গুরু মহারাজ স্বামী পরমানন্দ বলেছিলেন – ” ‘গুরু’ হচ্ছেন গুরু পরম্পরার একজন সদস্য ! গুরু পরম্পরা যেন মালা আর একজন ‘গুরু’ হলেন সেই মালার একটি ফুল ! কিন্তু মালার মধ্যে একটি ফুলে টান পড়লেই যেমন গোটা মালাটিই কেঁপে ওঠে – ঠিক তেমনি কোন একজন ‘গুরু’-র ক্রিয়াকর্ম এবং তার উপর বাইরে থেকে প্রযুক্ত ক্রিয়াকর্মের উপর যেমন সমগ্র গুরুকুলের নজর বা সম্পর্ক থাকে তেমনি তাঁর প্রয়োজনে সমস্ত পরম্পরা – তাঁর পাশে থাকে ৷”
গুরু মহারাজ উল্লেখ করেছিলেন – গুরুকুলের বা সমগ্র গুরু পরম্পরার কেঁপে ওঠার একটা ঘটনার কথা ! যেমন – যেদিন ক্রশিফিকেশন হয়েছিল ঈশ্বরপুত্র যীশুর – সেদিন খুবই রুষ্ট হয়েছিলেন তাঁরা ! প্রকৃতি হঠাৎ করে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছিল ! ভয়ঙ্কর মরু ঝড় উঠে পড়েছিল সেদিন জেরুজালেম অঞ্চলে ! লক্ষ লক্ষ এঞ্জেল ঝাঁপিয়ে পড়েছিল প্রতিশোধ নিতে ! কিন্তু ঠিক সেই সময়েই যীশুর সেই মহান বাণী উচ্চারিত হলো – ” হে ঈশ্বর ! ওরা জানেনা যে ওরা কি করেছে ! ওদের তুমি ক্ষমা করো !”
ব্যস ! ফিরে গেলেন এঞ্জেলরা ! কমে গেল ঝড়ের তান্ডব ! আর সেই সুযোগে মেরি মাতা , ম্যাগডালিন , এবং কয়েকজন সহযোগী মিলে যীশুকে কোন গোপন ডেরায় নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করাল ! গুরু মহারাজ বলেছিলেন – ক্রুশবিদ্ধ অবস্থায় কারো মারা যেতে ২৪ ঘন্টা/৩৬ ঘন্টা বা ৪৮ ঘন্টাও লেগে যেতো ! কারণ ক্রুশিফিকেশনে তিনটি পেরেক (Nail) ক্রুশ কাঠের সাথে মানুষের শরীরে গাঁথা হোত – দুটি হাত প্রসারিত অবস্থায় রেখে দুই তালুতে এবং নীচে দুটো পা-কে জড়ো করে একটি পেরেকে গেঁথে দেওয়া হোত । মাথায় লোহার কাঁটার মুকুট পড়িয়ে দেওয়া হোত ৷ এইভাবে একটা চরম যন্ত্রণাদায়ক অবস্থায় ক্রশকাঠ-টি খাড়া করে বালিতে পুঁতে দেওয়া হতো । এইভাবে থাকা অবস্থায় ওই ব্যক্তিটির ক্ষতস্থানগুলি থেকে রক্তপাত হতে শুরু করত ! তবে রক্তপাত হওয়া কিছুক্ষণ পরে বন্ধ হয়ে যেতো – কিন্তু শুরু হতো infection ! ওই infection ধীরে ধীরে সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়েই ক্রুশবিদ্ধ লোকটির মৃত্যু হত ! অবশ্য অনেকেই হার্টফেল করে মারা যেতো !
যাই হোক এই কারণেই ক্রুশিফিকেশনের কয়েক ঘন্টা পরে যীশুর চিকিৎসা শুরু হলেও ওনাকে বাঁচানোর ক্ষেত্রে কোন সমস্যা হয়নি ৷ মরু ঝড় থেমে গেলে রাজার সেপাইরা এসে দেখে বাকি দুটো ক্রুস কাঠে দুটি চোরের (ওই দিনে যীশুর সাথে দুটি চোরেরও ক্রুশিফিকেশন হয়েছিল)শরীর গাঁথা আছে কিন্তু যীশুর দেহটি ভ্যানিশ ! ওরা রাজার শাস্তির ভয়ে কাউকে কিছু না জানিয়ে ফাঁকা কফিনটাই বালি চাপা দিয়ে সমাধিস্থ করেছিল । এইজন্যেই কদিন পরে রাজার আদেশে যখন আবার কফিন তুলে দেখা হয় – তখন যীশুর দেহ পাওয়া যায়নি !
যীশুকে নিয়ে ওর সহযোগীরা তখন তিব্বতের পথে ! তিব্বতে বৌদ্ধ সাধুরা ওর চিকিৎসা করে ক্ষতগুলি সম্পূর্ণ সারিয়ে তোলে । যে গুহায় যীশুকে রাখা হয়েছিল , সেখানে যীশুর ব্যবহৃত বিভিন্ন দ্রব্যাদি আজও সযত্নে রাখা আছে ! আমিও(গুরুমহারাজ) দুজন সাধুর সাথে ওখানে গিয়ে যীশুর ব্যবহৃত জিনিস , চিকিৎসার উপকরণ এসবই দেখে এসেছি । ওখান থেকে যীশু ভারতবর্ষের নানা প্রান্ত পায়ে হেঁটে হেঁটে পরিভ্রমণ করেছিলেন ( আজ থেকে প্রায় দু হাজার বছর আগে ) । শেষের উনি কাশ্মীরে গিয়ে একটা কুঠিয়া বানিয়ে থাকতেন এবং ওখানকার মানুষজনকে ধর্মশিক্ষা দিতেন । এখনো কাশ্মীরে প্রভু যীশুর সমাধিস্থল রয়েছে ৷ ওখানে ওনাকে ‘ঈসামসি’ বলা হত !
এই ঘটনা উল্লেখ করে গুরুমহারাজ বলেছিলেন _’পৃথিবীর আদিম মানবসমাজ থেকে মানব বিবর্তনের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় _পশুদের ন্যায় ভ্রাম্যমান জীবন এবং ক্রমাগত সংগ্রাম করতে করতে ক্লান্ত হয়ে একটা দল প্রথম একজায়গায় স্থিত হয়েছিল। তারা কোন নদীর ধারে জঙ্গল থেকে একটু দূরে নিজস্বভাবে থাকার জায়গা তৈরি করে বসবাস করতে শুরু করে _এরপর তারা গাছের ফল-ফুল-পাতা, বনের ছোট ছোট পশু-পাখি, নদীর মাছ বা অন্য জলজ প্রানী শিকার করে খাদ্য হিসাবে গ্রহণ করতে থাকে! হিংস্র পশুর হাত থেকে রক্ষা পেতে আগুন (বনের দাবানল থেকে প্রাপ্ত) জ্বালাতো, আর বড় বড় গাছের গুঁড়ি পাশাপাশি পুঁতে পুঁতে থাকার জায়গাটা সুরক্ষিত রাখতে শুরু করল তারা! মোটামুটি থাকার জায়গা স্থায়ী হওয়ায় পরে পরেই ঐ মানুষগুলো শুরু করল নিজের খাদ্য নিজে উৎপাদন করার প্রচেষ্টা _শুরু হোল কৃষিকার্য, ফল-মূল-শস্যের চাষবাস!! এরাই পৃথিবীর প্রথম কৃষিজীবী গোষ্ঠী _পরবর্ত্তীতে এদের দ্বারাই সৃষ্টি হয়েছিল আর্যসভ্যতা ও আর্যসংস্কৃতি!
আদিম মানবসমাজের আর একটি গোষ্ঠী কিন্তু স্থিতু হোল না! তারা ঘুরে ঘুরে বেড়াতেই থাকলো_এরা যাযাবর গোষ্ঠী! পৃথিবীর যত প্রাথমিক সভ্যতা(যদিও গুরুমহারাজ বলেছিলেন পৃথিবীতে সঠিক অর্থে এখনও সভ্যতা আসেনি, বিভিন্ন dynasty এসেছে কিন্তু civilization আসে নি।), সংস্কৃতি, শিক্ষা-দীক্ষা, ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান এবং এর উৎকর্ষতা _এগুলির জন্য সব কৃতিত্ব ঐ কৃষিজীবী গোষ্ঠী বা আর্যদের!
পশুপালকগোষ্ঠী গুলি দীর্ঘদিন ধরে অসভ্য, অসংযত, উশৃঙ্খলই ছিল! ওরা যাযাবর জীবনকেই বেছে নিয়েছিল __কিন্তু ধীরে ধীরে ওদের মধ্যে অনেকে, কৃষিজীবী গোষ্ঠীর অপেক্ষাকৃত শান্তিময় জীবনযাপন দেখে __তারাও এক একটা জায়গায় স্থিতু হতে শুরু করল। এইভাবে এখন শুধুমাত্র ‘বেদে’ বা ‘বেদুইন’ ছাড়া বাকি প্রায় সব জনগোষ্ঠীই সমাজজীবনে ফিরে এসেছে। কেউ একটু আগে _কেউ একটু দেরীতে!
গুরুমহারাজ বলেছিলেন _’বিভিন্ন জনজাতির সমাজ-জীবনের বিভিন্ন আচার-আচরন, নিয়মপালন, culture_এসব দেখলে বোঝা যায় যে কোন জাতির সভ্যতা কতটা প্রাচীন অথবা নবীন! ঐ যে যীশুখ্রীষ্টের ক্রুশিফিকেশনের কথা বলা হচ্ছিল _সেমেটিকদের যে কোন মৃত্যুদণ্ডের পদ্ধতিই খুব নৃশংস এবং পীড়াদায়ক বা বলা চলে ‘অকারণ অত্যধিক যন্ত্রণাদায়ক’! এগুলি বিকৃত মানসিকতার পরিচায়ক!! একটা শাশ্তিযোগ্য মানুষকে এককোপে মেরে ফেলা একরকম__কিন্তু তাকে ধীরে ধীরে একটু একটু করে যন্ত্রণা দিয়ে দিয়ে মারা _কখনই সভ্য মানুষের লক্ষন হোতে পারে না ‘!! এরা অনেক পরে সভা হয়েছে! এই ধরনের সমাজজীবনের বহু আচার-আচরণ দেখে বোঝা যায় _সভ্যতার দিক থেকে আর্যদের চাইতে এরা অনেক নবীন!!(ক্রমশঃ)
গুরু মহারাজ উল্লেখ করেছিলেন – গুরুকুলের বা সমগ্র গুরু পরম্পরার কেঁপে ওঠার একটা ঘটনার কথা ! যেমন – যেদিন ক্রশিফিকেশন হয়েছিল ঈশ্বরপুত্র যীশুর – সেদিন খুবই রুষ্ট হয়েছিলেন তাঁরা ! প্রকৃতি হঠাৎ করে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছিল ! ভয়ঙ্কর মরু ঝড় উঠে পড়েছিল সেদিন জেরুজালেম অঞ্চলে ! লক্ষ লক্ষ এঞ্জেল ঝাঁপিয়ে পড়েছিল প্রতিশোধ নিতে ! কিন্তু ঠিক সেই সময়েই যীশুর সেই মহান বাণী উচ্চারিত হলো – ” হে ঈশ্বর ! ওরা জানেনা যে ওরা কি করেছে ! ওদের তুমি ক্ষমা করো !”
ব্যস ! ফিরে গেলেন এঞ্জেলরা ! কমে গেল ঝড়ের তান্ডব ! আর সেই সুযোগে মেরি মাতা , ম্যাগডালিন , এবং কয়েকজন সহযোগী মিলে যীশুকে কোন গোপন ডেরায় নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করাল ! গুরু মহারাজ বলেছিলেন – ক্রুশবিদ্ধ অবস্থায় কারো মারা যেতে ২৪ ঘন্টা/৩৬ ঘন্টা বা ৪৮ ঘন্টাও লেগে যেতো ! কারণ ক্রুশিফিকেশনে তিনটি পেরেক (Nail) ক্রুশ কাঠের সাথে মানুষের শরীরে গাঁথা হোত – দুটি হাত প্রসারিত অবস্থায় রেখে দুই তালুতে এবং নীচে দুটো পা-কে জড়ো করে একটি পেরেকে গেঁথে দেওয়া হোত । মাথায় লোহার কাঁটার মুকুট পড়িয়ে দেওয়া হোত ৷ এইভাবে একটা চরম যন্ত্রণাদায়ক অবস্থায় ক্রশকাঠ-টি খাড়া করে বালিতে পুঁতে দেওয়া হতো । এইভাবে থাকা অবস্থায় ওই ব্যক্তিটির ক্ষতস্থানগুলি থেকে রক্তপাত হতে শুরু করত ! তবে রক্তপাত হওয়া কিছুক্ষণ পরে বন্ধ হয়ে যেতো – কিন্তু শুরু হতো infection ! ওই infection ধীরে ধীরে সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়েই ক্রুশবিদ্ধ লোকটির মৃত্যু হত ! অবশ্য অনেকেই হার্টফেল করে মারা যেতো !
যাই হোক এই কারণেই ক্রুশিফিকেশনের কয়েক ঘন্টা পরে যীশুর চিকিৎসা শুরু হলেও ওনাকে বাঁচানোর ক্ষেত্রে কোন সমস্যা হয়নি ৷ মরু ঝড় থেমে গেলে রাজার সেপাইরা এসে দেখে বাকি দুটো ক্রুস কাঠে দুটি চোরের (ওই দিনে যীশুর সাথে দুটি চোরেরও ক্রুশিফিকেশন হয়েছিল)শরীর গাঁথা আছে কিন্তু যীশুর দেহটি ভ্যানিশ ! ওরা রাজার শাস্তির ভয়ে কাউকে কিছু না জানিয়ে ফাঁকা কফিনটাই বালি চাপা দিয়ে সমাধিস্থ করেছিল । এইজন্যেই কদিন পরে রাজার আদেশে যখন আবার কফিন তুলে দেখা হয় – তখন যীশুর দেহ পাওয়া যায়নি !
যীশুকে নিয়ে ওর সহযোগীরা তখন তিব্বতের পথে ! তিব্বতে বৌদ্ধ সাধুরা ওর চিকিৎসা করে ক্ষতগুলি সম্পূর্ণ সারিয়ে তোলে । যে গুহায় যীশুকে রাখা হয়েছিল , সেখানে যীশুর ব্যবহৃত বিভিন্ন দ্রব্যাদি আজও সযত্নে রাখা আছে ! আমিও(গুরুমহারাজ) দুজন সাধুর সাথে ওখানে গিয়ে যীশুর ব্যবহৃত জিনিস , চিকিৎসার উপকরণ এসবই দেখে এসেছি । ওখান থেকে যীশু ভারতবর্ষের নানা প্রান্ত পায়ে হেঁটে হেঁটে পরিভ্রমণ করেছিলেন ( আজ থেকে প্রায় দু হাজার বছর আগে ) । শেষের উনি কাশ্মীরে গিয়ে একটা কুঠিয়া বানিয়ে থাকতেন এবং ওখানকার মানুষজনকে ধর্মশিক্ষা দিতেন । এখনো কাশ্মীরে প্রভু যীশুর সমাধিস্থল রয়েছে ৷ ওখানে ওনাকে ‘ঈসামসি’ বলা হত !
এই ঘটনা উল্লেখ করে গুরুমহারাজ বলেছিলেন _’পৃথিবীর আদিম মানবসমাজ থেকে মানব বিবর্তনের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় _পশুদের ন্যায় ভ্রাম্যমান জীবন এবং ক্রমাগত সংগ্রাম করতে করতে ক্লান্ত হয়ে একটা দল প্রথম একজায়গায় স্থিত হয়েছিল। তারা কোন নদীর ধারে জঙ্গল থেকে একটু দূরে নিজস্বভাবে থাকার জায়গা তৈরি করে বসবাস করতে শুরু করে _এরপর তারা গাছের ফল-ফুল-পাতা, বনের ছোট ছোট পশু-পাখি, নদীর মাছ বা অন্য জলজ প্রানী শিকার করে খাদ্য হিসাবে গ্রহণ করতে থাকে! হিংস্র পশুর হাত থেকে রক্ষা পেতে আগুন (বনের দাবানল থেকে প্রাপ্ত) জ্বালাতো, আর বড় বড় গাছের গুঁড়ি পাশাপাশি পুঁতে পুঁতে থাকার জায়গাটা সুরক্ষিত রাখতে শুরু করল তারা! মোটামুটি থাকার জায়গা স্থায়ী হওয়ায় পরে পরেই ঐ মানুষগুলো শুরু করল নিজের খাদ্য নিজে উৎপাদন করার প্রচেষ্টা _শুরু হোল কৃষিকার্য, ফল-মূল-শস্যের চাষবাস!! এরাই পৃথিবীর প্রথম কৃষিজীবী গোষ্ঠী _পরবর্ত্তীতে এদের দ্বারাই সৃষ্টি হয়েছিল আর্যসভ্যতা ও আর্যসংস্কৃতি!
আদিম মানবসমাজের আর একটি গোষ্ঠী কিন্তু স্থিতু হোল না! তারা ঘুরে ঘুরে বেড়াতেই থাকলো_এরা যাযাবর গোষ্ঠী! পৃথিবীর যত প্রাথমিক সভ্যতা(যদিও গুরুমহারাজ বলেছিলেন পৃথিবীতে সঠিক অর্থে এখনও সভ্যতা আসেনি, বিভিন্ন dynasty এসেছে কিন্তু civilization আসে নি।), সংস্কৃতি, শিক্ষা-দীক্ষা, ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান এবং এর উৎকর্ষতা _এগুলির জন্য সব কৃতিত্ব ঐ কৃষিজীবী গোষ্ঠী বা আর্যদের!
পশুপালকগোষ্ঠী গুলি দীর্ঘদিন ধরে অসভ্য, অসংযত, উশৃঙ্খলই ছিল! ওরা যাযাবর জীবনকেই বেছে নিয়েছিল __কিন্তু ধীরে ধীরে ওদের মধ্যে অনেকে, কৃষিজীবী গোষ্ঠীর অপেক্ষাকৃত শান্তিময় জীবনযাপন দেখে __তারাও এক একটা জায়গায় স্থিতু হতে শুরু করল। এইভাবে এখন শুধুমাত্র ‘বেদে’ বা ‘বেদুইন’ ছাড়া বাকি প্রায় সব জনগোষ্ঠীই সমাজজীবনে ফিরে এসেছে। কেউ একটু আগে _কেউ একটু দেরীতে!
গুরুমহারাজ বলেছিলেন _’বিভিন্ন জনজাতির সমাজ-জীবনের বিভিন্ন আচার-আচরন, নিয়মপালন, culture_এসব দেখলে বোঝা যায় যে কোন জাতির সভ্যতা কতটা প্রাচীন অথবা নবীন! ঐ যে যীশুখ্রীষ্টের ক্রুশিফিকেশনের কথা বলা হচ্ছিল _সেমেটিকদের যে কোন মৃত্যুদণ্ডের পদ্ধতিই খুব নৃশংস এবং পীড়াদায়ক বা বলা চলে ‘অকারণ অত্যধিক যন্ত্রণাদায়ক’! এগুলি বিকৃত মানসিকতার পরিচায়ক!! একটা শাশ্তিযোগ্য মানুষকে এককোপে মেরে ফেলা একরকম__কিন্তু তাকে ধীরে ধীরে একটু একটু করে যন্ত্রণা দিয়ে দিয়ে মারা _কখনই সভ্য মানুষের লক্ষন হোতে পারে না ‘!! এরা অনেক পরে সভা হয়েছে! এই ধরনের সমাজজীবনের বহু আচার-আচরণ দেখে বোঝা যায় _সভ্যতার দিক থেকে আর্যদের চাইতে এরা অনেক নবীন!!(ক্রমশঃ)