গুরু মহারাজ স্বামী পরমানন্দ যখন ইউরোপের বিভিন্ন দেশে তাঁর লীলার অংশ হিসাবে ভ্রমণ করছিলেন এবং বহু মানুষের সাথে সঙ্গ করেছিলেন তখন কত কত ঘটনা যে ঘটেছিল , তার সমস্ত কাহিনী আমরা জানতে পারিনি – জানা সম্ভবও নয় ! যে কোন একজন ইউরোপীয় ভক্ত-ও সবটা বলতে পারবে না – যদি ওদের অনেকে কলম ধরে তাহলে হয়তো গুরু মহারাজের সাথে ইউরোপে ঘটে যাওয়া ঘটনাসমূহের অনেকটাই জানা যাবে ৷ আমরা এখানে আলোচনা করছি সেইটুকুই – যেটুকু গুরু মহারাজ স্বয়ং নিজের মুখে বলেছেন – অথবা দু-একজন ইউরোপীয় ভক্তের মুখ থেকে শোনা কিছু ঘটনা ! কিছুদিন আগে চিন্ময় ডাক্তারের (ডঃ চিন্ময় ব্যানার্জি। বর্তমানে ইউরোপের অনেক পরমানন্দ ভক্তের সাথেই ডাক্তারের নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে) কাছে শুনেছিলাম যে নরওয়ের বেয়র্ন_ যে কিছুদিন আগে ‘আনন্দ আচারিয়া’-র ওপর একটা বই লিখেছে এবং এরপর তার টার্গেট রয়েছে গুরু মহারাজকে নিয়ে একটা বই লেখার! যদিও বইটা ইংরেজিতে লেখা হবে – কিন্তু বইটা বেরোবার পরে নিশ্চয়ই অতিসত্বর তা বাংলায় অনুবাদ হয়ে যাবে । ফলে আমাদের মতো সাধারণ বাঙালীরা তখন ঐ বইটা থেকে “ইউরোপে গুরুমহারাজ”- সম্বন্ধে অনেক অজানা তথ্য জানতে পারবো !
তবে এখন ওসব কথা থাক – আমরা গুরু মহারাজ ইউরোপে থাকাকালীন সময়কার ঘটনা যেটুকু জানি , সেটুকুই বলি ! ইতালির _অ্যালবার্তোর_ কথা আমরা অনেকেই আগে শুনেছি – কারণ স্বামী পরমানন্দকে নিয়ে আগেও অনেক পরমানন্দ ভক্ত কলম ধরেছিলেন, বর্তমানে আবার আরো অনেকেই লেখালেখি শুরু করেছেন অর্থাৎ অনেকেই তাঁর সিটিং-এ বলা কথা লিখছেন!!! সেইসব থেকে আমরা অনেকেই _অ্যালবার্তোর_ কথা জেনেছি ! কিন্তু সবাই তো জানে না বা শোনেনি – তাই আর একবার বলার চেষ্টা করা হচ্ছে !
_অ্যালবার্তো_ ইতালির একজন সাধারণ শ্রমিক শ্রেণীর মানুষ , যে ওদেশে একটা পাথরের খাদানে কাজ করতো ৷ একদিন ওই খনিতে একটা দুর্ঘটনা ঘটে যায় – উঁচু থেকে একটা পাথরের চাঁই সোজা ওর মাথায় এসে পড়ে ! ফলে সঙ্গে সঙ্গে ও ওইখানেই জ্ঞান হারায় এবং মাটিতে লুটিয়ে পড়ে । সাথে সাথেই অন্যান্য খনি শ্রমিকেরা ওকে ধরাধরি করে খনির বাইরে নিয়ে আসে এবং স্থানীয় হসপিটালে ভর্তি করে দেয় ! সেখানে ডাক্তারেরা ওকে ভালোভাবে পরীক্ষা করে দেখে _অ্যালবার্তো_ মৃত , ফলে হসপিটাল কর্তৃপক্ষ _অ্যালবার্তোর_ বাড়ির লোকজনদের বা ওর সাথে আসা খনির শ্রমিকদের ওর মৃত্যুর কথাটা জানিয়েও দেয়।
অ্যালবার্তোর মৃতদেহ ইমারজেন্সি ঘরের বাইরে বের করে বাড়ির লোকজনেরা কান্নাকাটি করছিল বা শোক প্রকাশ করছিল , আর ডাক্তারেরা ভিতরে _অ্যালবার্তোর_ Death Certificate লেখা বা dead body-র Release Order তৈরি করছিল I এমন সময় হঠাৎ করে _অ্যালবার্তোর_ শরীরটা নড়ে ওঠে এবং ওর মুখ দিয়ে গোঙানির মতো আওয়াজ বেরোতে থাকে ! বাড়ির লোকেরা বা বন্ধু-বান্ধবেরা যারাই ওখানে ছিল, তারা চিৎকার করতে করতে ডাক্তার-নার্সদের ডাকতে থাকে – তাদের চিৎকার-চেঁচামেচিতে ডাক্তাররা বাইরে বেরিয়ে এসে দেখে ওই আশ্চর্য দৃশ্য !! যে লোকটিকে তারা ভালোভাবে পরীক্ষা করার পর কোনরকম প্রাণের স্পন্দন পায় নি – সেই ব্যক্তির শরীরে স্পন্দন ফিরে এলো কিভাবে ??
ঘটনাটা এতদুর বলার পর গুরু মহারাজ বলেছিলেন – ” দ্যাখো , ইতালি প্রথম বিশ্বের দেশ ! ওখানকার হসপিটালগুলি অত্যন্ত উন্নত ও অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতিতে সজ্জিত , ডাক্তাররাও সুশিক্ষিত , অভিজ্ঞ এবং যথেষ্ট sincere – তাছাড়া ইমারজেন্সি পেশেন্ট-এর ক্ষেত্রে A Group of Doctors মিলে check up করে থাকে! তাই ডাক্তাররা এবং তাদের যন্ত্রপাতি_ সবকিছুই যে ভুল ছিল, তা তো হতে পারে না! তাহলে কী করে ঘটল এই Miracle !!
বাড়ির লোকেরা বা অ্যালবার্তোর বন্ধুবান্ধবেরা এই কথাগুলি ভাবলেও, ডাক্তাররা এসব নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে যত দ্রুত সম্ভব _অ্যালবার্তোর_ চিকিৎসা শুরু করে দিয়েছিল এবং এর ফলে কয়েক দিনের মধ্যেই ও সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেও গিয়েছিল !
বাইরে থেকে যারা দেখেছে তাদের কাছে ঘটনাটা এইরকম ছিল– কিন্তু _অ্যালবার্তোর_ মাথায় পাথরের চাঁই পড়া থেকে শরীরে জ্ঞান ফিরে আসা পর্যন্ত – তার কি অভিজ্ঞতা হয়েছিল সেটা গুরুমহারাজের মুখ থেকে শোনা যাক্ ! ___’প্রথমে যখন ওর মাথায় অকস্মাৎ আঘাত লাগে তখন তীব্র যন্ত্রণার অনুভূতির সাথে সাথে সে ধীরে ধীরে জ্ঞান হারাতে থাকে ! এই জ্ঞান হারানোর অনুভূতিটা ছিল__ যেন সে গভীর অন্ধকারের মধ্যে ঢুকে যাচ্ছে ! ঢুকে যাচ্ছে তো ঢুকেই যাচ্ছে – সে ঢোকার যেন আর শেষ নাই ! আর একটা ভীষণ ভয় যেন তাকে গ্রাস করে ফেলছিল ! সে ওই ভয়ার্ত অবস্থায় চিৎকার করে ভগবান যীশুর কাছে সাহায্যের আবেদন জানাতে চাইছিল – কিন্তু গলার আওয়াজ বেরোচ্ছিল না ! এরকম একটা ভয়ংকর অবস্থার মধ্যে হঠাৎ সে দেখে দূরে-বহুদূরে যেন একটা আলোর বিন্দু ! ও পাগলের মতো সেই আলোর দিকে যেতে চাইল! ফলে ওর গতি আরও তীব্র হলো এবং ও দেখল যে আলোর বিন্দুটা ধীরে ধীরে বড় এবং উজ্জ্বল হতে শুরু করল ! তারপর ওই আলোর উৎস উজ্জ্বল থেকে উজ্জ্বলতর হয়ে তিনটি জ্যোতির্ময় মূর্তিতে পরিণত হ’ল এবং সেখানেই ওর চেতনার তীব্র গতিটাও শান্ত হ’ল ! তখন _অ্যালবার্তো_ দেখল ওই তিনজনের মধ্যে একজন ভগবান যীশু , একজন ভারতীয় সন্ন্যাসী এবং একজন ইউরোপীয় সাধু ! _অ্যালবার্তো_ যীশুকে প্রণাম করে বিদায় চাইলে যীশু বললেন – “তুমি ফিরে যাও , তোমার এখনো কিছু কাজ বাকি রয়েছে !” তারপর যীশু ওই ভারতীয় সন্ন্যাসীর শরীরে একীভূত হয়ে গেলেন এবং ওকে জানিয়ে দিলেন যে তিনি বর্তমানে এভাবেই বা এই শরীরে থেকে ক্রিয়াশীল রয়েছেন ৷৷ [ক্রমশঃ]
– (বাকিটা পরের সংখ্যায়) –
তবে এখন ওসব কথা থাক – আমরা গুরু মহারাজ ইউরোপে থাকাকালীন সময়কার ঘটনা যেটুকু জানি , সেটুকুই বলি ! ইতালির _অ্যালবার্তোর_ কথা আমরা অনেকেই আগে শুনেছি – কারণ স্বামী পরমানন্দকে নিয়ে আগেও অনেক পরমানন্দ ভক্ত কলম ধরেছিলেন, বর্তমানে আবার আরো অনেকেই লেখালেখি শুরু করেছেন অর্থাৎ অনেকেই তাঁর সিটিং-এ বলা কথা লিখছেন!!! সেইসব থেকে আমরা অনেকেই _অ্যালবার্তোর_ কথা জেনেছি ! কিন্তু সবাই তো জানে না বা শোনেনি – তাই আর একবার বলার চেষ্টা করা হচ্ছে !
_অ্যালবার্তো_ ইতালির একজন সাধারণ শ্রমিক শ্রেণীর মানুষ , যে ওদেশে একটা পাথরের খাদানে কাজ করতো ৷ একদিন ওই খনিতে একটা দুর্ঘটনা ঘটে যায় – উঁচু থেকে একটা পাথরের চাঁই সোজা ওর মাথায় এসে পড়ে ! ফলে সঙ্গে সঙ্গে ও ওইখানেই জ্ঞান হারায় এবং মাটিতে লুটিয়ে পড়ে । সাথে সাথেই অন্যান্য খনি শ্রমিকেরা ওকে ধরাধরি করে খনির বাইরে নিয়ে আসে এবং স্থানীয় হসপিটালে ভর্তি করে দেয় ! সেখানে ডাক্তারেরা ওকে ভালোভাবে পরীক্ষা করে দেখে _অ্যালবার্তো_ মৃত , ফলে হসপিটাল কর্তৃপক্ষ _অ্যালবার্তোর_ বাড়ির লোকজনদের বা ওর সাথে আসা খনির শ্রমিকদের ওর মৃত্যুর কথাটা জানিয়েও দেয়।
অ্যালবার্তোর মৃতদেহ ইমারজেন্সি ঘরের বাইরে বের করে বাড়ির লোকজনেরা কান্নাকাটি করছিল বা শোক প্রকাশ করছিল , আর ডাক্তারেরা ভিতরে _অ্যালবার্তোর_ Death Certificate লেখা বা dead body-র Release Order তৈরি করছিল I এমন সময় হঠাৎ করে _অ্যালবার্তোর_ শরীরটা নড়ে ওঠে এবং ওর মুখ দিয়ে গোঙানির মতো আওয়াজ বেরোতে থাকে ! বাড়ির লোকেরা বা বন্ধু-বান্ধবেরা যারাই ওখানে ছিল, তারা চিৎকার করতে করতে ডাক্তার-নার্সদের ডাকতে থাকে – তাদের চিৎকার-চেঁচামেচিতে ডাক্তাররা বাইরে বেরিয়ে এসে দেখে ওই আশ্চর্য দৃশ্য !! যে লোকটিকে তারা ভালোভাবে পরীক্ষা করার পর কোনরকম প্রাণের স্পন্দন পায় নি – সেই ব্যক্তির শরীরে স্পন্দন ফিরে এলো কিভাবে ??
ঘটনাটা এতদুর বলার পর গুরু মহারাজ বলেছিলেন – ” দ্যাখো , ইতালি প্রথম বিশ্বের দেশ ! ওখানকার হসপিটালগুলি অত্যন্ত উন্নত ও অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতিতে সজ্জিত , ডাক্তাররাও সুশিক্ষিত , অভিজ্ঞ এবং যথেষ্ট sincere – তাছাড়া ইমারজেন্সি পেশেন্ট-এর ক্ষেত্রে A Group of Doctors মিলে check up করে থাকে! তাই ডাক্তাররা এবং তাদের যন্ত্রপাতি_ সবকিছুই যে ভুল ছিল, তা তো হতে পারে না! তাহলে কী করে ঘটল এই Miracle !!
বাড়ির লোকেরা বা অ্যালবার্তোর বন্ধুবান্ধবেরা এই কথাগুলি ভাবলেও, ডাক্তাররা এসব নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে যত দ্রুত সম্ভব _অ্যালবার্তোর_ চিকিৎসা শুরু করে দিয়েছিল এবং এর ফলে কয়েক দিনের মধ্যেই ও সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেও গিয়েছিল !
বাইরে থেকে যারা দেখেছে তাদের কাছে ঘটনাটা এইরকম ছিল– কিন্তু _অ্যালবার্তোর_ মাথায় পাথরের চাঁই পড়া থেকে শরীরে জ্ঞান ফিরে আসা পর্যন্ত – তার কি অভিজ্ঞতা হয়েছিল সেটা গুরুমহারাজের মুখ থেকে শোনা যাক্ ! ___’প্রথমে যখন ওর মাথায় অকস্মাৎ আঘাত লাগে তখন তীব্র যন্ত্রণার অনুভূতির সাথে সাথে সে ধীরে ধীরে জ্ঞান হারাতে থাকে ! এই জ্ঞান হারানোর অনুভূতিটা ছিল__ যেন সে গভীর অন্ধকারের মধ্যে ঢুকে যাচ্ছে ! ঢুকে যাচ্ছে তো ঢুকেই যাচ্ছে – সে ঢোকার যেন আর শেষ নাই ! আর একটা ভীষণ ভয় যেন তাকে গ্রাস করে ফেলছিল ! সে ওই ভয়ার্ত অবস্থায় চিৎকার করে ভগবান যীশুর কাছে সাহায্যের আবেদন জানাতে চাইছিল – কিন্তু গলার আওয়াজ বেরোচ্ছিল না ! এরকম একটা ভয়ংকর অবস্থার মধ্যে হঠাৎ সে দেখে দূরে-বহুদূরে যেন একটা আলোর বিন্দু ! ও পাগলের মতো সেই আলোর দিকে যেতে চাইল! ফলে ওর গতি আরও তীব্র হলো এবং ও দেখল যে আলোর বিন্দুটা ধীরে ধীরে বড় এবং উজ্জ্বল হতে শুরু করল ! তারপর ওই আলোর উৎস উজ্জ্বল থেকে উজ্জ্বলতর হয়ে তিনটি জ্যোতির্ময় মূর্তিতে পরিণত হ’ল এবং সেখানেই ওর চেতনার তীব্র গতিটাও শান্ত হ’ল ! তখন _অ্যালবার্তো_ দেখল ওই তিনজনের মধ্যে একজন ভগবান যীশু , একজন ভারতীয় সন্ন্যাসী এবং একজন ইউরোপীয় সাধু ! _অ্যালবার্তো_ যীশুকে প্রণাম করে বিদায় চাইলে যীশু বললেন – “তুমি ফিরে যাও , তোমার এখনো কিছু কাজ বাকি রয়েছে !” তারপর যীশু ওই ভারতীয় সন্ন্যাসীর শরীরে একীভূত হয়ে গেলেন এবং ওকে জানিয়ে দিলেন যে তিনি বর্তমানে এভাবেই বা এই শরীরে থেকে ক্রিয়াশীল রয়েছেন ৷৷ [ক্রমশঃ]
– (বাকিটা পরের সংখ্যায়) –