গুরু মহারাজ কে একবার জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল__ আজকাল বৃদ্ধ পিতা-মাতাকে সন্তানেরা অবহেলা করছে, বৃদ্ধাশ্রমের পাঠাচ্ছে_ এর কারণ কি? গুরু মহারাজ উত্তর দিয়েছিলেন_ “এমনটা যারা করে, তারা Bustard-জারজ সন্তান”! এইবার এই প্রসঙ্গে উনি দীর্ঘ আলোচনা করেছিলেন এবং পিতার ঔরসজাত সন্তানও যে বাস্টার্ড হতে পারে, তার সুক্ষ বিজ্ঞান আমাদেরকে বুঝিয়েছিলেন।
কিন্তু উনি আরও যা বলেছিলেন তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো জারজ সন্তানরা তার মাকে সম্মান করে না, মায়ের মাতৃত্বকে অস্বীকার করে এবং নিজে চরম স্বেচ্ছাচারী-উচ্ছৃংখল হয়ে জীবন কাটায়_ যদি না সেই ব্যক্তি কোন নারীর ভালোবাসা পায়( অপজিট সেক্সের ক্ষেত্রে উল্টোটা)! “মা” বলতে গুরুমহারাজ সাত প্রকার মায়ের কথা বলেছিলেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য দুটি হল গর্ভধারিনী মা এবং দেশমাতা। গর্ভধারিনী মা এবং দেশমাতার গৌরবে যে বা যারা গৌরবান্বিত হয়না __ এই মায়েদের তুলনায় আরো অন্য কোন “ভালো মা” আছে বলে যাদের মনে হয়_ তারাও কিন্তু প্রকৃত অর্থে “জারজ সন্তান”।
গুরু মহারাজ বলেছিলেন_ “ইসলামীয় এবং কমিউনিস্টদের কোন স্বদেশ ভাবনা নাই কারণ উভয় মতাবলম্বীরাই বিশ্বভাতৃত্ব অথবা বিশ্ব সাম্যবাদীতার স্বপ্নে বিভোর”।যতই ইতিহাসের দু-একটি নজির কে দেখানো হোক_ ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় এই দুই গোষ্ঠীর ভূমিকা ভালোমতো পর্যালোচনা করলেই গুরুমহারাজের কথার সত্যতা প্রমাণ পাওয়া যাবে। যেটুকু সহযোগিতা এরা করেছিল_ তা শর্তসাপেক্ষে এবং তার প্রত্যক্ষ ফল ভারত-ভাগ!
তাহলে এখন এই 2020 সালের 15 এপ্রিল এ দাঁড়িয়ে যদি পথিবী তথা ভারতবর্ষের কথা ভাবা যায় ___তাহলে কি এর ভবিষ্যৎ?? ধর্মীয় মৌলবাদীদের শিক্ষায় এ…তো বেশি__ এ….তো বেশি বিদ্বেষ একটা বিশেষ শ্রেণীতে ছড়ানো হয়েছে যে, এদেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা অবশ্যম্ভাবী! গুরুমহারাজ নিজেও একথা বলে গিয়েছেন! অদ্ভুতভাবে রাষ্ট্রনেতারা এতদিন ধরে এত বড়ো ব্যাপারটাকে ইচ্ছা করেই এড়িয়ে চলে_এই অবস্থায় এনে দাঁড় করিয়েছেন। বর্তমান মহামারীর পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্বের যা পরিস্থিতি তাতে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধও অবশ্যম্ভাবী!
ফলে আগামী কয়েক বছর শুধু মারামারি, হিংসা, যুদ্ধ আর রক্তপাত!! এর সঙ্গে যোগ দেবে মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়া আরও মারাত্মক- আরো ভয়ানক রোগসমূহ! এদের সঙ্গে আসবে ভয়াবহ লোকক্ষয়ী প্রাকৃতিক বিপর্যয়! যে অবিমৃষ্যকারিতায় পৃথিবীবাসী বিশ্বের জনসংখ্যাকে মনের সুখে বাড়িয়ে নিয়ে গেছে_সেইটা দুই-তৃতীয়াংশ কমে আবার balance-এ আসবে! তার মানেটা বোঝা যাচ্ছে___৫০০-কোটি মানুষ মারা যাবে!!সৎকার করার লোক থাকবে না!!
এই কথাগুলি সবই গুরু মহারাজের বলে যাওয়া কথা!detail-এ বলা যাচ্ছে না, তবুও ঠারে ঠোরে বলা হচ্ছে! বর্তমানের মৃত্যু-মিছিল তো অতি সামান্য__ পরবর্তী ধ্বংসলীলা দেখার লোক থাকবে কজন??? কোনো কম্যুনিষ্টিয় চিন্তা বা ইসলামীয় চিন্তা কি এই ধ্বংসলীলা আটকাতে পারবে?? আপনারা তো বিরাট পণ্ডিত_ আপনারাই সব জানেন কিন্তু আপনাদের এই পন্ডিতি দিয়ে বিচার করেছেন কি__ আপনাদের সন্তানেরা পৃথিবীর আলো বাতাস আর ক’দিন দেখতে পাবে ?? আপনি নিজে আর ক’দিন স্বাভাবিক নিঃশ্বাস নিতে পারবেন__ সেটা ভেবেছেন কি???
গুরু মহারাজ বলেছিলেন_”Death,Disease and Destruction এই তিনটি একসাথে নেমে আসবে !! আসবেও তা_ বলা যায় এসেই গেছে!! এখন মৃত্যুর খুব কাছাকাছি দাঁড়িয়ে আপনাদের কি একবারের জন্যও মনে হচ্ছে____ ভারতীয় ঋষিদের চিন্তাই পৃথিবী গ্রহের মানুষের জন্য সঠিক ছিল!!! যাঁরা হাজার হাজার বছর আগে বিশ্বের সমস্ত মানুষের সুখ শান্তির জন্য প্রার্থনা করতেন _”সর্বে ভবন্তু সুখিনঃ, সর্বে সন্তু নিরাময়া”।।
আসুন না_ যেটুকু সময় এখনো আমাদের বাঁচার জন্য পড়ে রয়েছে, সেই সময়টুকুতে সব মানুষ মিলে সব বিভেদ ভুলে ,একসাথে একযোগে পরস্পরের মঙ্গল কামনা করি, সবাই পরস্পরের আত্মার আত্মীয় হয়ে জীবন কাটাই!! সবাই মিলে সর্ব-শক্তিমান উপরওয়ালার(আল্লা,হরি, ঈশ্বর,গড,রাম,কালী অথবা কার্ল মার্কস) কাছে প্রার্থনা করে বলি_”বিশ্বের সকলেই সুখী হোক, সবাই আনন্দে থাকুক! আমরা সবাই মানুষ_তাই সবাই সবার পরিপূরক! অকারণ বিদ্বেষের বিষ আমরা আর ছড়াবো না! সবাই মিলেমিশে থাকবো।হে প্রভু! তুমি তোমার রোষ সংবরন করো। আমরা বড় হচ্ছি_আমরা বুঝতে শিখেছি যে বিরোধ বা ঘৃনা নয় _প্রেম বা ভালোবাসা ই বেঁচে থাকার একমাত্র পথ।”
কিন্তু উনি আরও যা বলেছিলেন তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো জারজ সন্তানরা তার মাকে সম্মান করে না, মায়ের মাতৃত্বকে অস্বীকার করে এবং নিজে চরম স্বেচ্ছাচারী-উচ্ছৃংখল হয়ে জীবন কাটায়_ যদি না সেই ব্যক্তি কোন নারীর ভালোবাসা পায়( অপজিট সেক্সের ক্ষেত্রে উল্টোটা)! “মা” বলতে গুরুমহারাজ সাত প্রকার মায়ের কথা বলেছিলেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য দুটি হল গর্ভধারিনী মা এবং দেশমাতা। গর্ভধারিনী মা এবং দেশমাতার গৌরবে যে বা যারা গৌরবান্বিত হয়না __ এই মায়েদের তুলনায় আরো অন্য কোন “ভালো মা” আছে বলে যাদের মনে হয়_ তারাও কিন্তু প্রকৃত অর্থে “জারজ সন্তান”।
গুরু মহারাজ বলেছিলেন_ “ইসলামীয় এবং কমিউনিস্টদের কোন স্বদেশ ভাবনা নাই কারণ উভয় মতাবলম্বীরাই বিশ্বভাতৃত্ব অথবা বিশ্ব সাম্যবাদীতার স্বপ্নে বিভোর”।যতই ইতিহাসের দু-একটি নজির কে দেখানো হোক_ ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় এই দুই গোষ্ঠীর ভূমিকা ভালোমতো পর্যালোচনা করলেই গুরুমহারাজের কথার সত্যতা প্রমাণ পাওয়া যাবে। যেটুকু সহযোগিতা এরা করেছিল_ তা শর্তসাপেক্ষে এবং তার প্রত্যক্ষ ফল ভারত-ভাগ!
তাহলে এখন এই 2020 সালের 15 এপ্রিল এ দাঁড়িয়ে যদি পথিবী তথা ভারতবর্ষের কথা ভাবা যায় ___তাহলে কি এর ভবিষ্যৎ?? ধর্মীয় মৌলবাদীদের শিক্ষায় এ…তো বেশি__ এ….তো বেশি বিদ্বেষ একটা বিশেষ শ্রেণীতে ছড়ানো হয়েছে যে, এদেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা অবশ্যম্ভাবী! গুরুমহারাজ নিজেও একথা বলে গিয়েছেন! অদ্ভুতভাবে রাষ্ট্রনেতারা এতদিন ধরে এত বড়ো ব্যাপারটাকে ইচ্ছা করেই এড়িয়ে চলে_এই অবস্থায় এনে দাঁড় করিয়েছেন। বর্তমান মহামারীর পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্বের যা পরিস্থিতি তাতে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধও অবশ্যম্ভাবী!
ফলে আগামী কয়েক বছর শুধু মারামারি, হিংসা, যুদ্ধ আর রক্তপাত!! এর সঙ্গে যোগ দেবে মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়া আরও মারাত্মক- আরো ভয়ানক রোগসমূহ! এদের সঙ্গে আসবে ভয়াবহ লোকক্ষয়ী প্রাকৃতিক বিপর্যয়! যে অবিমৃষ্যকারিতায় পৃথিবীবাসী বিশ্বের জনসংখ্যাকে মনের সুখে বাড়িয়ে নিয়ে গেছে_সেইটা দুই-তৃতীয়াংশ কমে আবার balance-এ আসবে! তার মানেটা বোঝা যাচ্ছে___৫০০-কোটি মানুষ মারা যাবে!!সৎকার করার লোক থাকবে না!!
এই কথাগুলি সবই গুরু মহারাজের বলে যাওয়া কথা!detail-এ বলা যাচ্ছে না, তবুও ঠারে ঠোরে বলা হচ্ছে! বর্তমানের মৃত্যু-মিছিল তো অতি সামান্য__ পরবর্তী ধ্বংসলীলা দেখার লোক থাকবে কজন??? কোনো কম্যুনিষ্টিয় চিন্তা বা ইসলামীয় চিন্তা কি এই ধ্বংসলীলা আটকাতে পারবে?? আপনারা তো বিরাট পণ্ডিত_ আপনারাই সব জানেন কিন্তু আপনাদের এই পন্ডিতি দিয়ে বিচার করেছেন কি__ আপনাদের সন্তানেরা পৃথিবীর আলো বাতাস আর ক’দিন দেখতে পাবে ?? আপনি নিজে আর ক’দিন স্বাভাবিক নিঃশ্বাস নিতে পারবেন__ সেটা ভেবেছেন কি???
গুরু মহারাজ বলেছিলেন_”Death,Disease and Destruction এই তিনটি একসাথে নেমে আসবে !! আসবেও তা_ বলা যায় এসেই গেছে!! এখন মৃত্যুর খুব কাছাকাছি দাঁড়িয়ে আপনাদের কি একবারের জন্যও মনে হচ্ছে____ ভারতীয় ঋষিদের চিন্তাই পৃথিবী গ্রহের মানুষের জন্য সঠিক ছিল!!! যাঁরা হাজার হাজার বছর আগে বিশ্বের সমস্ত মানুষের সুখ শান্তির জন্য প্রার্থনা করতেন _”সর্বে ভবন্তু সুখিনঃ, সর্বে সন্তু নিরাময়া”।।
আসুন না_ যেটুকু সময় এখনো আমাদের বাঁচার জন্য পড়ে রয়েছে, সেই সময়টুকুতে সব মানুষ মিলে সব বিভেদ ভুলে ,একসাথে একযোগে পরস্পরের মঙ্গল কামনা করি, সবাই পরস্পরের আত্মার আত্মীয় হয়ে জীবন কাটাই!! সবাই মিলে সর্ব-শক্তিমান উপরওয়ালার(আল্লা,হরি, ঈশ্বর,গড,রাম,কালী অথবা কার্ল মার্কস) কাছে প্রার্থনা করে বলি_”বিশ্বের সকলেই সুখী হোক, সবাই আনন্দে থাকুক! আমরা সবাই মানুষ_তাই সবাই সবার পরিপূরক! অকারণ বিদ্বেষের বিষ আমরা আর ছড়াবো না! সবাই মিলেমিশে থাকবো।হে প্রভু! তুমি তোমার রোষ সংবরন করো। আমরা বড় হচ্ছি_আমরা বুঝতে শিখেছি যে বিরোধ বা ঘৃনা নয় _প্রেম বা ভালোবাসা ই বেঁচে থাকার একমাত্র পথ।”