[প্রভার্টি রিলিফ সোসাইটির সংকটকাল ও এটির অচলাবস্থা]
Proverty Relief Service (P.R.S) সংগঠনের কাজ কর্ম ভালভাবেই চলছিল।P.R.S প্রতিষ্ঠিত হওয়ার দু’বছর পরে এর কার্যক্ষেত্র গোদাবরী নদীর উভয় পাশে বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে প্রসারিত হোল । সরকারকে বাৎসরিক দেড় লক্ষ টাকা কর দিতে হচ্ছিল । কুপ চালানোর জন্য সমপরিমাণ টাকা দরকার হচ্ছিলো।
শুক্লপক্ষের চন্দ্রকলার ন্যায় P.R.S সংগঠনের কার্যক্ষেত্র বৃদ্ধি পেতে লাগলো এবং এটা ক্রমশ বণিক সম্প্রদায়ের কাছে দুঃস্বপ্ন হয়ে দাঁড়ালো। সংগঠনের কাজ চালানোর জন্য যে অর্থ বিনিয়োগ করা হোত _তার বেশিরভাগই পাওয়া যেত ডুম্মাগুডেমের শ্রীনাইডুর কাছ হোতে । সাধারণতঃ তিনি কোনো সম্পত্তি বা স্বর্ণ বন্ধক রেখে টাকা ধার দিতেন না ! কিন্তু এই দুটির মধ্যে P.R.S এর কোনটাই ছিল না । বণিক সম্প্রদায় ভেবে অবাক হোতো _কেমন করে নাইডু P.R.S কে এত টাকা ধার দেয় ! তারা নাইডুর ওপর চাপ সৃষ্টি করলো _ তিনি যেন P.R.S কে আর টাকা ধার না দেন!
আসলে এই ব্যাপারে নাইডুর তরফ থেকে বিরাট ত্যাগের কিছু ছিল না। P.R.S এর যিনি সেক্রেটারি __তিনি হোলেন নাইডুর জামাতা। তাঁকে বিশ্বাস করেই নাইডু সাহেব টাকা ধার দিতেন! সুতরাং P.R.S এর সমস্ত ব্যাপারটাই ছিল তাঁর হাতে! P.R.S অফিসও ছিল তাঁর বাড়িতে ! অন্যান্য ক্ষেত্রে তিনি যেমন সুদ এবং কমিশন নিতেন _সংগঠনের ক্ষেত্রেও তাই করতেন! মজুদ মাল তাঁর হাতে! সুতরাং তাঁর ঝুঁকি নেওয়ার কোনো ব্যাপার ছিল না !
1945 সালে গোদাবরী নদীতে অনেক বাঁশ বোঝাই করা নৌকা চলতো এবং নৌকা গুলির মাস্তুলে P.R.S এর পতাকা উড়তো! নদীর দিকে তাকালেই দেখা যেতো মাস্তুলে P.R.S এর পতাকা যুক্ত নৌকা ! আসলে বাঁশ বাঁধের কাছাকাছি নদীর জলে ভাসমান অবস্থায় রাখা হোতো । তাড়াতাড়ি বিক্রি না হোলে ঐগুলি ঐভাবেই রাখা হোতো । ওই বছর খুব বেশি নৌকা নদীর জলে রাখা হয়েছিল। বাঁধে বাঁশ তুলে রাখার প্রয়োজনীয়তার কথা কেউ ভাবেনা ! সে বছর অকস্মাৎ প্রবল বন্যা দেখা দিল । লক্ষাধিক টাকা মূল্যের বাঁশ এই বন্যার জলে ভেসে গেল । যদি সেক্রেটারি আগে থেকে কেয়ার নিতেন, তাহলে ক্ষতির পরিমাণ কিছুটা এড়ানো যেত ! ভেসে যাওয়া বাঁশগুলির অনুসন্ধান করতে গিয়ে আরও হাজার হাজার টাকা খরচা হয়ে গেল। কিন্তু যা পাওয়া গেল তার পরিমাণ অতি নগণ্য! কতগুলি নৌকা ভাসানো হয়েছে তা জানা ছিল, কিন্তু কতগুলি রাজমুন্দ্রী পৌঁছেছে এবং কতগুলি ভেসে গিয়েছে তার কোনো হদিশ পাওয়া গেল না।
বাঁধের উপর যা পড়েছিল তাই পাওয়া গেল । সেক্রেটারী ইচ্ছাকৃত কিছু করেননি। কিন্তু সমালােচকরা এক বাক্যে বলতে লাগল সেক্রেটারি এ বিষয়ে বিশেষ মনোযোগ দিতে পারতো।
এই বিরাট ক্ষতির ফলে নাইডুর প্রাপ্য টাকা দেওয়া সম্ভব হল না। পূর্বের ঋন শােধ করাও হল না | সেজন্য নাইডু টাকা ধার দেওয়া বন্ধ করে দিলেন। টাকা বিনিয়ােগ বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে P. R. S -এর অচল অবস্থা দেখা দিল।
হিসাবের বই তাদের হাতে। যে মাল মজুত আছে তাও তাদের হেপাজতে। তারা হিসাবের বই দেবেন না। তারা এই সংগঠনকে আর অগ্রসর হতে দেবেন না । কাজকর্ম বন্ধ হয়ে গেল। P. R. S.-এর তরফ থেকে উপজাতিদের টাকা মিটিয়ে দিতে হোল।।(ক্রমশঃ)
Proverty Relief Service (P.R.S) সংগঠনের কাজ কর্ম ভালভাবেই চলছিল।P.R.S প্রতিষ্ঠিত হওয়ার দু’বছর পরে এর কার্যক্ষেত্র গোদাবরী নদীর উভয় পাশে বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে প্রসারিত হোল । সরকারকে বাৎসরিক দেড় লক্ষ টাকা কর দিতে হচ্ছিল । কুপ চালানোর জন্য সমপরিমাণ টাকা দরকার হচ্ছিলো।
শুক্লপক্ষের চন্দ্রকলার ন্যায় P.R.S সংগঠনের কার্যক্ষেত্র বৃদ্ধি পেতে লাগলো এবং এটা ক্রমশ বণিক সম্প্রদায়ের কাছে দুঃস্বপ্ন হয়ে দাঁড়ালো। সংগঠনের কাজ চালানোর জন্য যে অর্থ বিনিয়োগ করা হোত _তার বেশিরভাগই পাওয়া যেত ডুম্মাগুডেমের শ্রীনাইডুর কাছ হোতে । সাধারণতঃ তিনি কোনো সম্পত্তি বা স্বর্ণ বন্ধক রেখে টাকা ধার দিতেন না ! কিন্তু এই দুটির মধ্যে P.R.S এর কোনটাই ছিল না । বণিক সম্প্রদায় ভেবে অবাক হোতো _কেমন করে নাইডু P.R.S কে এত টাকা ধার দেয় ! তারা নাইডুর ওপর চাপ সৃষ্টি করলো _ তিনি যেন P.R.S কে আর টাকা ধার না দেন!
আসলে এই ব্যাপারে নাইডুর তরফ থেকে বিরাট ত্যাগের কিছু ছিল না। P.R.S এর যিনি সেক্রেটারি __তিনি হোলেন নাইডুর জামাতা। তাঁকে বিশ্বাস করেই নাইডু সাহেব টাকা ধার দিতেন! সুতরাং P.R.S এর সমস্ত ব্যাপারটাই ছিল তাঁর হাতে! P.R.S অফিসও ছিল তাঁর বাড়িতে ! অন্যান্য ক্ষেত্রে তিনি যেমন সুদ এবং কমিশন নিতেন _সংগঠনের ক্ষেত্রেও তাই করতেন! মজুদ মাল তাঁর হাতে! সুতরাং তাঁর ঝুঁকি নেওয়ার কোনো ব্যাপার ছিল না !
1945 সালে গোদাবরী নদীতে অনেক বাঁশ বোঝাই করা নৌকা চলতো এবং নৌকা গুলির মাস্তুলে P.R.S এর পতাকা উড়তো! নদীর দিকে তাকালেই দেখা যেতো মাস্তুলে P.R.S এর পতাকা যুক্ত নৌকা ! আসলে বাঁশ বাঁধের কাছাকাছি নদীর জলে ভাসমান অবস্থায় রাখা হোতো । তাড়াতাড়ি বিক্রি না হোলে ঐগুলি ঐভাবেই রাখা হোতো । ওই বছর খুব বেশি নৌকা নদীর জলে রাখা হয়েছিল। বাঁধে বাঁশ তুলে রাখার প্রয়োজনীয়তার কথা কেউ ভাবেনা ! সে বছর অকস্মাৎ প্রবল বন্যা দেখা দিল । লক্ষাধিক টাকা মূল্যের বাঁশ এই বন্যার জলে ভেসে গেল । যদি সেক্রেটারি আগে থেকে কেয়ার নিতেন, তাহলে ক্ষতির পরিমাণ কিছুটা এড়ানো যেত ! ভেসে যাওয়া বাঁশগুলির অনুসন্ধান করতে গিয়ে আরও হাজার হাজার টাকা খরচা হয়ে গেল। কিন্তু যা পাওয়া গেল তার পরিমাণ অতি নগণ্য! কতগুলি নৌকা ভাসানো হয়েছে তা জানা ছিল, কিন্তু কতগুলি রাজমুন্দ্রী পৌঁছেছে এবং কতগুলি ভেসে গিয়েছে তার কোনো হদিশ পাওয়া গেল না।
বাঁধের উপর যা পড়েছিল তাই পাওয়া গেল । সেক্রেটারী ইচ্ছাকৃত কিছু করেননি। কিন্তু সমালােচকরা এক বাক্যে বলতে লাগল সেক্রেটারি এ বিষয়ে বিশেষ মনোযোগ দিতে পারতো।
এই বিরাট ক্ষতির ফলে নাইডুর প্রাপ্য টাকা দেওয়া সম্ভব হল না। পূর্বের ঋন শােধ করাও হল না | সেজন্য নাইডু টাকা ধার দেওয়া বন্ধ করে দিলেন। টাকা বিনিয়ােগ বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে P. R. S -এর অচল অবস্থা দেখা দিল।
হিসাবের বই তাদের হাতে। যে মাল মজুত আছে তাও তাদের হেপাজতে। তারা হিসাবের বই দেবেন না। তারা এই সংগঠনকে আর অগ্রসর হতে দেবেন না । কাজকর্ম বন্ধ হয়ে গেল। P. R. S.-এর তরফ থেকে উপজাতিদের টাকা মিটিয়ে দিতে হোল।।(ক্রমশঃ)