গুরু মহারাজ (স্বামী পরমানন্দ) একদিন বনগ্রাম আশ্রমে সিটিংয়ে আলোচনা করছিলেন – জগতে কিছুই হারিয়ে যায় না ; কিছুই ফেলনা নয় – তুচ্ছ নয় , তা. সে যতই ক্ষুদ্র হোক বা বৃহৎ – সবার কার্যকারিতা রয়েছে এবং যে কোন ‘কারণ’_’কার্যে’ রূপ নেয় । তবে সেটা স্থান-কাল-পাত্র ভেদে ! যে কোনো সংকল্পই যে সাথে সাথেই কার্যে রূপ নেবে – তা হয়তো নয় , অনেক সময় “পৌষের কম্বল চৈত্রে ” – হতে পারে । এই প্রসঙ্গটা গুরু মহারাজ বেশ ভালো করে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন । উনি বলেছিলেন – “ধর্ – কোন ব্যক্তির শীতকালে ব্যবহারের জন্য কোনো কম্বল নাই ৷ সে সরকারি দপ্তরে একখানা কম্বলের জন্য দরখাস্ত করেছে ! এবার তার দরখাস্ত যখন বিভিন্ন টেবিলে ঘুরে grant হোল , তখন হয়তো দেখা গেল Store -এ Stock নেই , imergency -র জন্য কিছু পড়ে রয়েছে ! তাই নতুন মাল না এলে আর দেওয়া যাচ্ছে না ! এইভাবে Store -এ নতুন মাল আসা , তার allotment ইত্যাদি করতে গিয়ে কয়েক মাস দেরি হয়ে গেল – ফলে যে কম্বল লোকটির পৌষ মাসে শীতের সময় পাওয়া উচিৎ ছিল – তা তার হাতে এসে পৌঁছালো চৈত্র মাসে !
শীতকালটায় তার কম্বলের প্রয়োজন ছিল – কম্বলের অভাবে সে কত কষ্ট পেয়েছে , কত ছটফট করেছে , কত জনের কাছে ধর্ণা দিয়েছে – তবু সে একটা কম্বল পায়নি ! আর যখন চরম গ্রীষ্মের দাবদাহ , মানুষ সহ সমস্ত জীব জলের জন্য ,একটু ঠাণ্ডার জন্য বা শীতলতার জন্য হাঁসফাঁস করছে – তখন একদিন সরকারি দপ্তর থেকে তার বাড়ি বয়ে এসে দিয়ে গেল কাগজের প্যাকেটে মোড়া একটি কম্বল ! একেই বলা হয় – ‘ পৌষের কম্বল চৈত্রে ‘ ! এই অসময়ে কম্বল পেয়ে ওই ব্যক্তির ভাবতেই পারে যে – “এ কি বিচার ! যে সময়ে আমার প্রয়োজন ছিল – সেই সময়ে পেলাম না,এখন গরমে হাঁসফাঁস করছি – এখন এটা নিয়ে কি করবো” ? সে ওটা ফেলে দিতেও পারে , অযত্ন করতেও পারে !
কিন্তু বুদ্ধিমান ব্যক্তি তা করবে না – সে সেটাকে যত্ন করে রেখে দেবে – কারণ সে জানে ঋতুচক্রের কথা ! ঋতুচক্র – চাকার মতো ঘুরে কয়েক মাসের মধ্যেই চৈত্র মাস কেটে গিয়ে আবার আসবে পৌষ মাস – তখন এই কম্বলটাই এই কাজে লাগবে ।
অধ্যাত্মিক ক্ষেত্রেও এমনটা হয় , কোনো ব্যক্তি এই জীবনে হয়তো খুবই সৎ , খুবই ধর্মপরায়ণ – অথচ দেখা যায় হয়তো তার জীবনে নানা বিপর্যয় , নানান দুঃখ-কষ্ট ! তার চারপাশের মানুষজন ভাবছে – “এই রে ! এই কি বিধির বিধান !” তারা এমনটা ভাবছে কারণ – তারা তো চোখের সামনে অন্য কারুকে দেখছে যে অসৎ , অধর্মপরায়ন হওয়া সত্ত্বেও বেশ ধন , বিদ্যা অথবা আরও সুযোগ-সুবিধা প্রাপ্ত হয়ে বেশ সুখেই রয়েছে !
এক্ষেত্রে গুরু মহারাজের বলা কথা থেকে জানা যায় যে – সৎ ব্যক্তি তার সততার , তার ধর্মপরায়ণতার সুফল পাবে কিন্তু এক্ষুনি হয়তো নয় – কুলাল চক্র (কুমোরের চাকা) আগেই ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে , সেটা না থামা পর্যন্ত তো নতুন করে তাকে উল্টো পাকে ঘোরানো যাবে না । এক্ষেত্রেও তাই হয় – পূর্ব পূর্ব জীবনের কর্মবিপাক অনুযায়ী যে কর্ম ফল সৃষ্টি হয়ে রয়েছে – তা শেষ না হওয়া পর্যন্ত তো এই বর্তমানের কর্মফল কার্যকরী হবে না! সেই জন্য আপাতভাবে কোনো ঘটনা দেখে মনে হয় ” পৌষের কম্বল চৈত্রে ” !
গুরু মহারাজ বলেছিলেন আনন্দ আচারিয়া(আচার্য)-র কথা ৷ যিনি হুগলি জেলার কোন স্থানে জন্মগ্রহণ করেছিলেন ৷ যৌবন বয়সে অন্তরের তীব্র বৈরাগ্য নিয়ে উনি হিমালয়ের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়ান এবং এই সময় অনেক উন্নত মহাত্মার সাথে তাঁর যোগাযোগ হয় ৷
এখানে উনি সাধনায় নানা সিদ্ধি অর্জন করেন _এর ফলে ওনার সুক্ষাতিসুক্ষ মস্তিষ্ককোষ বা brain cell গুলি খুলে যায় এবং ওনার কাছে বহু আধ্যাত্মিক রহস্যের জট উন্মোচিত হয়ে যায়। এরপর উনি ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে বেড়ান _ওনার কাজের উপযুক্ত field খুঁজে পাওয়ার জন্য! কিন্তু তৎকালীন পরাধীন ভারতবর্ষে উনি তেমন পরিবেশ পান নি, তাই উনি ইউরোপে চলে যান! প্রথমে উনি ইংল্যান্ডে গিয়েছিলেন, কিন্তু সেখানে কিছু লোকসংগ্রহ ছাড়া আর বিশেষ কিছু কর্মকান্ড তৈরি হয় নি। ইংল্যান্ড থেকে বেরিয়ে ইউরোপের আরও দু চারটি দেশ ঘুরে উনি এসে পৌঁছান নরওয়ে তে। ওখানকার পরিবেশ ওনাকে আনুকুল্য দিল, ওখানকার লোকজন ওনাকে accept করে নিল। এইজন্যই ভারতীয় শাশ্ত্রে রয়েছে স্থান-কাল-পাত্র! নরওয়ের ‘গ্লোমা’ নদীর তীরে, মাউন্ট থর্নের পাদদেশে আলদাল(শান্তিবু) নামক স্থানে, উনি একটা আশ্রম বানিয়ে বিশ্বশান্তির কাজে নিজেকে আত্মনিয়োগ করেন। এই কাজের জন্য উনি __লেখালেখি করা, বিভিন্ন সেমিনারে বক্তব্য রাখা, প্রবচন বা ধর্মালোচনা করা __ইত্যাদি করতে থাকেন। এই কাজে কিছু বাধা যেমন এসেছিল, তেমনি ওখানকার অনেকেই ওনার কাজের জন্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল।
গুরুমহারাজের কাছে শুনেছিলাম _মহাভারতে উল্লেখ রয়েছে নরওয়ের কথা! তখন এই দেশকে ‘উত্তরকুরু’ বলা হোত।ওখানকার লোককথায় রয়েছে যে _পূর্বদেশ(ভারতবর্ষ) থেকে ‘ওক’ কাঠে(নৌকা) চেপে একদল জ্ঞানী ব্যক্তি এসে ঐ দেশে সভ্যতার আলো পৌঁছে দেয়! সেই অর্থে, বহু সুপ্রাচীন কাল থেকে নরওয়ের সাথে ভারতবর্ষের যোগাযোগ ছিল! আনন্দ আচারিয়া(আচার্য্য) ভারতীয় জ্ঞান এবং যোগ নিয়ে ওদেশে যাওয়ায় এবং বিশ্বশান্তি নিয়ে কাজ করায় আবার নতুন করে এই দুই দেশের মধ্যে একটা সংযোগ সৃষ্টি হয়েছিল। নরওয়ে দেশটিও বরাবর শান্ত এবং শান্তিপ্রিয়! দেখবেন দুটি বিশ্বযুদ্ধের পরে যে বিশ্বশান্তির ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল __সেখানে মুখ্য ভূমিকা গ্রহণ করেছিল নরওয়ে!
যাইহোক, সেদিন গুরুমহারাজ যা বলেছিলেন সেই কথায় আসি _এই যে আনন্দ আচার্যের অন্তর্জগতের সাধনা এবং ভারতবর্ষ থেকে বহু দূরে গিয়ে বিশ্বশান্তি ও বিশ্বমানবতার জন্য নীরবে-নিভৃতে যে কাজ অর্থাৎ এই ধরনের শুদ্ধ সংকল্প সাধনের নিমিত্ত সাধন-ভজন, ধ্যান-জপ, যজ্ঞাদি ক্রিয়া, ঐকান্তিক আন্তরিক প্রার্থনা __এগুলি প্রকৃতির বাতাবরনে একটা strong impression সৃষ্টি করেছিল!
গুরুমহারাজ আরও বলেছিলেন, তিনি পৃথিবীতে শরীর নিয়ে যখন মানুষের জন্য, সমগ্র জগতের জন্য কাজ করার সংকল্প গ্রহণ করলেন _তখন হু হু করে বিভিন্ন প্রাচীন মনীষীদের সুক্ষ সুক্ষ ভাবরাশি ওনার মধ্যে প্রবেশ করেছিল। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল আনন্দ আচারিয়ার ভাবরাশি! এইজন্যই গুরুমহারাজকে নরওয়ে যেতে হয়েছিল এবং আলদালে ‘শান্তিবু আশ্রম’ প্রতিষ্ঠা করে আবার নতুন করে PEACE UNIVERSITY – র কাজ শুরু করতে হয়েছিল!! (ক্রমশঃ)
শীতকালটায় তার কম্বলের প্রয়োজন ছিল – কম্বলের অভাবে সে কত কষ্ট পেয়েছে , কত ছটফট করেছে , কত জনের কাছে ধর্ণা দিয়েছে – তবু সে একটা কম্বল পায়নি ! আর যখন চরম গ্রীষ্মের দাবদাহ , মানুষ সহ সমস্ত জীব জলের জন্য ,একটু ঠাণ্ডার জন্য বা শীতলতার জন্য হাঁসফাঁস করছে – তখন একদিন সরকারি দপ্তর থেকে তার বাড়ি বয়ে এসে দিয়ে গেল কাগজের প্যাকেটে মোড়া একটি কম্বল ! একেই বলা হয় – ‘ পৌষের কম্বল চৈত্রে ‘ ! এই অসময়ে কম্বল পেয়ে ওই ব্যক্তির ভাবতেই পারে যে – “এ কি বিচার ! যে সময়ে আমার প্রয়োজন ছিল – সেই সময়ে পেলাম না,এখন গরমে হাঁসফাঁস করছি – এখন এটা নিয়ে কি করবো” ? সে ওটা ফেলে দিতেও পারে , অযত্ন করতেও পারে !
কিন্তু বুদ্ধিমান ব্যক্তি তা করবে না – সে সেটাকে যত্ন করে রেখে দেবে – কারণ সে জানে ঋতুচক্রের কথা ! ঋতুচক্র – চাকার মতো ঘুরে কয়েক মাসের মধ্যেই চৈত্র মাস কেটে গিয়ে আবার আসবে পৌষ মাস – তখন এই কম্বলটাই এই কাজে লাগবে ।
অধ্যাত্মিক ক্ষেত্রেও এমনটা হয় , কোনো ব্যক্তি এই জীবনে হয়তো খুবই সৎ , খুবই ধর্মপরায়ণ – অথচ দেখা যায় হয়তো তার জীবনে নানা বিপর্যয় , নানান দুঃখ-কষ্ট ! তার চারপাশের মানুষজন ভাবছে – “এই রে ! এই কি বিধির বিধান !” তারা এমনটা ভাবছে কারণ – তারা তো চোখের সামনে অন্য কারুকে দেখছে যে অসৎ , অধর্মপরায়ন হওয়া সত্ত্বেও বেশ ধন , বিদ্যা অথবা আরও সুযোগ-সুবিধা প্রাপ্ত হয়ে বেশ সুখেই রয়েছে !
এক্ষেত্রে গুরু মহারাজের বলা কথা থেকে জানা যায় যে – সৎ ব্যক্তি তার সততার , তার ধর্মপরায়ণতার সুফল পাবে কিন্তু এক্ষুনি হয়তো নয় – কুলাল চক্র (কুমোরের চাকা) আগেই ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে , সেটা না থামা পর্যন্ত তো নতুন করে তাকে উল্টো পাকে ঘোরানো যাবে না । এক্ষেত্রেও তাই হয় – পূর্ব পূর্ব জীবনের কর্মবিপাক অনুযায়ী যে কর্ম ফল সৃষ্টি হয়ে রয়েছে – তা শেষ না হওয়া পর্যন্ত তো এই বর্তমানের কর্মফল কার্যকরী হবে না! সেই জন্য আপাতভাবে কোনো ঘটনা দেখে মনে হয় ” পৌষের কম্বল চৈত্রে ” !
গুরু মহারাজ বলেছিলেন আনন্দ আচারিয়া(আচার্য)-র কথা ৷ যিনি হুগলি জেলার কোন স্থানে জন্মগ্রহণ করেছিলেন ৷ যৌবন বয়সে অন্তরের তীব্র বৈরাগ্য নিয়ে উনি হিমালয়ের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়ান এবং এই সময় অনেক উন্নত মহাত্মার সাথে তাঁর যোগাযোগ হয় ৷
এখানে উনি সাধনায় নানা সিদ্ধি অর্জন করেন _এর ফলে ওনার সুক্ষাতিসুক্ষ মস্তিষ্ককোষ বা brain cell গুলি খুলে যায় এবং ওনার কাছে বহু আধ্যাত্মিক রহস্যের জট উন্মোচিত হয়ে যায়। এরপর উনি ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে বেড়ান _ওনার কাজের উপযুক্ত field খুঁজে পাওয়ার জন্য! কিন্তু তৎকালীন পরাধীন ভারতবর্ষে উনি তেমন পরিবেশ পান নি, তাই উনি ইউরোপে চলে যান! প্রথমে উনি ইংল্যান্ডে গিয়েছিলেন, কিন্তু সেখানে কিছু লোকসংগ্রহ ছাড়া আর বিশেষ কিছু কর্মকান্ড তৈরি হয় নি। ইংল্যান্ড থেকে বেরিয়ে ইউরোপের আরও দু চারটি দেশ ঘুরে উনি এসে পৌঁছান নরওয়ে তে। ওখানকার পরিবেশ ওনাকে আনুকুল্য দিল, ওখানকার লোকজন ওনাকে accept করে নিল। এইজন্যই ভারতীয় শাশ্ত্রে রয়েছে স্থান-কাল-পাত্র! নরওয়ের ‘গ্লোমা’ নদীর তীরে, মাউন্ট থর্নের পাদদেশে আলদাল(শান্তিবু) নামক স্থানে, উনি একটা আশ্রম বানিয়ে বিশ্বশান্তির কাজে নিজেকে আত্মনিয়োগ করেন। এই কাজের জন্য উনি __লেখালেখি করা, বিভিন্ন সেমিনারে বক্তব্য রাখা, প্রবচন বা ধর্মালোচনা করা __ইত্যাদি করতে থাকেন। এই কাজে কিছু বাধা যেমন এসেছিল, তেমনি ওখানকার অনেকেই ওনার কাজের জন্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল।
গুরুমহারাজের কাছে শুনেছিলাম _মহাভারতে উল্লেখ রয়েছে নরওয়ের কথা! তখন এই দেশকে ‘উত্তরকুরু’ বলা হোত।ওখানকার লোককথায় রয়েছে যে _পূর্বদেশ(ভারতবর্ষ) থেকে ‘ওক’ কাঠে(নৌকা) চেপে একদল জ্ঞানী ব্যক্তি এসে ঐ দেশে সভ্যতার আলো পৌঁছে দেয়! সেই অর্থে, বহু সুপ্রাচীন কাল থেকে নরওয়ের সাথে ভারতবর্ষের যোগাযোগ ছিল! আনন্দ আচারিয়া(আচার্য্য) ভারতীয় জ্ঞান এবং যোগ নিয়ে ওদেশে যাওয়ায় এবং বিশ্বশান্তি নিয়ে কাজ করায় আবার নতুন করে এই দুই দেশের মধ্যে একটা সংযোগ সৃষ্টি হয়েছিল। নরওয়ে দেশটিও বরাবর শান্ত এবং শান্তিপ্রিয়! দেখবেন দুটি বিশ্বযুদ্ধের পরে যে বিশ্বশান্তির ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল __সেখানে মুখ্য ভূমিকা গ্রহণ করেছিল নরওয়ে!
যাইহোক, সেদিন গুরুমহারাজ যা বলেছিলেন সেই কথায় আসি _এই যে আনন্দ আচার্যের অন্তর্জগতের সাধনা এবং ভারতবর্ষ থেকে বহু দূরে গিয়ে বিশ্বশান্তি ও বিশ্বমানবতার জন্য নীরবে-নিভৃতে যে কাজ অর্থাৎ এই ধরনের শুদ্ধ সংকল্প সাধনের নিমিত্ত সাধন-ভজন, ধ্যান-জপ, যজ্ঞাদি ক্রিয়া, ঐকান্তিক আন্তরিক প্রার্থনা __এগুলি প্রকৃতির বাতাবরনে একটা strong impression সৃষ্টি করেছিল!
গুরুমহারাজ আরও বলেছিলেন, তিনি পৃথিবীতে শরীর নিয়ে যখন মানুষের জন্য, সমগ্র জগতের জন্য কাজ করার সংকল্প গ্রহণ করলেন _তখন হু হু করে বিভিন্ন প্রাচীন মনীষীদের সুক্ষ সুক্ষ ভাবরাশি ওনার মধ্যে প্রবেশ করেছিল। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল আনন্দ আচারিয়ার ভাবরাশি! এইজন্যই গুরুমহারাজকে নরওয়ে যেতে হয়েছিল এবং আলদালে ‘শান্তিবু আশ্রম’ প্রতিষ্ঠা করে আবার নতুন করে PEACE UNIVERSITY – র কাজ শুরু করতে হয়েছিল!! (ক্রমশঃ)