গুরু মহারাজ ইউরোপের বিভিন্ন দেশ ভ্রমণকালীন ওখানকার বহু শহরে উনি ভারতীয় যোগ-সেন্টার , ভারতীয় কোন যোগগুরুর আশ্রম ইত্যাদি দেখেছিলেন । এগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্যদের মধ্যে যোগী শ্যামাচরণ লাহিড়ীর পরম্পরার যোগানন্দ পরমহংসের কথা এবং মহেশ যোগীর কথা বলেছিলেন । শিবানন্দ সরস্বতী পরম্পরার কিছু যোগীরও ওখানে সেন্টার রয়েছে ! তবে ইউরোপে সবার চাইতে অর্থকৌলিন্যে এগিয়ে রয়েছে মহেশ যোগী । সুইজারল্যান্ডকে পৃথিবীর মধ্যে ধনীতম দেশ বলা যায় ! ওখানে Land-এর দাম আকাশছোঁয়া – সেই হেন দেশে যত বিশাল বিশাল জায়গাজুড়ে মহেশ যোগীর আশ্রম এবং বিভিন্ন Department-এর ভিন্ন ভিন্ন Building , তাছাড়া সর্বত্রই অত্যাধুনিকতার ছাপ , modern Technology-র প্রয়োগ – ও-সব দেখলে যে কোন সাধারণ মানুষের মাথা ঘুরে যাবে !
ইউরোপের মানুষ বিনা পয়সায় ধর্মশিক্ষাও করতে চায় না _তাই ঐসব আশ্রমে সবরকম শিক্ষার জন্য fees _নির্দিষ্ট করা থাকে। মহেশ যোগীর আশ্রমে fees-এর পরিমানও High ! উদাহরণ হিসাবে বলছি – ধরো , দীক্ষা Depertment-এর সামনে লেখা আছে -> সাধারণ দীক্ষা – ১০০ ডলার , যোগ দীক্ষা – ২০০ ডলার , শক্তি দীক্ষা – ৩০০ ডলার এইরকম সব Depertment-এর সামনে Board-এ fees লেখা রয়েছে!
গুরু মহারাজ ওখানে এক জায়গায় দেখেছিলেন ‘হপিং’ -এর Rate লেখা আছে এবং সেটি একটি আলাদা Depertment ! এই Rate-টা এত বেশি যে সাধারণ রোজগারের মানুষ এখানে ভর্ত্তি-ই হতে পারবে না! গুরু মহারাজ এই Course-এর দু-এক জন শিক্ষানবীশদের সাথে আলাপ করে জেনেছিলেন যে , তারা অনেক দিন ধরেই Practice করছেন এবং মোটা মোটা fees দিয়ে যাচ্ছেন কিন্তু এখনো আকাশে ভাসতে পারেন নি ! তবে ওনাদের আচার্য (যিনি শেখান) যখন Class-এ আসেন তখন তিনি নাকি আকাশমার্গ অবলম্বন করেই আসেন !! এই কথাগুলো বলতে বলতে গুরু মহারাজ খুব হাসছিলেন , ফলে আমাদের মনে হয়েছিল – ব্যাপারটার মধ্যে কিছু চালাকি রয়েছে !
গুরু মহারাজের আগে বাইরের দেশে ভারতবর্ষ থেকে যত আচার্যগণ জ্ঞান , প্রেম এবং মৈত্রীর বাণী নিয়ে বিভিন্ন দেশে গিয়েছিলেন – তাদের সবার মধ্যে উল্লেখযোগ্য নাম নিশ্চয়ই স্বামী বিবেকানন্দ ! কিন্তু স্বামীজী জাহাজে করে ইউরোপের এক দেশ থেকে অন্য দেশে যাওয়ার সময় দেখেছিলেন – সমুদ্রের মধ্যে থেকে দুই-তিনজন প্রবীন সন্ন্যাসীকে ! যাঁরা সূক্ষ্ম শরীরে প্রকট হয়ে স্বামীজীকে দেখা দিয়েছিলেন এবং তাঁদের পরিচয়ও দিয়েছিলেন ! ওঁরা যিশুখ্রিস্টের জন্মের পূর্বে ইউরোপের দেশগুলিতে ভগবান বুদ্ধের বাণী প্রচার করার জন্য গিয়েছিলেন !
গুরু মহারাজ বলেছিলেন শ্রীল প্রভুপাদ অভয়চরণ ভক্তিবেদান্ত স্বামীর কথা ! যিনি ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত ভারতবর্ষে চাকরি করেছিলেন ! Retirement-এর পর পাওয়া এককালীন টাকার একটা অংশ দিয়ে উনি প্রথমে ১০০০ কপি গীতা ইংরেজিতে ছাপিয়ে ফেলেন , ইংরেজির এই অনুবাদটি অভয়চরণ নিজেই দীর্ঘদিন ধরে একটু একটু করে করেছিলেন । বাকি টাকার কিছু অংশ নিয়ে টিকিট কেটে উনি চলে যান আমেরিকায় (U.S.A) ! ওখানে শহরের রাস্তায় রাস্তায় একটা ট্রলিতে ওনার নিজের অনুবাদ করা ইংরাজী গীতা চাপিয়ে নিজেই ঠেলে ঠেলে নিয়ে যেতেন এবং যেখানে কিছু লোকজন থাকতো – সেখানেই ট্রলি থামিয়ে খঞ্জনি বাজিয়ে হরিনাম সংকীর্তন করতে শুরু করে দিতেন! ওখানকার জনগণের মধ্যে কেউ আগ্রহ প্রকাশ করলে উনি তাকে free-তে একটি গীতা দিয়ে দিতেন এবং তাকে ঐ বইটি ভালো করে পড়ার জন্য অনুরোধ করতেন! এইভাবে ওই বৃদ্ধ ব্যক্তি একক প্রচেষ্টায় অতি ক্ষুদ্র পরিসরে তাঁর আরব্ধ কর্মের অগ্রগতি শুরু করেছিলেন! তারপর তো ইতিহাস !!
ধীরে ধীরে একটা একটা মানুষ গীতার অনুবাদ পড়ে মুগ্ধ হয়ে ওনার সাথে যোগাযোগ করতে শুরু করল – একটু একটু করে একটা ছোট দল সৃষ্টি হল – সেখান থেকে আর একটু বড় – আর একটু বড় করতে করতে আজকের ISKCON !
এখন পৃথিবীর প্রায় সবকটি দেশই ISKCON -এর মন্দির গড়ে উঠেছে – অথবা তাদের সংগঠন কাজ করে চলেছে । অভয়চরণ গোস্বামীর ঘটনাটা বলার পর গুরু মহারাজ উপস্থিতজেনদের উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন – ” ঈশ্বর প্রীতার্থে কর্ম – যে কোন বয়স থেকেই শুরু করা যায় – শ্রীল প্রভুপাদ অভয়চরণ তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ ! যদিও তার মানসিক প্রস্তুতি ছিল অনেক আগে থেকেই – কিন্তু কর্ম তো শুরু করেছিল ৬০ বছর বয়সের পর থেকে ৷ এই বয়সে শুরু করেও শুধুমাত্র সংকল্প-শক্তির জোরে এবং ঐকান্তিক প্রার্থনার জোরে _ওর উপর নেমে এসেছিল ঈশ্বরের করুনা ও আশীর্বাদ! তাইতো ও successful হয়েছিল!
যে কোন আধ্যাত্মিক কার্য করার জন্য প্রয়োজন হয় যেমন পুরুষকারের_তেমনি প্রয়োজন হয় দৈব সহায়তার! “ধর্মরাজ্য প্রতিষ্ঠা” _ছিল ভগবান শ্রীকৃষ্ণের অন্যতম একটা উদ্দেশ্য! সেই কাজে অর্জুন তাঁর সহযোগী ছিল, তাই অর্জুন কৃতকার্য হল এবং প্রায় অর্জুনের সমকক্ষ যোদ্ধা হওয়া সত্ত্বেও _শুধুমাত্র দৈব-সহায়তার অভাবে কর্ন জীবনভর শুধু লাঞ্ছিত, অপমানিত হয়েছে, কোথাও কোথাও পরাজিতও হয়েছে, আর শেষে কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে অসহায়ভাবে মৃত্যুবরন!!
কিন্তু শ্রীল প্রভূপাদ অভয়চরনের এই দুটিই ছিল _তাই তার সংকল্প ব্যর্থ হয় নি! আমি (গুরুমহারাজ) ইউরোপের বিভিন্ন শহরে ISKCON-এর বিভিন্ন সংগঠনে আমন্ত্রিত হয়ে গেছি , ওখানে দেখেছি ইউরোপীয় ভক্তদের ভগবান শ্রীকৃষ্ণের প্রতি, গুরুর প্রতি কি সাংঘাতিক ভক্তি ও নিষ্ঠা! আমাকে ওদের অনেকে তাদের বাড়িতে নিমন্ত্রণ করে খাইয়েছে। ঐসব বাড়িতে গিয়ে দেখেছি __পুরুষটি ধুতি-পান্জাবী পড়া, মহিলাটি পড়েছে ভারতীয় বাঙালি গৃহবধূর মতো শাড়ি! বাড়ির সবার (এমনকি ছোট ছোট বালক-বালিকাদেরও) গলায় তুলসী কাঠের মালা __আমাকে ঘরের মেঝেতে আসন পেতে কাঁসার থালা-গেলাস-বাটি দিয়ে খেতে দিল! পাতে সরু চালের ভাত, নুন, লেবু, দু-চার রকম ভাজা, মুগডাল, শুক্তো, চাটনি, পাঁপড়, মিষ্টি! ভাবো তো একবার _সাতসাগরের পারের দেশে গিয়ে ঐরকম পাক্কা বাঙ্গালী খাবার! অভয়চরনের সংকল্প শক্তির জোর দেখেছ!!! ইউরোপীয়দেরকে একেবারে পুরোপুরি বাঙালি করে ছেড়েছে!!”(ক্রমশঃ)
ইউরোপের মানুষ বিনা পয়সায় ধর্মশিক্ষাও করতে চায় না _তাই ঐসব আশ্রমে সবরকম শিক্ষার জন্য fees _নির্দিষ্ট করা থাকে। মহেশ যোগীর আশ্রমে fees-এর পরিমানও High ! উদাহরণ হিসাবে বলছি – ধরো , দীক্ষা Depertment-এর সামনে লেখা আছে -> সাধারণ দীক্ষা – ১০০ ডলার , যোগ দীক্ষা – ২০০ ডলার , শক্তি দীক্ষা – ৩০০ ডলার এইরকম সব Depertment-এর সামনে Board-এ fees লেখা রয়েছে!
গুরু মহারাজ ওখানে এক জায়গায় দেখেছিলেন ‘হপিং’ -এর Rate লেখা আছে এবং সেটি একটি আলাদা Depertment ! এই Rate-টা এত বেশি যে সাধারণ রোজগারের মানুষ এখানে ভর্ত্তি-ই হতে পারবে না! গুরু মহারাজ এই Course-এর দু-এক জন শিক্ষানবীশদের সাথে আলাপ করে জেনেছিলেন যে , তারা অনেক দিন ধরেই Practice করছেন এবং মোটা মোটা fees দিয়ে যাচ্ছেন কিন্তু এখনো আকাশে ভাসতে পারেন নি ! তবে ওনাদের আচার্য (যিনি শেখান) যখন Class-এ আসেন তখন তিনি নাকি আকাশমার্গ অবলম্বন করেই আসেন !! এই কথাগুলো বলতে বলতে গুরু মহারাজ খুব হাসছিলেন , ফলে আমাদের মনে হয়েছিল – ব্যাপারটার মধ্যে কিছু চালাকি রয়েছে !
গুরু মহারাজের আগে বাইরের দেশে ভারতবর্ষ থেকে যত আচার্যগণ জ্ঞান , প্রেম এবং মৈত্রীর বাণী নিয়ে বিভিন্ন দেশে গিয়েছিলেন – তাদের সবার মধ্যে উল্লেখযোগ্য নাম নিশ্চয়ই স্বামী বিবেকানন্দ ! কিন্তু স্বামীজী জাহাজে করে ইউরোপের এক দেশ থেকে অন্য দেশে যাওয়ার সময় দেখেছিলেন – সমুদ্রের মধ্যে থেকে দুই-তিনজন প্রবীন সন্ন্যাসীকে ! যাঁরা সূক্ষ্ম শরীরে প্রকট হয়ে স্বামীজীকে দেখা দিয়েছিলেন এবং তাঁদের পরিচয়ও দিয়েছিলেন ! ওঁরা যিশুখ্রিস্টের জন্মের পূর্বে ইউরোপের দেশগুলিতে ভগবান বুদ্ধের বাণী প্রচার করার জন্য গিয়েছিলেন !
গুরু মহারাজ বলেছিলেন শ্রীল প্রভুপাদ অভয়চরণ ভক্তিবেদান্ত স্বামীর কথা ! যিনি ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত ভারতবর্ষে চাকরি করেছিলেন ! Retirement-এর পর পাওয়া এককালীন টাকার একটা অংশ দিয়ে উনি প্রথমে ১০০০ কপি গীতা ইংরেজিতে ছাপিয়ে ফেলেন , ইংরেজির এই অনুবাদটি অভয়চরণ নিজেই দীর্ঘদিন ধরে একটু একটু করে করেছিলেন । বাকি টাকার কিছু অংশ নিয়ে টিকিট কেটে উনি চলে যান আমেরিকায় (U.S.A) ! ওখানে শহরের রাস্তায় রাস্তায় একটা ট্রলিতে ওনার নিজের অনুবাদ করা ইংরাজী গীতা চাপিয়ে নিজেই ঠেলে ঠেলে নিয়ে যেতেন এবং যেখানে কিছু লোকজন থাকতো – সেখানেই ট্রলি থামিয়ে খঞ্জনি বাজিয়ে হরিনাম সংকীর্তন করতে শুরু করে দিতেন! ওখানকার জনগণের মধ্যে কেউ আগ্রহ প্রকাশ করলে উনি তাকে free-তে একটি গীতা দিয়ে দিতেন এবং তাকে ঐ বইটি ভালো করে পড়ার জন্য অনুরোধ করতেন! এইভাবে ওই বৃদ্ধ ব্যক্তি একক প্রচেষ্টায় অতি ক্ষুদ্র পরিসরে তাঁর আরব্ধ কর্মের অগ্রগতি শুরু করেছিলেন! তারপর তো ইতিহাস !!
ধীরে ধীরে একটা একটা মানুষ গীতার অনুবাদ পড়ে মুগ্ধ হয়ে ওনার সাথে যোগাযোগ করতে শুরু করল – একটু একটু করে একটা ছোট দল সৃষ্টি হল – সেখান থেকে আর একটু বড় – আর একটু বড় করতে করতে আজকের ISKCON !
এখন পৃথিবীর প্রায় সবকটি দেশই ISKCON -এর মন্দির গড়ে উঠেছে – অথবা তাদের সংগঠন কাজ করে চলেছে । অভয়চরণ গোস্বামীর ঘটনাটা বলার পর গুরু মহারাজ উপস্থিতজেনদের উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন – ” ঈশ্বর প্রীতার্থে কর্ম – যে কোন বয়স থেকেই শুরু করা যায় – শ্রীল প্রভুপাদ অভয়চরণ তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ ! যদিও তার মানসিক প্রস্তুতি ছিল অনেক আগে থেকেই – কিন্তু কর্ম তো শুরু করেছিল ৬০ বছর বয়সের পর থেকে ৷ এই বয়সে শুরু করেও শুধুমাত্র সংকল্প-শক্তির জোরে এবং ঐকান্তিক প্রার্থনার জোরে _ওর উপর নেমে এসেছিল ঈশ্বরের করুনা ও আশীর্বাদ! তাইতো ও successful হয়েছিল!
যে কোন আধ্যাত্মিক কার্য করার জন্য প্রয়োজন হয় যেমন পুরুষকারের_তেমনি প্রয়োজন হয় দৈব সহায়তার! “ধর্মরাজ্য প্রতিষ্ঠা” _ছিল ভগবান শ্রীকৃষ্ণের অন্যতম একটা উদ্দেশ্য! সেই কাজে অর্জুন তাঁর সহযোগী ছিল, তাই অর্জুন কৃতকার্য হল এবং প্রায় অর্জুনের সমকক্ষ যোদ্ধা হওয়া সত্ত্বেও _শুধুমাত্র দৈব-সহায়তার অভাবে কর্ন জীবনভর শুধু লাঞ্ছিত, অপমানিত হয়েছে, কোথাও কোথাও পরাজিতও হয়েছে, আর শেষে কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে অসহায়ভাবে মৃত্যুবরন!!
কিন্তু শ্রীল প্রভূপাদ অভয়চরনের এই দুটিই ছিল _তাই তার সংকল্প ব্যর্থ হয় নি! আমি (গুরুমহারাজ) ইউরোপের বিভিন্ন শহরে ISKCON-এর বিভিন্ন সংগঠনে আমন্ত্রিত হয়ে গেছি , ওখানে দেখেছি ইউরোপীয় ভক্তদের ভগবান শ্রীকৃষ্ণের প্রতি, গুরুর প্রতি কি সাংঘাতিক ভক্তি ও নিষ্ঠা! আমাকে ওদের অনেকে তাদের বাড়িতে নিমন্ত্রণ করে খাইয়েছে। ঐসব বাড়িতে গিয়ে দেখেছি __পুরুষটি ধুতি-পান্জাবী পড়া, মহিলাটি পড়েছে ভারতীয় বাঙালি গৃহবধূর মতো শাড়ি! বাড়ির সবার (এমনকি ছোট ছোট বালক-বালিকাদেরও) গলায় তুলসী কাঠের মালা __আমাকে ঘরের মেঝেতে আসন পেতে কাঁসার থালা-গেলাস-বাটি দিয়ে খেতে দিল! পাতে সরু চালের ভাত, নুন, লেবু, দু-চার রকম ভাজা, মুগডাল, শুক্তো, চাটনি, পাঁপড়, মিষ্টি! ভাবো তো একবার _সাতসাগরের পারের দেশে গিয়ে ঐরকম পাক্কা বাঙ্গালী খাবার! অভয়চরনের সংকল্প শক্তির জোর দেখেছ!!! ইউরোপীয়দেরকে একেবারে পুরোপুরি বাঙালি করে ছেড়েছে!!”(ক্রমশঃ)