(শাশ্ত্রোক্ত “আহার নিদ্রা মৈথুনঞ্চ ভয়ম্”_কথার এখন “মৈথুন” সম্বন্ধীয় আলোচনা চলছে।)
গুরুমহারাজ স্বামী পরমানন্দ বলেছিলেন – ” ভোগ করেন ভগবান ৷ বাকিদের তো ভোগ করতে গিয়ে দুর্ভোগ পোহাতে হয় বেশি ৷” শাস্ত্র বলেছে, “তেন তক্তেণ ভুঞ্জিথাঃ”– ত্যাগের দ্বারা ভোগ করতে হয় ৷ সাধারণ মানুষ যৌন মিলনকে তাদের জীবনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ আনন্দের ভোগ বলে মনে করে ! গুরুমহারাজ একবার বলেছিলেন – ” সাধারণভাবে পুরুষেরা বোকা, নারীরা চালাক ! মিলনে তো পুরুষের ক্ষয়ে আনন্দ – সেই অর্থে অনেক বেশি আনন্দ উপভোগ করে নারী (এই ব্যাপারে গুরু মহারাজ এক ঋষির নাম উল্লেখ করেছিলেন_যিনি জ্ঞানের গভীরে প্রবেশ করে _এই রহস্য বোধে বোধ করেন। এরপর উনি সংকল্প কোরে পুনরায় নারী শরীর ধারণ করেন এবং মিলনের যথার্থ আস্বাদন উপভোগ করেন!)। আর পুরুষের একমাত্র প্রচেষ্টা থাকে নারীকে আনন্দ দানের ! কিন্তু যথাযথ কৌশল জানা না থাকায় পুরুষ নারীকে আনন্দ দিতে পারে না – নিজেও বিষাদগ্রস্থ হয় ! দিনের পর দিন এমনটা চলতে থাকায় সংসারে নারী ধীরে ধীরে upper-hand হয়ে যায় এবং পুরুষটি স্ত্রৈণ হয়ে যায় অথবা বহু ক্ষেত্রে পুরুষের অপারঙ্গমতার জন্য স্ত্রীরা বিপথগামী হয়ে যায় ।”
তারপর গুরুমহারাজ বলেছিলেন – “দুঃখময় এই সংসারে বাস করে ভোগ করতে চাইলে _ গৃহীদেরকে সেই ‘ত্যাগী’দের কাছেই আসতে হবে ৷ তাদের কাছে এসে ভোগের কৌশলটি শিখে নিয়ে তবে সংসারে গিয়ে ভোগ করতে পারবে – অন্যথায় নয় ! বৈদিক যুগে এইভাবেই বাল্য এবং কৈশোর গুরুগৃহে কাটিয়ে ছেলেরা ২১_ বছর বয়েসের পর সংসার আশ্রমে ফিরে যেতো এবং সংযমী জীবন যাপন করতে পারতো(যেহেতু ঋষি আশ্রমে ছোটবেলা থেকেই সংযমের পাঠ নেওয়া ছিল)।
তবে ভোগ করতে চাইলেও সাধারণ মানুষের ভোগ আর হয় কোথায় বাবা – সবই তো উপভোগ ! আর এ ব্যপারেও শাস্ত্র বলেছে, “ন জাতুঃ কামকামানাং উপভোগেন শাম্যতিঃ”। কাম বা কামনা কখনোই উপভোগের দ্বারা প্রশমিত হয় না – বরং দিন দিন তা বেড়েই চলে এবং অতৃপ্তির জ্বালা তাকে তাড়িয়ে তাড়িয়ে নিয়ে বেড়ায় ! এইভাবে একটা শরীর পাত(নষ্ট)) হয়ে গেলেও পরবর্তী শরীরে যৌবনের প্রারম্ভেই ওই পূর্ব পূর্ব জীবনের অতৃপ্ত কামনা পুনরায় মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে ৷ এইভাবেই মানুষের জীবনচক্র(জন্ম, জীবনকাল অর্থাৎ বাঁচা এবং বাড়া) চলে জন্ম থেকে জন্মান্তরে ৷”
গুরুমহারাজ একদিন বলেছিলেন – ভারতীয় ছেলে এবং মেয়েরা ঋষি-মুনি-মহাত্মা-মহাজনদের শিক্ষা এবং বেদ, পুরাণ, মহাকাব্যগুলির চরিত্রের আদর্শ শিক্ষায় ছোটবেলা থেকেই পারিবারিকভাবে এমনভাবে শিক্ষিত হয়ে ওঠে যে ছোট ছোট মেয়েরাও জানে __ সীতা, সাবিত্রীর মতো সতী হয়ে ওঠাই তাদের জীবনের একমাত্র লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য !
মুসলিমরা এবং পরবর্তীতে ইউরোপীয়রা ভারতে অনুপ্রবেশ এবং বসবাস করতে থাকার আগে পর্যন্ত ভারতবর্ষের সাধারণ মানুষের মধ্যে মহান ঐ সকল শিক্ষাগুলির প্রভাব খুবই ছিল । শত শত মেয়ে বাল্যবিধবা হয়েও সারা জীবন সংসারের মধ্যেই ব্রহ্মচারীণীর ন্যায় জীবন-যাপন করতো – এটা পাশ্চাত্যের দেশগুলির মেয়েরা ভাবতেই পারবে না !
গুরুমহারাজ আরো বলেছিলেন যে – এক প্রজন্ম আগেও (আজ থেকে ৪০/৫০ বছর আগে) গ্রাম্য গৃহস্থ বাড়ির মায়েরা orgasm ব্যাপারটা সম্বন্ধে ওয়াকিবহাল-ই ছিলেন না । হয়তো এমন হয়েছে যে, সারা জীবন স্বামীর সাথে ঘর সংসার করেও তখনকার মায়েরা মিলনের সময়ে নিজেদের কোন সন্তুষ্টির চাহিদাও করেন নি বা এটাও যে একটা matter সেই নিয়েও কখনো মাথা-ই ঘামান নি । দীর্ঘদিন স্বামীর সাথে ঘর করেছেন,দু-চারিটি সন্তানও হয়েছে_কিন্তু বাড়ির ঐ মা-টি কখনোই মিলনের চরম সুখ সারা জীবনে হয়তো অনুভবই করতে পারেন নি।
পাশ্চাত্য দেশগুলো এই নিয়ে খুবই গবেষণা করেছে, ওখানকার নারীরা দীর্ঘদিন থেকেই রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রচুর স্বাধীনতা পেয়েছে – তাই তারা sex-education-এও অনেকটা এগিয়ে এসেছে। ফলে_ অর্গাজম, sex-satisfaction এই ব্যাপারগুলি তারা যে কোনো ভাবে মিটিয়ে নেয়।এখন কৃত্রিম পদ্ধতি আসায় first world এর মেয়েরা আর পুরুষদের পরোয়াও করছে না!
কিন্তু মুশকিলটা হোল – পুরুষের এই ব্যাপারে সীমাবদ্ধতা রয়েছে, তাই নারী যখন থেকেই জেগেছে(অর্থাৎ ব্যাপারটা সম্বন্ধে সম্যক জ্ঞান অর্জন করেছে)–সে পুরুষের ওই সীমাবদ্ধতার ব্যাপারটা জেনে গেছে ! সুতরাং পাশ্চাত্যের নারীরা তাদের sex-satisfaction-এর জন্য আর একটা পুরুষে নিজেদেরকে আটকে রাখতে পারেনি । এরফলেই ওদের সমাজের একটা উশৃংখলতা দেখা দিয়েছে । নারীর পবিত্র থাকার ব্যাপারটা sex-education আসার পর থেকেই নষ্ট হয়ে গিয়েছে ৷
কেন___ নারীকে পবিত্র থাকার ব্যাপারটাই বা কেন এতোটা জরুরি ? এ ব্যাপারে গুরুমহারাজ বলেছিলেন – ” উন্নত soul-রা যুগপ্রয়োজনে অর্থাৎ মানবজাতির কল্যানের জন্য যখনই শরীর ধারণ করতে চায় – তখনই প্রয়োজন হয় ‘উপযুক্ত আধার’ বা ‘পবিত্র গর্ভের’ । বেশি বেশি মহাপুরুষ, উন্নত মানবকে জন্ম দেবার জন্য বেশি বেশি পবিত্র মায়ের খুবই প্রয়োজন !” … [ক্রমশঃ]
গুরুমহারাজ স্বামী পরমানন্দ বলেছিলেন – ” ভোগ করেন ভগবান ৷ বাকিদের তো ভোগ করতে গিয়ে দুর্ভোগ পোহাতে হয় বেশি ৷” শাস্ত্র বলেছে, “তেন তক্তেণ ভুঞ্জিথাঃ”– ত্যাগের দ্বারা ভোগ করতে হয় ৷ সাধারণ মানুষ যৌন মিলনকে তাদের জীবনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ আনন্দের ভোগ বলে মনে করে ! গুরুমহারাজ একবার বলেছিলেন – ” সাধারণভাবে পুরুষেরা বোকা, নারীরা চালাক ! মিলনে তো পুরুষের ক্ষয়ে আনন্দ – সেই অর্থে অনেক বেশি আনন্দ উপভোগ করে নারী (এই ব্যাপারে গুরু মহারাজ এক ঋষির নাম উল্লেখ করেছিলেন_যিনি জ্ঞানের গভীরে প্রবেশ করে _এই রহস্য বোধে বোধ করেন। এরপর উনি সংকল্প কোরে পুনরায় নারী শরীর ধারণ করেন এবং মিলনের যথার্থ আস্বাদন উপভোগ করেন!)। আর পুরুষের একমাত্র প্রচেষ্টা থাকে নারীকে আনন্দ দানের ! কিন্তু যথাযথ কৌশল জানা না থাকায় পুরুষ নারীকে আনন্দ দিতে পারে না – নিজেও বিষাদগ্রস্থ হয় ! দিনের পর দিন এমনটা চলতে থাকায় সংসারে নারী ধীরে ধীরে upper-hand হয়ে যায় এবং পুরুষটি স্ত্রৈণ হয়ে যায় অথবা বহু ক্ষেত্রে পুরুষের অপারঙ্গমতার জন্য স্ত্রীরা বিপথগামী হয়ে যায় ।”
তারপর গুরুমহারাজ বলেছিলেন – “দুঃখময় এই সংসারে বাস করে ভোগ করতে চাইলে _ গৃহীদেরকে সেই ‘ত্যাগী’দের কাছেই আসতে হবে ৷ তাদের কাছে এসে ভোগের কৌশলটি শিখে নিয়ে তবে সংসারে গিয়ে ভোগ করতে পারবে – অন্যথায় নয় ! বৈদিক যুগে এইভাবেই বাল্য এবং কৈশোর গুরুগৃহে কাটিয়ে ছেলেরা ২১_ বছর বয়েসের পর সংসার আশ্রমে ফিরে যেতো এবং সংযমী জীবন যাপন করতে পারতো(যেহেতু ঋষি আশ্রমে ছোটবেলা থেকেই সংযমের পাঠ নেওয়া ছিল)।
তবে ভোগ করতে চাইলেও সাধারণ মানুষের ভোগ আর হয় কোথায় বাবা – সবই তো উপভোগ ! আর এ ব্যপারেও শাস্ত্র বলেছে, “ন জাতুঃ কামকামানাং উপভোগেন শাম্যতিঃ”। কাম বা কামনা কখনোই উপভোগের দ্বারা প্রশমিত হয় না – বরং দিন দিন তা বেড়েই চলে এবং অতৃপ্তির জ্বালা তাকে তাড়িয়ে তাড়িয়ে নিয়ে বেড়ায় ! এইভাবে একটা শরীর পাত(নষ্ট)) হয়ে গেলেও পরবর্তী শরীরে যৌবনের প্রারম্ভেই ওই পূর্ব পূর্ব জীবনের অতৃপ্ত কামনা পুনরায় মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে ৷ এইভাবেই মানুষের জীবনচক্র(জন্ম, জীবনকাল অর্থাৎ বাঁচা এবং বাড়া) চলে জন্ম থেকে জন্মান্তরে ৷”
গুরুমহারাজ একদিন বলেছিলেন – ভারতীয় ছেলে এবং মেয়েরা ঋষি-মুনি-মহাত্মা-মহাজনদের শিক্ষা এবং বেদ, পুরাণ, মহাকাব্যগুলির চরিত্রের আদর্শ শিক্ষায় ছোটবেলা থেকেই পারিবারিকভাবে এমনভাবে শিক্ষিত হয়ে ওঠে যে ছোট ছোট মেয়েরাও জানে __ সীতা, সাবিত্রীর মতো সতী হয়ে ওঠাই তাদের জীবনের একমাত্র লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য !
মুসলিমরা এবং পরবর্তীতে ইউরোপীয়রা ভারতে অনুপ্রবেশ এবং বসবাস করতে থাকার আগে পর্যন্ত ভারতবর্ষের সাধারণ মানুষের মধ্যে মহান ঐ সকল শিক্ষাগুলির প্রভাব খুবই ছিল । শত শত মেয়ে বাল্যবিধবা হয়েও সারা জীবন সংসারের মধ্যেই ব্রহ্মচারীণীর ন্যায় জীবন-যাপন করতো – এটা পাশ্চাত্যের দেশগুলির মেয়েরা ভাবতেই পারবে না !
গুরুমহারাজ আরো বলেছিলেন যে – এক প্রজন্ম আগেও (আজ থেকে ৪০/৫০ বছর আগে) গ্রাম্য গৃহস্থ বাড়ির মায়েরা orgasm ব্যাপারটা সম্বন্ধে ওয়াকিবহাল-ই ছিলেন না । হয়তো এমন হয়েছে যে, সারা জীবন স্বামীর সাথে ঘর সংসার করেও তখনকার মায়েরা মিলনের সময়ে নিজেদের কোন সন্তুষ্টির চাহিদাও করেন নি বা এটাও যে একটা matter সেই নিয়েও কখনো মাথা-ই ঘামান নি । দীর্ঘদিন স্বামীর সাথে ঘর করেছেন,দু-চারিটি সন্তানও হয়েছে_কিন্তু বাড়ির ঐ মা-টি কখনোই মিলনের চরম সুখ সারা জীবনে হয়তো অনুভবই করতে পারেন নি।
পাশ্চাত্য দেশগুলো এই নিয়ে খুবই গবেষণা করেছে, ওখানকার নারীরা দীর্ঘদিন থেকেই রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রচুর স্বাধীনতা পেয়েছে – তাই তারা sex-education-এও অনেকটা এগিয়ে এসেছে। ফলে_ অর্গাজম, sex-satisfaction এই ব্যাপারগুলি তারা যে কোনো ভাবে মিটিয়ে নেয়।এখন কৃত্রিম পদ্ধতি আসায় first world এর মেয়েরা আর পুরুষদের পরোয়াও করছে না!
কিন্তু মুশকিলটা হোল – পুরুষের এই ব্যাপারে সীমাবদ্ধতা রয়েছে, তাই নারী যখন থেকেই জেগেছে(অর্থাৎ ব্যাপারটা সম্বন্ধে সম্যক জ্ঞান অর্জন করেছে)–সে পুরুষের ওই সীমাবদ্ধতার ব্যাপারটা জেনে গেছে ! সুতরাং পাশ্চাত্যের নারীরা তাদের sex-satisfaction-এর জন্য আর একটা পুরুষে নিজেদেরকে আটকে রাখতে পারেনি । এরফলেই ওদের সমাজের একটা উশৃংখলতা দেখা দিয়েছে । নারীর পবিত্র থাকার ব্যাপারটা sex-education আসার পর থেকেই নষ্ট হয়ে গিয়েছে ৷
কেন___ নারীকে পবিত্র থাকার ব্যাপারটাই বা কেন এতোটা জরুরি ? এ ব্যাপারে গুরুমহারাজ বলেছিলেন – ” উন্নত soul-রা যুগপ্রয়োজনে অর্থাৎ মানবজাতির কল্যানের জন্য যখনই শরীর ধারণ করতে চায় – তখনই প্রয়োজন হয় ‘উপযুক্ত আধার’ বা ‘পবিত্র গর্ভের’ । বেশি বেশি মহাপুরুষ, উন্নত মানবকে জন্ম দেবার জন্য বেশি বেশি পবিত্র মায়ের খুবই প্রয়োজন !” … [ক্রমশঃ]