গুরুমহারাজ স্বামী পরমানন্দ ছোটবেলায় (যখন ওনার ১১/১২ বছর বয়স) একবার ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্ত ঘুরতে ঘুরতে বুদ্ধগয়ায় গিয়ে হাজির হয়েছিলেন । তার কদিন আগে থাকতেই উনি টানা বেশ কয়েকদিন ধরে হাঁটাপথে দীর্ঘ দূরত্ব অতিক্রম করেছিলেন ৷ এই দীর্ঘ যাত্রাপথে ওনার কোনো খাবারই জোটেনি ! তাছাড়া সেই সময়টা ছিল গ্রীষ্মকাল – পশ্চিমের (বাংলার পশ্চিমে) এই সমস্ত স্থানে গ্রীষ্মকালে প্রচন্ড দাবদাহ, ফলে দীর্ঘ পদযাত্রার ক্লান্তিতে, ক্ষুধায়-তৃষ্ণায় বালক রবিন (ছোট বয়সের গুরুমহারাজ) তখন খুবই কাহিল হয়ে পড়েছিল ৷ এই অবস্থায় বুদ্ধগয়ায় বোধিবৃক্ষের নিচে কিছুক্ষণ বসার পর ওনার শরীর অনেকটা শীতল হয়েছিল ৷ শরীরটা একটু সুস্থ হবার পর ওই স্থানের vibration ওনার মধ্যে প্রবেশ করতে থাকে এবং উনি শুনতে পান বহির্জগতের সবকিছু থেকে (মাটি, গাছপালা ইত্যাদি) এবং সেই সঙ্গে ওনার অন্তর্জগৎ থেকেও – মাত্র একটি কথাই ধ্বনিত-প্রতিধ্বনিত হয়ে চলেছিল – ” ধ্যান করো, ধ্যান করো, ধ্যান করো ৷৷”
গুরু মহারাজের ওই দিনগুলোর কথা – গুরু মহারাজ নিজেই অনেকটা লিখে রেখেছিলেন – ওনার “অষ্টোত্তর শত গুরু”-র বর্ণনা প্রসঙ্গে ! বুদ্ধগয়া থেকে উনি গয়ায় শ্রী বিষ্ণুর পাদপদ্ম দর্শন করতে গেছিলেন – সেখানেও ওনার ওই একই রকম (কিন্তু ভাবটা আলাদা) অবস্থা হয়েছিল । সেই সব অবস্থা অতিক্রম করে – উনি একটা বড় মঠ বা মিশনে আহার্য গ্রহণ বা আশ্রয়ের জন্য গিয়েছিলেন, কিন্তু ‘তাদের স্থানাভাব রয়েছে’ _(যদিও ওই আশ্রমে প্রচুর ফাঁকা ঘর ছিল) এই বলে আশ্রয় দেয়নি | কিন্তু পরে একজন প্রেমিক সাধু বালক গুরু মহারাজকে নিয়ে গিয়ে আশ্রয় এবং আহার্য দান করেছিলেন । যাইহোক, এখন আমরা মূল ঘটনায় ফিরে যাচ্ছি !
গুরুমহারাজ (বালক রবীন) যখন বুদ্ধগয়ায় বোধিবৃক্ষের তলায় বসে ধ্যান করার নির্দেশ পাচ্ছিলেন, তখন ওনার দৃষ্টি দূরের দিকে ছিল –উনি দেখছিলেন, দুরে অনেক গরু চরছিল , সেখানে অনেক রাখাল বালক খেলা করছিল | সেই সময় ওনার দৃষ্টি দূর থেকে সরিয়ে নিজের মধ্যে রাখার জন্য নির্দেশ এসেছিল । একটা গুরুগম্ভীর কন্ঠস্বর বলেছিল – “বাইরের কোন দৃশ্য দেখো না – ওতে ‘মারে’ (সাধনার বিঘ্নকারী দেবতা)-র হাত রয়েছে – তুমি শুধু অন্তর্দৃষ্টিতে দ্যাখো, তুমি ধ্যান করো ৷”
এরপর গুরু মহারাজের (বালক রবীন) কানে গিয়েছিল বোধিবৃক্ষের শাখায় শাখায় বসে থাকা পক্ষীকুলের সুমিষ্ট কুজন ৷ সেই নির্জন দুপুরে পাখিদের ওই সুন্দর কলকাকলি শুনতে গুরু মহারাজের খুব ভালো লাগছিল ! ওনার মনটা সেই দিকে যেতেই – আবার চারিদিক থেকে এক সুরে একটাই শব্দ মন্দ্রিত হতে থাকলো – ” বাইরের কোন শব্দ শুনো না, তাতে মোহিত হয়ো না, ওতে ‘মারে’-র হাত রয়েছে, তুমি তোমার অন্তর্জগতের আওয়াজ শোনাে – ধ্যান করো, ধ্যান করো, ধ্যান করো ৷”
এইসময় গুরু মহারাজের নাকে ভেসে এলো কোন অজানা ফুলের সুন্দর সুগন্ধ ! সেই সুগন্ধে গুরুমহারাজের মস্তিষ্ক যেন শীতল হয়ে গেল, একটা ভালোলাগা বোধ যেন ওনাকে ছেয়ে ফেলতে চাইল ! আর ঠিক সেই সময়েই আবার সেখানকার (বুদ্ধগয়ার বোধিবৃক্ষতল) মাটি, সেখানকার বাতাস, আকাশে অনুরণিত হতে থাকলো সেই গুরুগম্ভীর শব্দ “কোনরূপ সুগন্ধে মনকে আকৃষ্ট করো না – ওতে ‘মারে’-র হাত রয়েছে । তুমি তোমার অন্তরের সুগন্ধে মজো ! তুমি ধ্যান করো, ধ্যান করো, ধ্যান করো !”
গুরু মহারাজের (বালক রবীন) মন আর বহির্মুখী হয়নি –এরপর উনি ধীরে ধীরে নিজের মধ্যে অন্তর্লীন হয়ে গিয়েছিলেন ! টানা তিনদিন হাঁটার ফলে ওনার শরীরে যে ক্লান্তি ছিল, ওনার ক্ষুধা-তৃষ্ণা ছিল __সব কোথায় দূরীভূত হয়ে গিয়েছিল ! উনি ডুবে গিয়েছিলেন বোধের জগতের একেবারে গভীর থেকে গভীরতম প্রদেশে ! দুপুর থেকে কখন সন্ধ্যা হয়েছে, কখন রাত্রি গভীর হয়েছে, নিশা শেষে প্রকৃতিতে ভোরের আলো ফুটতে শুরু করেছে – ওনার আর কোন বাহ্যিক হুঁশ ছিল না । শরীরে হুঁশ এসেছিল একটি-দুটি সবে জেগে ওঠা ভোরের পাখির মৃদু শিষের আওয়াজে !
সদ্য অর্হত্ব প্রাপ্ত, বুদ্ধ -গুরু মহারাজ (বালক রবীন) নতুন বোধে উদ্দীপ্ত হয়ে, নতুন উদ্যমে পুনরায় হাঁটা লাগিয়েছিলেন সামনের দিকে । আবারও ঠিক ভর্তি দুপুরবেলায় তিনি এসে পৌঁছেছিলেন গয়ায় ভগবান বিষ্ণুর পাদপদ্ম যেখানে রয়েছে – ঠিক সেই স্থানে । বিষ্ণুর পাদপদ্ম দর্শন করে ফল্গু নদীর তীরে একটা ঝাঁকুমাকু বট বা অশ্বথ গাছের নিচে বসে গুরুমহারাজ পথশ্রমের ক্লান্তি নিবারণের চেষ্টা করতে শুরু করলেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই ওনার শরীর শীতল হয়ে গেল কিন্তু হঠাৎ করে ওনার কানে বাজতে লাগলো গুরুগম্ভীর নির্দিষ্ট ছন্দের শব্দ – “বিচার করো”, “বিচার করো”, “বিচার করো”! এবারও উনি চারি দিকে তাকিয়ে দেখলেন সেখানে কোনো ব্যক্তিই উপস্থিত নাই – ওখানকার মাটি, ওখানকার পরিবেশ থেকেই সেই আওয়াজ আসছে – যা তাঁর মর্মস্থলে গিয়ে ঝংকার তুলছে – ” বিচার করো – বিচার করো – বিচার করো !”
বুদ্ধগয়ার মতো গয়া-তেও সেই একই ঘটনাবলীর পুনরাবৃত্তি ঘটেছিল – গুরুমহারাজ (বালক রবিন) দূরের ফল্গু নদীর দিকে চেয়ে দেখছিলেন, নদীর ধারে ধারে রাখাল বালকেরা গরু চরাচ্ছে, দূরে দূরে অনেক গাছপালা । হঠাৎ চারদিক থেকে গম্ভীর মন্ত্রে ঝংকৃত শব্দ উচ্চারিত হতে থাকলো – ” বৎস ! দেখছো তো -কি সুন্দর দৃশ্য ! এগুলিকে ভালো করে দ্যাখো – জগতে যত কিছু সুন্দর আছে – তা সবই ব্রহ্মের প্রকাশ ! নিজের দৃষ্টিকে আবদ্ধ করে রেখো না – কলুষিত হতে দিও না ! শুধু বিচার করো, বিচার করো, বিচার করো !” কিন্তু সেই মুহূর্তে গুরুমহারাজের কানে এসেছিল পাখির সুমিষ্ট সংগীত – ওনার মন তাতে আকৃষ্ট হচ্ছিল ! আর সঙ্গে সঙ্গেই আবার সেই ঝঙ্কৃত শব্দ – ” শুনছ_ কি সুন্দর গান ! ওগুলি শ্রবণ করো, কারণ জগতে যত সুমিষ্ট শব্দরাজি – সে সবই ব্রহ্মেরই প্রকাশ ! কর্ণ-কে রুদ্ধ কোরো না – সবই শোনো এবং বিচার করো – বিচার করো – বিচার করো ৷”
আগের দিনের মতোই গুরু মহারাজের নাকে ভেসে এসেছিল সুন্দর ফুলের সুবাস ! সেই সুগন্ধ ওনার মস্তিস্কে একটা স্নিগ্ধতা এনে দিচ্ছিল – উনি সেটাকে বেশ enjoy করছিলেন ! ঠিক সেই সময়েই আবার চারিদিক থেকে মন্দ্রিত ধ্বনি উত্থিত হোল– ” ফুলেরা আঘ্রাণ গ্রহণ করো ! জগতে সমস্ত গন্ধ ব্রহ্মেরই প্রকাশ ! তুমি সবকিছুর সুবাস নাও আর বিচার করো – বিচার করো – বিচার করো !” ….. [ক্রমশঃ]
গুরু মহারাজের ওই দিনগুলোর কথা – গুরু মহারাজ নিজেই অনেকটা লিখে রেখেছিলেন – ওনার “অষ্টোত্তর শত গুরু”-র বর্ণনা প্রসঙ্গে ! বুদ্ধগয়া থেকে উনি গয়ায় শ্রী বিষ্ণুর পাদপদ্ম দর্শন করতে গেছিলেন – সেখানেও ওনার ওই একই রকম (কিন্তু ভাবটা আলাদা) অবস্থা হয়েছিল । সেই সব অবস্থা অতিক্রম করে – উনি একটা বড় মঠ বা মিশনে আহার্য গ্রহণ বা আশ্রয়ের জন্য গিয়েছিলেন, কিন্তু ‘তাদের স্থানাভাব রয়েছে’ _(যদিও ওই আশ্রমে প্রচুর ফাঁকা ঘর ছিল) এই বলে আশ্রয় দেয়নি | কিন্তু পরে একজন প্রেমিক সাধু বালক গুরু মহারাজকে নিয়ে গিয়ে আশ্রয় এবং আহার্য দান করেছিলেন । যাইহোক, এখন আমরা মূল ঘটনায় ফিরে যাচ্ছি !
গুরুমহারাজ (বালক রবীন) যখন বুদ্ধগয়ায় বোধিবৃক্ষের তলায় বসে ধ্যান করার নির্দেশ পাচ্ছিলেন, তখন ওনার দৃষ্টি দূরের দিকে ছিল –উনি দেখছিলেন, দুরে অনেক গরু চরছিল , সেখানে অনেক রাখাল বালক খেলা করছিল | সেই সময় ওনার দৃষ্টি দূর থেকে সরিয়ে নিজের মধ্যে রাখার জন্য নির্দেশ এসেছিল । একটা গুরুগম্ভীর কন্ঠস্বর বলেছিল – “বাইরের কোন দৃশ্য দেখো না – ওতে ‘মারে’ (সাধনার বিঘ্নকারী দেবতা)-র হাত রয়েছে – তুমি শুধু অন্তর্দৃষ্টিতে দ্যাখো, তুমি ধ্যান করো ৷”
এরপর গুরু মহারাজের (বালক রবীন) কানে গিয়েছিল বোধিবৃক্ষের শাখায় শাখায় বসে থাকা পক্ষীকুলের সুমিষ্ট কুজন ৷ সেই নির্জন দুপুরে পাখিদের ওই সুন্দর কলকাকলি শুনতে গুরু মহারাজের খুব ভালো লাগছিল ! ওনার মনটা সেই দিকে যেতেই – আবার চারিদিক থেকে এক সুরে একটাই শব্দ মন্দ্রিত হতে থাকলো – ” বাইরের কোন শব্দ শুনো না, তাতে মোহিত হয়ো না, ওতে ‘মারে’-র হাত রয়েছে, তুমি তোমার অন্তর্জগতের আওয়াজ শোনাে – ধ্যান করো, ধ্যান করো, ধ্যান করো ৷”
এইসময় গুরু মহারাজের নাকে ভেসে এলো কোন অজানা ফুলের সুন্দর সুগন্ধ ! সেই সুগন্ধে গুরুমহারাজের মস্তিষ্ক যেন শীতল হয়ে গেল, একটা ভালোলাগা বোধ যেন ওনাকে ছেয়ে ফেলতে চাইল ! আর ঠিক সেই সময়েই আবার সেখানকার (বুদ্ধগয়ার বোধিবৃক্ষতল) মাটি, সেখানকার বাতাস, আকাশে অনুরণিত হতে থাকলো সেই গুরুগম্ভীর শব্দ “কোনরূপ সুগন্ধে মনকে আকৃষ্ট করো না – ওতে ‘মারে’-র হাত রয়েছে । তুমি তোমার অন্তরের সুগন্ধে মজো ! তুমি ধ্যান করো, ধ্যান করো, ধ্যান করো !”
গুরু মহারাজের (বালক রবীন) মন আর বহির্মুখী হয়নি –এরপর উনি ধীরে ধীরে নিজের মধ্যে অন্তর্লীন হয়ে গিয়েছিলেন ! টানা তিনদিন হাঁটার ফলে ওনার শরীরে যে ক্লান্তি ছিল, ওনার ক্ষুধা-তৃষ্ণা ছিল __সব কোথায় দূরীভূত হয়ে গিয়েছিল ! উনি ডুবে গিয়েছিলেন বোধের জগতের একেবারে গভীর থেকে গভীরতম প্রদেশে ! দুপুর থেকে কখন সন্ধ্যা হয়েছে, কখন রাত্রি গভীর হয়েছে, নিশা শেষে প্রকৃতিতে ভোরের আলো ফুটতে শুরু করেছে – ওনার আর কোন বাহ্যিক হুঁশ ছিল না । শরীরে হুঁশ এসেছিল একটি-দুটি সবে জেগে ওঠা ভোরের পাখির মৃদু শিষের আওয়াজে !
সদ্য অর্হত্ব প্রাপ্ত, বুদ্ধ -গুরু মহারাজ (বালক রবীন) নতুন বোধে উদ্দীপ্ত হয়ে, নতুন উদ্যমে পুনরায় হাঁটা লাগিয়েছিলেন সামনের দিকে । আবারও ঠিক ভর্তি দুপুরবেলায় তিনি এসে পৌঁছেছিলেন গয়ায় ভগবান বিষ্ণুর পাদপদ্ম যেখানে রয়েছে – ঠিক সেই স্থানে । বিষ্ণুর পাদপদ্ম দর্শন করে ফল্গু নদীর তীরে একটা ঝাঁকুমাকু বট বা অশ্বথ গাছের নিচে বসে গুরুমহারাজ পথশ্রমের ক্লান্তি নিবারণের চেষ্টা করতে শুরু করলেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই ওনার শরীর শীতল হয়ে গেল কিন্তু হঠাৎ করে ওনার কানে বাজতে লাগলো গুরুগম্ভীর নির্দিষ্ট ছন্দের শব্দ – “বিচার করো”, “বিচার করো”, “বিচার করো”! এবারও উনি চারি দিকে তাকিয়ে দেখলেন সেখানে কোনো ব্যক্তিই উপস্থিত নাই – ওখানকার মাটি, ওখানকার পরিবেশ থেকেই সেই আওয়াজ আসছে – যা তাঁর মর্মস্থলে গিয়ে ঝংকার তুলছে – ” বিচার করো – বিচার করো – বিচার করো !”
বুদ্ধগয়ার মতো গয়া-তেও সেই একই ঘটনাবলীর পুনরাবৃত্তি ঘটেছিল – গুরুমহারাজ (বালক রবিন) দূরের ফল্গু নদীর দিকে চেয়ে দেখছিলেন, নদীর ধারে ধারে রাখাল বালকেরা গরু চরাচ্ছে, দূরে দূরে অনেক গাছপালা । হঠাৎ চারদিক থেকে গম্ভীর মন্ত্রে ঝংকৃত শব্দ উচ্চারিত হতে থাকলো – ” বৎস ! দেখছো তো -কি সুন্দর দৃশ্য ! এগুলিকে ভালো করে দ্যাখো – জগতে যত কিছু সুন্দর আছে – তা সবই ব্রহ্মের প্রকাশ ! নিজের দৃষ্টিকে আবদ্ধ করে রেখো না – কলুষিত হতে দিও না ! শুধু বিচার করো, বিচার করো, বিচার করো !” কিন্তু সেই মুহূর্তে গুরুমহারাজের কানে এসেছিল পাখির সুমিষ্ট সংগীত – ওনার মন তাতে আকৃষ্ট হচ্ছিল ! আর সঙ্গে সঙ্গেই আবার সেই ঝঙ্কৃত শব্দ – ” শুনছ_ কি সুন্দর গান ! ওগুলি শ্রবণ করো, কারণ জগতে যত সুমিষ্ট শব্দরাজি – সে সবই ব্রহ্মেরই প্রকাশ ! কর্ণ-কে রুদ্ধ কোরো না – সবই শোনো এবং বিচার করো – বিচার করো – বিচার করো ৷”
আগের দিনের মতোই গুরু মহারাজের নাকে ভেসে এসেছিল সুন্দর ফুলের সুবাস ! সেই সুগন্ধ ওনার মস্তিস্কে একটা স্নিগ্ধতা এনে দিচ্ছিল – উনি সেটাকে বেশ enjoy করছিলেন ! ঠিক সেই সময়েই আবার চারিদিক থেকে মন্দ্রিত ধ্বনি উত্থিত হোল– ” ফুলেরা আঘ্রাণ গ্রহণ করো ! জগতে সমস্ত গন্ধ ব্রহ্মেরই প্রকাশ ! তুমি সবকিছুর সুবাস নাও আর বিচার করো – বিচার করো – বিচার করো !” ….. [ক্রমশঃ]