গুরু মহারাজ স্বামী পরমানন্দের বলা কথাগুলি নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল ৷ আগেরদিন আলোচনা প্রসঙ্গে এসেছিল আরবের এক মহাত্মার কথা – যিনি জ্ঞানের চরমভূমিতে পৌঁছে উপনিষদের চার-টি মহাবাক্যের সন্ধান পেয়েছিলেন । উপনিষদের চার-টি মহাবাক্য হ’ল – “প্রজ্ঞানম্ ব্রহ্ম”, “অয়মাত্মা ব্রহ্ম”, “অহম্ ব্রহ্মাস্মি”, “তত্ত্বমসি” ! ‘অহম ব্রহ্মাস্মি’_ ‘সোহহম্’ বা ‘সো অহম্’ অর্থাৎ ‘ I am that ‘ ! ঋষি স্থিতিতে পৌঁছে ‘মনসূর’ নামের ঐ মহাত্মা এই তত্ত্বের বোধ করেছিলেন এবং ওনার নিজের ভাষায় বলতে পেরেছিলেন “আয়ানুল হক্”(কেউ কেউ বলে ‘আইনুল হক’) । কথিত রয়েছে মনসূরের মাথা কেটে ফেললেও কাটামুন্ডু বলতে থাকে “আয়ানুল হক্”, “আয়ানুল হক্” ! তার শরীর কুচি কুচি করে কাটা হলেও প্রতিটি শরীরের টুকরো ওই একই কথা বলতে থাকে – ” আয়ানুল হক্”, “আয়ানুল হক্”! কিন্তু এই ধরনের মানুষের সংখ্যা তো জগতে খুবই কম।
গুরু মহারাজ বলেছিলেন – বড় বড় দেশনেতাসহ সমাজে অনেক নামকরা মানুষ রয়েছে – শিল্পী, সাহিত্যিক, চিত্রকর, সমাজসেবী ইত্যাদি আরো অনেকে, যাদের খুব নামডাক, খুব সম্মান কিন্তু যদি তাদের বিবেকের জাগরন এবং আত্মিক উত্তরণ না হয় – তাহলে সবই বৃথা ৷ ওই ব্যক্তিগনের নামডাক, সম্মান কিছু কালের জন্য স্থায়ী হয় – তারপর তার মৃত্যুর সাথে সাথেই কালের গর্ভে হারিয়ে যায়। এই প্রসঙ্গে উনি সমকালের কিন্তু শিল্পী, সাহিত্যিক, সংগীতজ্ঞ ইত্যাদিদের নাম উল্লেখ করে বলেছিলেন _এরা সমকালে সন্মানিত বা আদৃত হোলেও কালের বুকে এরা স্থান করে নিতে পারবে না। মহাকাল যাদের accept করবে _তারাই শুধু টিকে থাকে।
যাদের বিবেক জাগ্রত, যাদের অধ্যাত্মচেতনার উন্মেষ ঘটেছে অর্থাৎ আত্মিক উত্তরণ ঘটেছে – তাঁদের কাজ, তাঁদের আদর্শ, তাঁদের নাম বহুকাল ধরে মানুষের সমাজে, মানুষের মনের মনিকোঠায় থেকে যাবে ৷ কাউকে কষ্ট করে মনে রাখতে হয় না – মানুষ স্বতঃপ্রণোদিতভাবে – তাঁদেরকে ভালোবেসেই তাঁদেরকে মনে রাখে, তাঁদেরকে অন্তর থেকে শ্রদ্ধা করে !
গুরু মহারাজ যখন ইউরোপ ঘুরছিলেন তখন উনি বেশ কয়েকদিন ইংল্যান্ডে ছিলেন। উনি ওখানে যে কদিন-ই ছিলেন – তাতেই উনি ঐ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে ঘুরে দেখেছিলেন, ওদের এখানকার ইতিহাসও আমাদেরকে বলে দিয়েছিলেন ৷ BlG BEN ঘড়ির কথা যখন বলেছিলেন – তখন তার ইতিহাস, কোন সংস্থা কবে-কখন-কোথায় স্থাপন করেছিল, কত বছরে ক’সেকেন্ড সময়ের হিসাবের হেরফের হয় – এই সমস্ত কথা বলেছিলেন । ইংল্যান্ডের প্রাচীন ইতিহাসের কথা বলতে গিয়ে উনি স্বামী বিবেকানন্দের একটি মন্তব্যকে উল্লেখ করেছিলেন, যেখানেই স্বামীজী ইংল্যান্ডের প্রাচীনত্ব সম্বন্ধে বলতে গিয়ে ওখানকার ভক্তদের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন – “ভারতবর্ষে যখন বিশ্ব শান্তির জন্য মন্ত্র উচ্চারণ হচ্ছে, যজ্ঞের ধূম উদ্গীরণ হচ্ছে – তখন তোদের এই সব স্থানের মানুষেরা বুনো ঘোড়ার পিছনে দৌড়াচ্ছে তাদের বশ মানানোর জন্য !”
গুরু মহারাজও বলেছিলেন – এখন যেটিকে ইংল্যান্ড বলা হচ্ছে, বহু পূর্বে ওখানে আদিম জনজাতিরা বাস করতো ! নর্ম্যান, স্যাকসন, কেল্টিক (~সেলটিক) ইত্যাদি গোষ্ঠীর মানুষের একটা সংমিশ্রনের ফল আজকের ব্রিটিশ জাতি ! রক্তে বিভিন্ন জন-গোষ্ঠীর মিশ্রণ ঘটেছে বলেই জাতিটি এতটা dynamic । জীববিজ্ঞানীরা দেখেছে ভিন্ন ভিন্ন জনগোষ্ঠীর মাতা-পিতার মিলনে উৎপন্ন সন্তানের শারীরিক ও মানসিক গঠন উন্নত হয়, অপরপক্ষে বহুকাল ধরে একই গোষ্ঠীর নর ও নারীর মিলনে উৎপন্ন সন্তান দিন দিন শারীরিক ও মানসিকভাবে দুর্বল হয়, রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা হ্রাস পায় – ইত্যাদি আরও নানান সমস্যায় ভোগে । এইভাবে দেখা গেছে ল্যাপল্যান্ডার, এস্কিমো ইত্যাদি জনজাতিরা_যারা সমাজজীবন থেকে বিচ্ছিন্ন জনগোষ্ঠী, যাদের নিজেদের মধ্যেই শুধু বিয়ে-থা হয়, সেইসব জনগোষ্ঠীর মানুষেরা ধীরে ধীরে অল্পায়ু হয়েছে, অল্প বয়সেই শরীরে যৌবন এসে যাচ্ছে, রোগ-প্রতিরোধক ক্ষমতা খুবই কমে গেছে ! এই জন্যই এই সমস্ত জন-জাতিদেরকে বাঁচানোর জন্য সরকারিভাবে সংরক্ষণ করতে হচ্ছে , সভ্য মানুষদেরকে সেইসব সংরক্ষিত স্থানে প্রায় যেতে দেওয়াই হয় না । কারণ আধুনিক সভ্যতার মানুষের কোন রোগ-ব্যাধি যদি একবার ওইসব জনগোষ্ঠীতে প্রবেশ করে – তাহলে তা মহামারীর আকার ধারণ করবে, কারণ ওই জনগোষ্ঠীর মানুষের শরীরে immunity power খুবই কম !
যাইহোক, কথা হচ্ছিল যে জাতির মধ্যে রক্তের সংমিশ্রণ যত বেশি ঘটেছে – সেই জাতির শরীর ও মন তত মজবুত হয়েছে, সেই জাতির মানুষের বুদ্ধিবৃত্তির অধিকতর বিকাশ ঘটেছে ৷ বৃটিশেরাও এই সুবিধাটাই পেয়েছিল। স্বামী বিবেকানন্দও অসবর্ন বিবাহের ব্যাপারটার উপর সমাজবিজ্ঞানীদের নজর দিতে বলেছিলেন । উনি East-West এর সমন্বয় সাধনের কথা বলেছিলেন। গুরুমহারাজ আবার East এর নারী বা পুরুষের সাথে West এর পুরুষ ও নারীর বিবাহের প্রয়োজনীয়তার কথাও বলেছেন । উনি এটাও উল্লেখ করেছেন – বিশেষত ভারতীয় পুরুষদের এখন বেশি বেশি করে Western মেয়েদের বিবাহ করা উচিত – তাহলে অন্ততঃ জাতিটার মধ্যে একটা রজঃভাব বা তেজীভাব আসবে !
গুরু মহারাজ স্বামী পরমানন্দ এই ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা করেছিলেন ৷ উনি বলেছিলেন – নারী-পুরুষের মিলনের পরে যখন ডিম্বাণু ও শুক্রাণুর মিলন ঘটে, তখন উভয় প্রকৃতির জনন কোষের পৃথক পৃথক জিনের নতুন করে বিন্যাস ঘটে এবং একটি নতুন কোষ বা জাইগোট গঠন করে । এই জাইগোট-ই নতুন শরীরের বা অপত্যের প্রথম দেহকোষ ! এরপর এইটার বিভাজন হতে হতে মানব শরীর সৃষ্টি হয় ৷ দেখা গেছে একই পরিবেশের বা একই নরগোষ্ঠীর নারী-পুরুষের একই প্রকারের জিন বিশিষ্ট জনন কোষে কয়েক generation ধরে মিলনের পর সেগুলি দুর্বল হয়ে যাচ্ছে ! কয়েক পুরুষ আগে কোন পরিবারের মানুষের যে শারীরিক বা মানসিক গঠন ছিল, তাদের শরীরে যতটা immunity ছিল, সেগুলি এখন আর থাকছে না ! হয়তো মস্তিষ্ক কোষের বিবর্তনের উন্নতি ঘটেছে, কিন্তু অন্য অনেক কিছুই হারিয়ে যাচ্ছে, কমে যাচ্ছে !
অথচ ভিন্ন ভিন্ন জনগোষ্ঠি(ককেশীয়, অষ্ট্রালয়েড, মোঙ্গলয়েড, নিগ্রয়েড ইত্যাদি)-র নরনারীর মিলনের ফলে উৎপন্ন জাতকেরা সবদিক থেকেই যেন তরতাজা, নতুনভাবে বাঁচার উপযুক্ত(অর্থাৎ উচ্চ immunity power-যুক্ত) শরীর নিয়েই জন্মাচ্ছে! গুরুমহারাজ বলেছিলেন, প্রায় ১০০-বছরের বেশি সময় আগে স্বামী বিবেকানন্দ এই যে ব্যাপারটায় আলোকপাত করেছিলেন, আর এখন সেটাই বর্তমান জীববিজ্ঞানী বা জিনবিজ্ঞানীদের গবেষণায় উঠে আসা ফল। ওরা বলছে __যে সমাজে যত বেশি বৈচিত্র্যধর্মী জিনের নারী-পুরুষের মিলন ঘটবে, সেই সমাজ বা সেই জাতি তত বেশি যুগোপযোগী শরীর লাভ করবে এবং বর্তমান বিশ্বের সমস্ত প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে গিয়ে সহজেই survive করবে।(ক্রমশঃ)
গুরু মহারাজ বলেছিলেন – বড় বড় দেশনেতাসহ সমাজে অনেক নামকরা মানুষ রয়েছে – শিল্পী, সাহিত্যিক, চিত্রকর, সমাজসেবী ইত্যাদি আরো অনেকে, যাদের খুব নামডাক, খুব সম্মান কিন্তু যদি তাদের বিবেকের জাগরন এবং আত্মিক উত্তরণ না হয় – তাহলে সবই বৃথা ৷ ওই ব্যক্তিগনের নামডাক, সম্মান কিছু কালের জন্য স্থায়ী হয় – তারপর তার মৃত্যুর সাথে সাথেই কালের গর্ভে হারিয়ে যায়। এই প্রসঙ্গে উনি সমকালের কিন্তু শিল্পী, সাহিত্যিক, সংগীতজ্ঞ ইত্যাদিদের নাম উল্লেখ করে বলেছিলেন _এরা সমকালে সন্মানিত বা আদৃত হোলেও কালের বুকে এরা স্থান করে নিতে পারবে না। মহাকাল যাদের accept করবে _তারাই শুধু টিকে থাকে।
যাদের বিবেক জাগ্রত, যাদের অধ্যাত্মচেতনার উন্মেষ ঘটেছে অর্থাৎ আত্মিক উত্তরণ ঘটেছে – তাঁদের কাজ, তাঁদের আদর্শ, তাঁদের নাম বহুকাল ধরে মানুষের সমাজে, মানুষের মনের মনিকোঠায় থেকে যাবে ৷ কাউকে কষ্ট করে মনে রাখতে হয় না – মানুষ স্বতঃপ্রণোদিতভাবে – তাঁদেরকে ভালোবেসেই তাঁদেরকে মনে রাখে, তাঁদেরকে অন্তর থেকে শ্রদ্ধা করে !
গুরু মহারাজ যখন ইউরোপ ঘুরছিলেন তখন উনি বেশ কয়েকদিন ইংল্যান্ডে ছিলেন। উনি ওখানে যে কদিন-ই ছিলেন – তাতেই উনি ঐ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে ঘুরে দেখেছিলেন, ওদের এখানকার ইতিহাসও আমাদেরকে বলে দিয়েছিলেন ৷ BlG BEN ঘড়ির কথা যখন বলেছিলেন – তখন তার ইতিহাস, কোন সংস্থা কবে-কখন-কোথায় স্থাপন করেছিল, কত বছরে ক’সেকেন্ড সময়ের হিসাবের হেরফের হয় – এই সমস্ত কথা বলেছিলেন । ইংল্যান্ডের প্রাচীন ইতিহাসের কথা বলতে গিয়ে উনি স্বামী বিবেকানন্দের একটি মন্তব্যকে উল্লেখ করেছিলেন, যেখানেই স্বামীজী ইংল্যান্ডের প্রাচীনত্ব সম্বন্ধে বলতে গিয়ে ওখানকার ভক্তদের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন – “ভারতবর্ষে যখন বিশ্ব শান্তির জন্য মন্ত্র উচ্চারণ হচ্ছে, যজ্ঞের ধূম উদ্গীরণ হচ্ছে – তখন তোদের এই সব স্থানের মানুষেরা বুনো ঘোড়ার পিছনে দৌড়াচ্ছে তাদের বশ মানানোর জন্য !”
গুরু মহারাজও বলেছিলেন – এখন যেটিকে ইংল্যান্ড বলা হচ্ছে, বহু পূর্বে ওখানে আদিম জনজাতিরা বাস করতো ! নর্ম্যান, স্যাকসন, কেল্টিক (~সেলটিক) ইত্যাদি গোষ্ঠীর মানুষের একটা সংমিশ্রনের ফল আজকের ব্রিটিশ জাতি ! রক্তে বিভিন্ন জন-গোষ্ঠীর মিশ্রণ ঘটেছে বলেই জাতিটি এতটা dynamic । জীববিজ্ঞানীরা দেখেছে ভিন্ন ভিন্ন জনগোষ্ঠীর মাতা-পিতার মিলনে উৎপন্ন সন্তানের শারীরিক ও মানসিক গঠন উন্নত হয়, অপরপক্ষে বহুকাল ধরে একই গোষ্ঠীর নর ও নারীর মিলনে উৎপন্ন সন্তান দিন দিন শারীরিক ও মানসিকভাবে দুর্বল হয়, রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা হ্রাস পায় – ইত্যাদি আরও নানান সমস্যায় ভোগে । এইভাবে দেখা গেছে ল্যাপল্যান্ডার, এস্কিমো ইত্যাদি জনজাতিরা_যারা সমাজজীবন থেকে বিচ্ছিন্ন জনগোষ্ঠী, যাদের নিজেদের মধ্যেই শুধু বিয়ে-থা হয়, সেইসব জনগোষ্ঠীর মানুষেরা ধীরে ধীরে অল্পায়ু হয়েছে, অল্প বয়সেই শরীরে যৌবন এসে যাচ্ছে, রোগ-প্রতিরোধক ক্ষমতা খুবই কমে গেছে ! এই জন্যই এই সমস্ত জন-জাতিদেরকে বাঁচানোর জন্য সরকারিভাবে সংরক্ষণ করতে হচ্ছে , সভ্য মানুষদেরকে সেইসব সংরক্ষিত স্থানে প্রায় যেতে দেওয়াই হয় না । কারণ আধুনিক সভ্যতার মানুষের কোন রোগ-ব্যাধি যদি একবার ওইসব জনগোষ্ঠীতে প্রবেশ করে – তাহলে তা মহামারীর আকার ধারণ করবে, কারণ ওই জনগোষ্ঠীর মানুষের শরীরে immunity power খুবই কম !
যাইহোক, কথা হচ্ছিল যে জাতির মধ্যে রক্তের সংমিশ্রণ যত বেশি ঘটেছে – সেই জাতির শরীর ও মন তত মজবুত হয়েছে, সেই জাতির মানুষের বুদ্ধিবৃত্তির অধিকতর বিকাশ ঘটেছে ৷ বৃটিশেরাও এই সুবিধাটাই পেয়েছিল। স্বামী বিবেকানন্দও অসবর্ন বিবাহের ব্যাপারটার উপর সমাজবিজ্ঞানীদের নজর দিতে বলেছিলেন । উনি East-West এর সমন্বয় সাধনের কথা বলেছিলেন। গুরুমহারাজ আবার East এর নারী বা পুরুষের সাথে West এর পুরুষ ও নারীর বিবাহের প্রয়োজনীয়তার কথাও বলেছেন । উনি এটাও উল্লেখ করেছেন – বিশেষত ভারতীয় পুরুষদের এখন বেশি বেশি করে Western মেয়েদের বিবাহ করা উচিত – তাহলে অন্ততঃ জাতিটার মধ্যে একটা রজঃভাব বা তেজীভাব আসবে !
গুরু মহারাজ স্বামী পরমানন্দ এই ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা করেছিলেন ৷ উনি বলেছিলেন – নারী-পুরুষের মিলনের পরে যখন ডিম্বাণু ও শুক্রাণুর মিলন ঘটে, তখন উভয় প্রকৃতির জনন কোষের পৃথক পৃথক জিনের নতুন করে বিন্যাস ঘটে এবং একটি নতুন কোষ বা জাইগোট গঠন করে । এই জাইগোট-ই নতুন শরীরের বা অপত্যের প্রথম দেহকোষ ! এরপর এইটার বিভাজন হতে হতে মানব শরীর সৃষ্টি হয় ৷ দেখা গেছে একই পরিবেশের বা একই নরগোষ্ঠীর নারী-পুরুষের একই প্রকারের জিন বিশিষ্ট জনন কোষে কয়েক generation ধরে মিলনের পর সেগুলি দুর্বল হয়ে যাচ্ছে ! কয়েক পুরুষ আগে কোন পরিবারের মানুষের যে শারীরিক বা মানসিক গঠন ছিল, তাদের শরীরে যতটা immunity ছিল, সেগুলি এখন আর থাকছে না ! হয়তো মস্তিষ্ক কোষের বিবর্তনের উন্নতি ঘটেছে, কিন্তু অন্য অনেক কিছুই হারিয়ে যাচ্ছে, কমে যাচ্ছে !
অথচ ভিন্ন ভিন্ন জনগোষ্ঠি(ককেশীয়, অষ্ট্রালয়েড, মোঙ্গলয়েড, নিগ্রয়েড ইত্যাদি)-র নরনারীর মিলনের ফলে উৎপন্ন জাতকেরা সবদিক থেকেই যেন তরতাজা, নতুনভাবে বাঁচার উপযুক্ত(অর্থাৎ উচ্চ immunity power-যুক্ত) শরীর নিয়েই জন্মাচ্ছে! গুরুমহারাজ বলেছিলেন, প্রায় ১০০-বছরের বেশি সময় আগে স্বামী বিবেকানন্দ এই যে ব্যাপারটায় আলোকপাত করেছিলেন, আর এখন সেটাই বর্তমান জীববিজ্ঞানী বা জিনবিজ্ঞানীদের গবেষণায় উঠে আসা ফল। ওরা বলছে __যে সমাজে যত বেশি বৈচিত্র্যধর্মী জিনের নারী-পুরুষের মিলন ঘটবে, সেই সমাজ বা সেই জাতি তত বেশি যুগোপযোগী শরীর লাভ করবে এবং বর্তমান বিশ্বের সমস্ত প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে গিয়ে সহজেই survive করবে।(ক্রমশঃ)