গুরুমহারাজ স্বামী পরমানন্দ আদিম মানবসমাজের বিবর্তনের যে ইতিহাস আমাদের কাছে বলেছিলেন, সেগুলির মধ্যে আমার যেটুকু স্মরণে রয়েছে – সেইটুকু আপনাদের সকলের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করছিলাম ৷ সেই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে আমরা দেখেছি যে আদিকাল থেকেই মানব গোষ্ঠীর দুটি ধারা ছিল – পশুপালক গোষ্ঠী (বা বোহেমিয়ান) এবং কৃষিজীবী গোষ্ঠী । ঐ কৃষিজীবী গোষ্ঠীর মানবেরাই পৃথিবীতে সভ্যতার বিবর্তন ঘটাতে সক্ষম হয়েছিল । তাদের জনজীবনের সুখ-সমৃদ্ধি-নিশ্চিন্ততা দেখে পরবর্তীতে পশুপালক গোষ্ঠীর জনগণেরাও একে একে ভ্রাম্যমান জীবন ছেড়ে সমাজবদ্ধ জীবনে ফিরে এসেছিল । কিন্তু যারা_ পরে পরে ফিরে এসেছিল, তাদের চাল-চলন, আচার-আচরণ, স্বভাব-বৈশিষ্ট্য ইত্যাদি পর্যালোচনা করলে বোঝা যায় যে তাদের মধ্যে এখনো অসভ্য মানব বা অনুন্নত মানবের সংস্কার রয়ে-ই গেছে ! তারা কখনোই সহনশীল নয়, ধৈর্যশীল নয়, ক্ষমাশীল নয়, দয়াশীল নয়, সর্বোপরি তাদের মধ্যে ভালোবাসা অর্থাৎ শ্রদ্ধা, ভালোবাসা, স্নেহ এগুলি সম্পূর্ণরূপে জাগ্রত হয় না !
” ভালোবাসা অর্থাৎ শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও স্নেহ ” – এই যে কথাটি বলা হল এই ব্যাপারটা আমরা গুরু মহারাজের নিকট যেমনটি শুনেছিলাম, সেটি এই প্রসঙ্গে আলোচনা করে রাখি, কারণ পরে বিস্মরণ হয়ে যেতে পারে । গুরু মহারাজ বলেছিলেন – ভালোবাসার তিন ধরনের প্রকাশ সমাজ জীবনে প্রতিফলিত হয় – শ্রদ্ধা, ভালোবাসা এবং স্নেহ ৷ ছোটরা যখন কোন গুরুজনদের প্রতি তাদের ভক্তি ও ভালোবাসা প্রদর্শন করে, সেটিকেই আমরা বলি “শ্রদ্ধা” ! সমবয়সীরা যখন পরস্পর পরস্পরকে ভালোবাসে – সেটাকেই সমাজ জীবনে “ভালোবাসা” আখ্যা দেওয়া হয় এবং বড়রা বা গুরুজনেরা যখন ছোটদেরকে ভালোবাসা প্রদর্শন করে, সেটাকে বলা হয় “স্নেহ” । “প্রেম”- শব্দটির প্রকৃত অর্থ কিন্তু এসবের ঊর্ধ্বে ! যেগুলি পূর্বে বলা হয়েছে, ওইগুলিতে তবুও দেওয়া-নেওয়া, চাওয়া-পাওয়ার সম্পর্ক রয়েছে, প্রকৃত প্রেমে কিন্তু এসব কিছু নাই । সেখানে শুধুই দেওয়া ! প্রেমিক প্রেমাস্পদকে শুধু দিয়েই যায় – তার দেওয়াতেই আনন্দ ! এটা অপার্থিব – তাই পার্থিব বুদ্ধি দিয়ে এর বিচার করা যায় না !
যাইহোক, আমরা আমাদের মূল আলোচনায় ফিরে আসি । গুরু মহারাজ উদাহরণ দিয়ে বলেছিলেন – যারা পরবর্তীতে সভ্য জীবন গ্রহণ করেছিল, তাদের কিছু আচরণের কথা ।যেগুলি বিচার করলে বোঝা যায় – এরা অনেক পরে সভ্য হয়েছে ! বিবর্তনে মানব যতই উন্নত হয়েছে, ততই তার মধ্যে মানবিক গুণের বিকাশ ঘটেছে ৷ মানবিক গুণ বলতে ওই যে আগে বলা হলো, সেগুলিকে বোঝায়, যেমন – দয়া, ক্ষমা, ভালোবাসা, সহনশীলতা, ধৈর্যশীলতা, অপরকে মান্যতা দেওয়া বা গ্রহণ করার ক্ষমতা ইত্যাদি । অপরপক্ষে, পরবর্তীতে সমাজ জীবনকে গ্রহণ করে সভ্য হয়েছে যারা, তাদের মধ্যে দেখা যায় – নিষ্ঠুরতা, হিংসা, নির্দয়তা, অসহনশীলতা, ধৈর্যহীনতা, স্বার্থপরতা ইত্যাদি অমানবিক গুণগুলি।
এখানে একটা জিনিস বুঝতে হবে – ঈশ্বরীয় দৃষ্টিতে বা বিরাটের দৃষ্টিতে (এই কথাটাই গুরুমহারাজ বেশি ব্যবহার করতেন) এগুলির কোনটাই ভালো বা মন্দ নয় ! কারণ তিনি তো সবই জানেন – সবই ঘটাচ্ছেন, সমস্ত কারণের তিনিই কারণ ! সমস্ত ফলের তিনিই ফলদাতা !
আমরা সাধারণ মানুষেরা যখন আমাদের ক্ষুদ্র চিন্তা দিয়ে বা ক্ষুদ্র দৃষ্টিতে কোন ঘটনা বিচার করি – তখনই নানান কিছু দোষ-ত্রুটি, ভুল-ঠিক, ভাল-মন্দের বিচার করতে বসি । কিন্তু আজ পর্যন্ত কোন মহামানব কি এগুলি করেছেন – কখনও অন্য কারো দোষ-ত্রুটি, ভালো-মন্দ নিয়ে পড়ে থেকেছেন ? না – তা তাঁরা কখনোই করেন না ! তাঁরা এই পৃথিবী গ্রহের কোন একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলে শরীর গ্রহণ করেন এবং নির্দিষ্ট কিছু কাজ সম্পন্ন করে চলে যান । তারপরে, তাঁর followers-রা, তাঁর শিক্ষাকে নিয়ে কতটা বিকৃত করল বা মানুষকে ভুল পথে কতটা নিয়ে গেল – এই নিয়ে কোনো মাথাব্যথাই তাঁরা দেখান না ! এসব ঠিক করার জন্য আবার অন্য একজন আসেন – হয়তো অন্য কোথাও, অন্য কোন পরম্পরায়, অন্য কোনো নাম বা রূপে !
গুরু মহারাজ বলেছিলেন – এই যে মহাপুরুষগণের আগমন বা অবতরণ (রসূল, দূত বা অবতার রূপে) এরও নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে ৷ আর সেই নিয়ম এই মহাজাগতিক মহাপ্রাকৃতিক নিয়মের মধ্যেই পড়ে । এই মহাবিশ্বপ্রকৃতি যে মুহূর্তে সৃষ্টি হয়েছিল, সেই মুহূর্তেই এর স্থিতিকাল এবং ধ্বংসের সময়কাল নির্দিষ্ট হয়ে গিয়েছিল ৷ এখন আমরা দেখছি এই জগতের স্থিতিকাল চলছে – কিন্তু কোন কোন সৌরমন্ডল বা কোথাও কোন নক্ষত্র বা গ্রহ ধ্বংসও হয়ে চলেছে!এই বিশাল ব্রহ্মাণ্ডে আবার হয়তো কোন না কোন গ্রহ বা নক্ষত্র এই মুহূর্তেই জন্মও নিচ্ছে !
গুরুমহারাজ বলেছিলেন – এই যে কার্য সংঘটিত হয়ে চলেছে অর্থাৎ একই সাথে সৃষ্টি, স্থিতি ও লয় – এটাকেই কোন কোন সাধক “মায়ের লীলা”- হিসাবে বর্ণনা করেছেন ৷ ইউরোপিয়ানরাও মহাপ্রকৃতিকে বলে Mother nature ! ব্যাপারটা একই – ভারতবর্ষে প্রাচীন কাল থেকে অর্থাৎ মানুষ যখন থেকে অন্তর্মূখী হয়ে আত্মতত্বের বোধ করল এবং ঋষি-স্থিতি লাভ করলো তখন থেকে বৈদিক যুগ পর্যন্ত কোন মূর্তিপূজা শুরু হয়নি, কিন্তু পৌরাণিক যুগ থেকে ভারতীয় দর্শন বা ঈশ্বরতত্ত্বকে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেবার জন্য মূর্তির প্রচলন শুরু হয়েছিল ৷ কোন তত্ত্বকে সহজ-সরলভাবে সকলকে বোঝানোর জন্য – প্রতীক এবং প্রতিমার ব্যবহার শুরু করা হয়েছিল – যেটা আজও ভারতীয় সমাজে চালু রয়েছে ৷
যাইহোক, কথা হচ্ছিল মহাপুরুষদের অবতরণ নিয়ে – যেটা মহাজাগতিক নিয়মের মধ্যেই পড়ে ৷ গুরুমহারাজ বলেছিলেন – পৃথিবী গ্রহটি যে সৌরমণ্ডলের মধ্যে অবস্থিত, সেই রকম শত-সহস্র সৌরমন্ডল এই মহাবিশ্বে রয়েছে ৷ এই সৌরমন্ডলে যেমন একমাত্র পৃথিবীগ্রহতেই প্রাণের সঞ্চার রয়েছে, তেমনি শত-সহস্র ঐ সব সৌরমণ্ডলের মধ্যে অনেক স্থানে প্রাণের স্পন্দন রয়েছে । তাদের মধ্যে অনেক গ্রহে এমন জীব রয়েছে, যারা পৃথিবী গ্রহের মানুষের থেকে উন্নত, আবার কোন কোন গ্রহের জীব _এমন রয়েছে যারা এখানকার মানুষদের থেকেও অনুন্নত ! এমনকি অনেক জায়গা এমন রয়েছে যেখানে গুরুমহারাজ ঢুকতেই পারেন নি ! সেখানে এত গভীর জমাট অন্ধকার যে,– সেই জমাট অন্ধকার ঠেলে ঠেলে ঢুকতে হয় । উনি সেই জমাট অন্ধকার ঠেলে বেশিদূর এগোতেই পারেন নি ! সেইটা উল্লেখ করে গুরুমহারাজ বলেছিলেন – “ওখানে চেষ্টা করলেও কৃপার বাতাসও পৌঁছায় না ! “… [ক্রমশঃ]
” ভালোবাসা অর্থাৎ শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও স্নেহ ” – এই যে কথাটি বলা হল এই ব্যাপারটা আমরা গুরু মহারাজের নিকট যেমনটি শুনেছিলাম, সেটি এই প্রসঙ্গে আলোচনা করে রাখি, কারণ পরে বিস্মরণ হয়ে যেতে পারে । গুরু মহারাজ বলেছিলেন – ভালোবাসার তিন ধরনের প্রকাশ সমাজ জীবনে প্রতিফলিত হয় – শ্রদ্ধা, ভালোবাসা এবং স্নেহ ৷ ছোটরা যখন কোন গুরুজনদের প্রতি তাদের ভক্তি ও ভালোবাসা প্রদর্শন করে, সেটিকেই আমরা বলি “শ্রদ্ধা” ! সমবয়সীরা যখন পরস্পর পরস্পরকে ভালোবাসে – সেটাকেই সমাজ জীবনে “ভালোবাসা” আখ্যা দেওয়া হয় এবং বড়রা বা গুরুজনেরা যখন ছোটদেরকে ভালোবাসা প্রদর্শন করে, সেটাকে বলা হয় “স্নেহ” । “প্রেম”- শব্দটির প্রকৃত অর্থ কিন্তু এসবের ঊর্ধ্বে ! যেগুলি পূর্বে বলা হয়েছে, ওইগুলিতে তবুও দেওয়া-নেওয়া, চাওয়া-পাওয়ার সম্পর্ক রয়েছে, প্রকৃত প্রেমে কিন্তু এসব কিছু নাই । সেখানে শুধুই দেওয়া ! প্রেমিক প্রেমাস্পদকে শুধু দিয়েই যায় – তার দেওয়াতেই আনন্দ ! এটা অপার্থিব – তাই পার্থিব বুদ্ধি দিয়ে এর বিচার করা যায় না !
যাইহোক, আমরা আমাদের মূল আলোচনায় ফিরে আসি । গুরু মহারাজ উদাহরণ দিয়ে বলেছিলেন – যারা পরবর্তীতে সভ্য জীবন গ্রহণ করেছিল, তাদের কিছু আচরণের কথা ।যেগুলি বিচার করলে বোঝা যায় – এরা অনেক পরে সভ্য হয়েছে ! বিবর্তনে মানব যতই উন্নত হয়েছে, ততই তার মধ্যে মানবিক গুণের বিকাশ ঘটেছে ৷ মানবিক গুণ বলতে ওই যে আগে বলা হলো, সেগুলিকে বোঝায়, যেমন – দয়া, ক্ষমা, ভালোবাসা, সহনশীলতা, ধৈর্যশীলতা, অপরকে মান্যতা দেওয়া বা গ্রহণ করার ক্ষমতা ইত্যাদি । অপরপক্ষে, পরবর্তীতে সমাজ জীবনকে গ্রহণ করে সভ্য হয়েছে যারা, তাদের মধ্যে দেখা যায় – নিষ্ঠুরতা, হিংসা, নির্দয়তা, অসহনশীলতা, ধৈর্যহীনতা, স্বার্থপরতা ইত্যাদি অমানবিক গুণগুলি।
এখানে একটা জিনিস বুঝতে হবে – ঈশ্বরীয় দৃষ্টিতে বা বিরাটের দৃষ্টিতে (এই কথাটাই গুরুমহারাজ বেশি ব্যবহার করতেন) এগুলির কোনটাই ভালো বা মন্দ নয় ! কারণ তিনি তো সবই জানেন – সবই ঘটাচ্ছেন, সমস্ত কারণের তিনিই কারণ ! সমস্ত ফলের তিনিই ফলদাতা !
আমরা সাধারণ মানুষেরা যখন আমাদের ক্ষুদ্র চিন্তা দিয়ে বা ক্ষুদ্র দৃষ্টিতে কোন ঘটনা বিচার করি – তখনই নানান কিছু দোষ-ত্রুটি, ভুল-ঠিক, ভাল-মন্দের বিচার করতে বসি । কিন্তু আজ পর্যন্ত কোন মহামানব কি এগুলি করেছেন – কখনও অন্য কারো দোষ-ত্রুটি, ভালো-মন্দ নিয়ে পড়ে থেকেছেন ? না – তা তাঁরা কখনোই করেন না ! তাঁরা এই পৃথিবী গ্রহের কোন একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলে শরীর গ্রহণ করেন এবং নির্দিষ্ট কিছু কাজ সম্পন্ন করে চলে যান । তারপরে, তাঁর followers-রা, তাঁর শিক্ষাকে নিয়ে কতটা বিকৃত করল বা মানুষকে ভুল পথে কতটা নিয়ে গেল – এই নিয়ে কোনো মাথাব্যথাই তাঁরা দেখান না ! এসব ঠিক করার জন্য আবার অন্য একজন আসেন – হয়তো অন্য কোথাও, অন্য কোন পরম্পরায়, অন্য কোনো নাম বা রূপে !
গুরু মহারাজ বলেছিলেন – এই যে মহাপুরুষগণের আগমন বা অবতরণ (রসূল, দূত বা অবতার রূপে) এরও নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে ৷ আর সেই নিয়ম এই মহাজাগতিক মহাপ্রাকৃতিক নিয়মের মধ্যেই পড়ে । এই মহাবিশ্বপ্রকৃতি যে মুহূর্তে সৃষ্টি হয়েছিল, সেই মুহূর্তেই এর স্থিতিকাল এবং ধ্বংসের সময়কাল নির্দিষ্ট হয়ে গিয়েছিল ৷ এখন আমরা দেখছি এই জগতের স্থিতিকাল চলছে – কিন্তু কোন কোন সৌরমন্ডল বা কোথাও কোন নক্ষত্র বা গ্রহ ধ্বংসও হয়ে চলেছে!এই বিশাল ব্রহ্মাণ্ডে আবার হয়তো কোন না কোন গ্রহ বা নক্ষত্র এই মুহূর্তেই জন্মও নিচ্ছে !
গুরুমহারাজ বলেছিলেন – এই যে কার্য সংঘটিত হয়ে চলেছে অর্থাৎ একই সাথে সৃষ্টি, স্থিতি ও লয় – এটাকেই কোন কোন সাধক “মায়ের লীলা”- হিসাবে বর্ণনা করেছেন ৷ ইউরোপিয়ানরাও মহাপ্রকৃতিকে বলে Mother nature ! ব্যাপারটা একই – ভারতবর্ষে প্রাচীন কাল থেকে অর্থাৎ মানুষ যখন থেকে অন্তর্মূখী হয়ে আত্মতত্বের বোধ করল এবং ঋষি-স্থিতি লাভ করলো তখন থেকে বৈদিক যুগ পর্যন্ত কোন মূর্তিপূজা শুরু হয়নি, কিন্তু পৌরাণিক যুগ থেকে ভারতীয় দর্শন বা ঈশ্বরতত্ত্বকে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেবার জন্য মূর্তির প্রচলন শুরু হয়েছিল ৷ কোন তত্ত্বকে সহজ-সরলভাবে সকলকে বোঝানোর জন্য – প্রতীক এবং প্রতিমার ব্যবহার শুরু করা হয়েছিল – যেটা আজও ভারতীয় সমাজে চালু রয়েছে ৷
যাইহোক, কথা হচ্ছিল মহাপুরুষদের অবতরণ নিয়ে – যেটা মহাজাগতিক নিয়মের মধ্যেই পড়ে ৷ গুরুমহারাজ বলেছিলেন – পৃথিবী গ্রহটি যে সৌরমণ্ডলের মধ্যে অবস্থিত, সেই রকম শত-সহস্র সৌরমন্ডল এই মহাবিশ্বে রয়েছে ৷ এই সৌরমন্ডলে যেমন একমাত্র পৃথিবীগ্রহতেই প্রাণের সঞ্চার রয়েছে, তেমনি শত-সহস্র ঐ সব সৌরমণ্ডলের মধ্যে অনেক স্থানে প্রাণের স্পন্দন রয়েছে । তাদের মধ্যে অনেক গ্রহে এমন জীব রয়েছে, যারা পৃথিবী গ্রহের মানুষের থেকে উন্নত, আবার কোন কোন গ্রহের জীব _এমন রয়েছে যারা এখানকার মানুষদের থেকেও অনুন্নত ! এমনকি অনেক জায়গা এমন রয়েছে যেখানে গুরুমহারাজ ঢুকতেই পারেন নি ! সেখানে এত গভীর জমাট অন্ধকার যে,– সেই জমাট অন্ধকার ঠেলে ঠেলে ঢুকতে হয় । উনি সেই জমাট অন্ধকার ঠেলে বেশিদূর এগোতেই পারেন নি ! সেইটা উল্লেখ করে গুরুমহারাজ বলেছিলেন – “ওখানে চেষ্টা করলেও কৃপার বাতাসও পৌঁছায় না ! “… [ক্রমশঃ]