[প্রোভার্টি রিলিফ সোসাইটির সংকট মোচন ও ঈশ্বরের অদ্ভুত ইচ্ছা।।]
P.R.S ( Proverty Relief Society)-এর কাজে নতুন করে অর্থ বিনিয়োগ করার জন্য স্বামী বাউলানন্দজী সরকারের নিকট হতে টাকা ধার পেলেন । ওই টাকা নিয়ে তিনি পেরেন্টাপল্লী ফিরে এলেন। এর কিছুদিন পর পেরেন্টাপল্লী আশ্রমে শিবরাত্রি উৎসব । 1946 সালের ফেব্রুয়ারি মাস। আমরা সকলে শিবরাত্রি উৎসব দেখতে গিয়েছিলাম । খুব জাঁকজমকের সঙ্গে সেবার উৎসব পালিত হয়েছিল।
উৎসবের পর স্বামিজী আশ্রমে উপস্থিত ভক্তবৃন্দ এবং পি আর এস-এর কর্মীদের ডেকে বললেন _”উপজাতিদের অর্থনৈতিক এবং সামাজিক উন্নতি কল্পে পিআরএস নতুন করে অর্থলগ্নি করার জন্য সরকারের নিকট যে অর্থ ঋণ পাওয়ার চেষ্টা করেছিল, কিছু দুষ্ট এবং স্বার্থপর লোক তার ঘোর বিরোধিতা করেছিল । কিন্তু তৎসত্ত্বেও শ্রীরামকৃষ্ণের কৃপায় আমাদের প্রচেষ্টা সফল হয়েছে । যথা সময়ে কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মচারী আমাদের হয়ে মধ্যস্থতা করেছিলেন বলেই ইহা সম্ভব হোলো ।” তিনি আমাদেরকে উপদেশ দিয়ে কঠোর পরিশ্রম করতে বললেন এবং সেইসঙ্গে বললেন সৎ ভাবে পি আর এস এর কাজ করতে! যাতে ওই সমস্ত কর্মচারীর মান সম্মান বজায় থাকে। অনেক বেশি বাঁশ সংগ্রহ করে _সেগুলি বিক্রয় করে, সরকারি ঋণ শোধ করতে হবে । পি আর এস-এর কর্মীদের এখনই কাজে লাগতে হবে। সংগৃহীত বাঁশ রাজমুন্দ্রি পৌঁছালে, সেখানে সেগুলি গুদামজাত করে সুরক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে । তারপর বিক্রির ব্যবস্থা! বাঁশের সুরক্ষা এবং বিক্রির দায়িত্ব দিলেন নির্মলম্ এবং সাধ্যম্-এর উপর । স্বামীজী বললেন _”কোনরকম বিলম্ব না করে কাটা বাঁশ পাঠাতে থাকো !”
শীঘ্রই রাজমুন্দ্রি এসে স্বামীজী এই কাজ ত্বরান্বিত করার জন্য আমাদেরকে জেলাভিত্তিক দুটো লঞ্চ নিতে বললেন । এতে খুব বেশি খরচ হবে বলে আমাদের মনে হোলো । লঞ্চ চালানো খুবই ব্যয়সাধ্য । লঞ্চ নেওয়ার মতো যথেষ্ট পরিমান কাজ ও পি আর এস-এর নাই। স্বামীজীর পুনর্বিবেচনার জন্য আমাদের মতামত স্বামীজীকে জানালাম। তিনি তা অগ্রাহ্য করে বললেন _”ইহা ঈশ্বরের আদেশ! নির্দ্বিধায় তা অনুসরণ করতে হবে!”
সুতরাং আমরা দুটো লঞ্চ নিয়ে অভিজ্ঞ চালক এবং করণিকের উপর লঞ্চ চালানোর কাজের ভার দিলাম । লঞ্চের চালক এবং করণিক আমাদেরকে ঠিকমতো সহযোগিতা না করায় প্রতি ক্ষেপে ঘাটতি দেখা গেল ।
মার্চ মাসে কাটা বাঁশ লাগল । স্বামীজী নির্দেশ দিলেন যাতে বাঁশ তাড়াতাড়ি রাজামুন্দ্রি এসে পৌঁছায় । কিছু বাঁশ আমরা নদীতেই বিক্রি করে দিলাম । ডিপোতে বাঁশ পাঠাতে লাগলাম । মে মাসে রাজমুন্দ্রিতে নদীর ধার বাঁশে ভর্তি হয়ে গেল । এই সমস্ত বাঁশই পি আর এসের ! দুই দল মেয়ে-মজুর আমাদের এই বাঁশ, নদীর ধার হোতে রাজামুন্দ্রির ডিপোয় নিয়ে যেতে লাগলো । সুন্দর ভাবে কাজ-কর্ম চলতে লাগলো ।
P.R.S ( Proverty Relief Society)-এর কাজে নতুন করে অর্থ বিনিয়োগ করার জন্য স্বামী বাউলানন্দজী সরকারের নিকট হতে টাকা ধার পেলেন । ওই টাকা নিয়ে তিনি পেরেন্টাপল্লী ফিরে এলেন। এর কিছুদিন পর পেরেন্টাপল্লী আশ্রমে শিবরাত্রি উৎসব । 1946 সালের ফেব্রুয়ারি মাস। আমরা সকলে শিবরাত্রি উৎসব দেখতে গিয়েছিলাম । খুব জাঁকজমকের সঙ্গে সেবার উৎসব পালিত হয়েছিল।
উৎসবের পর স্বামিজী আশ্রমে উপস্থিত ভক্তবৃন্দ এবং পি আর এস-এর কর্মীদের ডেকে বললেন _”উপজাতিদের অর্থনৈতিক এবং সামাজিক উন্নতি কল্পে পিআরএস নতুন করে অর্থলগ্নি করার জন্য সরকারের নিকট যে অর্থ ঋণ পাওয়ার চেষ্টা করেছিল, কিছু দুষ্ট এবং স্বার্থপর লোক তার ঘোর বিরোধিতা করেছিল । কিন্তু তৎসত্ত্বেও শ্রীরামকৃষ্ণের কৃপায় আমাদের প্রচেষ্টা সফল হয়েছে । যথা সময়ে কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মচারী আমাদের হয়ে মধ্যস্থতা করেছিলেন বলেই ইহা সম্ভব হোলো ।” তিনি আমাদেরকে উপদেশ দিয়ে কঠোর পরিশ্রম করতে বললেন এবং সেইসঙ্গে বললেন সৎ ভাবে পি আর এস এর কাজ করতে! যাতে ওই সমস্ত কর্মচারীর মান সম্মান বজায় থাকে। অনেক বেশি বাঁশ সংগ্রহ করে _সেগুলি বিক্রয় করে, সরকারি ঋণ শোধ করতে হবে । পি আর এস-এর কর্মীদের এখনই কাজে লাগতে হবে। সংগৃহীত বাঁশ রাজমুন্দ্রি পৌঁছালে, সেখানে সেগুলি গুদামজাত করে সুরক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে । তারপর বিক্রির ব্যবস্থা! বাঁশের সুরক্ষা এবং বিক্রির দায়িত্ব দিলেন নির্মলম্ এবং সাধ্যম্-এর উপর । স্বামীজী বললেন _”কোনরকম বিলম্ব না করে কাটা বাঁশ পাঠাতে থাকো !”
শীঘ্রই রাজমুন্দ্রি এসে স্বামীজী এই কাজ ত্বরান্বিত করার জন্য আমাদেরকে জেলাভিত্তিক দুটো লঞ্চ নিতে বললেন । এতে খুব বেশি খরচ হবে বলে আমাদের মনে হোলো । লঞ্চ চালানো খুবই ব্যয়সাধ্য । লঞ্চ নেওয়ার মতো যথেষ্ট পরিমান কাজ ও পি আর এস-এর নাই। স্বামীজীর পুনর্বিবেচনার জন্য আমাদের মতামত স্বামীজীকে জানালাম। তিনি তা অগ্রাহ্য করে বললেন _”ইহা ঈশ্বরের আদেশ! নির্দ্বিধায় তা অনুসরণ করতে হবে!”
সুতরাং আমরা দুটো লঞ্চ নিয়ে অভিজ্ঞ চালক এবং করণিকের উপর লঞ্চ চালানোর কাজের ভার দিলাম । লঞ্চের চালক এবং করণিক আমাদেরকে ঠিকমতো সহযোগিতা না করায় প্রতি ক্ষেপে ঘাটতি দেখা গেল ।
মার্চ মাসে কাটা বাঁশ লাগল । স্বামীজী নির্দেশ দিলেন যাতে বাঁশ তাড়াতাড়ি রাজামুন্দ্রি এসে পৌঁছায় । কিছু বাঁশ আমরা নদীতেই বিক্রি করে দিলাম । ডিপোতে বাঁশ পাঠাতে লাগলাম । মে মাসে রাজমুন্দ্রিতে নদীর ধার বাঁশে ভর্তি হয়ে গেল । এই সমস্ত বাঁশই পি আর এসের ! দুই দল মেয়ে-মজুর আমাদের এই বাঁশ, নদীর ধার হোতে রাজামুন্দ্রির ডিপোয় নিয়ে যেতে লাগলো । সুন্দর ভাবে কাজ-কর্ম চলতে লাগলো ।