গুরু মহারাজ স্বামী পরমানন্দ যখন ইউরোপের বিভিন্ন দেশ ঘুরছিলেন – সেই সময়কার আলোচনা করা হচ্ছিল ৷ গুরু মহারাজ ইউরোপ পরিভ্রমণ কালে গ্রীস দেশে গিয়েছিলেন । সেখানে বিভিন্ন স্থানে ঘোরার অভিজ্ঞতা আমাদের কাছে বলার সময় উনি বহু প্রাচীনকাল থেকে ভারতবর্ষের সাথে এই দেশটির যোগাযোগের কাহিনী বর্ণনা করেছিলেন , এখানে সেইগুলি এখন বলা হচ্ছে । প্রাচীনকালে ব্যবসায়ীরা পণ্য সামগ্রী নিয়ে ভারতবর্ষ থেকে বা চীন থেকে ওই সব দেশে যেতো । পণ্য নিয়ে যেতো বলে ওরা ‘পনিক’ (ভারতবর্ষে ‘বণিক’) নামে অভিহিত হোত ! এই ‘পনিক’ থেকে অপভ্রংশ হতে হতে ‘ফিনিক’ , ‘ফিনিকিয়া’ থেকে ‘ফিনিশিয়া’ বা ‘ফিনিশিয়’ ইত্যাদি শব্দে রূপ নিয়েছে ! এখনকার ঐতিহাসিকরা বা পণ্ডিতরা দেখেছে যে প্রাচীনকালে ‘ফিনিশীয়’ যাদের বলা হোত তারা কখনোই ফিনল্যান্ডের অধিবাসী ছিল না , তারা ছিল পূর্ব দেশের লোক অর্থাৎ এশীয় (ভারত , চীন ইত্যাদি দেশের ‘বণিক’) ! তখন ভারতবর্ষ থেকে , চীন থেকে অন্যান্য সামগ্রীর সাথে প্রচুর পরিমাণে রেশম বা সিল্ক ওই সব দেশে রপ্তানি করা হতো – তাই বণিকদের চলাচলের রাস্তাটি বহুকাল থেকে ‘সিল্করুট’ বা ‘রেশম পথ’ নামে পরিচিত হয়ে আসছে । পৃথিবীর ইতিহাসে সুপ্রাচীন বৃহত্তম স্থলপথ হিসাবে এই পথের খুবই গুরুত্ব রয়েছে !
এই রেশম পথ ধরেই গ্রীক , তুর্কি , পারসিক ইত্যাদি বিদেশীরা ঘোড়া ছুটিয়ে ভারতবর্ষে এসেছিল ! এই পথ দিয়েই কিশোর বয়সে গুরু মহারাজ (বালক রবীন) নাঙ্গা সাধুদের সাথে তুরস্ক পর্যন্ত বা আরও একটু বেশি দূর পর্যন্ত পায়ে হেঁটে গিয়েছিলেন । আর এই পথ দিয়েই ফিনিশীয়রা অর্থাৎ বণিকেরা ভারতবর্ষের ঋষিদের উপলব্ধ সত্য সমন্বিত পুঁথি মেসোপটেমিয়া , গ্রীস ইত্যাদি দেশে ছড়িয়ে পড়েছিল । তাছাড়া প্রাচীন ভারতের জ্ঞানী ব্যক্তিদের এই পথ ধরে আচার্য হিসাবে অন্যান্য দেশে যাওয়াও বিচিত্র কিছু নয় ! আবার হয়তো এই পথ ধরেই অন্যান্য দেশের ছাত্ররা – ভারতীয় গুরুকুলের কাছে আসতো জ্ঞান লাভ – বিদ্যা লাভের জন্য !
যেভাবেই হোক – ভারতীয় প্রাচীন শাস্ত্রাদি বা পুঁথিপত্র বা জ্ঞানরাজি ওই পথ ধরে তৎকালীন সভ্য দেশগুলিতে পৌঁছে তাদেরকে আরও জ্ঞান-বিজ্ঞানে সমৃদ্ধ হতে সাহায্য করেছিল ৷ আগের দিন যে আলোচনা করা হচ্ছিল যে ভারতীয় দেব-দেবীর সাথে গ্রীক দেব-দেবীর সাদৃশ্য রয়েছে – আজ সেগুলি বলা যাক্ । গুরু মহারাজ বলেছিলেন – যেমন দেবী ‘এথেনা’ , উনি ভারতীয় দেবী দুর্গা মাতার-ই পরিবর্তিত রূপ ! দেবী দুর্গার মতোই ইনিও অস্ত্রশস্ত্র সমন্বিতা এবং ওখানকার প্রধান দেবী ! এখানে যেমন দুর্গার নামে শহর নগর রয়েছে – ‘দুর্গাপুর’ , ‘দুর্গানগর’ ইত্যাদি , ওখানেও তেমনি দেবী এথেনার নামেই নগরী ‘এথেন্স’ !
দেবী মিনার্ভার কথা বলেছিলেন গুরু মহারাজ যিনি ভারতীয় দেবী সরস্বতীর সঙ্গে চরমভাবে সাদৃশ্যযুক্ত ! মা সরস্বতী যেমন বিদ্যার দেবী এবং কৃষ্টি , সংস্কৃতি , সঙ্গীত , কলাবিদ্যার দেবী – তেমনই গ্রিক দেবী মিনার্ভাও কলা , বিদ্যার দেবী ! উভয়ের-ই মূর্তিরও চরম সাদৃশ্য রয়েছে ! দেবী স্বরস্বতীর মতো দেবী মিনার্ভার হাতেও বাদ্যযন্ত্র (!) রয়েছে ! ভারতীয় শাস্ত্রে যেমন সূর্য দেবতা রয়েছে , ও দেশেও রয়েছে দেব ‘জিউস’ ! এছাড়া জল দেবতা , অগ্নির দেবতা ইত্যাদি সবই ভারতীয় দেব-দেবীর মতোই ৷
সুতরাং এটা বোঝাই যাচ্ছে যে – বহু ভারতবর্ষ থেকেই এই সব ধর্মীয় পরম্পরা ওই দেশে গিয়েছিল এবং ওরা ওদের মতো করে একটু আধটু পরিবর্তন করে সেগুলোকেই এত কাল ধরে মেনে আসছে ! প্রাচীন ভারতের গণিত বিদ্যা , মহাকাশ বিদ্যা , সমুদ্রবিদ্যা , অর্থনীতি বিদ্যা – এই সবকিছুই ভারতীয় জ্ঞানী-গুণীদের সাথে ওখানকার জ্ঞানী ব্যক্তিদের গবেষণার আদান-প্রদান হতো ! কিন্তু ভারতীয় ঋষিদের বা প্রাচীন ভারতীয় মনীষীদের থেকে ইউরোপীয় জ্ঞানীগুণীদের কথা Lime-light -এ বেশি বেশি করে এসে গেল কেন – এই জিজ্ঞাসার উত্তরে গুরু মহারাজ কিছু কথা বলেছিলেন , সেইগুলি এখানে বলার চেষ্টা করছি ।
প্রাচীন ভারতবর্ষ থেকে জ্ঞানরাজি প্রথমে স্থলপথে পশ্চিমদিকে মেসোপটেমিয়া, পারস্য, গ্রীস ইত্যাদি দেশগুলিতে যেমন গিয়েছিল _তেমনি উত্তরাংশের বিভিন্ন গিরিপথ দিয়ে তিব্বত হয়ে চিন সহ অন্যান্য দেশেও গিয়েছিল! এছাড়াও প্রাচীনকালে যে সব দেশ উন্নত ছিল _সেই সব দেশেও কলা, সংস্কৃতি, আধ্যাত্মিক জ্ঞানরাশি ভারতবর্ষ থেকেই গিয়েছিল! ভারতবর্ষের আচার্যদেরও ঐসব দেশে খুব সমাদর ছিল _বহুকাল ধরে ভারতের জ্ঞানী-গুনী মনীষীরা আচার্য হিসাবে ঐসব দেশে যাওয়া আসা করতেন। প্রাচীন গ্রন্থাদিতে এর ভুরি ভুরি প্রমাণ রয়েছে।
মহাভারতে উল্লেখ রয়েছে ‘উত্তরকুরুবর্ষ’ _নামক দেশের। কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে যে দেশের রাজন্যবর্গ কৌরব-পক্ষে ছিল। গুরুমহারাজ বলেছিলেন _এই ‘উত্তরকুরুবর্ষ’ – ই বর্তমান স্ক্যান্ডেনেভিয়ান দেশগুলি, বিশেষত নরওয়ে! মহাযোগী বাবা লোকনাথ ব্রহ্মচারী তাঁর দুজন সহযাত্রী(ত্রৈলঙ্গস্বামী এবং আব্দুল গফুর) – কে সঙ্গে নিয়ে হাঁটাপথে হিমালয় অঞ্চল থেকে বরফাবৃত পাহাড় পর্বত পেড়িয়ে পৃথিবীর উত্তর মেরুর কাছাকাছি চলে গিয়েছিলেন!
ওখান থেকে ফিরে উনি ভক্তদের কাছে ওনার সেই অভিজ্ঞতার কিছু কথা বর্ণনা করেছিলেন। উনি বলেছিলেন _ওসব দেশে হয়গ্রীব জাতির মানুষেরা বাস করে! এই কথার ব্যাখ্যা করতে গিয়ে গুরুমহারাজ বলেছিলেন _” ‘হয়গ্রীব’ অর্থাৎ ঘোড়ার গ্রীবার ন্যায় গ্রীবা বা সোজা কথায় ঘোড়ার মতো লম্বা গলা! রাশিয়ার কিছু অংশ থেকে শুরু করে স্ক্যান্ডেনেভিয়ার কিছু অংশের অনেক মানুষ রয়েছে যাদের গ্রীবা-অংশ ভারতীয়দের তুলনায় লম্বা হয়।
এছাড়াও লোকনাথ বাবা বলেছিলেন _পৃথিবীর আকার সম্পূর্ণ গোল নয় (লোকনাথ বাবা যখন কথাগুলো বলেছিলেন, তখনও পর্যন্ত বিজ্ঞানীরা বলত পৃথিবীর আকার গোল) _এর আকার শঙ্খাকৃতি, অর্থাৎ একটু লম্বাটে এবং এর একটা মেরু একটু মোটা ও চাপা, আর অন্য মেরু একটু সরু ও সামান্য উন্নত! বর্তমান বিজ্ঞানীরা কিন্তু লোকনাথ বাবার কথার সত্যতা প্রমাণের দিকেই আগাচ্ছে! (ক্রমশঃ)
এই রেশম পথ ধরেই গ্রীক , তুর্কি , পারসিক ইত্যাদি বিদেশীরা ঘোড়া ছুটিয়ে ভারতবর্ষে এসেছিল ! এই পথ দিয়েই কিশোর বয়সে গুরু মহারাজ (বালক রবীন) নাঙ্গা সাধুদের সাথে তুরস্ক পর্যন্ত বা আরও একটু বেশি দূর পর্যন্ত পায়ে হেঁটে গিয়েছিলেন । আর এই পথ দিয়েই ফিনিশীয়রা অর্থাৎ বণিকেরা ভারতবর্ষের ঋষিদের উপলব্ধ সত্য সমন্বিত পুঁথি মেসোপটেমিয়া , গ্রীস ইত্যাদি দেশে ছড়িয়ে পড়েছিল । তাছাড়া প্রাচীন ভারতের জ্ঞানী ব্যক্তিদের এই পথ ধরে আচার্য হিসাবে অন্যান্য দেশে যাওয়াও বিচিত্র কিছু নয় ! আবার হয়তো এই পথ ধরেই অন্যান্য দেশের ছাত্ররা – ভারতীয় গুরুকুলের কাছে আসতো জ্ঞান লাভ – বিদ্যা লাভের জন্য !
যেভাবেই হোক – ভারতীয় প্রাচীন শাস্ত্রাদি বা পুঁথিপত্র বা জ্ঞানরাজি ওই পথ ধরে তৎকালীন সভ্য দেশগুলিতে পৌঁছে তাদেরকে আরও জ্ঞান-বিজ্ঞানে সমৃদ্ধ হতে সাহায্য করেছিল ৷ আগের দিন যে আলোচনা করা হচ্ছিল যে ভারতীয় দেব-দেবীর সাথে গ্রীক দেব-দেবীর সাদৃশ্য রয়েছে – আজ সেগুলি বলা যাক্ । গুরু মহারাজ বলেছিলেন – যেমন দেবী ‘এথেনা’ , উনি ভারতীয় দেবী দুর্গা মাতার-ই পরিবর্তিত রূপ ! দেবী দুর্গার মতোই ইনিও অস্ত্রশস্ত্র সমন্বিতা এবং ওখানকার প্রধান দেবী ! এখানে যেমন দুর্গার নামে শহর নগর রয়েছে – ‘দুর্গাপুর’ , ‘দুর্গানগর’ ইত্যাদি , ওখানেও তেমনি দেবী এথেনার নামেই নগরী ‘এথেন্স’ !
দেবী মিনার্ভার কথা বলেছিলেন গুরু মহারাজ যিনি ভারতীয় দেবী সরস্বতীর সঙ্গে চরমভাবে সাদৃশ্যযুক্ত ! মা সরস্বতী যেমন বিদ্যার দেবী এবং কৃষ্টি , সংস্কৃতি , সঙ্গীত , কলাবিদ্যার দেবী – তেমনই গ্রিক দেবী মিনার্ভাও কলা , বিদ্যার দেবী ! উভয়ের-ই মূর্তিরও চরম সাদৃশ্য রয়েছে ! দেবী স্বরস্বতীর মতো দেবী মিনার্ভার হাতেও বাদ্যযন্ত্র (!) রয়েছে ! ভারতীয় শাস্ত্রে যেমন সূর্য দেবতা রয়েছে , ও দেশেও রয়েছে দেব ‘জিউস’ ! এছাড়া জল দেবতা , অগ্নির দেবতা ইত্যাদি সবই ভারতীয় দেব-দেবীর মতোই ৷
সুতরাং এটা বোঝাই যাচ্ছে যে – বহু ভারতবর্ষ থেকেই এই সব ধর্মীয় পরম্পরা ওই দেশে গিয়েছিল এবং ওরা ওদের মতো করে একটু আধটু পরিবর্তন করে সেগুলোকেই এত কাল ধরে মেনে আসছে ! প্রাচীন ভারতের গণিত বিদ্যা , মহাকাশ বিদ্যা , সমুদ্রবিদ্যা , অর্থনীতি বিদ্যা – এই সবকিছুই ভারতীয় জ্ঞানী-গুণীদের সাথে ওখানকার জ্ঞানী ব্যক্তিদের গবেষণার আদান-প্রদান হতো ! কিন্তু ভারতীয় ঋষিদের বা প্রাচীন ভারতীয় মনীষীদের থেকে ইউরোপীয় জ্ঞানীগুণীদের কথা Lime-light -এ বেশি বেশি করে এসে গেল কেন – এই জিজ্ঞাসার উত্তরে গুরু মহারাজ কিছু কথা বলেছিলেন , সেইগুলি এখানে বলার চেষ্টা করছি ।
প্রাচীন ভারতবর্ষ থেকে জ্ঞানরাজি প্রথমে স্থলপথে পশ্চিমদিকে মেসোপটেমিয়া, পারস্য, গ্রীস ইত্যাদি দেশগুলিতে যেমন গিয়েছিল _তেমনি উত্তরাংশের বিভিন্ন গিরিপথ দিয়ে তিব্বত হয়ে চিন সহ অন্যান্য দেশেও গিয়েছিল! এছাড়াও প্রাচীনকালে যে সব দেশ উন্নত ছিল _সেই সব দেশেও কলা, সংস্কৃতি, আধ্যাত্মিক জ্ঞানরাশি ভারতবর্ষ থেকেই গিয়েছিল! ভারতবর্ষের আচার্যদেরও ঐসব দেশে খুব সমাদর ছিল _বহুকাল ধরে ভারতের জ্ঞানী-গুনী মনীষীরা আচার্য হিসাবে ঐসব দেশে যাওয়া আসা করতেন। প্রাচীন গ্রন্থাদিতে এর ভুরি ভুরি প্রমাণ রয়েছে।
মহাভারতে উল্লেখ রয়েছে ‘উত্তরকুরুবর্ষ’ _নামক দেশের। কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে যে দেশের রাজন্যবর্গ কৌরব-পক্ষে ছিল। গুরুমহারাজ বলেছিলেন _এই ‘উত্তরকুরুবর্ষ’ – ই বর্তমান স্ক্যান্ডেনেভিয়ান দেশগুলি, বিশেষত নরওয়ে! মহাযোগী বাবা লোকনাথ ব্রহ্মচারী তাঁর দুজন সহযাত্রী(ত্রৈলঙ্গস্বামী এবং আব্দুল গফুর) – কে সঙ্গে নিয়ে হাঁটাপথে হিমালয় অঞ্চল থেকে বরফাবৃত পাহাড় পর্বত পেড়িয়ে পৃথিবীর উত্তর মেরুর কাছাকাছি চলে গিয়েছিলেন!
ওখান থেকে ফিরে উনি ভক্তদের কাছে ওনার সেই অভিজ্ঞতার কিছু কথা বর্ণনা করেছিলেন। উনি বলেছিলেন _ওসব দেশে হয়গ্রীব জাতির মানুষেরা বাস করে! এই কথার ব্যাখ্যা করতে গিয়ে গুরুমহারাজ বলেছিলেন _” ‘হয়গ্রীব’ অর্থাৎ ঘোড়ার গ্রীবার ন্যায় গ্রীবা বা সোজা কথায় ঘোড়ার মতো লম্বা গলা! রাশিয়ার কিছু অংশ থেকে শুরু করে স্ক্যান্ডেনেভিয়ার কিছু অংশের অনেক মানুষ রয়েছে যাদের গ্রীবা-অংশ ভারতীয়দের তুলনায় লম্বা হয়।
এছাড়াও লোকনাথ বাবা বলেছিলেন _পৃথিবীর আকার সম্পূর্ণ গোল নয় (লোকনাথ বাবা যখন কথাগুলো বলেছিলেন, তখনও পর্যন্ত বিজ্ঞানীরা বলত পৃথিবীর আকার গোল) _এর আকার শঙ্খাকৃতি, অর্থাৎ একটু লম্বাটে এবং এর একটা মেরু একটু মোটা ও চাপা, আর অন্য মেরু একটু সরু ও সামান্য উন্নত! বর্তমান বিজ্ঞানীরা কিন্তু লোকনাথ বাবার কথার সত্যতা প্রমাণের দিকেই আগাচ্ছে! (ক্রমশঃ)