[P.R.S-সম্বন্ধে ঈশ্বরের নির্দেশ ও ভক্তদের মন রাখার জন্য স্বামীজীর সেই নির্দেশ পালনে অনীহা ।]
পি আর এস-এর কাজকর্ম ভাল ভাবেই চলছিল । অর্থ বিনিয়োগকারীদের এজেন্ট এই ব্যবসার উভয়দিকই দেখাশোনা করছিলেন । কুপ(coupe)-এর কাজ দেখাশোনা করছিলেন হনুমান (কারিগালা রামারাও, স্বামী বাউলানন্দ তাকে হনুমান বলে ডাকতেন)। এই দুটি ব্যবসা থেকে বেশ পরিমাণ অর্থ পাওয়া যাচ্ছিলো।
একদিন স্বামীজী সাধ্যম্ এবং এজেন্টের সঙ্গে নৌকাযোগে শ্রীরাক যাচ্ছিলেন । যখন নৌকা মাঝ নদীতে পৌঁছেছে_ তখন তিনি ঈশ্বরের এক প্রত্যাদেশ পেলেন _”বাঁশ ব্যবসার প্রয়োজন ফুরিয়েছে ! এই ব্যবসা বন্ধ করো !” এই আদেশ শোনামাত্র স্বামীজী সাধ্যম্ এবং এজেন্টকে নির্দেশ দিলেন যাতে শীঘ্রই এই ব্যবসা বন্ধ করা হয় !
হঠাৎ এই ব্যবসা বন্ধ করার কোনো কারন তাদের জানা ছিল না । এই ব্যবসা হোতে বেশ ভালোই মুনাফা পাওয়া যাচ্ছিলো । “ব্যবসা বন্ধ করা হবে কেন?”_ সাধ্যম্ জিজ্ঞাসা করলেন । “এটি থেকে তো বেশ ভালোই টাকা পাওয়া যাচ্ছে ! রাজমুন্দ্রির ডিপোতে বহু বাঁশ বিক্রির জন্য মজুদ রয়েছে । এই মজুদ বাঁশ বিক্রি করে সমস্ত ঋণ পরিশোধ করা যাবে । লরী এবং অন্যান্য মূল্যবান সম্পত্তি পি আর এস- এর রয়ে যাবে । তাছাড়া সাধারণ মানুষ বুঝতে পারবেনা _কেন এই ব্যবসা বন্ধ করা হচ্ছে !”
তাঁরা স্বামীজীর এই প্রস্তাব মেনে নিতে পারলেন না । তাঁরা সাধ্যমত স্বামীজীর সঙ্গে যুক্তিতর্ক শুরু করলেন। এজেন্ট বলল _”স্বামীজী! পি আর এস-এর তরফ থেকে যদি এই ব্যবসা চালাতে না চান, তাহলে আমার উপর সমস্ত দায়িত্ব ছেড়ে দিন ! এই ব্যবসা বন্ধ করার পিছনে কোনো কারণ আমি খুঁজে পাচ্ছিনা !”
স্বামীজী কোনো উত্তর দিলেন না ! পি আর এস বন্ধ করার জন্য কোনো চাপও দিলেন না !
পরবর্তী নিলামে হনুমান এবং এজেন্ট অন্য একটি ‘কুপ’ পেলেন । স্বামীজী কোনো প্রতিবাদ করলেন না । ঈশ্বরের আদেশ না মেনে তিনি মানুষের আন্তরিক প্রচেষ্টাতেই সায় দিলেন ।
ওয়াডিগুডেমে মন্দিরে দেব-দম্পতি তাঁকে আদেশ দিয়েছিলেন _”যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা হোতে বিচ্যুত হয়ো না !” কিন্তু এখন তিনি সেই আদেশ অগ্রাহ্য করলেন।
যে ব্যবসা ভালোভাবে চলছিল তাতে এবার গোলমাল দেখা দিলো। স্বামীজীর মনোনীত কর্মী ‘হনুমান’ ফাঁদে পা দিলেন! এজেন্টের পরিবারের সঙ্গে তাঁর অবৈধ ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল । তিনি কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়লেন । বাকবিতণ্ডা শুরু হলো । এই সমস্ত কথা স্বামীজীর কানে গেল। তিনি এজেন্টকে রাজমুন্দ্রীর বাড়ি খালি করে অন্যত্র চলে যাবার আদেশ দিলেন । তিনি ওই বাড়ি ছেড়ে চলেও গেলেন। কিন্তু এতেও হনুমানের সঙ্গে ওই পরিবারের ঘনিষ্ঠতার ছেদ পড়লো না ।
অর্থ বিনিয়োগ করার সময় এলে হনুমান একাউন্টস-এর খাতায় সই করে কয়েক হাজার টাকা নিয়ে এজেন্টের বাড়িতে সেই রাত্রি অবস্থান করে পরের দিন সকালে এজেন্সিতে পৌঁছাতেন । যখন তিনি পাহাড় এলাকায় পৌঁছাতেন __তখন তার কাছে যৎসামান্য টাকা থাকতো ! বাকি টাকা এজেন্টের বাড়িতে খরচ হয়ে যেতো। এতে ‘কুপে’র কাজে ব্যাঘাত সৃষ্টি হোতে লাগলো। এদিকে একাউন্টস-এর খাতায় দেখানো হোলো _কয়েক হাজার টাকা কাজের জন্য খরচ করা হয়েছে। (ক্রমশঃ)
পি আর এস-এর কাজকর্ম ভাল ভাবেই চলছিল । অর্থ বিনিয়োগকারীদের এজেন্ট এই ব্যবসার উভয়দিকই দেখাশোনা করছিলেন । কুপ(coupe)-এর কাজ দেখাশোনা করছিলেন হনুমান (কারিগালা রামারাও, স্বামী বাউলানন্দ তাকে হনুমান বলে ডাকতেন)। এই দুটি ব্যবসা থেকে বেশ পরিমাণ অর্থ পাওয়া যাচ্ছিলো।
একদিন স্বামীজী সাধ্যম্ এবং এজেন্টের সঙ্গে নৌকাযোগে শ্রীরাক যাচ্ছিলেন । যখন নৌকা মাঝ নদীতে পৌঁছেছে_ তখন তিনি ঈশ্বরের এক প্রত্যাদেশ পেলেন _”বাঁশ ব্যবসার প্রয়োজন ফুরিয়েছে ! এই ব্যবসা বন্ধ করো !” এই আদেশ শোনামাত্র স্বামীজী সাধ্যম্ এবং এজেন্টকে নির্দেশ দিলেন যাতে শীঘ্রই এই ব্যবসা বন্ধ করা হয় !
হঠাৎ এই ব্যবসা বন্ধ করার কোনো কারন তাদের জানা ছিল না । এই ব্যবসা হোতে বেশ ভালোই মুনাফা পাওয়া যাচ্ছিলো । “ব্যবসা বন্ধ করা হবে কেন?”_ সাধ্যম্ জিজ্ঞাসা করলেন । “এটি থেকে তো বেশ ভালোই টাকা পাওয়া যাচ্ছে ! রাজমুন্দ্রির ডিপোতে বহু বাঁশ বিক্রির জন্য মজুদ রয়েছে । এই মজুদ বাঁশ বিক্রি করে সমস্ত ঋণ পরিশোধ করা যাবে । লরী এবং অন্যান্য মূল্যবান সম্পত্তি পি আর এস- এর রয়ে যাবে । তাছাড়া সাধারণ মানুষ বুঝতে পারবেনা _কেন এই ব্যবসা বন্ধ করা হচ্ছে !”
তাঁরা স্বামীজীর এই প্রস্তাব মেনে নিতে পারলেন না । তাঁরা সাধ্যমত স্বামীজীর সঙ্গে যুক্তিতর্ক শুরু করলেন। এজেন্ট বলল _”স্বামীজী! পি আর এস-এর তরফ থেকে যদি এই ব্যবসা চালাতে না চান, তাহলে আমার উপর সমস্ত দায়িত্ব ছেড়ে দিন ! এই ব্যবসা বন্ধ করার পিছনে কোনো কারণ আমি খুঁজে পাচ্ছিনা !”
স্বামীজী কোনো উত্তর দিলেন না ! পি আর এস বন্ধ করার জন্য কোনো চাপও দিলেন না !
পরবর্তী নিলামে হনুমান এবং এজেন্ট অন্য একটি ‘কুপ’ পেলেন । স্বামীজী কোনো প্রতিবাদ করলেন না । ঈশ্বরের আদেশ না মেনে তিনি মানুষের আন্তরিক প্রচেষ্টাতেই সায় দিলেন ।
ওয়াডিগুডেমে মন্দিরে দেব-দম্পতি তাঁকে আদেশ দিয়েছিলেন _”যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা হোতে বিচ্যুত হয়ো না !” কিন্তু এখন তিনি সেই আদেশ অগ্রাহ্য করলেন।
যে ব্যবসা ভালোভাবে চলছিল তাতে এবার গোলমাল দেখা দিলো। স্বামীজীর মনোনীত কর্মী ‘হনুমান’ ফাঁদে পা দিলেন! এজেন্টের পরিবারের সঙ্গে তাঁর অবৈধ ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল । তিনি কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়লেন । বাকবিতণ্ডা শুরু হলো । এই সমস্ত কথা স্বামীজীর কানে গেল। তিনি এজেন্টকে রাজমুন্দ্রীর বাড়ি খালি করে অন্যত্র চলে যাবার আদেশ দিলেন । তিনি ওই বাড়ি ছেড়ে চলেও গেলেন। কিন্তু এতেও হনুমানের সঙ্গে ওই পরিবারের ঘনিষ্ঠতার ছেদ পড়লো না ।
অর্থ বিনিয়োগ করার সময় এলে হনুমান একাউন্টস-এর খাতায় সই করে কয়েক হাজার টাকা নিয়ে এজেন্টের বাড়িতে সেই রাত্রি অবস্থান করে পরের দিন সকালে এজেন্সিতে পৌঁছাতেন । যখন তিনি পাহাড় এলাকায় পৌঁছাতেন __তখন তার কাছে যৎসামান্য টাকা থাকতো ! বাকি টাকা এজেন্টের বাড়িতে খরচ হয়ে যেতো। এতে ‘কুপে’র কাজে ব্যাঘাত সৃষ্টি হোতে লাগলো। এদিকে একাউন্টস-এর খাতায় দেখানো হোলো _কয়েক হাজার টাকা কাজের জন্য খরচ করা হয়েছে। (ক্রমশঃ)