গুরু মহারাজ স্বামী পরমানন্দ ইউরোপের বিভিন্ন দেশ ঘুরে এসে বনগ্রাম পরমানন্দ মিশনে আমাদের কাছে যেসব আলোচনা করেছিলেন, সেইসব কথা আপনাদের সকলের সাথে শেয়ার করা হচ্ছিল । এখন আমরা ছিলাম ওনার বলা জার্মানী বিষয়ক বিভিন্ন আলোচনায় ! ‘পুরোনো সেই বনগ্রামের কথা’ _লেখাটিতে ওনার আলোচনার সাথে আমাদের ‘যতটা বুঝেছি’– মার্কা গবেষণাও রয়েছে ! আলোচনা-গবেষণার সাথে মনন এবং নিদিধ্যাসন থাকলে যে কোন বিষয়ের ধারণা হয়ে যায় ৷ আর এই ‘ধারণা’-ই পাকা ধারণা ! এই Conception-ই মানুষকে Perfection-এর দিকে উন্নীত করে । যোগশাস্ত্রেও যে ক্রম রয়েছে অর্থাৎ যম-নিয়ম-আসন-প্রাণায়াম-প্রত্যাহার-ধরণা-ধ্যান ও সমাধি – সেখানেও দেখা যায় একেবারে শেষের দিকে রয়েছে “ধারণা”! এর পরেই “ধ্যান” এবং ধ্যানের অন্তর্লীন অবস্থাই “সমাধি”! সমাধি প্রাপ্ত হওয়া-ই মনুষ্য জীবনের একমাত্র লক্ষ্য !
স্বামী পরমানন্দ ছিলেন ভগবান!_তাই তাঁর কথায় কখনো কোন ভুল হয় না!কিন্তু মুস্কিলটা হোল ভুল হয় তখন _ যখন আমরা সেগুলি ব্যাখ্যা করতে যাই। আলোচনাটা ঠিক ছিল, ওর সাথে গবেষণা করতে গিয়েই যত বিপত্তি হয়! তবে ফেসবুক পোষ্টে একটা সুবিধা আছে _ভুল ধরা পড়লে correction করা যায়। কদিন আগে এমনই ভুল হয়েছিল, (পরে অবশ্য ঠিক করে নেওয়া হয়েছে) “নেতাজী জাপান থেকে জার্মানি গিয়েছিলেন সাবযেরিনে” কিন্তু আসলে ওটা হোত “নেতাজী জার্মানি থেকে জাপান গিয়েছিলেন সাবমেরিনে করে।” যাইহোক, এখন আমরা আবার প্রসঙ্গে ফিরে আসি।
জার্মানীদের জীবনযাত্রা সম্বন্ধে বলতে গিয়ে গুরুমহারাজ বলেছিলেন ওদের শরীর মজবুত, নাসা সূচালো, চোখের মণি ভালো (এইজন্যেই জার্মানীরা নিজেদেরকে ‘আর্য্য-শরীর’ বলে মনে করে), ওরা ভীষণ পরিশ্রমী – ইত্যাদি । এছাড়াও গুরুমহারাজ আরও বলেছিনেন যে জার্মানীরা স্বভাবতঃ খুবই স্বল্পভাষী ! এমনিতে সব ইউরোপীয়ানদের মধ্যেই এই গুণটা পরিলক্ষিত হয় – একমাত্র ইতালি ছাড়া ! ইতালিয়ানরা ভারতীয়দের মতোই বকতে পছন্দ করে ! কিন্তু জার্মানীতে ট্রেনে-বাসে সব জায়গাতেই দেখা যাবে এক আশ্চর্য ও অদ্ভুত নীরবতা ! গুরুমহারাজ বলেছিলেন – ” এই শরীরটায়(স্বামী পরমানন্দ) তো ভারতীয় সংস্কার ! তাই প্রথম প্রথম ট্রেনে-বাসে যাবার সময় খুবই অদ্ভুত লাগতো – যেন মনে হতো একদল রোবটের মধ্যে বসে আছি ! আমি আমার ভারতীয় সংস্কারকে কাজে লাগিয়ে যদিও বা দু-একজনের সাথে একটু-আধটু কথা বলতে যেতাম, সেটাতেই ওরা খুবই বিরক্ত বোধ করত ! এক একজন তো মুখের উপর বলেই দিতো – ‘ তুমি নিশ্চয়ই কোন এশিয়ান Country থেকে এসেছে ?’ – ভাবো একবার ! ওরা জানে যে এশিয়ার দেশগুলির মানুষেরা একটু বেশী কথা বলে !”
এরপরে গুরুমহারাজ যেটা বলেছিলেন সেটা ভারতীয় মানসিকতার বিচারে খুব একটা বাজে ব্যাপার ! ফলে অনেকেরই এই কথাগুলি শুনতে একটু অস্বস্তি হোতে পারে! তবু উনি যখন open sitting – এ আলোচনা করেছিলেন _তখন বলা যেতে পারে!
উনি প্রথমবার (১৯৯০-৯১) জার্মানী গিয়ে দেখেছিলেন যে ওদেশে Sex একদম free , এবং এ ব্যাপারে ওখানকার ছেলেমেয়েদের কোনরকম রাখ-ঢাক বা লাজ-লজ্জা নাই ! রাস্তাঘাটে, পার্কে, রেলের প্লার্টফর্মে, ট্রেনে-বাসে সবজায়গাতেই এরা এই ব্যাপারে স্বচ্ছন্দ ! একটা লম্বা ওভারকোটে পুরুষটি মেয়েটিকে ঢেকে নেয় এবং প্রকাশ্যে Sex করে ! গুরু মহারাজ বলেছিলেন – উনি একদিন একটা স্টেশনের প্লাটফর্মে দাঁড়িয়ে ছিলেন, তখন দেখেছিলেন একটা দম্পতি তাদের শিশুকন্যাকে নিয়ে ওইভাবে একটা ওভারকোটের অন্তরালে আলিঙ্গনবদ্ধ নর-নারীর পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল ! শিশুটি অবাক বিস্ময়ে তাদের দিকে তকিয়ে ছিল দেখে ওর বাবা-মা জোর করে শিশুটিকে নিয়ে যেতে চেষ্টা করতেই – শিশুটি ওর মাকে জিজ্ঞাসা করে বসল – ” What are they doing mamma?” শিশুটির মা ও শিশুটিকে টেনে নিয়ে যেতে যেতে বলছিল – “They are making Love! ”
গুরু মহারাজ এদিনেই রাশিয়ানদের পেচ্ছাব-পায়খানা করা নিয়ে কথা বলছিলেন। রাশিয়ানরা সবাই বড় বড় কোট পড়ে থাকে – তাতে বড় বড় পকেট থাকে ৷ ওরা পকেটে শক্ত ছোট ছোট পলিথিন প্যাক রেখে দেয় । রাস্তা-ঘাটে পায়খানা পেচ্ছাব পেলে ওরা সঙ্গে সঙ্গে ওই পলিথিন প্যাক খুলে তাতেই ওটা সেরে নেয় ৷ তারপর পলিথিন প্যাকের মুখটি খুব ভালো করে বেঁধে লম্বা কোটের পকেটে চালান করে দেয়। পরে যখন বর্জ্য পদার্থ ফেলার পাত্র দেখতে পায় – সেখানে ফেলে দেয় ৷ ওসব দেশে তো শৗেচ করার পর জল ব্যবহারের চল নেই, টয়লেট পেপার ব্যবহার করা হয় – কাজেই পা পর্যন্ত লম্বা কোটের আড়ালে ওটা সারতে কোনো অসুবিধাই হয় না!!
এই দুটি আলোচনা শোনার পর আমাদের মধ্যে বসে থাকা গুরুমহারাজের এক ভক্তের সে কি হাসি ! জোরে জোরে হাসতে হাসতে বলে উঠল – ” তাহলে গুরুমহারাজ ! রাশিয়ানদের পায়খানা-পেচ্ছাব পেলেই সাথে সাথে রাস্তাঘাটেই ওরা তা সেরে নেয়, আর জার্মানীদের ‘ওইসব’ পেলে – ওরা সেটাকে রাস্তাঘাটেই সেরে নেয় !”
ছেলেটির মুখে এই কথা শুনে প্রথমটায় গুরু মহারাজও একটু হেসে ফেললেন, তারপর বলেছিলেন – ” তবে জানিস ! মহামায়ার ‘মার’ বড় কঠিন ! যতদিন যাচ্ছে – পাশ্চাত্যের উন্নত দেশগুলিতে যৌনতা ততই Restricted হয়ে যাচ্ছে ! সরকারিভাবে না হোক – মানুষ নিজে নিজেই নিজেকে গুটিয়ে নিচ্ছে ৷ এর কারণটা কি বল্ তো ? __AIDS !!! HIV TEST-এর রিপোর্ট এক সপ্তাহের বেশি হয়ে গেলে আর কেউ কাউকে বেড পার্টনার করছে না! এক এইডস্-এর ধাক্কায় সমগ্র ইউরোপ-আমেরিকা এখন আবার বিবাহ প্রথায় ফিরে আসতে চাইছে ! একটি পুরুষ – একটি মাত্র মহিলাকে নিয়ে সারাজীবন কাটাতে চাইছে ! কিন্তু মুশকিলটা হল – ওদের সংস্কারে এই ব্যাপারটা নেই । তাই ওরা ভারতীয়দেরকে follow করতে আগ্রহী হচ্ছে ! দলে দলে ঐসব দেশ থেকে Young ছেলেমেয়েরা এদেশে এসে এদেশের কৃষ্টি, সংস্কৃতির সাথে পরিচিত হতে চাইছে । ওদেশের পুরুষেরা চাইছে এদেশের নারীকে বিবাহ করে তার সাথে সারাজীবন কাটিয়ে দিতে, অপরপক্ষে ওদেশীয় নারীরা চাইছে এদেশের কোন পুরুষকে বিবাহ করে তার সাথেই থেকে যেতে। এমনটা এখন খুবই ঘটছে !”(ক্রমশঃ)
স্বামী পরমানন্দ ছিলেন ভগবান!_তাই তাঁর কথায় কখনো কোন ভুল হয় না!কিন্তু মুস্কিলটা হোল ভুল হয় তখন _ যখন আমরা সেগুলি ব্যাখ্যা করতে যাই। আলোচনাটা ঠিক ছিল, ওর সাথে গবেষণা করতে গিয়েই যত বিপত্তি হয়! তবে ফেসবুক পোষ্টে একটা সুবিধা আছে _ভুল ধরা পড়লে correction করা যায়। কদিন আগে এমনই ভুল হয়েছিল, (পরে অবশ্য ঠিক করে নেওয়া হয়েছে) “নেতাজী জাপান থেকে জার্মানি গিয়েছিলেন সাবযেরিনে” কিন্তু আসলে ওটা হোত “নেতাজী জার্মানি থেকে জাপান গিয়েছিলেন সাবমেরিনে করে।” যাইহোক, এখন আমরা আবার প্রসঙ্গে ফিরে আসি।
জার্মানীদের জীবনযাত্রা সম্বন্ধে বলতে গিয়ে গুরুমহারাজ বলেছিলেন ওদের শরীর মজবুত, নাসা সূচালো, চোখের মণি ভালো (এইজন্যেই জার্মানীরা নিজেদেরকে ‘আর্য্য-শরীর’ বলে মনে করে), ওরা ভীষণ পরিশ্রমী – ইত্যাদি । এছাড়াও গুরুমহারাজ আরও বলেছিনেন যে জার্মানীরা স্বভাবতঃ খুবই স্বল্পভাষী ! এমনিতে সব ইউরোপীয়ানদের মধ্যেই এই গুণটা পরিলক্ষিত হয় – একমাত্র ইতালি ছাড়া ! ইতালিয়ানরা ভারতীয়দের মতোই বকতে পছন্দ করে ! কিন্তু জার্মানীতে ট্রেনে-বাসে সব জায়গাতেই দেখা যাবে এক আশ্চর্য ও অদ্ভুত নীরবতা ! গুরুমহারাজ বলেছিলেন – ” এই শরীরটায়(স্বামী পরমানন্দ) তো ভারতীয় সংস্কার ! তাই প্রথম প্রথম ট্রেনে-বাসে যাবার সময় খুবই অদ্ভুত লাগতো – যেন মনে হতো একদল রোবটের মধ্যে বসে আছি ! আমি আমার ভারতীয় সংস্কারকে কাজে লাগিয়ে যদিও বা দু-একজনের সাথে একটু-আধটু কথা বলতে যেতাম, সেটাতেই ওরা খুবই বিরক্ত বোধ করত ! এক একজন তো মুখের উপর বলেই দিতো – ‘ তুমি নিশ্চয়ই কোন এশিয়ান Country থেকে এসেছে ?’ – ভাবো একবার ! ওরা জানে যে এশিয়ার দেশগুলির মানুষেরা একটু বেশী কথা বলে !”
এরপরে গুরুমহারাজ যেটা বলেছিলেন সেটা ভারতীয় মানসিকতার বিচারে খুব একটা বাজে ব্যাপার ! ফলে অনেকেরই এই কথাগুলি শুনতে একটু অস্বস্তি হোতে পারে! তবু উনি যখন open sitting – এ আলোচনা করেছিলেন _তখন বলা যেতে পারে!
উনি প্রথমবার (১৯৯০-৯১) জার্মানী গিয়ে দেখেছিলেন যে ওদেশে Sex একদম free , এবং এ ব্যাপারে ওখানকার ছেলেমেয়েদের কোনরকম রাখ-ঢাক বা লাজ-লজ্জা নাই ! রাস্তাঘাটে, পার্কে, রেলের প্লার্টফর্মে, ট্রেনে-বাসে সবজায়গাতেই এরা এই ব্যাপারে স্বচ্ছন্দ ! একটা লম্বা ওভারকোটে পুরুষটি মেয়েটিকে ঢেকে নেয় এবং প্রকাশ্যে Sex করে ! গুরু মহারাজ বলেছিলেন – উনি একদিন একটা স্টেশনের প্লাটফর্মে দাঁড়িয়ে ছিলেন, তখন দেখেছিলেন একটা দম্পতি তাদের শিশুকন্যাকে নিয়ে ওইভাবে একটা ওভারকোটের অন্তরালে আলিঙ্গনবদ্ধ নর-নারীর পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল ! শিশুটি অবাক বিস্ময়ে তাদের দিকে তকিয়ে ছিল দেখে ওর বাবা-মা জোর করে শিশুটিকে নিয়ে যেতে চেষ্টা করতেই – শিশুটি ওর মাকে জিজ্ঞাসা করে বসল – ” What are they doing mamma?” শিশুটির মা ও শিশুটিকে টেনে নিয়ে যেতে যেতে বলছিল – “They are making Love! ”
গুরু মহারাজ এদিনেই রাশিয়ানদের পেচ্ছাব-পায়খানা করা নিয়ে কথা বলছিলেন। রাশিয়ানরা সবাই বড় বড় কোট পড়ে থাকে – তাতে বড় বড় পকেট থাকে ৷ ওরা পকেটে শক্ত ছোট ছোট পলিথিন প্যাক রেখে দেয় । রাস্তা-ঘাটে পায়খানা পেচ্ছাব পেলে ওরা সঙ্গে সঙ্গে ওই পলিথিন প্যাক খুলে তাতেই ওটা সেরে নেয় ৷ তারপর পলিথিন প্যাকের মুখটি খুব ভালো করে বেঁধে লম্বা কোটের পকেটে চালান করে দেয়। পরে যখন বর্জ্য পদার্থ ফেলার পাত্র দেখতে পায় – সেখানে ফেলে দেয় ৷ ওসব দেশে তো শৗেচ করার পর জল ব্যবহারের চল নেই, টয়লেট পেপার ব্যবহার করা হয় – কাজেই পা পর্যন্ত লম্বা কোটের আড়ালে ওটা সারতে কোনো অসুবিধাই হয় না!!
এই দুটি আলোচনা শোনার পর আমাদের মধ্যে বসে থাকা গুরুমহারাজের এক ভক্তের সে কি হাসি ! জোরে জোরে হাসতে হাসতে বলে উঠল – ” তাহলে গুরুমহারাজ ! রাশিয়ানদের পায়খানা-পেচ্ছাব পেলেই সাথে সাথে রাস্তাঘাটেই ওরা তা সেরে নেয়, আর জার্মানীদের ‘ওইসব’ পেলে – ওরা সেটাকে রাস্তাঘাটেই সেরে নেয় !”
ছেলেটির মুখে এই কথা শুনে প্রথমটায় গুরু মহারাজও একটু হেসে ফেললেন, তারপর বলেছিলেন – ” তবে জানিস ! মহামায়ার ‘মার’ বড় কঠিন ! যতদিন যাচ্ছে – পাশ্চাত্যের উন্নত দেশগুলিতে যৌনতা ততই Restricted হয়ে যাচ্ছে ! সরকারিভাবে না হোক – মানুষ নিজে নিজেই নিজেকে গুটিয়ে নিচ্ছে ৷ এর কারণটা কি বল্ তো ? __AIDS !!! HIV TEST-এর রিপোর্ট এক সপ্তাহের বেশি হয়ে গেলে আর কেউ কাউকে বেড পার্টনার করছে না! এক এইডস্-এর ধাক্কায় সমগ্র ইউরোপ-আমেরিকা এখন আবার বিবাহ প্রথায় ফিরে আসতে চাইছে ! একটি পুরুষ – একটি মাত্র মহিলাকে নিয়ে সারাজীবন কাটাতে চাইছে ! কিন্তু মুশকিলটা হল – ওদের সংস্কারে এই ব্যাপারটা নেই । তাই ওরা ভারতীয়দেরকে follow করতে আগ্রহী হচ্ছে ! দলে দলে ঐসব দেশ থেকে Young ছেলেমেয়েরা এদেশে এসে এদেশের কৃষ্টি, সংস্কৃতির সাথে পরিচিত হতে চাইছে । ওদেশের পুরুষেরা চাইছে এদেশের নারীকে বিবাহ করে তার সাথে সারাজীবন কাটিয়ে দিতে, অপরপক্ষে ওদেশীয় নারীরা চাইছে এদেশের কোন পুরুষকে বিবাহ করে তার সাথেই থেকে যেতে। এমনটা এখন খুবই ঘটছে !”(ক্রমশঃ)