেছিল। যদিও হুগলীর ত্রিবেনীর সন্নিকটে একটি স্থানকেও “নেতা ধোপানির ঘাট” বলা হয়।।
বর্তমানে
ঐ দ্বীপে অনেক মানুষজনই বসবাস করে। তাছাড়া পর্যটকরাও ওখানে এখন খুবই যাওয়া-আসা করে ৷ তবে, নেতা-ধোপানী (পৌরাণিক কাহিনীর)-র কথা এখন আর কেউ জানতে চায় না ! কিন্তু ওখানে ‘বনবিবি’-র মন্দির রয়েছে, যাঁকে খুব জাগ্রত দেবী হিসাবে মানা হয়। পৌষ সংক্রান্তিতে ওখানে খুব বড় উৎসব হয় এবং হিন্দু-মুসলমান নির্বিশেষে সকলেই বনবিবির পূজায় অংশগ্রহণ করে থাকে ৷
ওনাদের যাত্রাপথে খাবার জলের স্টক ফুরিয়ে যাওয়ায় – একটা দ্বীপে নেমে অনেকটা জল (১২০ জন মানুষের ২/৩-দিনের জন্য) ভরে নিতে হয়েছিল ৷ আসলে সুন্দরবন এলাকায় প্রচুর নদী কিন্তু যেহেতু সব নদীতেই জোয়ার-ভাটা খেলে তাই মোহনার কাছাকাছি অঞ্চলে সমস্ত নদীতেই সমুদ্রের নোনাজল ঢুকে পড়ে _সব জল নোনতা স্বাদের হয়ে যায় ৷ এইজন্যই দ্বীপগুলিতে সর্বত্র মিষ্টিজল পাওয়া যায় না ৷ অথচ ‘বোনি ক্যাম্পে’ মিষ্টি জলের পুকুর রয়েছে, যেখান থেকে পর্যটকরা পানীয় জল সংগ্রহ করে থাকে ৷ গুরু মহারাজরাও এমনিই একটা স্থান থেকে খাবার জল সংগ্রহ করে নিয়েছিলেন।
যাই হোক, নদীর কথা হচ্ছিলো যখন – তখন বলে নেওয়া যাক্ ওনারা মাতলা, বিদ্যাধরী, মালঞ্চ ইত্যাদি বেশ কয়েকটি নদীপথ ধরে বিভিন্ন স্থানে গেছিলেন ৷ তাছাড়া দু-তিনবার ছোটো ছোটো খাড়িতেও লঞ্চ বিভিন্ন কারণে ঢুকেছিল ৷ আর ফেরার পথে ভয়ংকর টর্নেডোর পাল্লা থেকে বড় লঞ্চটি (যে লঞ্চটায় তখন গুরুমহারাজও ছিলেন) যে রক্ষা পেয়েছিল – তা ঐরকমই একটা খাড়ির মধ্যে লঞ্চটি ঢুকে পড়েছিল বলেই !
ওনারা লোথিয়ান আইল্যান্ড – যেখানে বন্যপ্রাণীদের অভয়ারণ্য রয়েছে, বুড়াবুড়ির তট, সজনেখালি, সুন্দরবন ফরেস্ট (East-West-South Block), ভাঙ্গাদুনি দ্বীপ (যেখানে সুন্দরবন জাতীয় উদ্যান রয়েছে) – এই সমস্ত স্থানে গিয়েছিলেন ৷ এছাড়া ভগবতীপুর কুমির প্রজেক্টের কথা আগেই বলা হয়েছিল ৷
তবে, একটা কথা বলতেই হয় যে,__ যে সমস্ত ভক্তরা গুরুজীর সাথে ওই tour-এ গেছিলো – তাদের মধ্যে অধিকাংশেরই এই দীর্ঘদিন (প্রায় ৩০/৩১ বছর) পরেও দুঃস্বপ্নের মত হয়ে আছে__’ ওই দুটি ঝড়ের স্মৃতি’। একটার বর্ণনা আগেই বলা হয়েছে – দ্বিতীয়টি ছিল টর্নেডো ৷ সত্যি সত্যি টর্নেডো !! একেবারে আকাশ থেকে থামের মতো বা হাতির শুঁড়ের মতো নেমে আসা প্রচন্ড ঘূর্ণিযুক্ত বায়ু ও জলস্তম্ভ !! ঐরূপ মৃত্যুদূতকে তারা একেবারে কাছ থেকে দেখেছিল। এইধরণের টর্নেডো – সমুদ্রের মাছ সহ জল উপরে তুলে নিতে পারে, গোটা লঞ্চকে উপরে তুলে ফেলতে পারে – এতো শক্তি এর !! উপকূলে আছড়ে পড়লে এটি জেটি, ঘর-বাড়ির চাল এমনকি পাকাবাড়ির ছাদও উপড়ে ফেলতে পারে !!
সেই হেন টর্নেডো-কে বড়লঞ্চের যাত্রীরা শুধু দূর থেকে enjoy করেছিল – ওরা প্রকৃতিরাণীর ভয়ালসুন্দর রূপ দেখে ভিতরে ভিতরে ভয়ে কম্পিত হচ্ছিলো ঠিকই – কিন্তু স্বয়ং ভগবান যখন সাথী তখন আর মৃত্যুভয়-ই বা বেশি কি ? ছোট লঞ্চটি অবশ্য টর্নেডোর প্রভাবে ওই খাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়ে সমুদ্রের দিকে বহুদূরে চলে গিয়েছিল ৷ ওটি এতটাই দূরে গিয়েছিল যে, টর্নেডো থেমে যাবার পর সেটিকে আর বড়লঞ্চের ডেকে দাঁড়িয়েও দৃষ্টিগোচর ভূক্ত হচ্ছিলো না ৷ সবাই তাদের শঙ্কা প্রকাশ করাতে__ প্রকৃতির স্বামী রাজাধিরাজ পরমকরুণাময় গুরুদেব ডেকের উপরে একটা উঁচু জায়গায় দাঁড়িয়ে, দূরের দিকে দৃষ্টিপাত করে দুটো হাত সামনের দিকে দাঁড়িয়ে একটি বিশেষ মুদ্রা করেছিলেন। এদিকে ছোটলঞ্চের সারেং তো ঘাবড়ে গিয়েছিল এই ভেবে যে, কি করে সে আবার তার লঞ্চকে পূর্বের জায়গায় নিয়ে যাবে ! কিন্তু হঠাৎ ওরা সকলে দেখেছিল যে__ দুইপাশের জল উঁচু হয়ে গেছিলো এবং এদের লঞ্চের সামনের দিকটায় একটি জলের tunnel তৈরি হয়ে গেল । আর সেই tunnel ধরে লঞ্চটি তরতর্ করে এসে কিছুক্ষণের মধ্যেই বড়লঞ্চের কাছে এসে পৌঁছে গেল !!
গুরুমহারাজ বলেছিলেন, ঐসময় উনি আকর্ষণী মুদ্রার প্রয়োগ করেছিলেন ৷৷
ওনারা ‘নেতা ধোপানী’ বা ‘নেতি ধোপানী’-তে গিয়েছিলেন ৷ এই ‘নেতা ধোপাানী’ একটি ঐতিহাসিক (পৌরাণিক) চরিত্র। মনসামঙ্গল কাব্যে যে বেহুলা-লক্ষীন্দরের কথা পাওয়া যায় – সেখানে রয়েছে যে, বেহুলা মৃত স্বামীকে কলার ভেলায় চাপিয়ে স্বর্গের উদ্দেশ্যে (এখানে স্বর্গ কাল্পনিক নয়, স্বর্গ অর্থাৎ যেখানে দেবতাগণ, ঋষি-মুনিগণ থাকেন ৷ দেবতা অর্থে যিনি দে’ন ৷ সাধারণ কিশোরী গৃহবধূ বেহুলা সর্প-দংশনে কোমায় চলে যাওয়া স্বামীর জীবনদান করতে পারেন এমন ঋষি-মুনি-দেবতা অর্থাৎ আধ্যাত্মিকভাবে উন্নত মানুষের সন্ধানে বেরিয়ে পড়েছিলেন নদীপথ ধরে ৷ কারণ সাধারণতঃ বাংলায় ছোটো ছোটো নদী গঙ্গায় এসে মেশে এবং গঙ্গা এসে মেশে সাগরে ৷ আর এই গঙ্গাতীরবর্তী অঞ্চলে বা গঙ্গার মোহনা অঞ্চলে সবসময়ই বহু সাধু-সন্ত ও উন্নত যোগীরা থাকেন, আবার ওঝা-গুণীন-তান্ত্রিকরাও বাস করেন। সুতরাং একা সদ্যবিবাহিতা একজন কিশোরী নিজের প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে স্বামীর জীবন বাঁচানোর চেষ্টা করা ছাড়া আর কি-ই বা করতে পারে !) যাত্রা করেছিল ৷ কথিত আছে তার সেই যাত্রাপথে বেহুলার সাথে ‘নেতা-ধোপানী’-র সাক্ষাৎ হয়েছিল, যে স্বর্গের দেবতাদের কাপড় কাচতো ! আর সেই ‘নেতা ধোপানী’-ই বেহুলাকে স্বর্গে দেবতাদের কাছে (অর্থাৎ ঋষি-মুনি-আধ্যাত্মিকভাবে উন্নত ব্যক্তিদের কাছে) পৌঁছাতে সাহায্য করেছিল। যদিও হুগলীর ত্রিবেনীর সন্নিকটে একটি স্থানকেও “নেতা ধোপানির ঘাট” বলা হয়।।
বর্তমানে
ঐ দ্বীপে অনেক মানুষজনই বসবাস করে। তাছাড়া পর্যটকরাও ওখানে এখন খুবই যাওয়া-আসা করে ৷ তবে, নেতা-ধোপানী (পৌরাণিক কাহিনীর)-র কথা এখন আর কেউ জানতে চায় না ! কিন্তু ওখানে ‘বনবিবি’-র মন্দির রয়েছে, যাঁকে খুব জাগ্রত দেবী হিসাবে মানা হয়। পৌষ সংক্রান্তিতে ওখানে খুব বড় উৎসব হয় এবং হিন্দু-মুসলমান নির্বিশেষে সকলেই বনবিবির পূজায় অংশগ্রহণ করে থাকে ৷
ওনাদের যাত্রাপথে খাবার জলের স্টক ফুরিয়ে যাওয়ায় – একটা দ্বীপে নেমে অনেকটা জল (১২০ জন মানুষের ২/৩-দিনের জন্য) ভরে নিতে হয়েছিল ৷ আসলে সুন্দরবন এলাকায় প্রচুর নদী কিন্তু যেহেতু সব নদীতেই জোয়ার-ভাটা খেলে তাই মোহনার কাছাকাছি অঞ্চলে সমস্ত নদীতেই সমুদ্রের নোনাজল ঢুকে পড়ে _সব জল নোনতা স্বাদের হয়ে যায় ৷ এইজন্যই দ্বীপগুলিতে সর্বত্র মিষ্টিজল পাওয়া যায় না ৷ অথচ ‘বোনি ক্যাম্পে’ মিষ্টি জলের পুকুর রয়েছে, যেখান থেকে পর্যটকরা পানীয় জল সংগ্রহ করে থাকে ৷ গুরু মহারাজরাও এমনিই একটা স্থান থেকে খাবার জল সংগ্রহ করে নিয়েছিলেন।
যাই হোক, নদীর কথা হচ্ছিলো যখন – তখন বলে নেওয়া যাক্ ওনারা মাতলা, বিদ্যাধরী, মালঞ্চ ইত্যাদি বেশ কয়েকটি নদীপথ ধরে বিভিন্ন স্থানে গেছিলেন ৷ তাছাড়া দু-তিনবার ছোটো ছোটো খাড়িতেও লঞ্চ বিভিন্ন কারণে ঢুকেছিল ৷ আর ফেরার পথে ভয়ংকর টর্নেডোর পাল্লা থেকে বড় লঞ্চটি (যে লঞ্চটায় তখন গুরুমহারাজও ছিলেন) যে রক্ষা পেয়েছিল – তা ঐরকমই একটা খাড়ির মধ্যে লঞ্চটি ঢুকে পড়েছিল বলেই !
ওনারা লোথিয়ান আইল্যান্ড – যেখানে বন্যপ্রাণীদের অভয়ারণ্য রয়েছে, বুড়াবুড়ির তট, সজনেখালি, সুন্দরবন ফরেস্ট (East-West-South Block), ভাঙ্গাদুনি দ্বীপ (যেখানে সুন্দরবন জাতীয় উদ্যান রয়েছে) – এই সমস্ত স্থানে গিয়েছিলেন ৷ এছাড়া ভগবতীপুর কুমির প্রজেক্টের কথা আগেই বলা হয়েছিল ৷
তবে, একটা কথা বলতেই হয় যে,__ যে সমস্ত ভক্তরা গুরুজীর সাথে ওই tour-এ গেছিলো – তাদের মধ্যে অধিকাংশেরই এই দীর্ঘদিন (প্রায় ৩০/৩১ বছর) পরেও দুঃস্বপ্নের মত হয়ে আছে__’ ওই দুটি ঝড়ের স্মৃতি’। একটার বর্ণনা আগেই বলা হয়েছে – দ্বিতীয়টি ছিল টর্নেডো ৷ সত্যি সত্যি টর্নেডো !! একেবারে আকাশ থেকে থামের মতো বা হাতির শুঁড়ের মতো নেমে আসা প্রচন্ড ঘূর্ণিযুক্ত বায়ু ও জলস্তম্ভ !! ঐরূপ মৃত্যুদূতকে তারা একেবারে কাছ থেকে দেখেছিল। এইধরণের টর্নেডো – সমুদ্রের মাছ সহ জল উপরে তুলে নিতে পারে, গোটা লঞ্চকে উপরে তুলে ফেলতে পারে – এতো শক্তি এর !! উপকূলে আছড়ে পড়লে এটি জেটি, ঘর-বাড়ির চাল এমনকি পাকাবাড়ির ছাদও উপড়ে ফেলতে পারে !!
সেই হেন টর্নেডো-কে বড়লঞ্চের যাত্রীরা শুধু দূর থেকে enjoy করেছিল – ওরা প্রকৃতিরাণীর ভয়ালসুন্দর রূপ দেখে ভিতরে ভিতরে ভয়ে কম্পিত হচ্ছিলো ঠিকই – কিন্তু স্বয়ং ভগবান যখন সাথী তখন আর মৃত্যুভয়-ই বা বেশি কি ? ছোট লঞ্চটি অবশ্য টর্নেডোর প্রভাবে ওই খাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়ে সমুদ্রের দিকে বহুদূরে চলে গিয়েছিল ৷ ওটি এতটাই দূরে গিয়েছিল যে, টর্নেডো থেমে যাবার পর সেটিকে আর বড়লঞ্চের ডেকে দাঁড়িয়েও দৃষ্টিগোচর ভূক্ত হচ্ছিলো না ৷ সবাই তাদের শঙ্কা প্রকাশ করাতে__ প্রকৃতির স্বামী রাজাধিরাজ পরমকরুণাময় গুরুদেব ডেকের উপরে একটা উঁচু জায়গায় দাঁড়িয়ে, দূরের দিকে দৃষ্টিপাত করে দুটো হাত সামনের দিকে দাঁড়িয়ে একটি বিশেষ মুদ্রা করেছিলেন। এদিকে ছোটলঞ্চের সারেং তো ঘাবড়ে গিয়েছিল এই ভেবে যে, কি করে সে আবার তার লঞ্চকে পূর্বের জায়গায় নিয়ে যাবে ! কিন্তু হঠাৎ ওরা সকলে দেখেছিল যে__ দুইপাশের জল উঁচু হয়ে গেছিলো এবং এদের লঞ্চের সামনের দিকটায় একটি জলের tunnel তৈরি হয়ে গেল । আর সেই tunnel ধরে লঞ্চটি তরতর্ করে এসে কিছুক্ষণের মধ্যেই বড়লঞ্চের কাছে এসে পৌঁছে গেল !!
গুরুমহারাজ বলেছিলেন, ঐসময় উনি আকর্ষণী মুদ্রার প্রয়োগ করেছিলেন ৷৷