গুরু মহারাজ (স্বামী পরমানন্দ) একবার বলেছিলেন – জঙ্গলে সিংহের দল থাকে সেখানে দেখা যায় একটা শক্তিশালী সিংহ হয় দলপতি ৷ হস্তিযুথের দলপতিও ঐভাবেই নির্বাচিত হয় _একটি বড়সড় চেহারার হাতিই হয় দলপতি ৷ সে শুধু চেহারাতেই বড় হয় না – চাল-চলন , হাব-ভাব , মন-মেজাজ অন্যদের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা! একেবারে সামনে থেকে সমস্ত দলকে পরিচালনা করে অর্থাৎ ‘Leads from the front’! এইজন্যেই ‘গজরাজ’ কথাটি এসেছে ৷ হাতির দলের দলপতির ব্যাপার-স্যাপার ‘রাজা’-রই মতো!
উনি আরও বলেছিলেন – ঠিক তেমনি গরুর দলে (Wild বাইসন বা Wild Beast) একটা হৃষ্টপুষ্ট ষাঁড় হয় তাদের দলপতি , ছাগলের দলে দলপতি হয় একটা হৃষ্টপুষ্ট পাঁঠা ! সেই একইরকমভাবে মনুষ্যসমাজে স্বাভাবিক কারণেই (Naturally) তিনগুণ সম্পন্ন (সত্ত্ব , রজঃ ও তমঃ) ব্যক্তিরা বসবাস করে। এই ত্রিগুনসম্পন্ন মানুষের জন্য , বিভিন্ন রুচির মানুষের জন্য , ভিন্ন-ভিন্ন সংস্কার , শিক্ষা-দীক্ষা বা পরিবেশের বিভিন্নতাসম্পন্ন মানুষজনের জন্য পৃথক পৃথক নেতা থাকে , আদর্শ থাকে ৷ মনুষ্যসমাজের ধর্মজগৎ , রাজনৈতিক বা সামাজিক জগতেও এই একই রকম নিয়ম কার্য্যকরী ! এইভাবেই ছোট ছোট দল বা Group সৃষ্টি করেই মনুষ্যসমাজ এগিয়ে চলে সামনের দিকে ৷ স্থান-কাল-পাত্রভেদে দল বদল হয় , মতের পার্থক্য হয় , আদর্শ পৃথক হয় – কিন্তু সকলেই এগিয়ে চলতে চায় সামনের পানে ! সামাজিক বা রাজনৈতিক দলগুলি চায় তাদের মত বা – ism দিয়েই সমাজ বা দেশের উন্নতি করতে এবং তাদের বিশ্বাস – এটা করলেই সমাজের সদস্যদের অর্থাৎ মানুষজনেরও মঙ্গল হবে! তাই তাদের মরণপণ প্রচেষ্টা সামাজিক বা রাজনৈতিক Revolution ঘটানোর ! বহুকাল ধরে এই প্রচেষ্টা চলছে , এবং এরফলে সমাজের বা মানুষের স্থূল অবস্থার অনেক পরিবর্তনও এসেছে ! কিন্তু প্রকৃত উন্নতি বিশেষ কিছু হচ্ছে কি?
বিভিন্ন ধর্মগুরু দ্বারা প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন ধর্মমতের দ্বারাও সমাজের মানুষ এগিয়ে চলার চেষ্টা করে ৷ সব ধর্মমতেই শান্তি , সংযম , সত্য , ভালবাসার শিক্ষা দেওয়া হয় – যাতে মানুষের সমাজও অশান্তি মুক্ত হয় , পারস্পারিক ভালবাসায় পূর্ণ হয় ৷ কিন্তু সেখানেও ফাঁকি! কোন মহাপুরুষ যতদিন সশরীরে বর্তমান থাকেন, ততদিন ই সবকিছু ঠিকঠাক চলে_তারপর থেকে ভাটা পড়তে পড়তে তিন Generation পর থেকে _শুধুই নিয়মতান্ত্রিকতা!
এইভাবে অনেকপ্রকারে চেষ্টা করা হয় মানুষের মঙ্গল করার! কিন্তু দেখা যায় সবার সব চেষ্টাই ১০০% Success তো হয়ই না , ২০/২৫% কার্য্যকরী হয় কিনা সন্দেহ ! কারণটা কি ? কারণটা হোল – Naturality-বা সহজতা হারিয়ে ফেলা ! Natural ভাবে ভিন্ন ভিন্ন রুচি-সংস্কার অনুযায়ী মানুষ তাদের নিজ নিজ মনমতো ‘মত’ বা ‘আদর্শ’ গ্রহণ করবে – এবং সেইটা নিয়েই জীবনপথে এগিয়ে চলতে থাকবে , এটাই সহজতা ! কিন্তু আমরা সাধারণ মানুষরা এই ‘সহজতা’ বা ‘Naturality’-টা মেনে নিতে পারছি না ! আমরা নিজেরা যে ‘মত’ বা যে ‘আদর্শ’-টা কে আমার রুচি বা সংস্কার অনুযায়ী মেনে নিয়েছি – আমরা চাইছি বাকী সবাই আমার ‘মত’ বা ‘আদর্শ’-কে গ্রহণ করুক । যদি গ্রহণ করতে না চায় তাহলে তাকে লোভ দেখিয়ে , ভয় দেখিয়ে , না-হলে মেরে-ধরেও ‘আমার মতে’ – ‘আমার আদর্শে’ আনতেই হবে — এই প্রচেষ্টা চালায় শক্তিশালীরা!
এইটাই অসহজতা ! এইটাই মূর্খতা বা আহাম্মকি ! পৃথিবীর প্রতিটি মানুষের স্বভাব-সংস্কার-রুচি-মত-আদর্শ সবই আলাদা-আলাদা! কারো সাথে কারো সবকিছু ঠিক ঠিক মেলে না ! কিছু কিছু যার সাথে মেলে — তার সাথেই বন্ধুত্ব হয়! যে আদর্শকে অনেকে মেনে নেয় – তাদেরকে নিয়ে একটা দল গড়ে ওঠে ! এইভাবেই রাজনৈতিক ভিন্ন ভিন্ন দল , ধর্মীয় ভিন্ন ভিন্ন মত – গোটা বিশ্বের রাজনীতিতে ভিন্ন ভিন্ন দেশের একত্র হওয়া এবং ভিন্ন ভিন্ন জোট গঠন !
একক শক্তিতে বা দলগঠন করে যে যখন শক্তিশালী হচ্ছে, তখনই সে অপরকে Dominate করার চেষ্টা করছে! আর এইটা থেকেই শুরু হয় সংঘর্ষ , হিংসা , হানাহানি , রক্তপাত !
গুরু মহারাজের বলা কথাগুলোই বলছি – শুধুমাত্র নিজের ভাষায় বলা হোল! যাইহোক , উনি একবার বলেছিলেন ‘বহিঃপ্রকৃতি-র সাথে অন্তঃপ্রকৃতি-র Tuning করাই সাধনা !’ মানুষের অন্তঃপ্রকৃতি-কেই ‘প্রকৃতি’ বা ‘স্বভাব’ বলা হয় । কিন্তু নানান সংস্কার, স্বভাবের সঙ্গে যুক্ত হয়ে , এর উপর প্রলেপ ফেলে দিয়ে – স্বভাবকে গোলমেলে করে তোলে! ঐ ‘গোলমাল’-গুলোকে সরাতে পারলেই ‘স্বভাব’ যে কে সেই ! গুরু মহারাজ বললেন মানুষের “স্বভাবে শান্তি , স্বরূপে আনন্দ” ৷
একজন ভক্ত একদিন সিটিং-এ বলেছিল_”গুরুমহারাজ! আমি রাস্তায় দেখলাম লরির পিছনে লেখা আছে ‘সুখ স্বপনে _শাস্তি শ্মশানে’। ওর কথা শুনে সেদিন গুরুমহারাজ খুব হেসেছিলেন, তারপরে বলেছিলেন _”তাই নাকি! লরির পিছনে এইরকম অনেক মজার মজার কথা লেখা থাকে _জানিস্!! তবে একথা কোন মহাত্মা – মহাজনের বলা কথা নয়। কোন সাধারণ কবি ছন্দ মিলিয়ে মিলিয়ে এইসব কথা লেখে। ‘শ্মশানে শান্তি’ বলতে তো ‘মৃত্যুতে শান্তি’ র কথা বলতে চেয়েছে ঐ কবি! কিন্তু এই কথা অজ্ঞানতাপ্রসূত!
মানুষ মৃত্যুর পরের জগৎ সম্বন্ধে ওয়াকিবহাল নয় _তাই ভাবে ‘লোকটা ব্যাধিতে কষ্ট পাচ্ছিল’, ‘অর্থনৈতিক অসুবিধায় পড়েছিল’ __মারা গেল, যাক বাবা লোকটা শান্তি পেল!
কিন্তু তাই কি হয়? লোকটা মারা গেল _মানে তো এঘর থেকে ওঘরে গেল! একটা দশা থেকে অন্য দশায় গেল! স্থুলশরীর ছেড়ে এখন সে সুক্ষশরীরে অবস্থান করছে। সেখানেও জ্বালা-যন্ত্রণা, ভোগ-ভোগান্তি সব ই রয়েছে! এমনকি সাধনা ও হয় এখানে! এই অবস্থাতেও সদগুরু পাশে পাশে থাকেন, সাধন করিয়ে নেন। স্থূলশরীর অপেক্ষা সূক্ষ্মশরীরে সাধন আরও ভালো হয়!
সে যাই হোক, সূক্ষ্মশরীরে বেশিদিন থাকা যায় না _আবার জন্ম নিতে হয়! ফলে আবার ভোগ, আবার ভোগান্তি! ভোগান্তি হচ্ছে কিন্তু ‘ভোগান্ত’ অর্থাৎ ভোগের অন্ত আর হচ্ছে না!
এইটা তখনই হবে _যখন সাধক সাধনার সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছাবে অর্থাৎ নির্বিকল্প সমাধি অবস্থা প্রাপ্ত হবে। এই অবস্থায়___ সমস্ত ভোগের অন্ত, স্ব-ভাবে প্রত্যাবর্তন, পরম শান্তি লাভ!!! তার আগে শান্তি কোথায়? “(ক্রমশঃ)
উনি আরও বলেছিলেন – ঠিক তেমনি গরুর দলে (Wild বাইসন বা Wild Beast) একটা হৃষ্টপুষ্ট ষাঁড় হয় তাদের দলপতি , ছাগলের দলে দলপতি হয় একটা হৃষ্টপুষ্ট পাঁঠা ! সেই একইরকমভাবে মনুষ্যসমাজে স্বাভাবিক কারণেই (Naturally) তিনগুণ সম্পন্ন (সত্ত্ব , রজঃ ও তমঃ) ব্যক্তিরা বসবাস করে। এই ত্রিগুনসম্পন্ন মানুষের জন্য , বিভিন্ন রুচির মানুষের জন্য , ভিন্ন-ভিন্ন সংস্কার , শিক্ষা-দীক্ষা বা পরিবেশের বিভিন্নতাসম্পন্ন মানুষজনের জন্য পৃথক পৃথক নেতা থাকে , আদর্শ থাকে ৷ মনুষ্যসমাজের ধর্মজগৎ , রাজনৈতিক বা সামাজিক জগতেও এই একই রকম নিয়ম কার্য্যকরী ! এইভাবেই ছোট ছোট দল বা Group সৃষ্টি করেই মনুষ্যসমাজ এগিয়ে চলে সামনের দিকে ৷ স্থান-কাল-পাত্রভেদে দল বদল হয় , মতের পার্থক্য হয় , আদর্শ পৃথক হয় – কিন্তু সকলেই এগিয়ে চলতে চায় সামনের পানে ! সামাজিক বা রাজনৈতিক দলগুলি চায় তাদের মত বা – ism দিয়েই সমাজ বা দেশের উন্নতি করতে এবং তাদের বিশ্বাস – এটা করলেই সমাজের সদস্যদের অর্থাৎ মানুষজনেরও মঙ্গল হবে! তাই তাদের মরণপণ প্রচেষ্টা সামাজিক বা রাজনৈতিক Revolution ঘটানোর ! বহুকাল ধরে এই প্রচেষ্টা চলছে , এবং এরফলে সমাজের বা মানুষের স্থূল অবস্থার অনেক পরিবর্তনও এসেছে ! কিন্তু প্রকৃত উন্নতি বিশেষ কিছু হচ্ছে কি?
বিভিন্ন ধর্মগুরু দ্বারা প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন ধর্মমতের দ্বারাও সমাজের মানুষ এগিয়ে চলার চেষ্টা করে ৷ সব ধর্মমতেই শান্তি , সংযম , সত্য , ভালবাসার শিক্ষা দেওয়া হয় – যাতে মানুষের সমাজও অশান্তি মুক্ত হয় , পারস্পারিক ভালবাসায় পূর্ণ হয় ৷ কিন্তু সেখানেও ফাঁকি! কোন মহাপুরুষ যতদিন সশরীরে বর্তমান থাকেন, ততদিন ই সবকিছু ঠিকঠাক চলে_তারপর থেকে ভাটা পড়তে পড়তে তিন Generation পর থেকে _শুধুই নিয়মতান্ত্রিকতা!
এইভাবে অনেকপ্রকারে চেষ্টা করা হয় মানুষের মঙ্গল করার! কিন্তু দেখা যায় সবার সব চেষ্টাই ১০০% Success তো হয়ই না , ২০/২৫% কার্য্যকরী হয় কিনা সন্দেহ ! কারণটা কি ? কারণটা হোল – Naturality-বা সহজতা হারিয়ে ফেলা ! Natural ভাবে ভিন্ন ভিন্ন রুচি-সংস্কার অনুযায়ী মানুষ তাদের নিজ নিজ মনমতো ‘মত’ বা ‘আদর্শ’ গ্রহণ করবে – এবং সেইটা নিয়েই জীবনপথে এগিয়ে চলতে থাকবে , এটাই সহজতা ! কিন্তু আমরা সাধারণ মানুষরা এই ‘সহজতা’ বা ‘Naturality’-টা মেনে নিতে পারছি না ! আমরা নিজেরা যে ‘মত’ বা যে ‘আদর্শ’-টা কে আমার রুচি বা সংস্কার অনুযায়ী মেনে নিয়েছি – আমরা চাইছি বাকী সবাই আমার ‘মত’ বা ‘আদর্শ’-কে গ্রহণ করুক । যদি গ্রহণ করতে না চায় তাহলে তাকে লোভ দেখিয়ে , ভয় দেখিয়ে , না-হলে মেরে-ধরেও ‘আমার মতে’ – ‘আমার আদর্শে’ আনতেই হবে — এই প্রচেষ্টা চালায় শক্তিশালীরা!
এইটাই অসহজতা ! এইটাই মূর্খতা বা আহাম্মকি ! পৃথিবীর প্রতিটি মানুষের স্বভাব-সংস্কার-রুচি-মত-আদর্শ সবই আলাদা-আলাদা! কারো সাথে কারো সবকিছু ঠিক ঠিক মেলে না ! কিছু কিছু যার সাথে মেলে — তার সাথেই বন্ধুত্ব হয়! যে আদর্শকে অনেকে মেনে নেয় – তাদেরকে নিয়ে একটা দল গড়ে ওঠে ! এইভাবেই রাজনৈতিক ভিন্ন ভিন্ন দল , ধর্মীয় ভিন্ন ভিন্ন মত – গোটা বিশ্বের রাজনীতিতে ভিন্ন ভিন্ন দেশের একত্র হওয়া এবং ভিন্ন ভিন্ন জোট গঠন !
একক শক্তিতে বা দলগঠন করে যে যখন শক্তিশালী হচ্ছে, তখনই সে অপরকে Dominate করার চেষ্টা করছে! আর এইটা থেকেই শুরু হয় সংঘর্ষ , হিংসা , হানাহানি , রক্তপাত !
গুরু মহারাজের বলা কথাগুলোই বলছি – শুধুমাত্র নিজের ভাষায় বলা হোল! যাইহোক , উনি একবার বলেছিলেন ‘বহিঃপ্রকৃতি-র সাথে অন্তঃপ্রকৃতি-র Tuning করাই সাধনা !’ মানুষের অন্তঃপ্রকৃতি-কেই ‘প্রকৃতি’ বা ‘স্বভাব’ বলা হয় । কিন্তু নানান সংস্কার, স্বভাবের সঙ্গে যুক্ত হয়ে , এর উপর প্রলেপ ফেলে দিয়ে – স্বভাবকে গোলমেলে করে তোলে! ঐ ‘গোলমাল’-গুলোকে সরাতে পারলেই ‘স্বভাব’ যে কে সেই ! গুরু মহারাজ বললেন মানুষের “স্বভাবে শান্তি , স্বরূপে আনন্দ” ৷
একজন ভক্ত একদিন সিটিং-এ বলেছিল_”গুরুমহারাজ! আমি রাস্তায় দেখলাম লরির পিছনে লেখা আছে ‘সুখ স্বপনে _শাস্তি শ্মশানে’। ওর কথা শুনে সেদিন গুরুমহারাজ খুব হেসেছিলেন, তারপরে বলেছিলেন _”তাই নাকি! লরির পিছনে এইরকম অনেক মজার মজার কথা লেখা থাকে _জানিস্!! তবে একথা কোন মহাত্মা – মহাজনের বলা কথা নয়। কোন সাধারণ কবি ছন্দ মিলিয়ে মিলিয়ে এইসব কথা লেখে। ‘শ্মশানে শান্তি’ বলতে তো ‘মৃত্যুতে শান্তি’ র কথা বলতে চেয়েছে ঐ কবি! কিন্তু এই কথা অজ্ঞানতাপ্রসূত!
মানুষ মৃত্যুর পরের জগৎ সম্বন্ধে ওয়াকিবহাল নয় _তাই ভাবে ‘লোকটা ব্যাধিতে কষ্ট পাচ্ছিল’, ‘অর্থনৈতিক অসুবিধায় পড়েছিল’ __মারা গেল, যাক বাবা লোকটা শান্তি পেল!
কিন্তু তাই কি হয়? লোকটা মারা গেল _মানে তো এঘর থেকে ওঘরে গেল! একটা দশা থেকে অন্য দশায় গেল! স্থুলশরীর ছেড়ে এখন সে সুক্ষশরীরে অবস্থান করছে। সেখানেও জ্বালা-যন্ত্রণা, ভোগ-ভোগান্তি সব ই রয়েছে! এমনকি সাধনা ও হয় এখানে! এই অবস্থাতেও সদগুরু পাশে পাশে থাকেন, সাধন করিয়ে নেন। স্থূলশরীর অপেক্ষা সূক্ষ্মশরীরে সাধন আরও ভালো হয়!
সে যাই হোক, সূক্ষ্মশরীরে বেশিদিন থাকা যায় না _আবার জন্ম নিতে হয়! ফলে আবার ভোগ, আবার ভোগান্তি! ভোগান্তি হচ্ছে কিন্তু ‘ভোগান্ত’ অর্থাৎ ভোগের অন্ত আর হচ্ছে না!
এইটা তখনই হবে _যখন সাধক সাধনার সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছাবে অর্থাৎ নির্বিকল্প সমাধি অবস্থা প্রাপ্ত হবে। এই অবস্থায়___ সমস্ত ভোগের অন্ত, স্ব-ভাবে প্রত্যাবর্তন, পরম শান্তি লাভ!!! তার আগে শান্তি কোথায়? “(ক্রমশঃ)