[সম্বশিব/সম্বম্]
স্বামী বাউলানন্দ রচিত আধ্যাত্বিক জিজ্ঞাসা বা Spiritual Enquiry মুদ্রিত হওয়ার পর বৈকুণ্ঠ একাদশীর দিন পেরেন্টাপল্লীর মন্দির দেবতার সামনে তা রাখা হোলো । স্বামীজী সম্বশিবকে এই গ্রন্থখানি তেলেগুতে অনুবাদ করার জন্য নির্দেশ দিলেন ।
শ্রী গেড্ডামনুগু বেঙ্কটপ্পিয়া পেরেন্টাপল্লী আশ্রমের প্রত্যেক উৎসবে আসতেন । স্বামীজী তাঁর নাম দিয়েছিলেন “সম্বশিব” ! আমাদের মধ্যে অনেকেই তাকে “সম্বম” বলে ডাকতেন ! ভক্তদের কাছে তিনি ছিলেন খুবই প্রিয় । তিনি নিজাম সরকারের শুল্ক বিভাগের অডিটর ছিলেন । তিনি পেরেন্টাপল্লী অঞ্চলের অফিসে হিসাব পরীক্ষা করার জন্য আসতেন ।সেই সুযোগে তিনি পেরেন্টাপল্লী আশ্রম দর্শন করতেন । এইভাবে স্বামীজীর সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয় । ধীরে ধীরে এই আশ্রমের প্রতি তিনি খুবই আকৃষ্ট হোলেন । চাকরি হোতে অবসর গ্রহণের পর তিনি প্রায়ই আশ্রমে আসতে লাগলেন ! আশ্রমের প্রত্যেক ভক্তের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হোলো । ভক্তরা তাঁকে খুব শ্রদ্ধা করতো !
একদিন সম্বশিব ইংরেজিতে লেখা আধ্যাত্মিক জিজ্ঞাসা বা Spiritual Enquiry বইটি হাতে নিয়ে শেষাসয়িকে বললেন _’তেলেগু ভাষায় অনূদিত হলে, এই বইটি ছাপানোর ভার আপনাকে নিতে হবে ! তেলেগুতে ছাপা হলে সকলে পড়ে এর মানে বুঝতে পারবে ! তাই এই দায়িত্ব আপনাকেই নিতে হবে !”
শেষাসয়ি হেসে বললেন, _”দেখো ভাই ! আমাদের করার কি আছে ! সব ঈশ্বরের ইচ্ছায় হচ্ছে । যদি ঈশ্বরের ইচ্ছা হয় যে এটা আমাদের প্রচেষ্টায় হবে __তাহলে অবশ্যই হবে ! ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ বলার ক্ষমতা আমাদের নাই! কিন্তু এটা বিরাট কাজ !
শম্বশিব বললেন _”এটা খুবই সত্য যে, সবই ঈশ্বরের ইচ্ছায় হোচ্ছে ! কিন্তু ব্যক্তির ইচ্ছারও দরকার, সেই সঙ্গে প্রচেষ্টাও দরকার ! যদিও ব্যক্তি ইচ্ছা এবং প্রচেষ্টা এই দুটিও ঈশ্বরের ইচ্ছাতেঈ হোচ্ছে ! তাঁর ইচ্ছা ব্যতিত মানুষের মনোজগতে এসব চিন্তার উদ্রেকই হয় না ! ঈশ্বরের ইচ্ছা রূপায়িত হয় ব্যক্তির ইচ্ছার মাধ্যমে !
মানুষ প্রত্যহ কত রকম চিন্তা করছে এবং কত রকম কাজ করছে ! এগুলি ঈশ্বরের ইচ্ছায় হোচ্ছে না মানুষের ইচ্ছায় হোচ্ছে __এই বিষয় নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে তর্ক বিতর্ক চলতে লাগলো ! শেষে বিষয়টি স্বামীজীর কান পর্যন্ত পৌঁছালো ! তখন স্বামীজী এগিয়ে এসে এই দুটির ব্যাখ্যা করে দিলেন এবং তাঁর ব্যাখা দুজনেই মেনে নিলেন। সম্বম্ স্বামীজীর একনিষ্ঠ ভক্ত । তিনি স্বামীজীর কাছে নিজেকে উৎসর্গ করেছিলেন এবং স্বামীজীর বাক্যের প্রতি তাঁর ষোলআনা বিশ্বাস ছিল! দীর্ঘদিন ধরে স্বামীজীর সঙ্গলাভ করে স্বামীজীর প্রতি তাঁর এই ধরনের বিশ্বাস জন্মেছিল !(বাকি কথা পরের দিন)
স্বামী বাউলানন্দ রচিত আধ্যাত্বিক জিজ্ঞাসা বা Spiritual Enquiry মুদ্রিত হওয়ার পর বৈকুণ্ঠ একাদশীর দিন পেরেন্টাপল্লীর মন্দির দেবতার সামনে তা রাখা হোলো । স্বামীজী সম্বশিবকে এই গ্রন্থখানি তেলেগুতে অনুবাদ করার জন্য নির্দেশ দিলেন ।
শ্রী গেড্ডামনুগু বেঙ্কটপ্পিয়া পেরেন্টাপল্লী আশ্রমের প্রত্যেক উৎসবে আসতেন । স্বামীজী তাঁর নাম দিয়েছিলেন “সম্বশিব” ! আমাদের মধ্যে অনেকেই তাকে “সম্বম” বলে ডাকতেন ! ভক্তদের কাছে তিনি ছিলেন খুবই প্রিয় । তিনি নিজাম সরকারের শুল্ক বিভাগের অডিটর ছিলেন । তিনি পেরেন্টাপল্লী অঞ্চলের অফিসে হিসাব পরীক্ষা করার জন্য আসতেন ।সেই সুযোগে তিনি পেরেন্টাপল্লী আশ্রম দর্শন করতেন । এইভাবে স্বামীজীর সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয় । ধীরে ধীরে এই আশ্রমের প্রতি তিনি খুবই আকৃষ্ট হোলেন । চাকরি হোতে অবসর গ্রহণের পর তিনি প্রায়ই আশ্রমে আসতে লাগলেন ! আশ্রমের প্রত্যেক ভক্তের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হোলো । ভক্তরা তাঁকে খুব শ্রদ্ধা করতো !
একদিন সম্বশিব ইংরেজিতে লেখা আধ্যাত্মিক জিজ্ঞাসা বা Spiritual Enquiry বইটি হাতে নিয়ে শেষাসয়িকে বললেন _’তেলেগু ভাষায় অনূদিত হলে, এই বইটি ছাপানোর ভার আপনাকে নিতে হবে ! তেলেগুতে ছাপা হলে সকলে পড়ে এর মানে বুঝতে পারবে ! তাই এই দায়িত্ব আপনাকেই নিতে হবে !”
শেষাসয়ি হেসে বললেন, _”দেখো ভাই ! আমাদের করার কি আছে ! সব ঈশ্বরের ইচ্ছায় হচ্ছে । যদি ঈশ্বরের ইচ্ছা হয় যে এটা আমাদের প্রচেষ্টায় হবে __তাহলে অবশ্যই হবে ! ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ বলার ক্ষমতা আমাদের নাই! কিন্তু এটা বিরাট কাজ !
শম্বশিব বললেন _”এটা খুবই সত্য যে, সবই ঈশ্বরের ইচ্ছায় হোচ্ছে ! কিন্তু ব্যক্তির ইচ্ছারও দরকার, সেই সঙ্গে প্রচেষ্টাও দরকার ! যদিও ব্যক্তি ইচ্ছা এবং প্রচেষ্টা এই দুটিও ঈশ্বরের ইচ্ছাতেঈ হোচ্ছে ! তাঁর ইচ্ছা ব্যতিত মানুষের মনোজগতে এসব চিন্তার উদ্রেকই হয় না ! ঈশ্বরের ইচ্ছা রূপায়িত হয় ব্যক্তির ইচ্ছার মাধ্যমে !
মানুষ প্রত্যহ কত রকম চিন্তা করছে এবং কত রকম কাজ করছে ! এগুলি ঈশ্বরের ইচ্ছায় হোচ্ছে না মানুষের ইচ্ছায় হোচ্ছে __এই বিষয় নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে তর্ক বিতর্ক চলতে লাগলো ! শেষে বিষয়টি স্বামীজীর কান পর্যন্ত পৌঁছালো ! তখন স্বামীজী এগিয়ে এসে এই দুটির ব্যাখ্যা করে দিলেন এবং তাঁর ব্যাখা দুজনেই মেনে নিলেন। সম্বম্ স্বামীজীর একনিষ্ঠ ভক্ত । তিনি স্বামীজীর কাছে নিজেকে উৎসর্গ করেছিলেন এবং স্বামীজীর বাক্যের প্রতি তাঁর ষোলআনা বিশ্বাস ছিল! দীর্ঘদিন ধরে স্বামীজীর সঙ্গলাভ করে স্বামীজীর প্রতি তাঁর এই ধরনের বিশ্বাস জন্মেছিল !(বাকি কথা পরের দিন)