ভগবান স্বামী পরমানন্দ বনগ্রাম আশ্রমে একেবারে গোড়ার দিকে (১৯৮৩/৮৪) এক মাষ্টার মশাইয়ের জিজ্ঞাসার উত্তর দিচ্ছিলেন । সেই মাষ্টারমশাই-এর দৃঢ়মূল ধারণা হয়ে গিয়েছিল যে , গুরু মহারাজ স্বামী পরমানন্দই পূর্বশরীরে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ছিলেন ! তাই তিনি জিজ্ঞাসা করে বসলেন – ” আচ্ছা গুরু মহারাজ ! এবারও আপনি একজন বিবেকানন্দকে তৈরী করবেন তো ?” এর উত্তরে গুরু মহারাজ বলেছিলেন – ” এবার আমি বিবেকানন্দের বাগান করে যাবো !”
গুরু মহারাজের বলা এই কথাটি তখন (প্রথমদিকে) আশ্রমের প্রায় সকল ভক্তরা খুবই আলোচনা কোরতো ! আমরা তখন প্রথম প্রথম আশ্রমে যাচ্ছি ৷ ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের কিছু বই সবে সবে পড়া শেষ হয়েছে এবং ঠাকুরকে বেশ যেন একান্ত আপন বোধ হতে শুরু হয়েছে ! সেইসময় বনগ্রাম আশ্রমে গিয়ে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের নতুন রূপ স্বামী পরমানন্দকে দেখা ৷ দেখার কিছুদিন পর থেকে মনে হয়েছিল, _হ্যাঁ , তা হতেও পারে! এক মহিলা ভক্তের জিজ্ঞাসার উত্তরে মা সারদাদেবী তো বলেছিলেন , – “১০০ বছরের মধ্যেই বায়ুকোণে আর একবার ঠাকুরকে শরীর নিতে হবে , এবার আর কি দেখছ মা – সেবার দেশী-বিদেশী বহু ভক্ত মুক্তি লাভ করবে ৷ তবে সেবারও যাদের হবে না – তাদের কিন্তু অনেক দেরী হবে !” পঙ্কজবাবু (বর্তমান স্বামী পরমাত্মানন্দ) সারদা মায়ের জীবনী বিষয়ক একটি গ্রন্থ থেকে ঐ উদ্ধৃতিটি তখন সবাইকে ডেকে ডেকে দেখাতেন ৷
তাছাড়া পরে ন’কাকা (শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়)-র কাছে শুনেছিলাম – যেহেতু ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ বরাবরের পেটরোগা মানুষ ছিলেন , শরীর খুব একটা মজবুত ছিল না তাই তৎকালীন নরেনের (স্বামী বিবেকনন্দ) ব্যায়ামপুষ্ট শক্ত-সামর্থ্য শরীর দেখে শ্রী শ্রী মা সারদা মনে মনে করেছিলেন , “এবার যখন ঠাকুরের শরীর হবে যেন ঐরকমটি (শক্তসমর্থ্য শরীর) হয় ।” সুতরাং নব শরীরে স্বামী পরমানন্দকে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের নতুন শরীর ভাবতে কোন অসুবিধা হয়নি ৷
কিন্তু ওনার কথামতো__ “বিবেকানন্দের বাগান”??!!
আমার বয়সী বা সমভাবাপন্ন কয়েকজন তখন বনগ্রাম আশ্রমে একজায়গা হলেই প্রায়শই এইটা নিয়ে আলোচনা করতাম ! আমাদের অর্থাৎ সাধারণ মানুষেদের চিন্তাভাবনা বা কল্পনা কোন না কোন বাস্তবকে কেন্দ্র করেই সংঘটিত হয় ৷ গুরু মহারাজই বলেছিলেন – “কল্পনাকে আশ্রয় করে কল্পনা করা যায় না ! কোন না কোন বস্তু, ব্যক্তি বা বিষয় যা তার অভিজ্ঞতায় রয়েছে – তাকে আশ্রয় করেই কল্পনা করতে হয় ৷”
তাই আমরাও কল্পনা করতাম “বিবেকানন্দের বাগান” অর্থাৎ অনেক বিবেকানন্দ ! তারা সবাই গেরুয়া কাপড় পড়ে , মাথায় পাগড়ী পড়ে ইউরোপ – আমেরিকা কাঁপিয়ে বেড়াবে ! আর আমরা সেইসব নিজের চোখে দেখব এবং সুফলগুলো বসে বসে ভোগ করব ! কি মূর্খতাভরা চিন্তাভাবনা !
হঠাৎ একদিন গুরু মহারাজ সিটিং-এ কোন ভক্তের জিজ্ঞাসার উত্তরে বললেন – ” এবার আমার মধ্যেই ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের ঐশী শক্তি , স্বামী বিবেকানন্দের আধ্যাত্মিক শৌর্য্য শক্তি , মা সারদাদেবীর অলৌকিক করুণাশক্তি সবকিছু বিদ্যমান রয়েছে ! বাইরে যেন এগুলি কোথাও খুঁজতে যাস্ না – তাহলে কিন্তু মুস্কিলে পড়ে যাবি !” সত্যি বলছি , বিশ্বাস করুন – গুরু মহারাজের এই কথায় আমরা তখন খুবই ঘাবড়ে গিয়েছিলাম – ” এই রে ! তাহলে ঐরকম শৌর্য্য-বীর্য্য সমন্বিত সুদর্শন গেরুয়া পড়া , মাথায় পাগড়ী পড়া একঝাঁক স্বামী বিবেকানন্দ (বিবেকানন্দের বাগান)-দের দেখতে পাবো না ? ১০/২০ টা না হোক – ৪/৫ টা কেও না!!!! ”
অনেকদিন ধরে আমাদের বুকের ব্যাথাটা রয়েই গিয়েছিল ৷ তারপরে একদিন , তাও বহুকাল (বেশ কয়েক বছর) পরে গুরু মহারাজ “বিবেকানন্দ” নিয়ে আলোচনা করছিলেন সিটিং-এ ! উনি বলেছিলেন – ” ‘বিবেকানন্দ’ তিনিই– যাঁর বিবেক সদা জাগ্রত ! সাধারণ মানুষের বিবেক সুপ্ত থাকে, কারও প্রসুপ্ত ! সদগুরুর কৃপায় সাধনার দ্বারা সুপ্তাবস্থা থেকে বিবেকের জাগরণ হয় ৷ এইভাবে সমাজে দেখা যায় কারও বিবেক ৫% , কারও ১০% , কারো ২০, ৩০, ৪০ বা ৫০% জাগ্রত ৷ কিন্তু ১০০% জাগ্রত যার _তিনিই “বিবেকানন্দ” । সেই অর্থে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের সময় বাল্যের নরেন্দ্রনাথ হয়ে উঠেছিলেন সার্থকনামা _”স্বামী বিবেকানন্দ”! ঠাকুরের (শ্রীরামকৃষ্ণ) পর ১০০-বছর কেটে গেছে, ঠাকুর ও স্বামীজীর প্রবল প্রচেষ্টায় এখনকার সমাজব্যাবস্থা, এখনকার মানুষের চেতনা, অর্থনৈতিক – সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি সবকিছুরই ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে! ভারতবর্ষ সহ প্রায় সমগ্র বিশ্ব তমঃপ্রভাব কাটিয়ে রজঃপ্রভাবের দিকে এগিয়ে এসেছে! পৃথিবীতে প্রায় সব রাষ্ট্রই পরাধীনতার গ্লানি কাটিয়ে স্বাধীনভাবে ভাবনা-চিন্তা করতে শুরু করেছে! ফলে আধ্যাত্মিক জগতেও মহাবিপ্লব ঘটে গেছে! ধর্মীয় সংকীর্ণতা ও নিছক গোঁড়ামী থেকে বেড়িয়ে আসছে বহু মানুষ! এই অবস্থায় অধ্যাত্নপথে যারা নিষ্ঠাভরে সাধনা করে চলেছেন _তাঁদের অনেকেই ১০০-ভাগ বিবেকের জাগরণ হওয়া সম্ভব!
গুরুমহারাজ বারবার বলতেন _”আধ্যাত্মিকতার লক্ষনই হোল _’চেতনার উত্তরণ এবং বিবেকের জাগরণ’। আর সদগুরুর সংস্পর্শে এলে _তবেই বিবেকের জাগরণ হয়।”
গুরুকরন হওয়ার পর শ্রীগুরুর নির্দেশমতো সাধনার অগ্রগতির সাথে সাথেই বিবেক জাগরণের মাত্রাও বাড়তে থাকে। আর এই অগ্রগতি অব্যাহত থাকলে সাধক তার অন্তিম লক্ষ্যের দিকে অর্থাৎ ১০০-ভাগ বিবেক জাগরণের পথে এগিয়ে চলে। চরৈবেতি! চরৈবেতি!!
ভগবানের এই লীলায় অর্থাৎ স্বামী পরমানন্দের আগমনের ফলে, তাঁর শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে, তাঁর দীক্ষায় দীক্ষীত হয়ে বহু সাধকেরই ১০০-ভাগ বিবেক-জাগরণ হবে। তাদের মধ্যে কেউ এদেশী, –হতে পারে বেশিরভাগই বিদেশী!!
কিন্তু কখনই ভাবা উচিত নয় যে, তারা সবাই মাথায় পাগড়ী বেঁধে আমেরিকা কাঁপাবে!
এঁরা জাগ্রত_বিবেক! “নিঃস্বার্থ মানবসেবাই ঈশ্বরের শ্রেষ্ঠ উপাসনা” _একথা গুরুমহারাজ বলেছিলেন! এঁরা সেই কাজই করবেন, হয়তো করতে শুরুও করে দিয়েছেন!! (ক্রমশঃ)
গুরু মহারাজের বলা এই কথাটি তখন (প্রথমদিকে) আশ্রমের প্রায় সকল ভক্তরা খুবই আলোচনা কোরতো ! আমরা তখন প্রথম প্রথম আশ্রমে যাচ্ছি ৷ ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের কিছু বই সবে সবে পড়া শেষ হয়েছে এবং ঠাকুরকে বেশ যেন একান্ত আপন বোধ হতে শুরু হয়েছে ! সেইসময় বনগ্রাম আশ্রমে গিয়ে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের নতুন রূপ স্বামী পরমানন্দকে দেখা ৷ দেখার কিছুদিন পর থেকে মনে হয়েছিল, _হ্যাঁ , তা হতেও পারে! এক মহিলা ভক্তের জিজ্ঞাসার উত্তরে মা সারদাদেবী তো বলেছিলেন , – “১০০ বছরের মধ্যেই বায়ুকোণে আর একবার ঠাকুরকে শরীর নিতে হবে , এবার আর কি দেখছ মা – সেবার দেশী-বিদেশী বহু ভক্ত মুক্তি লাভ করবে ৷ তবে সেবারও যাদের হবে না – তাদের কিন্তু অনেক দেরী হবে !” পঙ্কজবাবু (বর্তমান স্বামী পরমাত্মানন্দ) সারদা মায়ের জীবনী বিষয়ক একটি গ্রন্থ থেকে ঐ উদ্ধৃতিটি তখন সবাইকে ডেকে ডেকে দেখাতেন ৷
তাছাড়া পরে ন’কাকা (শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়)-র কাছে শুনেছিলাম – যেহেতু ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ বরাবরের পেটরোগা মানুষ ছিলেন , শরীর খুব একটা মজবুত ছিল না তাই তৎকালীন নরেনের (স্বামী বিবেকনন্দ) ব্যায়ামপুষ্ট শক্ত-সামর্থ্য শরীর দেখে শ্রী শ্রী মা সারদা মনে মনে করেছিলেন , “এবার যখন ঠাকুরের শরীর হবে যেন ঐরকমটি (শক্তসমর্থ্য শরীর) হয় ।” সুতরাং নব শরীরে স্বামী পরমানন্দকে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের নতুন শরীর ভাবতে কোন অসুবিধা হয়নি ৷
কিন্তু ওনার কথামতো__ “বিবেকানন্দের বাগান”??!!
আমার বয়সী বা সমভাবাপন্ন কয়েকজন তখন বনগ্রাম আশ্রমে একজায়গা হলেই প্রায়শই এইটা নিয়ে আলোচনা করতাম ! আমাদের অর্থাৎ সাধারণ মানুষেদের চিন্তাভাবনা বা কল্পনা কোন না কোন বাস্তবকে কেন্দ্র করেই সংঘটিত হয় ৷ গুরু মহারাজই বলেছিলেন – “কল্পনাকে আশ্রয় করে কল্পনা করা যায় না ! কোন না কোন বস্তু, ব্যক্তি বা বিষয় যা তার অভিজ্ঞতায় রয়েছে – তাকে আশ্রয় করেই কল্পনা করতে হয় ৷”
তাই আমরাও কল্পনা করতাম “বিবেকানন্দের বাগান” অর্থাৎ অনেক বিবেকানন্দ ! তারা সবাই গেরুয়া কাপড় পড়ে , মাথায় পাগড়ী পড়ে ইউরোপ – আমেরিকা কাঁপিয়ে বেড়াবে ! আর আমরা সেইসব নিজের চোখে দেখব এবং সুফলগুলো বসে বসে ভোগ করব ! কি মূর্খতাভরা চিন্তাভাবনা !
হঠাৎ একদিন গুরু মহারাজ সিটিং-এ কোন ভক্তের জিজ্ঞাসার উত্তরে বললেন – ” এবার আমার মধ্যেই ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের ঐশী শক্তি , স্বামী বিবেকানন্দের আধ্যাত্মিক শৌর্য্য শক্তি , মা সারদাদেবীর অলৌকিক করুণাশক্তি সবকিছু বিদ্যমান রয়েছে ! বাইরে যেন এগুলি কোথাও খুঁজতে যাস্ না – তাহলে কিন্তু মুস্কিলে পড়ে যাবি !” সত্যি বলছি , বিশ্বাস করুন – গুরু মহারাজের এই কথায় আমরা তখন খুবই ঘাবড়ে গিয়েছিলাম – ” এই রে ! তাহলে ঐরকম শৌর্য্য-বীর্য্য সমন্বিত সুদর্শন গেরুয়া পড়া , মাথায় পাগড়ী পড়া একঝাঁক স্বামী বিবেকানন্দ (বিবেকানন্দের বাগান)-দের দেখতে পাবো না ? ১০/২০ টা না হোক – ৪/৫ টা কেও না!!!! ”
অনেকদিন ধরে আমাদের বুকের ব্যাথাটা রয়েই গিয়েছিল ৷ তারপরে একদিন , তাও বহুকাল (বেশ কয়েক বছর) পরে গুরু মহারাজ “বিবেকানন্দ” নিয়ে আলোচনা করছিলেন সিটিং-এ ! উনি বলেছিলেন – ” ‘বিবেকানন্দ’ তিনিই– যাঁর বিবেক সদা জাগ্রত ! সাধারণ মানুষের বিবেক সুপ্ত থাকে, কারও প্রসুপ্ত ! সদগুরুর কৃপায় সাধনার দ্বারা সুপ্তাবস্থা থেকে বিবেকের জাগরণ হয় ৷ এইভাবে সমাজে দেখা যায় কারও বিবেক ৫% , কারও ১০% , কারো ২০, ৩০, ৪০ বা ৫০% জাগ্রত ৷ কিন্তু ১০০% জাগ্রত যার _তিনিই “বিবেকানন্দ” । সেই অর্থে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের সময় বাল্যের নরেন্দ্রনাথ হয়ে উঠেছিলেন সার্থকনামা _”স্বামী বিবেকানন্দ”! ঠাকুরের (শ্রীরামকৃষ্ণ) পর ১০০-বছর কেটে গেছে, ঠাকুর ও স্বামীজীর প্রবল প্রচেষ্টায় এখনকার সমাজব্যাবস্থা, এখনকার মানুষের চেতনা, অর্থনৈতিক – সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি সবকিছুরই ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে! ভারতবর্ষ সহ প্রায় সমগ্র বিশ্ব তমঃপ্রভাব কাটিয়ে রজঃপ্রভাবের দিকে এগিয়ে এসেছে! পৃথিবীতে প্রায় সব রাষ্ট্রই পরাধীনতার গ্লানি কাটিয়ে স্বাধীনভাবে ভাবনা-চিন্তা করতে শুরু করেছে! ফলে আধ্যাত্মিক জগতেও মহাবিপ্লব ঘটে গেছে! ধর্মীয় সংকীর্ণতা ও নিছক গোঁড়ামী থেকে বেড়িয়ে আসছে বহু মানুষ! এই অবস্থায় অধ্যাত্নপথে যারা নিষ্ঠাভরে সাধনা করে চলেছেন _তাঁদের অনেকেই ১০০-ভাগ বিবেকের জাগরণ হওয়া সম্ভব!
গুরুমহারাজ বারবার বলতেন _”আধ্যাত্মিকতার লক্ষনই হোল _’চেতনার উত্তরণ এবং বিবেকের জাগরণ’। আর সদগুরুর সংস্পর্শে এলে _তবেই বিবেকের জাগরণ হয়।”
গুরুকরন হওয়ার পর শ্রীগুরুর নির্দেশমতো সাধনার অগ্রগতির সাথে সাথেই বিবেক জাগরণের মাত্রাও বাড়তে থাকে। আর এই অগ্রগতি অব্যাহত থাকলে সাধক তার অন্তিম লক্ষ্যের দিকে অর্থাৎ ১০০-ভাগ বিবেক জাগরণের পথে এগিয়ে চলে। চরৈবেতি! চরৈবেতি!!
ভগবানের এই লীলায় অর্থাৎ স্বামী পরমানন্দের আগমনের ফলে, তাঁর শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে, তাঁর দীক্ষায় দীক্ষীত হয়ে বহু সাধকেরই ১০০-ভাগ বিবেক-জাগরণ হবে। তাদের মধ্যে কেউ এদেশী, –হতে পারে বেশিরভাগই বিদেশী!!
কিন্তু কখনই ভাবা উচিত নয় যে, তারা সবাই মাথায় পাগড়ী বেঁধে আমেরিকা কাঁপাবে!
এঁরা জাগ্রত_বিবেক! “নিঃস্বার্থ মানবসেবাই ঈশ্বরের শ্রেষ্ঠ উপাসনা” _একথা গুরুমহারাজ বলেছিলেন! এঁরা সেই কাজই করবেন, হয়তো করতে শুরুও করে দিয়েছেন!! (ক্রমশঃ)