গুরুমহারাজ স্বামী পরমানন্দ ইউরোপ পরিভ্রমণ কালে গ্রীস ও ক্রীটদ্বীপের বিভিন্ন স্থানে ঘুরছিলেন ৷ সেবার ঘুরতে ঘুরতে উনি এমন একটা দ্বীপে গেছিলেন সেখানে যেতে গেলে সবাইকে উলঙ্গ হয়ে যেতে হয় ! উনি বলেছিলেন যে , ওই দ্বীপটি খুবই Restricted ! ইউরোপের দেশগুলি ও আমেরিকা মহাদেশের কিছু দেশ ছাড়া এশিয়ার (আফ্রিকার !) দেশগুলির পর্যটকদের ওই দ্বীপে প্রবেশ করতেই দেওয়া হয় না ! গুরুমহারাজ যে কোনোভাবে স্পেশাল পারমিশন করিয়ে ওই দ্বীপে যাবার অনুমতি পেয়েছিলেন – এবং উনিই ছিলেন একমাত্র ব্যক্তি যিনি তাঁর পরনের পোশাক না খুলেই সমগ্র দ্বীপ পরিভ্রমণ করেছিলেন ! ওনাকে পোশাক পড়ে ওই দ্বীপে ঘুরে বেড়াতে দেখে –সেদিন ওখানকার পর্যটকরাই অবাক হয়ে গেছিল! ওদের অনেকেই গুরুমহারাজের সাথে ফটো তুলতে চেয়েছিল বা অনেকে তুলেছিলও ! যাইহোক, এবার ঐ দ্বীপের নিয়ম-কানুন সম্বন্ধে একটু বলা যাক !
গুরু মহারাজ বলেছিলেন – জাহাজ থেকে নামার পরই ওখানে অনেক কাউন্টার রয়েছে যেখানে পর্যটকদের পড়নের যাবতীয় পোশাক খুলে বিভিন্ন আলমারির র্যাক্-এর মতো জায়গায় রেখে দিতে হয় । সেখানে পৌঁছে যেতেই যা দেখলাম তা এক অভিনব দৃশ্য ! বাবা-মা-ছেলে-মেয়ে অর্থাৎ একটা পুরো (ইউরোপীয়) পরিবার সবাই ওখানে নিজের নিজের পোশাক খুলে ফেলে হাসতে হাসতে , পরস্পরে পরস্পরের কথা বলতে বলতে এগিয়ে চলেছে ! এইরকম সবাই ! আরও মজার ব্যাপার হলো – প্রায় সকল পর্যটকের গলায় ক্যামেরা ঝুলছে , কাঁধে ব্যাগ ঝুলছে , পায়ে জুতো মোজা পড়া রয়েছে কিন্তু শরীরে নেই শুধু পোশাক !
কিন্তু এইরকম একটা দ্বীপ ওরা কেন বানিয়েছে ? – গুরু মহারাজ ওখানকার অফিসের কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চেয়েছিলেন এর উত্তর! ওরা ওদের মতো একটা ব্যাখ্যাও দিয়েছিল । তবে গুরু মহারাজ আমাদেরকে যা বলেছিলেন , তাতে আমরা এটাই বুঝেছিলাম যে – ব্যবসাটাই Main উদ্দেশ্য , বাকি সব কথা নিজেদের স্বপক্ষে কিছু যুক্তি !
প্রাশ্চাত্যের মানুষের কাছে শরীরের পোশাক খুলে ফেলাটা লজ্জার বা ভয়ের ব্যাপারই নয় । ছোট বয়স থেকেই ওদের এই Sentiment-টা নষ্ট হয়ে যায় । অথচ এই ব্যাপারটাই এশিয়া মহাদেশের বিভিন্ন দেশের মানুষের কাছে , বিশেষ করে ভারতীয় ছেলেমেয়েদের কাছে খুবই লজ্জাস্কর !
হহ যে দেশের যে সংস্কার বা রুচি! গুরুমহারাজ বলেছিলেন – ” ফ্রান্সের মেয়েরা যে কোন অন্যায়ের প্রতিবাদ জানাতে কথায় কথায় শরীরের সমস্ত পোশাক খুলে দিয়ে প্রকাশ্য রাস্তায় বসে পড়ে ! কিছুক্ষণ পর পুলিশ এসে তাদেরকে গাড়ি করে উঠিয়ে নিয়ে যায় – তারপর পোশাক পরিয়ে কিছুক্ষণ রেখে, তারপর ছেড়ে দেয় !
ইউরোপের বেশিরভাগ দেশেই মেয়েরা খুবই স্বাধীন । দেশের সরকার এবং আইন ব্যবস্থাও মেয়েদের ভীষণ মর্যাদা দেয় । নারীর স্বাধীনতা বজায় রাখার জন্য এমন কড়া কড়া আইন রয়েছে যে , পুরুষেরা __নারীদের কোন রকম dominate করা বা অত্যাচার করতে গেলে দশবার ভাবে ! ওখানকার কোর্টের যাবতীয় Case-এর 40% Case স্বামীর বিরূদ্ধে স্ত্রীরা করে এবং তা ধর্ষণের অভিযোগে! যেটা আমাদের দেশে কোটি কোটি মামলার (Case) মধ্যে হয়তো দশটাও হয় কিনা সন্দেহ !
ওখানকার মেয়েরা কতটা স্বাধীন, তার একটা পরিচয় দেওয়া যাক! ইউরোপের কোন দেশে (ইতালি অথবা নরওয়েতে !) যখন গুরু মহারাজ একটি হলঘরে সিটিং করছিলেন , তখন একটি অল্প বয়সী তরুণী (যে সেইদিনই প্রথম গুরু মহারাজকে দেখেছিল বা তাঁর মুখের কথা শুনে খুবই মুগ্ধ হয়ে গেছিল) সিটিং চলাকালীন সময়েই “excuse me” বলে ওঠে এবং গুরু মহারাজের কথা থামিয়ে দিয়ে অক্লেশে-অনায়াসে সবার সামনেই বলে ওঠে – সে ওনার কথায় খুবই impressed হয়েছে , তাছাড়া একজন হ্যান্ডসাম পুরুষ মানুষ হিসাবে তার ওনাকে খুব মনে ধরেছে , তাই সে ওনার সাথে মিলিত হতে চায়(sex করতে চায়) , যদি উনি রাজী থাকেন, তাহলে সে ওনাকে নিয়ে এক্ষুনি পাশের কোন ঘরে যেতে চায় !
এই ঘটনাটি বলে গুরু মহারাজ বলেছিলেন – ” দ্যাখো ! এক একটা স্থানের (দেশের বা সমাজের) Culture এক এক রকম । ভারতের যেকোনো প্রান্তের কোন মেয়েই কোন গুরু বা সন্ন্যাসীকে openly এইভাবে কথাগুলো কখনোই বলতে পারবে না ৷ তার লজ্জা লাগবে – মনে সংকোচ আসবে । অন্তরে যদি কোন ইচ্ছা সৃষ্টি হয় , তাহলেও সে মুখ ফুটে এই কথাগুলো বলতে পারবে না ! কিন্তু একটি ইউরোপীয় মেয়ে অক্লেশে কথাগুলি open sitting-এ বলে দিল !”
মহারাজের কাছ থেকে এই কথাগুলো শুনে সেদিন সিটিং-এর সবাই প্রচন্ড কৌতুহলী হয়ে পড়েছিল – গুরু মহারাজ কি উত্তর দিয়েছিলেন সেইটা শোনার জন্য ! কেউ মুখ ফুটে বলতে না পারলেও সবার কৌতূহলী চোখমুখের দিকে তাকিয়ে গুরুমহারাজ তা ভালোই বুঝতে পারছিলেন! তাই উনি বললেন __” মেয়েটির এই ধরনের propose আসার সাথে সাথে আমি বলে উঠেছিলাম _আমার সাথে মিলিত হবার জন্য তোমাকে অন্যত্র যেতে হবে কেন! এই মুহূর্তে তোমার সাথে আমার মিলন হয়ে চলেছে _তুমি কি তা বুঝতে পারছো? পারছো না __? তাহলে এই ঘরের এক কোণে চোখ বন্ধ করে চুপ করে কিছুক্ষণ বস, আর অন্তরের অন্তঃস্থলে ডুব দাও!! তখন বুঝতে পারবে যে, তোমার শরীরে রোমাঞ্চ হচ্ছে, পুলক হচ্ছে! এমন এক অপার্থিব আনন্দের আস্বাদে তোমার শরীর-মন-প্রান বিভোর হয়ে যাবে যা তুমি এই জীবনে কখনো পাও নি ! এই রমন-ই শ্রেষ্ঠ রমন! physical sex এ কতটুকু আনন্দ পাও, এই মিলনে তার সহস্রগুন আনন্দ!”(ক্রমশঃ)
গুরু মহারাজ বলেছিলেন – জাহাজ থেকে নামার পরই ওখানে অনেক কাউন্টার রয়েছে যেখানে পর্যটকদের পড়নের যাবতীয় পোশাক খুলে বিভিন্ন আলমারির র্যাক্-এর মতো জায়গায় রেখে দিতে হয় । সেখানে পৌঁছে যেতেই যা দেখলাম তা এক অভিনব দৃশ্য ! বাবা-মা-ছেলে-মেয়ে অর্থাৎ একটা পুরো (ইউরোপীয়) পরিবার সবাই ওখানে নিজের নিজের পোশাক খুলে ফেলে হাসতে হাসতে , পরস্পরে পরস্পরের কথা বলতে বলতে এগিয়ে চলেছে ! এইরকম সবাই ! আরও মজার ব্যাপার হলো – প্রায় সকল পর্যটকের গলায় ক্যামেরা ঝুলছে , কাঁধে ব্যাগ ঝুলছে , পায়ে জুতো মোজা পড়া রয়েছে কিন্তু শরীরে নেই শুধু পোশাক !
কিন্তু এইরকম একটা দ্বীপ ওরা কেন বানিয়েছে ? – গুরু মহারাজ ওখানকার অফিসের কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চেয়েছিলেন এর উত্তর! ওরা ওদের মতো একটা ব্যাখ্যাও দিয়েছিল । তবে গুরু মহারাজ আমাদেরকে যা বলেছিলেন , তাতে আমরা এটাই বুঝেছিলাম যে – ব্যবসাটাই Main উদ্দেশ্য , বাকি সব কথা নিজেদের স্বপক্ষে কিছু যুক্তি !
প্রাশ্চাত্যের মানুষের কাছে শরীরের পোশাক খুলে ফেলাটা লজ্জার বা ভয়ের ব্যাপারই নয় । ছোট বয়স থেকেই ওদের এই Sentiment-টা নষ্ট হয়ে যায় । অথচ এই ব্যাপারটাই এশিয়া মহাদেশের বিভিন্ন দেশের মানুষের কাছে , বিশেষ করে ভারতীয় ছেলেমেয়েদের কাছে খুবই লজ্জাস্কর !
হহ যে দেশের যে সংস্কার বা রুচি! গুরুমহারাজ বলেছিলেন – ” ফ্রান্সের মেয়েরা যে কোন অন্যায়ের প্রতিবাদ জানাতে কথায় কথায় শরীরের সমস্ত পোশাক খুলে দিয়ে প্রকাশ্য রাস্তায় বসে পড়ে ! কিছুক্ষণ পর পুলিশ এসে তাদেরকে গাড়ি করে উঠিয়ে নিয়ে যায় – তারপর পোশাক পরিয়ে কিছুক্ষণ রেখে, তারপর ছেড়ে দেয় !
ইউরোপের বেশিরভাগ দেশেই মেয়েরা খুবই স্বাধীন । দেশের সরকার এবং আইন ব্যবস্থাও মেয়েদের ভীষণ মর্যাদা দেয় । নারীর স্বাধীনতা বজায় রাখার জন্য এমন কড়া কড়া আইন রয়েছে যে , পুরুষেরা __নারীদের কোন রকম dominate করা বা অত্যাচার করতে গেলে দশবার ভাবে ! ওখানকার কোর্টের যাবতীয় Case-এর 40% Case স্বামীর বিরূদ্ধে স্ত্রীরা করে এবং তা ধর্ষণের অভিযোগে! যেটা আমাদের দেশে কোটি কোটি মামলার (Case) মধ্যে হয়তো দশটাও হয় কিনা সন্দেহ !
ওখানকার মেয়েরা কতটা স্বাধীন, তার একটা পরিচয় দেওয়া যাক! ইউরোপের কোন দেশে (ইতালি অথবা নরওয়েতে !) যখন গুরু মহারাজ একটি হলঘরে সিটিং করছিলেন , তখন একটি অল্প বয়সী তরুণী (যে সেইদিনই প্রথম গুরু মহারাজকে দেখেছিল বা তাঁর মুখের কথা শুনে খুবই মুগ্ধ হয়ে গেছিল) সিটিং চলাকালীন সময়েই “excuse me” বলে ওঠে এবং গুরু মহারাজের কথা থামিয়ে দিয়ে অক্লেশে-অনায়াসে সবার সামনেই বলে ওঠে – সে ওনার কথায় খুবই impressed হয়েছে , তাছাড়া একজন হ্যান্ডসাম পুরুষ মানুষ হিসাবে তার ওনাকে খুব মনে ধরেছে , তাই সে ওনার সাথে মিলিত হতে চায়(sex করতে চায়) , যদি উনি রাজী থাকেন, তাহলে সে ওনাকে নিয়ে এক্ষুনি পাশের কোন ঘরে যেতে চায় !
এই ঘটনাটি বলে গুরু মহারাজ বলেছিলেন – ” দ্যাখো ! এক একটা স্থানের (দেশের বা সমাজের) Culture এক এক রকম । ভারতের যেকোনো প্রান্তের কোন মেয়েই কোন গুরু বা সন্ন্যাসীকে openly এইভাবে কথাগুলো কখনোই বলতে পারবে না ৷ তার লজ্জা লাগবে – মনে সংকোচ আসবে । অন্তরে যদি কোন ইচ্ছা সৃষ্টি হয় , তাহলেও সে মুখ ফুটে এই কথাগুলো বলতে পারবে না ! কিন্তু একটি ইউরোপীয় মেয়ে অক্লেশে কথাগুলি open sitting-এ বলে দিল !”
মহারাজের কাছ থেকে এই কথাগুলো শুনে সেদিন সিটিং-এর সবাই প্রচন্ড কৌতুহলী হয়ে পড়েছিল – গুরু মহারাজ কি উত্তর দিয়েছিলেন সেইটা শোনার জন্য ! কেউ মুখ ফুটে বলতে না পারলেও সবার কৌতূহলী চোখমুখের দিকে তাকিয়ে গুরুমহারাজ তা ভালোই বুঝতে পারছিলেন! তাই উনি বললেন __” মেয়েটির এই ধরনের propose আসার সাথে সাথে আমি বলে উঠেছিলাম _আমার সাথে মিলিত হবার জন্য তোমাকে অন্যত্র যেতে হবে কেন! এই মুহূর্তে তোমার সাথে আমার মিলন হয়ে চলেছে _তুমি কি তা বুঝতে পারছো? পারছো না __? তাহলে এই ঘরের এক কোণে চোখ বন্ধ করে চুপ করে কিছুক্ষণ বস, আর অন্তরের অন্তঃস্থলে ডুব দাও!! তখন বুঝতে পারবে যে, তোমার শরীরে রোমাঞ্চ হচ্ছে, পুলক হচ্ছে! এমন এক অপার্থিব আনন্দের আস্বাদে তোমার শরীর-মন-প্রান বিভোর হয়ে যাবে যা তুমি এই জীবনে কখনো পাও নি ! এই রমন-ই শ্রেষ্ঠ রমন! physical sex এ কতটুকু আনন্দ পাও, এই মিলনে তার সহস্রগুন আনন্দ!”(ক্রমশঃ)