[পঙ্কজ মহারাজের স্মৃতিচারণার উদ্দেশ্যে “পুরোনো সেই বনগ্রামের কথা” _র পরিবর্তে আজকেও “ন’কাকা প্রসঙ্গে” _দেওয়া হচ্ছে। ন’কাকার সাথে পঙ্কজ মহারাজের যে ভালোবাসার সম্পর্ক ছিল _তার কিছুটা এখানে উল্লেখ করার চেষ্টা করা হচ্ছে!]
পঙ্কজ বাবু শিলিগুড়ি থেকে ফিরে কিছুদিন এখানে-ওখানে থাকার পর কান্দি (মূর্শিদাবাদ)-তে একটি জাগ্রত কালীমন্দিরের প্রাঙ্গনে – পূজারীদের জন্য নির্দিষ্ট আবাসগৃহের একটি ঘরে (দোতলায়) থাকতে শুরু করেছিলেন । সেখানে কিছুদিন কাটানোর পর থেকেই, পঙ্কজবাবু ন’কাকাকে Regular ফোন করতে শুরু করলেন ! ফোনে একটাই কথা – “ন’কাকা ! আপনি একদিন কান্দিতে এসে আমার এই ছোট্ট কুঠীরটিকে ধন্য করে দিয়ে যান ! যে ঘরে আমি থাকি , যেখানে বসে আমি ধ্যান-জপ করি – সেখানে আপনার মতো মহাপুরুষ যদি একবার পদধূলি দেয় , তো ঘরটা ধন্য হবে , ঘরটা একটু Charged হবে ৷”
এই অনুরোধ করে ক্রমাগত পঙ্কজ বাবুর ফোন আসতে থাকায় ন’কাকা একদিন আমাকে বললেন – “জানো শ্রীধর ! পঙ্কজ বাবু তো দেখছি প্রায়ই ফোন করছে ! তাহলে ওনার ওখানে তো একবার যেতেই হবে! কিভাবে যাওয়া যায় বলো তো !” আমি আর কি বলি !! তবে এইটুকু বলেছিলাম যে , “ন’কাকা ! বোলপুর আশ্রম(আদিত্যপুর) থেকে যাওয়া যায় _আবার direct বনগ্রাম থেকেও যাওয়া যায়!! তবে আমার কথা হচ্ছে __অাপনি যখন যেভাবে যাবেন, আমি তাতেই রাজী !”
পঙ্কজ বাবু- প্রলয় মহারাজ (বনগ্রাম পরমানন্দ মিশনের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ব্রহ্মচারী চিন্ময়ানন্দ মহারাজ)-কেও গাড়ী ভাড়ার টাকা পাঠিয়ে দেবেন বলেছিলেন _যাতে সে ন’কাকাকে নিয়ে অাসতে পারে ! আসলে পঙ্কজ বাবু তো ওয়েস্টবেঙ্গল গভর্নমেন্টের ইলেকট্রিসিটি বিভাগে চাকুরী করতেন , তাই প্রতি মাসে একটা নির্দিষ্ট অংকের পেনশন পেতেন । এরফলে দু-চার হাজার টাকা কোনো কারণে খরচ করাটায় ওনার খুব একটা অসুবিধা হোত না ৷
যাইহোক , আমরা অবশ্য গিয়েছিলাম । বেশ বড়সড় একটা দল বেঁধে যাওয়া হয়েছিল। কান্দি (মূর্শিদাবাদ) শহরের বাইরে একটি কালীমন্দিরে গেস্ট হিসাবে পঙ্কজ বাবু রয়েছেন _দেখলাম। [ওখানে গিয়ে শুনলাম যে ঐ কালীমন্দিরটি কান্দির বিখ্যাত জমিদার লালাবাবুর তৈরী ! ‘লালাবাবু’ মানে সেই বিখ্যাত ব্যক্তি যিনি একদিন সন্ধ্যার সময় নদীতীরে বসেছিলেন , এমন সময় এক দেহাতি মহিলা তার কন্যাকে উদ্দেশ্য করে বলে উঠেছিল , ” বাসনায় আগুন দে , বেলা যে পড়ে এ’ল !”
ঐ মহিলা হয়তো ওনার মেয়েকে বলতে চেয়েছিলেন – শুকনো ডাল-পাতায় (বাস্-না) আগুন জ্বালিয়ে রান্না বসাতে অথবা গরু-বাছুরের যাতে মশা না লাগে তার ব্যাবস্থা করতে ! কিন্তু লালাবাবু-র কানে ঐ কথাটার-ই অন্য অর্থ হিসাবে ধরা পড়ল । উনি মনে মনে ভাবলেন – ” রাধারাণী-ই বোধহয় ঐ নারীর মাধ্যমে ওনাকে বলতে চাইলেন যে , ‘ বয়স তো অনেক হল – আর বাসনা কেনো – এবার ছেলেদের হাতে সংসারের ভার দিয়ে বানপ্রস্থী হও !” সেইদিন-ই সংসার ত্যাগ করে চলে যান লালাবাবু – এবং বৃন্দাবনে ভজন কুটির নির্মাণ করে আমৃত্যু সেখানেই সাধন-ভজনে নিরত থাকেন ! এখনো ভক্তরা বৃন্দাবনে গেলে ‘লালাবাবুর সাধন কুঠি’ দর্শন করতে যান , ওখানে ওনার প্রতিষ্ঠিত গোপেশ্বর শিব খুবই জাগ্রত – এই জনশ্রুতি রয়েছে ।]
যাইহোক , আবার পঙ্কজ বাবুর প্রসঙ্গে ফিরে আসি । আমরা যখন ন’কাকাকে নিয়ে ঐ কালীমন্দিরে গিয়ে পৌছালাম – তখন দেখি মন্দিরে ভালোই ভক্তজনের ভিড় (শুনেছিলাম শনি ও মঙ্গলবারে ভক্তদের ভিড় হয় , আর ওখানকার পুরোহিত নিত্যপূজা করা ছাড়াও বিভিন্ন রোগের প্রতিষেধক ওষুধ দেন বা তাবিজ-কবজ-মাদুলিও দেন ! বিশেষতঃ বন্ধ্যাত্ব , মৃগী রোগ এবং চোখের নানা সমস্যা ওখানে নাকি মানত করলে ভালো হয়ে যায় ।) ! পরে দেখলাম মন্দির প্রাঙ্গণের ঠিক গায়েই আলাদা একটা বিল্ডিং রয়েছে , সেখানেই পুরোহিত মশাই (তিনিও বয়সে প্রৗেঢ় এবং সাধু-সন্তের মতোই চুল-দাড়ি বা পোশাক-পরিচ্ছদ !) বসবাস করেন এবং সেই বিল্ডিং-এর দোতলায় একটি পৃথক ঘরে পঙ্কজ বাবু থাকেন । উনি নিজের পয়সা দিয়ে সেখানে একটা পায়খানা-বাথরুম তৈরি করে নিয়েছেন ৷
ন’কাকা ওখানে যাবেন এ কথা পঙ্কজ বাবু ওই পুরোহিত মহারাজ-কে আগেই বলে রেখেছিলেন , এবং ন’কাকা যে একজন ছদ্মবেশী মহাপুরুষ একথাও তাকে বলতে ভোলেননি ! ফলে ন’কাকা ওখানে পৌঁছানো মাত্রই একটা উষ্ণ অভ্যর্থনার ব্যবস্থা হয়েছিল । তারপর নিচে দু-পাঁচ মিনিট বসে সবার সাথে পরিচয় পর্ব সারা হবার পরেই_ পঙ্কজ বাবু ন’কাকাকে নিয়ে চলে গেলেন উপরে ওনার নিজের ঘরে ৷ আমরাও সেই ঘরে কিছুক্ষণের জন্য বসার সুযোগ পেলাম বটে – কিন্তু অতি অল্পক্ষণ ! কারন সেখানে পঙ্কজ বাবু ন’কাকাকে নিয়ে কিছু স্পেশাল কথা বলবেন – তাই আমাদের জন্য নির্দিষ্ট জায়গা অর্থাৎ ওই ঘরের বারান্দায় (সেটিও ঘরের মতোই) বসে আমরা গল্প করতে শুরু করলাম । কিছুক্ষণ পরে ঐ ঘরেই ন’কাকার বিশ্রামের ব্যবস্থা করে দিয়ে অবশ্য পঙ্কজ বাবুও যোগদান করলেন , চলতে লাগলো নানান আলোচনা ।
সেদিন ন’কাকার দলটিতে আমি ছাড়া_ আদিত্যপুর আশ্রমের ভুবনেশ্বরানন্দ মহারাজ , দেবাশিস মাষ্টারমশাই, দুজন বনগ্রাম থেকে আসা মহারাজ, আমার ভাগ্নে সুব্রত _প্রমুখেরা ছিল ! পঙ্কজ বাবু সেদিন টিফিন এবং ডিনারের সমস্ত খরচ মন্দিরের পূজারী মহারাজকে দিয়েছিলেন , ফলে খাওয়া-দাওয়ার খুব ভালো ব্যবস্থা ছিল ! ন’কাকা পঙ্কজ বাবুর ঘরে কিছুক্ষণ Rest নিয়ে বাইরে আমাদের সাথে যোগ দিয়েছিলেন ! ফলে সেদিন পুরোনো দিনের বনগ্রামের নানান স্মৃতিচারণের একটা ভালো আসর বসে গিয়েছিল ওখানে ।
ন’কাকাকে কাছে পেয়ে সেদিন পঙ্কজ বাবু শিশুর মতো আনন্দ করছিলেন! আর এটা দেখে আমাদেরও খুব আনন্দ লাগছিলো! আজ সেই দিনের স্মৃতিচারণ করতে বসে শুধু সুখস্মৃতির কথাই বারবার মনে আসছে । আজ আর পঙ্কজ বাবু নাই , ন’কাকাও চলে গিয়েছেন ! তাই এখন ন’কাকার মতো মহাপুরুষের সাথে কাটানো সেই সুখের দিনগুলির শুধু স্মৃতিচারণ করা ছাড়া আমরা আর কি-ই বা করতে পারি !!
ওঁ শান্তিঃ শান্তিঃ শান্তিঃ।(ক্রমশঃ)
পঙ্কজ বাবু শিলিগুড়ি থেকে ফিরে কিছুদিন এখানে-ওখানে থাকার পর কান্দি (মূর্শিদাবাদ)-তে একটি জাগ্রত কালীমন্দিরের প্রাঙ্গনে – পূজারীদের জন্য নির্দিষ্ট আবাসগৃহের একটি ঘরে (দোতলায়) থাকতে শুরু করেছিলেন । সেখানে কিছুদিন কাটানোর পর থেকেই, পঙ্কজবাবু ন’কাকাকে Regular ফোন করতে শুরু করলেন ! ফোনে একটাই কথা – “ন’কাকা ! আপনি একদিন কান্দিতে এসে আমার এই ছোট্ট কুঠীরটিকে ধন্য করে দিয়ে যান ! যে ঘরে আমি থাকি , যেখানে বসে আমি ধ্যান-জপ করি – সেখানে আপনার মতো মহাপুরুষ যদি একবার পদধূলি দেয় , তো ঘরটা ধন্য হবে , ঘরটা একটু Charged হবে ৷”
এই অনুরোধ করে ক্রমাগত পঙ্কজ বাবুর ফোন আসতে থাকায় ন’কাকা একদিন আমাকে বললেন – “জানো শ্রীধর ! পঙ্কজ বাবু তো দেখছি প্রায়ই ফোন করছে ! তাহলে ওনার ওখানে তো একবার যেতেই হবে! কিভাবে যাওয়া যায় বলো তো !” আমি আর কি বলি !! তবে এইটুকু বলেছিলাম যে , “ন’কাকা ! বোলপুর আশ্রম(আদিত্যপুর) থেকে যাওয়া যায় _আবার direct বনগ্রাম থেকেও যাওয়া যায়!! তবে আমার কথা হচ্ছে __অাপনি যখন যেভাবে যাবেন, আমি তাতেই রাজী !”
পঙ্কজ বাবু- প্রলয় মহারাজ (বনগ্রাম পরমানন্দ মিশনের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ব্রহ্মচারী চিন্ময়ানন্দ মহারাজ)-কেও গাড়ী ভাড়ার টাকা পাঠিয়ে দেবেন বলেছিলেন _যাতে সে ন’কাকাকে নিয়ে অাসতে পারে ! আসলে পঙ্কজ বাবু তো ওয়েস্টবেঙ্গল গভর্নমেন্টের ইলেকট্রিসিটি বিভাগে চাকুরী করতেন , তাই প্রতি মাসে একটা নির্দিষ্ট অংকের পেনশন পেতেন । এরফলে দু-চার হাজার টাকা কোনো কারণে খরচ করাটায় ওনার খুব একটা অসুবিধা হোত না ৷
যাইহোক , আমরা অবশ্য গিয়েছিলাম । বেশ বড়সড় একটা দল বেঁধে যাওয়া হয়েছিল। কান্দি (মূর্শিদাবাদ) শহরের বাইরে একটি কালীমন্দিরে গেস্ট হিসাবে পঙ্কজ বাবু রয়েছেন _দেখলাম। [ওখানে গিয়ে শুনলাম যে ঐ কালীমন্দিরটি কান্দির বিখ্যাত জমিদার লালাবাবুর তৈরী ! ‘লালাবাবু’ মানে সেই বিখ্যাত ব্যক্তি যিনি একদিন সন্ধ্যার সময় নদীতীরে বসেছিলেন , এমন সময় এক দেহাতি মহিলা তার কন্যাকে উদ্দেশ্য করে বলে উঠেছিল , ” বাসনায় আগুন দে , বেলা যে পড়ে এ’ল !”
ঐ মহিলা হয়তো ওনার মেয়েকে বলতে চেয়েছিলেন – শুকনো ডাল-পাতায় (বাস্-না) আগুন জ্বালিয়ে রান্না বসাতে অথবা গরু-বাছুরের যাতে মশা না লাগে তার ব্যাবস্থা করতে ! কিন্তু লালাবাবু-র কানে ঐ কথাটার-ই অন্য অর্থ হিসাবে ধরা পড়ল । উনি মনে মনে ভাবলেন – ” রাধারাণী-ই বোধহয় ঐ নারীর মাধ্যমে ওনাকে বলতে চাইলেন যে , ‘ বয়স তো অনেক হল – আর বাসনা কেনো – এবার ছেলেদের হাতে সংসারের ভার দিয়ে বানপ্রস্থী হও !” সেইদিন-ই সংসার ত্যাগ করে চলে যান লালাবাবু – এবং বৃন্দাবনে ভজন কুটির নির্মাণ করে আমৃত্যু সেখানেই সাধন-ভজনে নিরত থাকেন ! এখনো ভক্তরা বৃন্দাবনে গেলে ‘লালাবাবুর সাধন কুঠি’ দর্শন করতে যান , ওখানে ওনার প্রতিষ্ঠিত গোপেশ্বর শিব খুবই জাগ্রত – এই জনশ্রুতি রয়েছে ।]
যাইহোক , আবার পঙ্কজ বাবুর প্রসঙ্গে ফিরে আসি । আমরা যখন ন’কাকাকে নিয়ে ঐ কালীমন্দিরে গিয়ে পৌছালাম – তখন দেখি মন্দিরে ভালোই ভক্তজনের ভিড় (শুনেছিলাম শনি ও মঙ্গলবারে ভক্তদের ভিড় হয় , আর ওখানকার পুরোহিত নিত্যপূজা করা ছাড়াও বিভিন্ন রোগের প্রতিষেধক ওষুধ দেন বা তাবিজ-কবজ-মাদুলিও দেন ! বিশেষতঃ বন্ধ্যাত্ব , মৃগী রোগ এবং চোখের নানা সমস্যা ওখানে নাকি মানত করলে ভালো হয়ে যায় ।) ! পরে দেখলাম মন্দির প্রাঙ্গণের ঠিক গায়েই আলাদা একটা বিল্ডিং রয়েছে , সেখানেই পুরোহিত মশাই (তিনিও বয়সে প্রৗেঢ় এবং সাধু-সন্তের মতোই চুল-দাড়ি বা পোশাক-পরিচ্ছদ !) বসবাস করেন এবং সেই বিল্ডিং-এর দোতলায় একটি পৃথক ঘরে পঙ্কজ বাবু থাকেন । উনি নিজের পয়সা দিয়ে সেখানে একটা পায়খানা-বাথরুম তৈরি করে নিয়েছেন ৷
ন’কাকা ওখানে যাবেন এ কথা পঙ্কজ বাবু ওই পুরোহিত মহারাজ-কে আগেই বলে রেখেছিলেন , এবং ন’কাকা যে একজন ছদ্মবেশী মহাপুরুষ একথাও তাকে বলতে ভোলেননি ! ফলে ন’কাকা ওখানে পৌঁছানো মাত্রই একটা উষ্ণ অভ্যর্থনার ব্যবস্থা হয়েছিল । তারপর নিচে দু-পাঁচ মিনিট বসে সবার সাথে পরিচয় পর্ব সারা হবার পরেই_ পঙ্কজ বাবু ন’কাকাকে নিয়ে চলে গেলেন উপরে ওনার নিজের ঘরে ৷ আমরাও সেই ঘরে কিছুক্ষণের জন্য বসার সুযোগ পেলাম বটে – কিন্তু অতি অল্পক্ষণ ! কারন সেখানে পঙ্কজ বাবু ন’কাকাকে নিয়ে কিছু স্পেশাল কথা বলবেন – তাই আমাদের জন্য নির্দিষ্ট জায়গা অর্থাৎ ওই ঘরের বারান্দায় (সেটিও ঘরের মতোই) বসে আমরা গল্প করতে শুরু করলাম । কিছুক্ষণ পরে ঐ ঘরেই ন’কাকার বিশ্রামের ব্যবস্থা করে দিয়ে অবশ্য পঙ্কজ বাবুও যোগদান করলেন , চলতে লাগলো নানান আলোচনা ।
সেদিন ন’কাকার দলটিতে আমি ছাড়া_ আদিত্যপুর আশ্রমের ভুবনেশ্বরানন্দ মহারাজ , দেবাশিস মাষ্টারমশাই, দুজন বনগ্রাম থেকে আসা মহারাজ, আমার ভাগ্নে সুব্রত _প্রমুখেরা ছিল ! পঙ্কজ বাবু সেদিন টিফিন এবং ডিনারের সমস্ত খরচ মন্দিরের পূজারী মহারাজকে দিয়েছিলেন , ফলে খাওয়া-দাওয়ার খুব ভালো ব্যবস্থা ছিল ! ন’কাকা পঙ্কজ বাবুর ঘরে কিছুক্ষণ Rest নিয়ে বাইরে আমাদের সাথে যোগ দিয়েছিলেন ! ফলে সেদিন পুরোনো দিনের বনগ্রামের নানান স্মৃতিচারণের একটা ভালো আসর বসে গিয়েছিল ওখানে ।
ন’কাকাকে কাছে পেয়ে সেদিন পঙ্কজ বাবু শিশুর মতো আনন্দ করছিলেন! আর এটা দেখে আমাদেরও খুব আনন্দ লাগছিলো! আজ সেই দিনের স্মৃতিচারণ করতে বসে শুধু সুখস্মৃতির কথাই বারবার মনে আসছে । আজ আর পঙ্কজ বাবু নাই , ন’কাকাও চলে গিয়েছেন ! তাই এখন ন’কাকার মতো মহাপুরুষের সাথে কাটানো সেই সুখের দিনগুলির শুধু স্মৃতিচারণ করা ছাড়া আমরা আর কি-ই বা করতে পারি !!
ওঁ শান্তিঃ শান্তিঃ শান্তিঃ।(ক্রমশঃ)