একবার একটা গুবরে পোকার সাথে একটা ভ্রমরের খুব বন্ধুত্ব হয়েছিল ৷ উভয়েই কালো রঙের, আর প্রায় অনেকটা একইরকম দেখতে! ভ্রমর পদ্মবনে পদ্মমধু খেয়ে আসে আর গুবরে পোকা সবসময় গোবর খেয়ে মরে! প্রতিদিন গুবরে পোকার গোবর খাওয়া দেখে ভ্রমরের মনে খুব কষ্ট হয় ৷ মনে ভাবে – ” হায় ! যদি আমি আমার বন্ধু ঐ গুবরে পোকাকে পদ্মমধু খাওয়াতে পারতাম !”
এরপর থেকে প্রায়ই ভ্রমর গুবরে পোকাকে ওর সাথে পদ্মবনে যাওয়ার জন্য বলে, যাতে করে সেও একটু পদ্মমধু খেতে পারে – কিন্তু গুবরে পোকা রাজী হয় না, নানা বাহানায় এড়িয়ে যায় !
এইভাবে বলতে বলতে একদিন গুবরে পোকা ভ্রমরের সাথে পদ্মবনে যেতে রাজী হয়ে যায় ৷ সেখানে গিয়ে ভ্রমর অন্যান্য ভ্রমরদের সাথে পদ্মফুলের মধু পান করতে শুরু করল আর বন্ধু গুবরে পোকাকেও একটা সদ্য ফোটা ফুল দেখিয়ে তার মধু পান করতে বলল । খানিকক্ষণ এফুলে ওফুলে মধু পান করার পর ভ্রমর ভাবল একটু বন্ধুর খবর নেওয়া যাক্! বন্ধুর দিকে তাকাতেই সে দেখে যে, গুবরে পোকা ব্যাজার মুখে এক জায়গায় বসে আছে!
ভ্রমর তার কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসা করল – ” কি ব্যাপার বন্ধু ! পদ্মমধুর Taste তোমার ভাল লাগছে না ? কেমন আস্বাদ বুঝলে ?” ব্যাজার মুখে গুবরে পোকা বলল – ” কই আর আলাদা আস্বাদ ! এ তো গোবরের মতোই !” ভ্রমর অবাক হোল — “কি? পদ্মমধুর Taste গোবরের মতো !!” সে গুবরে পোকার কাছে এগিয়ে এসে তাকে বলল – ” এই তোর মুখটা হাঁ করতো ! দেখি, তোর মুখে কি আছে ?”
গুবরে পোকা মুখ হাঁ করতেই দেখা গেল গুবরে পোকার মুখের ভেতরে জিভের তলায় একদলা গোবর ভরা! ভ্রমর তাকে জলের কাছে নিয়ে গিয়ে বলল – ” আগে ‘ওয়াক্ থু’ কর ! তারপর মুখে জল নিয়ে কুলকুচি করে মুখটা পরিষ্কার করে নে ৷ এবার পদ্মমধু খা – দ্যাখ তো মধুর Taste পাস কিনা ?” গুবরে পোকা বন্ধুর কথা পালন করল! এরপর মধুর Taste পেয়ে ধন্য হোল ৷
গল্পটা এখানেই শেষ । গুরু মহারাজ বললেন – সাধারণ মানুষের অবস্থা এমনটাই! জাগতিক আনন্দ অপেক্ষা পরমার্থিক আনন্দ যে কতগুন বেশী তা মানুষকে বোঝানোই যাচ্ছে না! কারণ মানুষ জাগতিক বিষয়সমূহের সুখকেই ‘আনন্দ’ ভাবে । তাই পারমার্থিক ‘প্রকৃত আনন্দে’-র স্বাদ আর পাওয়া হয় না । এখানে ভ্রমররূপী সদ্-গুরু তার আশ্রিতদের সাথে বন্ধুর ন্যায় মেশেন – তাকে পারমার্থিক আনন্দ আস্বাদানের স্বাদ পাওয়ানোর জন্য ক্রমাগত চেষ্টা করেন ৷ তারপর যখন দেখেন সোজা কথায় হচ্ছে না তখন ঘাড়ে ধরে বলেন ” কর্ ওয়াক্ থুঃ !” পূর্ব পূর্ব জীবনের সংস্কাররাশিতে অাবদ্ধ মানব কিছুতেই সংস্কারমুক্ত হয়ে উঠতে পারে না – নতুন কে গ্রহণ করতে পারে না । পুরোনো সংস্কারকে কাটিয়ে উঠলে তবেই নুতনের স্বাদ পাওয়া যায়! জাগতিক সুখ , মায়া-মোহ ইত্যাদি কাটলে তবেই পারমার্থিক আনন্দ বা Eternal bliss-এর সন্ধান পাওয়া যায়!
জাগতিক সুখ যা আনন্দরূপে প্রতীয়মান সেগুলি হয় Plesure না হয় Joy অথবা Happiness ! এগুলি জীবনে না লাভ হলে মানুষ plesure এর পরিবর্ত্তে পায় misery , Joy-এর পরিবর্ত্তে পায় Sorrow , happiness-এর পরিবর্ত্তে পায় Unhappiness! অর্থাৎ জাগতিক বিষয়সমূহ থেকে সুখ পাওয়া যায় কিন্তু এই সুখের পাশে পাশেই থাকে দুঃখ! কিন্তু পারমার্থিক আনন্দ বা Eternal bliss লাভ হলে এর কোন বিকল্প বা বিপরীত হয় না ৷ তখন শুধুই আনন্দ আনন্দ আর আনন্দ !! [ক্রমশঃ]
এরপর থেকে প্রায়ই ভ্রমর গুবরে পোকাকে ওর সাথে পদ্মবনে যাওয়ার জন্য বলে, যাতে করে সেও একটু পদ্মমধু খেতে পারে – কিন্তু গুবরে পোকা রাজী হয় না, নানা বাহানায় এড়িয়ে যায় !
এইভাবে বলতে বলতে একদিন গুবরে পোকা ভ্রমরের সাথে পদ্মবনে যেতে রাজী হয়ে যায় ৷ সেখানে গিয়ে ভ্রমর অন্যান্য ভ্রমরদের সাথে পদ্মফুলের মধু পান করতে শুরু করল আর বন্ধু গুবরে পোকাকেও একটা সদ্য ফোটা ফুল দেখিয়ে তার মধু পান করতে বলল । খানিকক্ষণ এফুলে ওফুলে মধু পান করার পর ভ্রমর ভাবল একটু বন্ধুর খবর নেওয়া যাক্! বন্ধুর দিকে তাকাতেই সে দেখে যে, গুবরে পোকা ব্যাজার মুখে এক জায়গায় বসে আছে!
ভ্রমর তার কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসা করল – ” কি ব্যাপার বন্ধু ! পদ্মমধুর Taste তোমার ভাল লাগছে না ? কেমন আস্বাদ বুঝলে ?” ব্যাজার মুখে গুবরে পোকা বলল – ” কই আর আলাদা আস্বাদ ! এ তো গোবরের মতোই !” ভ্রমর অবাক হোল — “কি? পদ্মমধুর Taste গোবরের মতো !!” সে গুবরে পোকার কাছে এগিয়ে এসে তাকে বলল – ” এই তোর মুখটা হাঁ করতো ! দেখি, তোর মুখে কি আছে ?”
গুবরে পোকা মুখ হাঁ করতেই দেখা গেল গুবরে পোকার মুখের ভেতরে জিভের তলায় একদলা গোবর ভরা! ভ্রমর তাকে জলের কাছে নিয়ে গিয়ে বলল – ” আগে ‘ওয়াক্ থু’ কর ! তারপর মুখে জল নিয়ে কুলকুচি করে মুখটা পরিষ্কার করে নে ৷ এবার পদ্মমধু খা – দ্যাখ তো মধুর Taste পাস কিনা ?” গুবরে পোকা বন্ধুর কথা পালন করল! এরপর মধুর Taste পেয়ে ধন্য হোল ৷
গল্পটা এখানেই শেষ । গুরু মহারাজ বললেন – সাধারণ মানুষের অবস্থা এমনটাই! জাগতিক আনন্দ অপেক্ষা পরমার্থিক আনন্দ যে কতগুন বেশী তা মানুষকে বোঝানোই যাচ্ছে না! কারণ মানুষ জাগতিক বিষয়সমূহের সুখকেই ‘আনন্দ’ ভাবে । তাই পারমার্থিক ‘প্রকৃত আনন্দে’-র স্বাদ আর পাওয়া হয় না । এখানে ভ্রমররূপী সদ্-গুরু তার আশ্রিতদের সাথে বন্ধুর ন্যায় মেশেন – তাকে পারমার্থিক আনন্দ আস্বাদানের স্বাদ পাওয়ানোর জন্য ক্রমাগত চেষ্টা করেন ৷ তারপর যখন দেখেন সোজা কথায় হচ্ছে না তখন ঘাড়ে ধরে বলেন ” কর্ ওয়াক্ থুঃ !” পূর্ব পূর্ব জীবনের সংস্কাররাশিতে অাবদ্ধ মানব কিছুতেই সংস্কারমুক্ত হয়ে উঠতে পারে না – নতুন কে গ্রহণ করতে পারে না । পুরোনো সংস্কারকে কাটিয়ে উঠলে তবেই নুতনের স্বাদ পাওয়া যায়! জাগতিক সুখ , মায়া-মোহ ইত্যাদি কাটলে তবেই পারমার্থিক আনন্দ বা Eternal bliss-এর সন্ধান পাওয়া যায়!
জাগতিক সুখ যা আনন্দরূপে প্রতীয়মান সেগুলি হয় Plesure না হয় Joy অথবা Happiness ! এগুলি জীবনে না লাভ হলে মানুষ plesure এর পরিবর্ত্তে পায় misery , Joy-এর পরিবর্ত্তে পায় Sorrow , happiness-এর পরিবর্ত্তে পায় Unhappiness! অর্থাৎ জাগতিক বিষয়সমূহ থেকে সুখ পাওয়া যায় কিন্তু এই সুখের পাশে পাশেই থাকে দুঃখ! কিন্তু পারমার্থিক আনন্দ বা Eternal bliss লাভ হলে এর কোন বিকল্প বা বিপরীত হয় না ৷ তখন শুধুই আনন্দ আনন্দ আর আনন্দ !! [ক্রমশঃ]