[স্বামী বাউলানন্দের নেতৃত্বে উপজাতিদের লড়াই !]
এসব শুনে হেমেনডরফ হতবাক হয়ে গেলেন। কি আশ্বাস তিনি দেবেন ?
“ঠিক আছে, আপনি কোনো আশ্বাস দিতে পারবেন না। আপনার সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্ব আছে। সেই বন্ধুত্বের খাতিরে আপনি আমাদেরকে এই সমস্ত কাজ থেকে নিরস্ত করতে এসেছেন। কিন্তু আপনি একবারও আমাদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করেন নি।
দয়া করে আপনি ফিরে যান। এই বিপজ্জনক স্থানে আপনার আসা উচিত হয় নি। এখানকার লােকে আপনাকে ভাল করে জানে। তাই রক্ষা। দয়া করে ফিরে যান।”
স্বামীজী রক্ষীবাহিনীর দুজনকে নির্দেশ দিলেন যেন তারা হেমেনডরফকে কোয়েডা মোড় পার করে দেয় ।
প্রতিরক্ষা আন্দোলন ভালভাবেই চলতে লাগলো। গ্রাম এবং বনের রাস্তাগুলি সুরক্ষিত। গ্রামের ভিতর আদান-প্রদান ভালভাবেই চলতে লাগলো ।
আশ্বারােপেটায় পুলিশ ঘাঁটি ছিল। গুণ্ডারা ঐ ঘাঁটি দখল করলো । নিম্নশ্রেণীর লােকের উপর খুব অত্যাচার শুরু করল। প্রতিরক্ষা বাহিনী ঐ ঘাঁটি দখল করার জন্য উদ্যত হল। গুণ্ডারা এ খবর পেয়ে পিছু হটল।
রাজাকারদের অত্যাচার চরমে পৌঁছাল । আশা করা যাচ্ছিল ভারত সরকার এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে পুলিসি ব্যবস্থা নেবেন।
বিশাখাপত্তনম হতে রিজিওন্যাল ইনসপেক্টার জেনারেল অব পুলিশের কয়েকজন প্রতিনিধি স্বামীজীর সঙ্গে দেখা করলেন। তারা অন্ধপ্রদেশের দিক হোতে প্রতিরক্ষার সন্ধন্ধে তাঁর সঙ্গে আলােচনা করলেন। এই সূত্রে স্বামীজী বিশাখাপত্তনম পরিদর্শনে গেলেন।
ওখান হোতে ফিরে আসার ২/১ দিন পরেই পুলিস চৌকি শুরু হয়ে গেল। এবং তিন দিনের মধ্যেই এই রাজ্য ভারত সরকারের অধীনে এল । কাসিম রাজভীর কারাদণ্ড হোলো । শান্তি রক্ষার সবরকম ব্যবস্থা করা হোলো। স্বামীজীর প্রতিরক্ষা বাহিনীর কাজও সমাপ্ত হোলো।(ক্রমশঃ)