গুরু মহারাজ স্বামী পরমানন্দের কাছে আমরা বনগ্রাম পরমানন্দ মিশনে বসে তখন নতুন ভারতবর্ষ সম্বন্ধে অনেক কথা শুনেছিলাম ৷ উনি বারবার ভারতবর্ষের একটা সমস্যার কথা খুবই জোর দিয়ে বলতেন – সেটা হল অত্যধিক জনসংখ্যা ! যে কোন দেশের উন্নতির পথে প্রধান বাধা অত্যধিক জনসংখ্যার চাপ ! যে কোন রাষ্ট্রের রাষ্ট্রনায়ক এবং সেই রাষ্ট্রের অধিবাসী – সকলেরই এই একটা ব্যাপারে সবচাইতে বেশী যত্নশীল এবং দায়িত্বশীল হওয়ার কথা ছিল – কিন্তু হায় ! এই ব্যাপারটাতেই মনে হয় সবচাইতে উদাসীন রাষ্ট্রনেতারা এবং অবশ্যই এ দেশের জনগণ । দেশবাসীর যদি দেশ সম্বন্ধে ভালোবাসাই না থাকে, দেশের প্রতি কর্তব্যবোধ না থাকে – তাহলে সেই ব্যক্তিরা তো দেশদ্রোহী _সেই দেশে বসবাসের অযোগ্য!
আজ এই ২০২o সালের শুরুতে যখন সমগ্র বিশ্বের সাথে ভারতবর্ষও এক ভয়ংকর মহামারীর করালগ্রাসে আক্রান্ত – এই জায়গায় দাঁড়িয়ে যে কোনো বিবেকী মানুষ এটা বুঝতে পারছে যে, সাধারন স্বাস্থ্য পরিষেবার পরিকাঠামোর-ই যে দেশে অভাব –সেই দেশে কোন মহামারী অথবা অতিমারীর মোকাবিলা করা কতটা কঠিন ব্যাপার ! বলা চলে এর মোকাবিলা করাটা প্রায় অসম্ভব ব্যাপার ! এই পিলপিল করা সমস্ত লোকজনদের Test করার জন্য যত মেডিকেল উপকরণ (কিট্ ইত্যাদি) লাগবে এবং যত Trained স্বাস্থ্যকর্মী লাগবে – তার কোনটারই প্রতুলতা ভারতবর্ষে নাই । Metro-city গুলোয় প্রচুর সরকারি ও বেসরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছে__ কিন্তু মহামারী বা অতিমারীর সাপেক্ষে এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলির পরিকাঠামো এতটাই দুর্বল যে – মহামারীর মোকাবিলা করা তো দূর অস্ত, আক্রান্তদের ৯০ ভাগ রোগী কোন পরিষেবাই পাবে না ! রোগীরা বিনাচিকিৎসায় মরবে অথবা হাতুড়ে চিকিৎসায় কেউ কেউ বাঁচবে ! তবে অধিকাংশ কম ইমিউনিটি সম্পন্ন লোকেরা (বয়স্ক, রোগগ্রস্থ ইত্যাদিরা) অবশ্যই মারা যাবে !
নেহাত ভারতীয় উপমহাদেশের দেশগুলির (যেকোন তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলির) মানুষের সঙ্গে প্রকৃতির সংযোগ অত্যন্ত বেশি অর্থাৎ রোদ, বাতাস, মাটির সাথে সরাসরি সংস্পর্শ রয়েছে,অভাবের কারণে এবং অনিচ্ছায় (ডাক্তারের কাছে যাবার ব্যাপারে ভারতীয়দের চরম অনীহা! প্রথম বিশ্বের দেশগুলোয় আবার এ ব্যাপারে চরম আগ্রহ!) ছোটবেলা থেকেই বিভিন্ন রোগ ভোগ করায় শরীরে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা তৈরি হয়েছে,যেটা ইউরোপ-আমেরিকার উন্নত দেশগুলির মানুষের অপেক্ষা অনেকগুণে বেশি । হয়তো শুধুমাত্র এইসব কারণেইএখানকার মানুষজনেরা এই অতিমারীর করালগ্রাস থেকে অনেকেই বেঁচে যাবে । কিন্তু তা তো দেশের সরকারি স্বাস্থ্য-ব্যবস্থার জন্য নয় ! ভারতবর্ষের প্রতিটি মানুষকে অতিমারীর জন্য প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়াটা কি সরকারের পক্ষে কখনই সম্ভব ? কখনই না ।
পৃথিবীর উন্নত দেশগুলির স্বাস্থ্যসহ সমস্ত ব্যাপারেই__ এতোটা উন্নতি শুধুমাত্র কম জনসংখ্যার জন্য । তবু ঐসব দেশের স্বাস্থ্য পরিসেবা এত উন্নত হওয়া সত্ত্বেও ওই দেশগুলিতে বর্তমানের মহামারীতে মৃত্যুর সংখ্যা এতো বেশি হোল কেন_এই জিজ্ঞাসাটা এসেই যাচ্ছে! এটা হয়েছে বা হচ্ছে শুধুমাত্র ওদের Foodhabit & Life-Style -এর জন্য ! ২৪ ঘন্টা এয়ারকন্ডিশনে থাকা, সব সময় গায়ে সিন্থেটিক পোশাক, উচ্ছৃংখল জীবনযাপন, Fast-food, জাঙ্ক-ফুড, হোটেল-রেস্তোরাঁর খাবারের প্রতি অত্যধিক আসক্তি ইত্যাদি এবং এছাড়াও এই যে ওরা প্রচন্ড Health-care অর্থাৎ শরীরে রোগব্যাধি কিছু হোতে না হোতেই_বিশেষজ্ঞের পরামর্শমতো ঔষধ-প্রয়োগ এবং অতিসত্বর রোগমুক্তি(অর্থাৎ শরীরে রোগ টা ‘ভোগ’ হোল না, ফলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হোল না) – এইসব ব্যাপারগুলোর জন্যেই ওদের শরীরের Natural immunity power একদমই কমে গেছে ৷
তাছাড়া aged people -এর সংখ্যাও ওইসব দেশে খুবই বেশি যাদের Heart -এর রোগ, Lung -এর রোগ, কিডনি-প্রোষ্টেট বা Sugar -এর সমস্যা – এসব রয়েছেই ! সেইজন্যে-ই ওইসব দেশে উন্নত স্বাস্থ্যপরিষেবা থাকা সত্বেও – আমরা এই ভাবে মৃত্যু-মিছিল হোতে দেখলাম । … [ক্রমশঃ]
আজ এই ২০২o সালের শুরুতে যখন সমগ্র বিশ্বের সাথে ভারতবর্ষও এক ভয়ংকর মহামারীর করালগ্রাসে আক্রান্ত – এই জায়গায় দাঁড়িয়ে যে কোনো বিবেকী মানুষ এটা বুঝতে পারছে যে, সাধারন স্বাস্থ্য পরিষেবার পরিকাঠামোর-ই যে দেশে অভাব –সেই দেশে কোন মহামারী অথবা অতিমারীর মোকাবিলা করা কতটা কঠিন ব্যাপার ! বলা চলে এর মোকাবিলা করাটা প্রায় অসম্ভব ব্যাপার ! এই পিলপিল করা সমস্ত লোকজনদের Test করার জন্য যত মেডিকেল উপকরণ (কিট্ ইত্যাদি) লাগবে এবং যত Trained স্বাস্থ্যকর্মী লাগবে – তার কোনটারই প্রতুলতা ভারতবর্ষে নাই । Metro-city গুলোয় প্রচুর সরকারি ও বেসরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছে__ কিন্তু মহামারী বা অতিমারীর সাপেক্ষে এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলির পরিকাঠামো এতটাই দুর্বল যে – মহামারীর মোকাবিলা করা তো দূর অস্ত, আক্রান্তদের ৯০ ভাগ রোগী কোন পরিষেবাই পাবে না ! রোগীরা বিনাচিকিৎসায় মরবে অথবা হাতুড়ে চিকিৎসায় কেউ কেউ বাঁচবে ! তবে অধিকাংশ কম ইমিউনিটি সম্পন্ন লোকেরা (বয়স্ক, রোগগ্রস্থ ইত্যাদিরা) অবশ্যই মারা যাবে !
নেহাত ভারতীয় উপমহাদেশের দেশগুলির (যেকোন তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলির) মানুষের সঙ্গে প্রকৃতির সংযোগ অত্যন্ত বেশি অর্থাৎ রোদ, বাতাস, মাটির সাথে সরাসরি সংস্পর্শ রয়েছে,অভাবের কারণে এবং অনিচ্ছায় (ডাক্তারের কাছে যাবার ব্যাপারে ভারতীয়দের চরম অনীহা! প্রথম বিশ্বের দেশগুলোয় আবার এ ব্যাপারে চরম আগ্রহ!) ছোটবেলা থেকেই বিভিন্ন রোগ ভোগ করায় শরীরে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা তৈরি হয়েছে,যেটা ইউরোপ-আমেরিকার উন্নত দেশগুলির মানুষের অপেক্ষা অনেকগুণে বেশি । হয়তো শুধুমাত্র এইসব কারণেইএখানকার মানুষজনেরা এই অতিমারীর করালগ্রাস থেকে অনেকেই বেঁচে যাবে । কিন্তু তা তো দেশের সরকারি স্বাস্থ্য-ব্যবস্থার জন্য নয় ! ভারতবর্ষের প্রতিটি মানুষকে অতিমারীর জন্য প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়াটা কি সরকারের পক্ষে কখনই সম্ভব ? কখনই না ।
পৃথিবীর উন্নত দেশগুলির স্বাস্থ্যসহ সমস্ত ব্যাপারেই__ এতোটা উন্নতি শুধুমাত্র কম জনসংখ্যার জন্য । তবু ঐসব দেশের স্বাস্থ্য পরিসেবা এত উন্নত হওয়া সত্ত্বেও ওই দেশগুলিতে বর্তমানের মহামারীতে মৃত্যুর সংখ্যা এতো বেশি হোল কেন_এই জিজ্ঞাসাটা এসেই যাচ্ছে! এটা হয়েছে বা হচ্ছে শুধুমাত্র ওদের Foodhabit & Life-Style -এর জন্য ! ২৪ ঘন্টা এয়ারকন্ডিশনে থাকা, সব সময় গায়ে সিন্থেটিক পোশাক, উচ্ছৃংখল জীবনযাপন, Fast-food, জাঙ্ক-ফুড, হোটেল-রেস্তোরাঁর খাবারের প্রতি অত্যধিক আসক্তি ইত্যাদি এবং এছাড়াও এই যে ওরা প্রচন্ড Health-care অর্থাৎ শরীরে রোগব্যাধি কিছু হোতে না হোতেই_বিশেষজ্ঞের পরামর্শমতো ঔষধ-প্রয়োগ এবং অতিসত্বর রোগমুক্তি(অর্থাৎ শরীরে রোগ টা ‘ভোগ’ হোল না, ফলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হোল না) – এইসব ব্যাপারগুলোর জন্যেই ওদের শরীরের Natural immunity power একদমই কমে গেছে ৷
তাছাড়া aged people -এর সংখ্যাও ওইসব দেশে খুবই বেশি যাদের Heart -এর রোগ, Lung -এর রোগ, কিডনি-প্রোষ্টেট বা Sugar -এর সমস্যা – এসব রয়েছেই ! সেইজন্যে-ই ওইসব দেশে উন্নত স্বাস্থ্যপরিষেবা থাকা সত্বেও – আমরা এই ভাবে মৃত্যু-মিছিল হোতে দেখলাম । … [ক্রমশঃ]