গুরু মহারাজ স্বামী পরমানন্দ যখন ইউরোপের বিভিন্ন দেশ ঘুরছিলেন , সেই সময়কার নানান ঘটনা এখানে উল্লেখ করা হচ্ছিল ! গুরু মহারাজ যখন ইতালিতে ছিলেন তখন ইউরোপের বিভিন্ন দেশের ভক্তরা ওনার সাথে দেখা করার জন্য যাওয়া-আসা করতো ৷ জার্মানির ফ্রেডেরিকা (যার নাম গুরুমহারাজ দিয়েছিলেন “শান্তি”) একদিন গাড়ি চালিয়ে জার্মানি থেকে গুরু মহারাজের কাছে ইতালি আসছিল [আমরা বনগ্রাম আশ্রমে ওকে বলতাম “জার্মান শান্তি” , কারণ তখন আশ্রমে শান্তি নামে একজন মেয়ে ব্রহ্মচারিণী হিসাবে “অঞ্জু মা”-এর সাথে Join করেছিল । ওই মেয়েটি একটু বেঁটে-খাটো বলে গুরু মহারাজ ওর নাম দিয়েছিলেন “লিটিল শান্তি”! এছাড়াও দুর্গাপুর থেকে আসতেন “শান্তি ঝা” , ওনাকে সবাই ‘ঝা-মা’ বলে ডাকতো । তখন আশ্রমে কয়েকজন পুরুষ ‘শান্তি-ও’ আসতো ! তাই জার্মানির ওই মহিলা ভক্তকে সবাই বলতো “জার্মান শান্তি” ।] ! গুরু মহারাজ আলোচনা করছিলেন – ” ইউরোপের সমস্ত দেশগুলির মধ্যে কিছু সুন্দর সুন্দর সব নিয়ম রয়েছে – যার মধ্যে একটা হোল, _ইউরোপ মহাদেশের যে কোন একটি দেশের মানুষ অনায়াসে অন্য একটি দেশে স্থলপথে (রেলপথে অথবা গাড়ি করে) যাওয়া আসা করতে পারে ৷ হয়তো বর্ডার গুলিতে একটু আধটু চেকিং হয় , কিন্তু ইউরোপিয়দের ক্ষেত্রে সে নিয়ম-টাও খুবই লঘু ! সুতরাং ইউরোপের বহু মানুষ এক দেশ থেকে অন্য দেশে নিজের ‘Car’ চালিয়ে চলে যায় ! রাস্তা গুলি এত সুন্দর , এত মসৃণ এবং এত বেশী পৃথক পৃথক Lane -বিশিষ্ট যে , যেকোনো গাড়ির গতি ঘন্টায় ৮০কিমি থেকে শুরু করে ১২০/১৪০ কিমি বেগে ছোটে ! ফলে ৭০০/৮০০ কিমি বা ১০০০কিমি রাস্তা গাড়িতে যেতে ওদের গায়ে লাগে না ।
প্রতিটি রাস্তাই ৮ লেন , ১০ লেন , ১২ লেন ! ৪-টে গাড়ী , ৫-টা গাড়ী , ৬-টা গাড়ী বিভিন্ন Lane-এ যাচ্ছে আবার ঐরকম সংখ্যক Lane ধরে গাড়িগুলি আসছে ! কিন্তু প্রতিটি Lane-এর Speed limit আলাদা ! যে Lane-এর যে speed – সেই Lane-এ একবার ঢুকলে তোমাকে সেই Speed-এই গাড়ি চালাতে হবে । তুমি যদি speed change করতে চাও , তাহলে তোমাকে Lane-ও change করতে হবে ! ৪-৫ কিমি অন্তর Lane change করার ব্যবস্থা রয়েছে !
প্রতিটি রাস্তার দুই দিক রেলিং দিয়ে ঘেরা – মাঝে মাঝে Safe passage রয়েছে – তাও সেগুলি অনেক দূরে দূরে ! এর ফলে ভারতীয় রাস্তাগুলির মতো রাস্তায় ছাগল-গরু-মানুষ হুটহাট করে উঠে আসতে পারে না ৷ তাই রাস্তায় কোনো রকম speed breaker নাই ! এইসব কারণে একটা নির্দিষ্ট Lane-এ যে কোন গাড়ি smoothly একটা নির্দিষ্ট speed-এ চলতে পারে এবং ওই গাড়ির আরোহীরা জানে যে তারা ঠিক নির্দিষ্ট সময়েই তারা তাদের নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছাতে পারবে !
ভিন্ন ভিন্ন Lane এবং রাস্তার দুই ধারে রেলিং থাকার জন্য ওই সব রাস্তায় Accident বড় একটা হয় না – কিন্তু যদি হয় , তাহলে তা মারাত্মক আকার ধারণ করে ! একটা Accident হওয়া মানেই অন্ততঃ ৬০/৭০ টি গাড়ীর Accident হয়ে যায় ৷ কেন এমনটা হয় , তার কারন বলছি ! প্রতিটি গাড়ির High Speed থাকার জন্য __একটা গাড়ির কোনো কারণে দুর্ঘটনা ঘটে গেলে পেছনের গাড়িগুলো Speed control করতে পারে না – ফলে পরপর এসে ধাক্কা মারতে থাকে ! এইভাবে সাথে সাথেই কয়েকটা গাড়ী দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয়ে যায় ! এবার হয় কি – গাড়ি গুলি এত জোরে একে অপরের সাথে ধাক্কা মারে যে গাড়ি গুলি অনেকটা উপরে উঠে যায় – এতে গাড়িটি বা তার কোন যন্ত্রাংশ ছিটকে হয়তো পরের Lane-এ গিয়ে পড়ে ! ফলে সেই Lane-এও শুরু হয়ে যায় পর পর Accident ! এইভাবে তারপরের Lane-এ , তারপরের Lane-এ – এইভাবে বেশ কয়েক মিনিট ধরে এই Accident চলতে থাকে এবং দেখা যায় যে অতি অল্প সময়ের মধ্যে ৫০/৬০ টা বা তারও বেশি সংখ্যক গাড়ির Accident হয়ে গেছে !”
যাইহোক , এইবার প্রসঙ্গে ফিরে আসি – জার্মান শান্তিও নিজে গাড়ি চালিয়ে একদিন (গুরু মহারাজ ইতালিতে থাকাকালীন) জার্মানি থেকে ইতালি আসছিল । ওর গাড়িরও ওই রকম ১৩০/১৪০ কিমি Speed ছিল ! হঠাৎ ও দেখল যে ওর আগে যে গাড়িটা যাচ্ছিল, সেইটা থেকে গাড়ির একটা অংশ খুলে রাস্তায় পড়ে গেল – শান্তি সেটাকে কাটাবার চেষ্টা করেছিল কিন্তু সেই অংশটা ওর চাকার ফাঁকে আটকে গিয়ে গাড়ির গতিপথ পাল্টে পাশের রেলিং-এ গিয়ে ধাক্কা মেরেছিল ! কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় এই যে , ফ্রেডেরিকা অর্থাৎ ‘শান্তি’ গাড়ির জানালা দিয়ে (ওর সিট বেল্ট শক্ত করে বাঁধা ছিল, তা সত্ত্বেও ) ছিটকে গিয়ে রেলিং টপকে মাঠের নরম মাটিতে গিয়ে পড়েছিল এবং সামান্য মামুলি আঘাত ছাড়া ওর প্রায় কিছুই হয়নি (ওর মনে হয়েছিল যে, কেউ যেন ওকে হাতে করে ধরে, শুন্যে তুলে নিয়ে গিয়ে দুরে মাটিতে নামিয়ে দিয়েছিল!) ! অথচ ওই ঘটনায় ৬০ থেকে ৭০ টা গাড়ীর Accident হয়েছিল ! অনেক চালক বা আরোহী মারা গিয়েছিল এবং অ্যাক্সিডেন্ট হওয়া সব গাড়িগুলিই damage হয়ে গিয়েছিল । আর শান্তির গাড়িটা?? সেটা চিঁড়ের মতো চ্যাপ্টা (চিঁড়েচ্যাপ্টা) হয়ে গিয়েছিল । প্রথমে, বহু গাড়ির ধাক্কা খেতে খেতে ওই গাড়ির বডি এবং ইন্জিন খন্ডবিখন্ড হয়ে ছোট হয়ে গিয়েছিল, তারপরেও ওটার উপর দিয়ে বহু গাড়ি বেড়িয়ে গেছিল _এর ফলেই শান্তির গাড়িটার ঐরকম অবস্থা হয়েছিল। কিন্তু কি সাংঘাতিক ব্যাপার _একবার ভাবুন! এই কথাগুলো বলে _রাস্তাঘাট উন্নত হোলে কি সমস্যা হোতে পারে সেটাই গুরুমহারাজ বোঝালেন। সামনে অ্যাক্সিডেন্ট হচ্ছে দেখেও high speed-এ পিছনে আসা পরপর 30/40টা গাড়ি, নির্ঘাত অ্যাক্সিডেন্ট জেনেও নিজেদেরকে control করতে পারে না!
যাইহোক, সেদিন ওই স্থানে অত বড় একটা অ্যাক্সিডেন্ট হলেও অন্যান্যদের তুলনায় ফ্রেডেরিকার শারীরিক আঘাত বলতে গেলে প্রায় কিছুই হয়নি! প্রাথমিক বিহ্বলতা কাটিয়ে উঠে_ সে ঠান্ডা মাথায় পুলিশি ঝামেলা এবং ইনসিউরেন্সের কাজ(Form fill up, গাড়ির কাগজপত্র জমা দেওয়া_ইত্যাদি) সেরে ট্রেন ধরে ইতালিতে গুরুমহারাজের কাছে চলে এসেছিল।
শান্তি আসার আগেই অবশ্য গুরুমহারাজ ওখানকার ভক্তদের কাছে জার্মান শান্তির পুরো ব্যাপারটা বলে দিয়েছিলেন! তবুও শান্তি ওখানে পৌঁছানোর পর _ওর কাছে যখন সবাই অ্যাক্সিডেন্টের ভয়াবহতার কথা শুনেছিল এবং সে একদম প্রায় অক্ষত রয়েছে দেখে সবাই অবাক হয়ে গিয়েছিল! আর ওর প্রতি গুরুমহারাজের করুনা যে কতখানি __তা মর্মে মর্মে উপলব্ধি করেছিল !!
গুরুমহারাজ বলেছিলেন __এই ঘটনার পর শান্তি আরও দিন দশেক ওখানেই অর্থাৎ গুরুমহারাজের কাছে থেকে গিয়েছিল। একজন তৃতীয় বিশ্বের (ভারতীয়) নাগরিক হিসাবে গুরুমহারাজ আশ্চর্য হয়ে দেখেছিলেন যে, মাত্র ঐ কদিনের মধ্যেই প্রথম বিশ্বের ইনসিউরেন্স কোম্পানি শান্তিকে ইতালিতে গিয়ে একটা নতুন গাড়ি পৌঁছে দিয়ে এসেছিল।এর মাঝে দু-এক দিন ফোন করে_গাড়িটা দিতে দেরি হচ্ছে বলে _”sorry”_ও জানিয়েছিল! শান্তি ঐ গাড়ি চালিয়েই আবার ওর দেশে ফিরে গিয়েছিল। (ক্রমশঃ)
প্রতিটি রাস্তাই ৮ লেন , ১০ লেন , ১২ লেন ! ৪-টে গাড়ী , ৫-টা গাড়ী , ৬-টা গাড়ী বিভিন্ন Lane-এ যাচ্ছে আবার ঐরকম সংখ্যক Lane ধরে গাড়িগুলি আসছে ! কিন্তু প্রতিটি Lane-এর Speed limit আলাদা ! যে Lane-এর যে speed – সেই Lane-এ একবার ঢুকলে তোমাকে সেই Speed-এই গাড়ি চালাতে হবে । তুমি যদি speed change করতে চাও , তাহলে তোমাকে Lane-ও change করতে হবে ! ৪-৫ কিমি অন্তর Lane change করার ব্যবস্থা রয়েছে !
প্রতিটি রাস্তার দুই দিক রেলিং দিয়ে ঘেরা – মাঝে মাঝে Safe passage রয়েছে – তাও সেগুলি অনেক দূরে দূরে ! এর ফলে ভারতীয় রাস্তাগুলির মতো রাস্তায় ছাগল-গরু-মানুষ হুটহাট করে উঠে আসতে পারে না ৷ তাই রাস্তায় কোনো রকম speed breaker নাই ! এইসব কারণে একটা নির্দিষ্ট Lane-এ যে কোন গাড়ি smoothly একটা নির্দিষ্ট speed-এ চলতে পারে এবং ওই গাড়ির আরোহীরা জানে যে তারা ঠিক নির্দিষ্ট সময়েই তারা তাদের নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছাতে পারবে !
ভিন্ন ভিন্ন Lane এবং রাস্তার দুই ধারে রেলিং থাকার জন্য ওই সব রাস্তায় Accident বড় একটা হয় না – কিন্তু যদি হয় , তাহলে তা মারাত্মক আকার ধারণ করে ! একটা Accident হওয়া মানেই অন্ততঃ ৬০/৭০ টি গাড়ীর Accident হয়ে যায় ৷ কেন এমনটা হয় , তার কারন বলছি ! প্রতিটি গাড়ির High Speed থাকার জন্য __একটা গাড়ির কোনো কারণে দুর্ঘটনা ঘটে গেলে পেছনের গাড়িগুলো Speed control করতে পারে না – ফলে পরপর এসে ধাক্কা মারতে থাকে ! এইভাবে সাথে সাথেই কয়েকটা গাড়ী দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয়ে যায় ! এবার হয় কি – গাড়ি গুলি এত জোরে একে অপরের সাথে ধাক্কা মারে যে গাড়ি গুলি অনেকটা উপরে উঠে যায় – এতে গাড়িটি বা তার কোন যন্ত্রাংশ ছিটকে হয়তো পরের Lane-এ গিয়ে পড়ে ! ফলে সেই Lane-এও শুরু হয়ে যায় পর পর Accident ! এইভাবে তারপরের Lane-এ , তারপরের Lane-এ – এইভাবে বেশ কয়েক মিনিট ধরে এই Accident চলতে থাকে এবং দেখা যায় যে অতি অল্প সময়ের মধ্যে ৫০/৬০ টা বা তারও বেশি সংখ্যক গাড়ির Accident হয়ে গেছে !”
যাইহোক , এইবার প্রসঙ্গে ফিরে আসি – জার্মান শান্তিও নিজে গাড়ি চালিয়ে একদিন (গুরু মহারাজ ইতালিতে থাকাকালীন) জার্মানি থেকে ইতালি আসছিল । ওর গাড়িরও ওই রকম ১৩০/১৪০ কিমি Speed ছিল ! হঠাৎ ও দেখল যে ওর আগে যে গাড়িটা যাচ্ছিল, সেইটা থেকে গাড়ির একটা অংশ খুলে রাস্তায় পড়ে গেল – শান্তি সেটাকে কাটাবার চেষ্টা করেছিল কিন্তু সেই অংশটা ওর চাকার ফাঁকে আটকে গিয়ে গাড়ির গতিপথ পাল্টে পাশের রেলিং-এ গিয়ে ধাক্কা মেরেছিল ! কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় এই যে , ফ্রেডেরিকা অর্থাৎ ‘শান্তি’ গাড়ির জানালা দিয়ে (ওর সিট বেল্ট শক্ত করে বাঁধা ছিল, তা সত্ত্বেও ) ছিটকে গিয়ে রেলিং টপকে মাঠের নরম মাটিতে গিয়ে পড়েছিল এবং সামান্য মামুলি আঘাত ছাড়া ওর প্রায় কিছুই হয়নি (ওর মনে হয়েছিল যে, কেউ যেন ওকে হাতে করে ধরে, শুন্যে তুলে নিয়ে গিয়ে দুরে মাটিতে নামিয়ে দিয়েছিল!) ! অথচ ওই ঘটনায় ৬০ থেকে ৭০ টা গাড়ীর Accident হয়েছিল ! অনেক চালক বা আরোহী মারা গিয়েছিল এবং অ্যাক্সিডেন্ট হওয়া সব গাড়িগুলিই damage হয়ে গিয়েছিল । আর শান্তির গাড়িটা?? সেটা চিঁড়ের মতো চ্যাপ্টা (চিঁড়েচ্যাপ্টা) হয়ে গিয়েছিল । প্রথমে, বহু গাড়ির ধাক্কা খেতে খেতে ওই গাড়ির বডি এবং ইন্জিন খন্ডবিখন্ড হয়ে ছোট হয়ে গিয়েছিল, তারপরেও ওটার উপর দিয়ে বহু গাড়ি বেড়িয়ে গেছিল _এর ফলেই শান্তির গাড়িটার ঐরকম অবস্থা হয়েছিল। কিন্তু কি সাংঘাতিক ব্যাপার _একবার ভাবুন! এই কথাগুলো বলে _রাস্তাঘাট উন্নত হোলে কি সমস্যা হোতে পারে সেটাই গুরুমহারাজ বোঝালেন। সামনে অ্যাক্সিডেন্ট হচ্ছে দেখেও high speed-এ পিছনে আসা পরপর 30/40টা গাড়ি, নির্ঘাত অ্যাক্সিডেন্ট জেনেও নিজেদেরকে control করতে পারে না!
যাইহোক, সেদিন ওই স্থানে অত বড় একটা অ্যাক্সিডেন্ট হলেও অন্যান্যদের তুলনায় ফ্রেডেরিকার শারীরিক আঘাত বলতে গেলে প্রায় কিছুই হয়নি! প্রাথমিক বিহ্বলতা কাটিয়ে উঠে_ সে ঠান্ডা মাথায় পুলিশি ঝামেলা এবং ইনসিউরেন্সের কাজ(Form fill up, গাড়ির কাগজপত্র জমা দেওয়া_ইত্যাদি) সেরে ট্রেন ধরে ইতালিতে গুরুমহারাজের কাছে চলে এসেছিল।
শান্তি আসার আগেই অবশ্য গুরুমহারাজ ওখানকার ভক্তদের কাছে জার্মান শান্তির পুরো ব্যাপারটা বলে দিয়েছিলেন! তবুও শান্তি ওখানে পৌঁছানোর পর _ওর কাছে যখন সবাই অ্যাক্সিডেন্টের ভয়াবহতার কথা শুনেছিল এবং সে একদম প্রায় অক্ষত রয়েছে দেখে সবাই অবাক হয়ে গিয়েছিল! আর ওর প্রতি গুরুমহারাজের করুনা যে কতখানি __তা মর্মে মর্মে উপলব্ধি করেছিল !!
গুরুমহারাজ বলেছিলেন __এই ঘটনার পর শান্তি আরও দিন দশেক ওখানেই অর্থাৎ গুরুমহারাজের কাছে থেকে গিয়েছিল। একজন তৃতীয় বিশ্বের (ভারতীয়) নাগরিক হিসাবে গুরুমহারাজ আশ্চর্য হয়ে দেখেছিলেন যে, মাত্র ঐ কদিনের মধ্যেই প্রথম বিশ্বের ইনসিউরেন্স কোম্পানি শান্তিকে ইতালিতে গিয়ে একটা নতুন গাড়ি পৌঁছে দিয়ে এসেছিল।এর মাঝে দু-এক দিন ফোন করে_গাড়িটা দিতে দেরি হচ্ছে বলে _”sorry”_ও জানিয়েছিল! শান্তি ঐ গাড়ি চালিয়েই আবার ওর দেশে ফিরে গিয়েছিল। (ক্রমশঃ)