গুরুমহারাজ স্বামী পরমানন্দ আমাদেরকে বনগ্রাম পরমানন্দ মিশনে সিটিং-এ, ইংল্যান্ডে উনি যখন ছিলেন – তখনকার কথা আলোচনা করেছিলেন ৷ ইংল্যান্ড ইউরোপের উন্নত দেশগুলির অন্যতম একটি দেশ ! যদিও বর্তমানে এই দেশটির অবস্থা দ্রুত খারাপ হচ্ছে – অবশ্য ইউরোপের অন্যান্য দেশের অবস্থাও মোটেই ভালো নয় ! ‘অবস্থা’- বলতে অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক সব অবস্থাই এখন ওসব দেশে খারাপের দিকে যাচ্ছে !
গুরুমহারাজ বলেছিলেন – ব্রিটিশরা যেমন ভারতবর্ষকে তিন ভাগে ভাগ করে হিন্দুস্থান, পূর্ব পাকিস্তান এবং পশ্চিম পাকিস্তান তৈরি করেছিল, মহামায়ার ইচ্ছায় গ্রেট ব্রিটেনও ভেঙে গিয়ে ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড এবং আয়ারল্যান্ড হয়েছে । পাকিস্তান এবং ভারতের মধ্যে যেমন বিদ্বেষ বা পারস্পরিক প্রতিক্রিয়ার সম্পর্ক রয়েছে – ওই দেশগুলোতেও ঠিক তেমনি পারস্পরিক ঘৃণা-বিদ্বেষ প্রতিক্রিয়া রয়েছে । ইংল্যান্ডের ভাষা ইংরাজী যেখানে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের দেশগুলির প্রথম ভাষা বা তা না হলেও অন্তত দ্বিতীয় ভাষা তো বটেই – সেখানে ইংল্যান্ডের দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্র স্কটল্যান্ড এবং আয়ারল্যান্ডের লোকেরা ইচ্ছা করে ইংরেজি ভাষাটা শেখে না ! ওরা ইতালিয়ান বা ফ্রেঞ্চ ভাষা দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে শেখে তবু ইংরাজী শিখতে চায় না ।
ইউরোপের বিভিন্ন দেশে গেলে দেখা যায় তিনটি আন্তর্জাতিক ভাষার চল রয়েছে – ইংরাজী, ইতালিয়ান এবং ফ্রেঞ্চ ! সুতরাং তিনটি ভাষার যেকোনো একটি জানলেই ইউরোপের বিভিন্ন বিমানবন্দর – ইমিগ্রেশন অফিস ইত্যাদিতে কোন অসুবিধা হয় না । রাস্তাঘাটে Communication-ও করা যায় । আমাদের আশ্রমে ইউরোপের বিভিন্ন দেশের ছেলেমেয়েরা যখন আসতো তখন আমরা দেখতাম ইউরোপের (বিশেষত ইতালির এবং নরওয়ের) ছেলেমেয়েদের বেশিরভাগই ইংরাজী জানতো না ! আর জানলেও খুব সামান্যই, আমাদের এখানকার বাংলা মিডিয়ামে পড়া ছেলেমেয়েদের মতো ! এটা শুনে আমাদের প্রথমটায় একটু অবাক লাগছে বটে – কিন্তু এটাই সত্য । আসলে আমাদের ধারণা ছিল – সাদা চামড়ার সাহেব মানেই সবাই ইংরেজি জানে – কিন্তু সেটা ভুল ধারণা !
গুরু মহারাজ সিটিং-এ আরও বলেছিলেন –যেসব দেশের প্রথম ভাষা ইংরাজী, তাদের আবার ইংরাজী উচ্চারণের আবার দেশভেদে রকমফের রয়েছে । আমেরিকান ইংরাজীর উচ্চারণ – ইউরোপের উচ্চারণের থেকে আলাদা ! আর ইউরোপের অন্যান্য দেশের ইংরাজীর মধ্যে ব্রিটিশদের উচ্চারণ আবার সম্পূর্ণ অন্যরকম ! ওরা সব Letter-এর উচ্চারণ করেই না – কোন বাক্য বলার সময় বাক্যের সমস্ত শব্দের অর্ধেক উচ্চারণ করে, বাকিটা মুখের মধ্যেই রেখে দেয় ! খুব concentrate না করলে প্রথম প্রথম ওদের কথা বোঝাই যায় না ! এইভাবে উচ্চারণ করাটা যেন ওদের কাছে একটা গর্বের ব্যাপার ! এইভাবে উচ্চারণ করে ওরা সবাইকে বোঝাতে চায় যে – ওরা সবার চাইতে আলাদা এবং এই ভাষাটা ওদের নিজস্ব সম্পদ !
গুরুমহারাজ আমাদের বলেছিলেন, ব্রিটেনের সাধারণ মানুষ বা ব্রিটিশ নাগরিকদের Loyality অর্থাৎ রাজভক্তির কথা ! ওরা সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উপনিবেশ স্থাপন করে সেইসব স্থানে শিক্ষার প্রসার, রাস্তাঘাট ও যানবাহনের উন্নতি ইত্যাদি ঘটালেও – ওদের নিজেদের কিছু কিছু ব্যাপারে প্রচন্ড গোঁড়ামি রয়েছে, তার মধ্যে এটি একটি ! যেখানে প্রায় গোটা বিশ্বে রাজতন্ত্র শেষ হয়ে গেছে সেখানে ওরা এখনো এই পরম্পরাকে বজায় রেখেছে এবং বাকিংহ্যাম প্যালেস (ওদের রানীর আবাসস্থল) সম্বন্ধে ওরা ভীষণরকম শ্রদ্ধাশীল! রাজঅন্তঃপুরের ছোট-খাটো কোনো ঘটনাও সারাদেশের মানুষের কাছে একান্ত আলোচনার বিষয় ! রাজ-অন্তঃপুর ভীষণ কনজারভেটিভ – ওরা ভিতর থেকে কোন খবর না দিলে সাধারণ মানুষ কোন খবরই পায় না ! আর তাইজন্যই সাধারণ মানুষের এত কৌতুহল !
এই রাজবংশের একজন রাজবধূ ছিলেন যুবরানী ‘ডায়ানা’, যিনি রাজকুমার চার্লস-এর স্ত্রী এবং বর্তমান রানী এলিজাবেথের বড় বউ ছিলেন ! সেই হিসাবে ‘ডায়ানা’-ই ছিলেন পরবর্তী ‘রানী’- পদের উত্তরাধিকারী । ইংল্যান্ডে ‘রাজতন্ত্র’ চলে না, ওখানে ‘রানীতন্ত্র’ ! তাই ভারতবর্ষে যখন স্বাধীনতা আন্দোলন চলছিল তখনও ‘রানী’ ছিলেন – মহারানী ভিক্টোরিয়া ।
যাইহোক, কথা হচ্ছিল ‘ডায়ানা’-কে নিয়ে! ‘ডায়ানা’ ছিল সাধারণ ঘরের মেয়ে, কিন্তু অসাধারণ সৌন্দর্য ও ব্যক্তিত্বের অধিকারীনী ছিল সে ! এইসব গুণের জন্যই ডায়ানাকে রাজবধূ করে নিয়ে গিয়েছিল রাজপরিবার ! কিন্তু রাজবধু হোলে কি হবে __ওই মেয়েটি ছিল উন্নত মনের মানুষ, বাকিংহাম প্যালেসের কনজারভেটিভনেস্-কে ভেঙে চুরমার করে দিয়ে মেয়েটি সাধারণ মানুষের প্রয়োজনে তাদের কাছে ছুটে ছুটে চলে আসতো ! তাদের কথা শুনতো – তাদের সমস্যার সমাধানের চেষ্টাও করতো ! আর এতেই ওই অসাধারণ সুন্দরী ‘ডায়ানা’ অল্পদিনের মধ্যেই দেশের মানুষের কাছে খুবই আদরণীয় হয়ে উঠতে শুরু করল! আর শুধু নিজের দেশেই নয় _দেশের সঙ্গে সঙ্গে গোটা পৃথিবীতেই খবরের শিরোনামে খুব দ্রুত চলে আসছিল মেয়েটি ।
এইটা সহ্য করতে পারছিল না ইংল্যান্ডের রাজ-পরিবার ! তাদের রাজপরিবারের এতদিনের ঐতিহ্য, গোঁড়ামি, আভিজাত্য সব ভেঙে পড়ার জোগাড় হয়েছিল – রাজবধূ ডায়ানার জন্য! আর কোন্ রাজবধু _যে কিনা would be মহারানী !
শুরু হলো রাজ-অন্তঃপুরের শাসন-বারণ! কিন্তু অসাধারণ ব্যক্তিত্বময়ী মেয়ে ডায়না এসব শুনলো না – ও রাজবাড়ীর সঙ্গে সমস্ত যোগাযোগ ছিন্ন করে বেরিয়ে এসেছিল ! যদিও তখন তার সংসারে স্বামী ছাড়াও দুটি ছেলে (উইলিয়াম ও হ্যারি)-ও ছিল ! জনসমাজে ফিরে এসে ‘ডায়ানা’ নানারকম সমাজ-সেবামূলক কাজের সঙ্গে এবং এই ধরনের বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে যুক্ত হয়ে গেল ৷ সেই সময় ‘ডায়ানা’ ছিল – পৃথিবীর সবচাইতে আলোচিত মহিলা ! এরপর ‘ডায়ানা’ একটা মস্ত ভুল করে বসেছিল – ও একজন বিখ্যাত ধনকুবের ‘দোদি ফায়েদ’-এর সাথে বিবাহসূত্রে আবদ্ধ হয়ে গেল ! আর এটা ছিল ব্রিটিশ রাজপরিবারের কাছে একটা বিরাট ধাক্কা ! তারই ফলস্বরূপ ‘ডায়ানা’-কে মরতে হয়েছিল ! যদিও সবাই জানে ফ্রান্সের রাস্তায় প্যাপারাজ্জি-দের হাত থেকে বাঁচার জন্য প্রচন্ড স্পীডে গাড়ি চালাতে গিয়ে ওদের গাড়ি এক্সিডেন্ট করে!!
ঐ গাড়িটির এক্সিডেন্ট ঠিক কোন স্থানে হয়েছিল এবং কিভাবে ডায়ানা ও দোদি মারা গিয়েছিল – তার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ গুরু মহারাজ আমাদের বলেছিলেন ! যদি তেমন কখনও সময় পাওয়া যায় – আপনাদের সাথে সেই সব কথা শেয়ার করব ! [ক্রমশঃ]
গুরুমহারাজ বলেছিলেন – ব্রিটিশরা যেমন ভারতবর্ষকে তিন ভাগে ভাগ করে হিন্দুস্থান, পূর্ব পাকিস্তান এবং পশ্চিম পাকিস্তান তৈরি করেছিল, মহামায়ার ইচ্ছায় গ্রেট ব্রিটেনও ভেঙে গিয়ে ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড এবং আয়ারল্যান্ড হয়েছে । পাকিস্তান এবং ভারতের মধ্যে যেমন বিদ্বেষ বা পারস্পরিক প্রতিক্রিয়ার সম্পর্ক রয়েছে – ওই দেশগুলোতেও ঠিক তেমনি পারস্পরিক ঘৃণা-বিদ্বেষ প্রতিক্রিয়া রয়েছে । ইংল্যান্ডের ভাষা ইংরাজী যেখানে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের দেশগুলির প্রথম ভাষা বা তা না হলেও অন্তত দ্বিতীয় ভাষা তো বটেই – সেখানে ইংল্যান্ডের দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্র স্কটল্যান্ড এবং আয়ারল্যান্ডের লোকেরা ইচ্ছা করে ইংরেজি ভাষাটা শেখে না ! ওরা ইতালিয়ান বা ফ্রেঞ্চ ভাষা দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে শেখে তবু ইংরাজী শিখতে চায় না ।
ইউরোপের বিভিন্ন দেশে গেলে দেখা যায় তিনটি আন্তর্জাতিক ভাষার চল রয়েছে – ইংরাজী, ইতালিয়ান এবং ফ্রেঞ্চ ! সুতরাং তিনটি ভাষার যেকোনো একটি জানলেই ইউরোপের বিভিন্ন বিমানবন্দর – ইমিগ্রেশন অফিস ইত্যাদিতে কোন অসুবিধা হয় না । রাস্তাঘাটে Communication-ও করা যায় । আমাদের আশ্রমে ইউরোপের বিভিন্ন দেশের ছেলেমেয়েরা যখন আসতো তখন আমরা দেখতাম ইউরোপের (বিশেষত ইতালির এবং নরওয়ের) ছেলেমেয়েদের বেশিরভাগই ইংরাজী জানতো না ! আর জানলেও খুব সামান্যই, আমাদের এখানকার বাংলা মিডিয়ামে পড়া ছেলেমেয়েদের মতো ! এটা শুনে আমাদের প্রথমটায় একটু অবাক লাগছে বটে – কিন্তু এটাই সত্য । আসলে আমাদের ধারণা ছিল – সাদা চামড়ার সাহেব মানেই সবাই ইংরেজি জানে – কিন্তু সেটা ভুল ধারণা !
গুরু মহারাজ সিটিং-এ আরও বলেছিলেন –যেসব দেশের প্রথম ভাষা ইংরাজী, তাদের আবার ইংরাজী উচ্চারণের আবার দেশভেদে রকমফের রয়েছে । আমেরিকান ইংরাজীর উচ্চারণ – ইউরোপের উচ্চারণের থেকে আলাদা ! আর ইউরোপের অন্যান্য দেশের ইংরাজীর মধ্যে ব্রিটিশদের উচ্চারণ আবার সম্পূর্ণ অন্যরকম ! ওরা সব Letter-এর উচ্চারণ করেই না – কোন বাক্য বলার সময় বাক্যের সমস্ত শব্দের অর্ধেক উচ্চারণ করে, বাকিটা মুখের মধ্যেই রেখে দেয় ! খুব concentrate না করলে প্রথম প্রথম ওদের কথা বোঝাই যায় না ! এইভাবে উচ্চারণ করাটা যেন ওদের কাছে একটা গর্বের ব্যাপার ! এইভাবে উচ্চারণ করে ওরা সবাইকে বোঝাতে চায় যে – ওরা সবার চাইতে আলাদা এবং এই ভাষাটা ওদের নিজস্ব সম্পদ !
গুরুমহারাজ আমাদের বলেছিলেন, ব্রিটেনের সাধারণ মানুষ বা ব্রিটিশ নাগরিকদের Loyality অর্থাৎ রাজভক্তির কথা ! ওরা সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উপনিবেশ স্থাপন করে সেইসব স্থানে শিক্ষার প্রসার, রাস্তাঘাট ও যানবাহনের উন্নতি ইত্যাদি ঘটালেও – ওদের নিজেদের কিছু কিছু ব্যাপারে প্রচন্ড গোঁড়ামি রয়েছে, তার মধ্যে এটি একটি ! যেখানে প্রায় গোটা বিশ্বে রাজতন্ত্র শেষ হয়ে গেছে সেখানে ওরা এখনো এই পরম্পরাকে বজায় রেখেছে এবং বাকিংহ্যাম প্যালেস (ওদের রানীর আবাসস্থল) সম্বন্ধে ওরা ভীষণরকম শ্রদ্ধাশীল! রাজঅন্তঃপুরের ছোট-খাটো কোনো ঘটনাও সারাদেশের মানুষের কাছে একান্ত আলোচনার বিষয় ! রাজ-অন্তঃপুর ভীষণ কনজারভেটিভ – ওরা ভিতর থেকে কোন খবর না দিলে সাধারণ মানুষ কোন খবরই পায় না ! আর তাইজন্যই সাধারণ মানুষের এত কৌতুহল !
এই রাজবংশের একজন রাজবধূ ছিলেন যুবরানী ‘ডায়ানা’, যিনি রাজকুমার চার্লস-এর স্ত্রী এবং বর্তমান রানী এলিজাবেথের বড় বউ ছিলেন ! সেই হিসাবে ‘ডায়ানা’-ই ছিলেন পরবর্তী ‘রানী’- পদের উত্তরাধিকারী । ইংল্যান্ডে ‘রাজতন্ত্র’ চলে না, ওখানে ‘রানীতন্ত্র’ ! তাই ভারতবর্ষে যখন স্বাধীনতা আন্দোলন চলছিল তখনও ‘রানী’ ছিলেন – মহারানী ভিক্টোরিয়া ।
যাইহোক, কথা হচ্ছিল ‘ডায়ানা’-কে নিয়ে! ‘ডায়ানা’ ছিল সাধারণ ঘরের মেয়ে, কিন্তু অসাধারণ সৌন্দর্য ও ব্যক্তিত্বের অধিকারীনী ছিল সে ! এইসব গুণের জন্যই ডায়ানাকে রাজবধূ করে নিয়ে গিয়েছিল রাজপরিবার ! কিন্তু রাজবধু হোলে কি হবে __ওই মেয়েটি ছিল উন্নত মনের মানুষ, বাকিংহাম প্যালেসের কনজারভেটিভনেস্-কে ভেঙে চুরমার করে দিয়ে মেয়েটি সাধারণ মানুষের প্রয়োজনে তাদের কাছে ছুটে ছুটে চলে আসতো ! তাদের কথা শুনতো – তাদের সমস্যার সমাধানের চেষ্টাও করতো ! আর এতেই ওই অসাধারণ সুন্দরী ‘ডায়ানা’ অল্পদিনের মধ্যেই দেশের মানুষের কাছে খুবই আদরণীয় হয়ে উঠতে শুরু করল! আর শুধু নিজের দেশেই নয় _দেশের সঙ্গে সঙ্গে গোটা পৃথিবীতেই খবরের শিরোনামে খুব দ্রুত চলে আসছিল মেয়েটি ।
এইটা সহ্য করতে পারছিল না ইংল্যান্ডের রাজ-পরিবার ! তাদের রাজপরিবারের এতদিনের ঐতিহ্য, গোঁড়ামি, আভিজাত্য সব ভেঙে পড়ার জোগাড় হয়েছিল – রাজবধূ ডায়ানার জন্য! আর কোন্ রাজবধু _যে কিনা would be মহারানী !
শুরু হলো রাজ-অন্তঃপুরের শাসন-বারণ! কিন্তু অসাধারণ ব্যক্তিত্বময়ী মেয়ে ডায়না এসব শুনলো না – ও রাজবাড়ীর সঙ্গে সমস্ত যোগাযোগ ছিন্ন করে বেরিয়ে এসেছিল ! যদিও তখন তার সংসারে স্বামী ছাড়াও দুটি ছেলে (উইলিয়াম ও হ্যারি)-ও ছিল ! জনসমাজে ফিরে এসে ‘ডায়ানা’ নানারকম সমাজ-সেবামূলক কাজের সঙ্গে এবং এই ধরনের বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে যুক্ত হয়ে গেল ৷ সেই সময় ‘ডায়ানা’ ছিল – পৃথিবীর সবচাইতে আলোচিত মহিলা ! এরপর ‘ডায়ানা’ একটা মস্ত ভুল করে বসেছিল – ও একজন বিখ্যাত ধনকুবের ‘দোদি ফায়েদ’-এর সাথে বিবাহসূত্রে আবদ্ধ হয়ে গেল ! আর এটা ছিল ব্রিটিশ রাজপরিবারের কাছে একটা বিরাট ধাক্কা ! তারই ফলস্বরূপ ‘ডায়ানা’-কে মরতে হয়েছিল ! যদিও সবাই জানে ফ্রান্সের রাস্তায় প্যাপারাজ্জি-দের হাত থেকে বাঁচার জন্য প্রচন্ড স্পীডে গাড়ি চালাতে গিয়ে ওদের গাড়ি এক্সিডেন্ট করে!!
ঐ গাড়িটির এক্সিডেন্ট ঠিক কোন স্থানে হয়েছিল এবং কিভাবে ডায়ানা ও দোদি মারা গিয়েছিল – তার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ গুরু মহারাজ আমাদের বলেছিলেন ! যদি তেমন কখনও সময় পাওয়া যায় – আপনাদের সাথে সেই সব কথা শেয়ার করব ! [ক্রমশঃ]