[‘বীরভূমে ন’কাকা’ এই প্রসঙ্গেই আমাদের আলোচনা এগিয়ে চলেছে _তবে আজ উপক্রমনিকায় একটু দু-চার কথা বলা হয়েছে… ]
শাস্ত্রে বলা হয়েছে , ” মনুষ্যত্বম্ , মুমুক্ষুত্বম্ , মহাপুরুষ সংসর্গম্ ” – এই তিনটি শর্ত বা ধাপ পূর্ণ হলে তবে মানুষ পূর্ণত্বের সন্ধান পায় | আর এই তিনটির প্রাপ্তি না ঘটা পর্যন্ত শুধুই Horizental movement ! Vertical movement হয়না বা কুলকুণ্ডলিনীর ঊর্দ্ধমুখে অগ্রগতি হয় না ! মনুষ্য জন্ম পাওয়াটাই এক সুদুর্লভ ব্যাপার ! চুরাশি লক্ষ যোনি অতিক্রম করে – করে – বিবর্তনের মাধ্যমে বা কয়েক লক্ষ বছর অতিক্রম করে তবে মনুষ্য জন্ম লাভ হয়! গুরু মহারাজ বলেছিলেন – Vagetation – ২০ লক্ষ , অমেরুদণ্ডী প্রাণীরা (কীটাণু , বীজাণু , জীবাণু , কীট , পতঙ্গ) – ২০ লক্ষ , অন্ডজ – ২০ লক্ষ , জরায়ুজ – ২০ লক্ষ ; এই হল ৮০ লক্ষ – এছাড়া বানর এবং বানর থেকে নর-এ আসতে (হোমো হাবিলিস , হোমো ইরেকটাস ইত্যাদি স্তর অতিক্রম করে ) মোট চার লক্ষ – এই ৮৪ লক্ষ যোনি অতিক্রম করার পর তবে মনুষ্য জন্ম লাভ হয় !
তাহলে মানুষের জীবনে কত অভিজ্ঞতা ! পশু , পাখি , সরীসৃপ ইত্যাদি সমস্ত প্রজাতির গুণাবলী (দোষ?) মানুষে বিদ্যমান ! কিন্তু এরপর যে বিবর্তন – তা মনোজগতের – চেতনার জগতের! সেইটার উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত মনুষ্য শরীর প্রাপ্ত হয়েও মানুষ ঠিক ঠিক মানুষ হয়ে উঠতে পারছে না! তার মধ্যে পূর্ব পূর্ব জন্মগুলির সংস্কারাদি এমন গেড়ে বসে আছে যে – সে সেইগুলি নিয়েই প্রমত্ত রয়েছে! নতুন কিছুকে গ্রহণ করা বা পুরানোকে ঝেড়ে ফেলে দেওয়া আর হয়ে উঠছে না!
মানুষের জীবনের এই অংশটাকেই শাস্ত্রে ‘অন্ধকারময়’ বলা হয়েছে ! এটাই অজ্ঞান অন্ধকার ! আর এই অজ্ঞান দূরীভূত করে জ্ঞানের আলো জ্বালানোর জন্যই মানবের জীবনে প্রয়োজন হয় ‘গুরু’-র ৷ ‘গুরু’ অর্থে আধ্যাত্মিক গুরু বা সদগুরু । ঈশ্বরই গুরুশক্তি রূপে জগতে আবির্ভূত হ’ন । সেই জন্য বলা হয় মর্ত্যে গুরুই ভগবান ৷ এইভাবে বিভিন্ন সদগুরু অর্থাৎ মহাপুরুষগণ বা অবতার পুরুষগণ যখন পৃথিবীতে অবতীর্ণ হ’ন তখন একসাথে বহু মানুষকে তাঁরা মুক্তির পথ দেখিয়ে যান , অজ্ঞান-অন্ধকার থেকে টেনে তুলে আলোর পথ দেখান! সাধারণ গুরুরাও এই কাজই করেন – সেটা হয়তো ছোট আকারে বা ক্ষুদ্র পরিসরে , আর অবতার পুরুষেরা যেন বন্যার জল – সামনে যাকে পায় তাকেই ভাসিয়ে নিয়ে গিয়ে ফেলে দেন একেবারে পরমানন্দ সাগরে অর্থাৎ সচ্চিদানন্দ সাগরে! যেখানে একবার যো সো করে পড়ে গেলে – কাকও রাজহাঁস হয়ে উঠে আসে । সাধারণ মানুষও তখন অসাধারণ হয়ে ওঠে! মহাপুরুষের সংসর্গ লাভের পরবর্তী দু-তিনটি শরীরে নিবিষ্টভাবে সাধন-ভজন করে – তারা হয়ে ওঠেন মহাজ্ঞানী মহাযোগী ! তখন ঈশ্বর ওই শরীরগুলোকে দিয়েই মানব-কল্যাণ বা জগত-কল্যাণের কাজগুলি করিয়ে নেন!
ন’কাকা ছিলেন ঐ ধরনেরই মহাপুরুষ , উনি ছিলেন শিবাবতার ! ওনার সংস্পর্শে এলেই মানুষ এক অপার্থিব শান্তির ঠান্ডা বাতাস অনুভব করতো ! কেমন যেন একটা টান অনুভব করতো – ছুটে ছুটে তাঁর কাছে ফিরে ফিরে আসার জন্য ! গুরু মহারাজ আমাদের শিখিয়েছিলেন – মহাপুরুষ চেনার উপায় ! উনি বলেছিলেন – ” যাঁর কাছে দু’দণ্ড বসলেই তোর শরীরের রিপুসকল শান্ত হয়ে যাবে ( যেমন ওস্তাদ সাপুড়ের পাল্লায় কোন ফণাধর সাপ পড়লে , ওই সাপুড়ের মন্ত্রশক্তি বা গাছগাছড়ার শক্তিতে সাপটি আর ফণা তুলতে পারে না !) – সব সময় মন ঊর্ধ্বমুখী হয়েই থাকবে – নিম্নগামী একদম হবে না – তখনই জানবি নির্দিষ্ট ব্যক্তিটি অবশ্যই মহাপুরুষ !”
আমরা ছাড়াও আরও যারা ন’কাকার ভালবাসার টানে তাঁর কাছে ছুটে ছুটে যেতো , তাঁর পদতলে বসে থাকার সুযোগ পেতো , তারা দেখেছে – ওনার কাছে কিছুক্ষণ বসলেই তনু-মন-প্রাণ যেন সুশীতল হয়ে যেতো , ষড়রিপু তো দূর অস্ত – কোন প্রকার শত্রুই ত্রিসীমানায় ঘেঁষতে সাহস পেতো না !
ন’কাকা স্নানের আগে অনেক সময় শুধু গামছা পড়ে তেল মাখতেন – তখন অনেক মায়েরাই(মেয়েরা) তাঁকে তেল মাখাতে চাইতো অর্থাৎ একটু সেবা করার অধিকার চাইতো। ‘স্নেহময় পিতাকে কন্যাদের সেই সেবা করা’_ দেখলেও মানুষের শরীর থেকে কাম-কামনা একেবারেই দূরীভূত হয়ে যেত ! ন’কাকাকে ভক্তকুল নিবিড় ভাবে সেবা করার সুযোগ এবং অধিকার পেয়েছিল আদিত্যপুর আশ্রমেই ! তাই ন’কাকার জীবনে অন্ত্যলীলা (যেটা আলোচনা করা হচ্ছে)-য় সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে রয়েছে আদিত্যপুর পরমানন্দ মিশন ! আর এইজন্যেই আদিত্যপুর আশ্রমের রূপ ও বিকাশ সম্বন্ধে বা এখানকার ভক্তকুল সম্বন্ধে একটু আধটু বলতেই হচ্ছে !
তবে পাঠকেরা এ ব্যাপারে নিশ্চিন্ত থাকবেন যে – যে কথাগুলি এখানে পরিবেশিত হচ্ছে – তার মধ্যে কোন অতিকথন বা অহেতুক অলৌকিকত্ব কোথাও আরোপিত করা হয়নি ! কারণ এখানে যেগুলি লেখা হচ্ছে – সেগুলির বহু সাক্ষী রয়েছে , যারা এখনও আদিত্যপুর আশ্রমের সাথে যুক্ত,যারা নিয়মিত এই লেখাগুলো follow করেন! অতিকথন হোলে তো তারাই আগে আমাকে “ক্যাঁক্” করে ধরবে! কিন্তু আমার মনে হয় __তারা সকলেই এই লেখা পড়ে বলবে –” ন’কাকার মহিমার কথা যেন কিছুই প্রায় লেখাই হলো না – তাঁর কথা আরও অনেক বেশি বেশি করে বলা যায় বা লেখা যায়” ! নিশ্চয়ই লেখা যায়! এদের অনেকেই তাঁর কথা লিখবেনও – কিন্তু আমি লিখছি আমার সামর্থ্য অনুযায়ী! ঈশ্বর যেটুকু সামর্থ্য দিয়েছেন – তার বেশি লেখার আমার শক্তি কোথায় ? যাঁর ইচ্ছার ব্যতিরেকে গাছের পাতাটিও নড়ে না – তাঁর ইচ্ছা হলে এবং গুরু মহারাজ-ন’কাকার মতো মহাপুরুষদের আশীর্বাদ থাকলে তবেই যে কোনো কার্যের সম্পূর্ণতা আসে , কার্যটি কল্যাণমূলক রূপ পায় ! অন্যথায় বড় বড় কাজ আপাতভাবে সাড়া জাগালেও –কালের করাল গ্রাসে সেসব কাজ কোথায় তলিয়ে যায় ! এসব তত্ত্ব অনেক আগেই গুরুমহারাজ আমাদেরকে বলে গেছেন! তাই তাঁদের কাছে সকলের কল্যান কামনা করেই _এই লেখা।। (ক্রমশঃ)
শাস্ত্রে বলা হয়েছে , ” মনুষ্যত্বম্ , মুমুক্ষুত্বম্ , মহাপুরুষ সংসর্গম্ ” – এই তিনটি শর্ত বা ধাপ পূর্ণ হলে তবে মানুষ পূর্ণত্বের সন্ধান পায় | আর এই তিনটির প্রাপ্তি না ঘটা পর্যন্ত শুধুই Horizental movement ! Vertical movement হয়না বা কুলকুণ্ডলিনীর ঊর্দ্ধমুখে অগ্রগতি হয় না ! মনুষ্য জন্ম পাওয়াটাই এক সুদুর্লভ ব্যাপার ! চুরাশি লক্ষ যোনি অতিক্রম করে – করে – বিবর্তনের মাধ্যমে বা কয়েক লক্ষ বছর অতিক্রম করে তবে মনুষ্য জন্ম লাভ হয়! গুরু মহারাজ বলেছিলেন – Vagetation – ২০ লক্ষ , অমেরুদণ্ডী প্রাণীরা (কীটাণু , বীজাণু , জীবাণু , কীট , পতঙ্গ) – ২০ লক্ষ , অন্ডজ – ২০ লক্ষ , জরায়ুজ – ২০ লক্ষ ; এই হল ৮০ লক্ষ – এছাড়া বানর এবং বানর থেকে নর-এ আসতে (হোমো হাবিলিস , হোমো ইরেকটাস ইত্যাদি স্তর অতিক্রম করে ) মোট চার লক্ষ – এই ৮৪ লক্ষ যোনি অতিক্রম করার পর তবে মনুষ্য জন্ম লাভ হয় !
তাহলে মানুষের জীবনে কত অভিজ্ঞতা ! পশু , পাখি , সরীসৃপ ইত্যাদি সমস্ত প্রজাতির গুণাবলী (দোষ?) মানুষে বিদ্যমান ! কিন্তু এরপর যে বিবর্তন – তা মনোজগতের – চেতনার জগতের! সেইটার উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত মনুষ্য শরীর প্রাপ্ত হয়েও মানুষ ঠিক ঠিক মানুষ হয়ে উঠতে পারছে না! তার মধ্যে পূর্ব পূর্ব জন্মগুলির সংস্কারাদি এমন গেড়ে বসে আছে যে – সে সেইগুলি নিয়েই প্রমত্ত রয়েছে! নতুন কিছুকে গ্রহণ করা বা পুরানোকে ঝেড়ে ফেলে দেওয়া আর হয়ে উঠছে না!
মানুষের জীবনের এই অংশটাকেই শাস্ত্রে ‘অন্ধকারময়’ বলা হয়েছে ! এটাই অজ্ঞান অন্ধকার ! আর এই অজ্ঞান দূরীভূত করে জ্ঞানের আলো জ্বালানোর জন্যই মানবের জীবনে প্রয়োজন হয় ‘গুরু’-র ৷ ‘গুরু’ অর্থে আধ্যাত্মিক গুরু বা সদগুরু । ঈশ্বরই গুরুশক্তি রূপে জগতে আবির্ভূত হ’ন । সেই জন্য বলা হয় মর্ত্যে গুরুই ভগবান ৷ এইভাবে বিভিন্ন সদগুরু অর্থাৎ মহাপুরুষগণ বা অবতার পুরুষগণ যখন পৃথিবীতে অবতীর্ণ হ’ন তখন একসাথে বহু মানুষকে তাঁরা মুক্তির পথ দেখিয়ে যান , অজ্ঞান-অন্ধকার থেকে টেনে তুলে আলোর পথ দেখান! সাধারণ গুরুরাও এই কাজই করেন – সেটা হয়তো ছোট আকারে বা ক্ষুদ্র পরিসরে , আর অবতার পুরুষেরা যেন বন্যার জল – সামনে যাকে পায় তাকেই ভাসিয়ে নিয়ে গিয়ে ফেলে দেন একেবারে পরমানন্দ সাগরে অর্থাৎ সচ্চিদানন্দ সাগরে! যেখানে একবার যো সো করে পড়ে গেলে – কাকও রাজহাঁস হয়ে উঠে আসে । সাধারণ মানুষও তখন অসাধারণ হয়ে ওঠে! মহাপুরুষের সংসর্গ লাভের পরবর্তী দু-তিনটি শরীরে নিবিষ্টভাবে সাধন-ভজন করে – তারা হয়ে ওঠেন মহাজ্ঞানী মহাযোগী ! তখন ঈশ্বর ওই শরীরগুলোকে দিয়েই মানব-কল্যাণ বা জগত-কল্যাণের কাজগুলি করিয়ে নেন!
ন’কাকা ছিলেন ঐ ধরনেরই মহাপুরুষ , উনি ছিলেন শিবাবতার ! ওনার সংস্পর্শে এলেই মানুষ এক অপার্থিব শান্তির ঠান্ডা বাতাস অনুভব করতো ! কেমন যেন একটা টান অনুভব করতো – ছুটে ছুটে তাঁর কাছে ফিরে ফিরে আসার জন্য ! গুরু মহারাজ আমাদের শিখিয়েছিলেন – মহাপুরুষ চেনার উপায় ! উনি বলেছিলেন – ” যাঁর কাছে দু’দণ্ড বসলেই তোর শরীরের রিপুসকল শান্ত হয়ে যাবে ( যেমন ওস্তাদ সাপুড়ের পাল্লায় কোন ফণাধর সাপ পড়লে , ওই সাপুড়ের মন্ত্রশক্তি বা গাছগাছড়ার শক্তিতে সাপটি আর ফণা তুলতে পারে না !) – সব সময় মন ঊর্ধ্বমুখী হয়েই থাকবে – নিম্নগামী একদম হবে না – তখনই জানবি নির্দিষ্ট ব্যক্তিটি অবশ্যই মহাপুরুষ !”
আমরা ছাড়াও আরও যারা ন’কাকার ভালবাসার টানে তাঁর কাছে ছুটে ছুটে যেতো , তাঁর পদতলে বসে থাকার সুযোগ পেতো , তারা দেখেছে – ওনার কাছে কিছুক্ষণ বসলেই তনু-মন-প্রাণ যেন সুশীতল হয়ে যেতো , ষড়রিপু তো দূর অস্ত – কোন প্রকার শত্রুই ত্রিসীমানায় ঘেঁষতে সাহস পেতো না !
ন’কাকা স্নানের আগে অনেক সময় শুধু গামছা পড়ে তেল মাখতেন – তখন অনেক মায়েরাই(মেয়েরা) তাঁকে তেল মাখাতে চাইতো অর্থাৎ একটু সেবা করার অধিকার চাইতো। ‘স্নেহময় পিতাকে কন্যাদের সেই সেবা করা’_ দেখলেও মানুষের শরীর থেকে কাম-কামনা একেবারেই দূরীভূত হয়ে যেত ! ন’কাকাকে ভক্তকুল নিবিড় ভাবে সেবা করার সুযোগ এবং অধিকার পেয়েছিল আদিত্যপুর আশ্রমেই ! তাই ন’কাকার জীবনে অন্ত্যলীলা (যেটা আলোচনা করা হচ্ছে)-য় সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে রয়েছে আদিত্যপুর পরমানন্দ মিশন ! আর এইজন্যেই আদিত্যপুর আশ্রমের রূপ ও বিকাশ সম্বন্ধে বা এখানকার ভক্তকুল সম্বন্ধে একটু আধটু বলতেই হচ্ছে !
তবে পাঠকেরা এ ব্যাপারে নিশ্চিন্ত থাকবেন যে – যে কথাগুলি এখানে পরিবেশিত হচ্ছে – তার মধ্যে কোন অতিকথন বা অহেতুক অলৌকিকত্ব কোথাও আরোপিত করা হয়নি ! কারণ এখানে যেগুলি লেখা হচ্ছে – সেগুলির বহু সাক্ষী রয়েছে , যারা এখনও আদিত্যপুর আশ্রমের সাথে যুক্ত,যারা নিয়মিত এই লেখাগুলো follow করেন! অতিকথন হোলে তো তারাই আগে আমাকে “ক্যাঁক্” করে ধরবে! কিন্তু আমার মনে হয় __তারা সকলেই এই লেখা পড়ে বলবে –” ন’কাকার মহিমার কথা যেন কিছুই প্রায় লেখাই হলো না – তাঁর কথা আরও অনেক বেশি বেশি করে বলা যায় বা লেখা যায়” ! নিশ্চয়ই লেখা যায়! এদের অনেকেই তাঁর কথা লিখবেনও – কিন্তু আমি লিখছি আমার সামর্থ্য অনুযায়ী! ঈশ্বর যেটুকু সামর্থ্য দিয়েছেন – তার বেশি লেখার আমার শক্তি কোথায় ? যাঁর ইচ্ছার ব্যতিরেকে গাছের পাতাটিও নড়ে না – তাঁর ইচ্ছা হলে এবং গুরু মহারাজ-ন’কাকার মতো মহাপুরুষদের আশীর্বাদ থাকলে তবেই যে কোনো কার্যের সম্পূর্ণতা আসে , কার্যটি কল্যাণমূলক রূপ পায় ! অন্যথায় বড় বড় কাজ আপাতভাবে সাড়া জাগালেও –কালের করাল গ্রাসে সেসব কাজ কোথায় তলিয়ে যায় ! এসব তত্ত্ব অনেক আগেই গুরুমহারাজ আমাদেরকে বলে গেছেন! তাই তাঁদের কাছে সকলের কল্যান কামনা করেই _এই লেখা।। (ক্রমশঃ)