শ্রী শ্রী গুরুমহারাজ স্বামী পরমানন্দের কথা (লিখিত এবং কথিত) এখানে আলোচনা করা হচ্ছিলো ৷ যুগপুরুষ পরমানন্দ, মহাবাউল পরমানন্দ নিজেই *বাউলের মর্মকথা* নামক গ্রন্থে ‘বাউল’ সম্বন্ধে যে সমস্ত নতুন তত্ত্ব ও তথ্য সরবরাহ করেছেন । আগামী পৃথিবীর মানুষের বেশিরভাগের একমাত্র গ্রহণযোগ্য ধর্মমত হোতে চলেছে এই *’বাউল মত’*, যা প্রাচীন ভারতবর্ষের ঋষিদের বোধজাত সত্য, যা উপনিষদের বাণীরূপে প্রকাশিত হয়েছিল – সেই চরম বা পরম সত্যেরই আধুনিক রূপ। যাইহোক, আমরা দেখি এরপর গুরু মহারাজ ‘বাউল’ প্রসঙ্গে আরো কি কি বলেছেন – :
গুরুমহারাজ এরপরে বর্তমানের বাউল সম্বন্ধে বলেছেন – “পরবর্তীকালে বৌদ্ধতান্ত্রিক, ইসলামিক সুফী ও দক্ষিণের বৈষ্ণব মতবাদের ধারা এসে এই বাউলদের মধ্যে মিশে যায়, ফলে নানাপ্রকার মতের সৃষ্টি হোতে দেখা যায় বর্তমান বাউলদের মধ্যে। কিন্তু ধর্ম-সাধনা জীবনবিরোধী নয়। (অথচ তথাকথিত বাউলদের মধ্যে) বর্তমানে যা দেখা যায়, তা জীবনবিরোধী বিকৃত রূপ। দেহ ও মনের বিশুদ্ধতা না হোলে অপ্রাকৃত আত্মতত্ত্ব ‘বোধে বোধ’ করাই দুরূহ। নিস্কলুষ ও নিস্কপট জীবন সাধনায় মানব আত্মতত্ত্বে উপনীত হয়। কামনার পঙ্কিলতায়, ভোগের অন্ধকারে মগ্ন থাকলে পরম আত্মতত্ত্ব বোধ (বোধে বোধ) করা সম্ভব হয় না। বিশুদ্ধ সাধনায় প্রাকৃত পাশবিক কামও রূপান্তরিত হয় বিশুদ্ধ পরমপ্রেমে – ভগবৎ প্রেমরূপে। বিশুদ্ধ সাধনাতেই দুর্দান্ত কামপ্রবৃত্তি ও প্রবল বাসনার রূপান্তর ঘটে আত্ম-অনুরাগরূপে, পরমপ্রেম ও দিব্যজ্ঞানরূপে।”
বর্তমানে বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে প্রচুর বাউল-বৈষ্ণবদের আখড়া রয়েছে – যারা নিজেদেরকে বাউল-পরম্পরার সাধক বলে পরিচয় দেয়। এদের সম্বন্ধে কথা বলতে গিয়েই গুরুমহারাজ উপরিউক্ত কথাগুলি বলেছেন। উপনিষদ প্রতিপাদ্য আত্মতত্ত্বের অন্বেষণে ঘর ছেড়ে পথে বের হওয়া ‘বাতুল’ বা বাউল-পরম্পরা সমাজ বিবর্তনে একসময়ে নানান সংস্কৃতি (ইসলামিক সুফী, বৌদ্ধতন্ত্র ও দক্ষিণীয় বৈষ্ণব ধারা)-র সঙ্গে সংমিশ্রিত হয়ে জীবনবিরোধী বিকৃত হয়ে পড়েছিল। কিন্তু বিশেষ বিশেষ বাউল সাধকেরা এই মতের সাধনার মূলধারাটি ঠিকই বজায় রেখেছিল। আর আমাদের একান্ত আশা, বাউল সম্প্রদায়ের বাকি যারা একটু-আধটু মূলধারা থেকে খানিকটা বিচ্যুত হয়েছিল, তারা গুরুমহারাজ স্বামী পরমানন্দ প্রবর্তিত মূল যুগোপযোগী ধর্মমত অর্থাৎ ঔপনিষদিক প্রকৃত বাউল ধারায় নিজেদেরকে অভিসিঞ্চিত করে আবার সঠিক পথের দিশা লাভ করবে।৷
গুরুমহারাজ যে কথাগুলির উপর এখানে জোর দিয়েছেন (ভারতবর্ষের প্রাচীনকালের ঋষিগণ সমেত সমস্ত মহাপুরুষরাও এই একই কথা বলে গেছেন) যে, ‘কামনার পঙ্কিলতায় এবং ভোগের অন্ধকারে’ পড়ে থাকলে মানুষ কখনোই তার জীবনের চরম ও পরমলক্ষ্য ‘আত্মবোধ’ প্রাপ্ত হোতে পারবে না। সাধু-সন্ত-বৈরাগী-ফকির-বাউল-দরবেশদের মাহাত্ম্য এখানেই ! তাঁরা কামনা এবং বাসনা মুক্ত হবার জন্য সতত সাধনা করেন। সাধারণ মানুষ ভোগ-মুখী এবং ওঁরা ত্যাগমুখী – তাইতো সমাজের সাধারণ মানুষ সবসময় এঁদেরকে বিশেষ মর্যাদা দান করেন বা শ্রদ্ধার চোখে দেখেন। কিন্তু ঐ জীবনচর্যায় গিয়ে সকলেই যে কামনার পঙ্কিলতা মুক্ত বা ভোগ-বাসনার অন্ধকার থেকে আলোয় আসতে পেরেছেন – তা হয়তো নয়, কিন্তু তাঁরা চেষ্টা করছেন – এটাই বা কম কি ! সেই অর্থে আমাদের মতো সাধারণ মানুষজনেদের অর্থাৎ ভোগ-মুখী সাধারণ মানুষদের তো বিশেষ কোনো চেষ্টাই নাই ! আমাদের বিবেক যেন ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে দিবাস্বপ্ন দেখে চলেছে যে, ‘আমরাও একদিন কামনা মুক্ত হবো, আমরাও একদিন না একদিন ভোগের অন্ধকার থেকে ত্যাগের আলোয় ফিরে আসবো।’ কিন্তু আধ্যাত্মিক জগতে এই স্বপ্নদেখার কোনো মূল্যই নাই – সাধন-ভজন কিছু করতেই হবে! কিছু না করলে কিছু পাওয়া যায় না। সদ্গুরুগণ, মহাত্মা-মহাজনগণ মানবকল্যাণের উদ্দেশ্যে যে সমস্ত বাণী রেখে গেছেন – তা জীবনে পালন করতেই হবে, আচরণে আনতেই হবে – “নান্যং পন্থা বিদ্যতে অয়নায়।”
গুরুমহারাজ এই কথাগুলিই বললেন ঋষিনন্দিত শব্দবন্ধের ছন্দে – ” বিশুদ্ধ সাধনায় প্রাকৃত পাশবিক কামও রূপান্তরিত হয় বিশুদ্ধ পরমপ্রেমে – ভগবৎ প্রেমরূপে। বিশুদ্ধ সাধনাতেই দুর্দান্ত কামপ্রবৃত্তি ও প্রবল বাসনার রূপান্তর ঘটে আত্ম-অনুরাগ রূপে, পরমপ্রেম ও দিব্যজ্ঞানরূপে।” গুরুমহারাজ জোর দিলেন যে কথাটির উপর, তা হোলো – *বিশুদ্ধ সাধনা*৷ এইখানটাতেই গৃহী-ব্রহ্মচারী–সন্ন্যাসী-আউল-বাউল-ফকির- বৈষ্ণব-শাক্ত বা অন্যান্য মতানুসারী সাধকদের গোলমালটা ঘটে যায় ! ‘সাধনা’ হয়তো এরা সবাই করে থাকে – কিন্তু ঠিক ঠিক ‘বিশুদ্ধ সাধনা’ আর হয়ে ওঠে না। তেমনটা হোলে তো হয়েই গেল – এই জন্মেই জন্ম-জন্মান্তর ঘটে যাবে, evolution তখন revolution হয়ে যাবে রং এক জন্মেই ‘আত্মসাক্ষাৎকার’ বা ‘আত্মবোধ’ প্রাপ্তি ঘটবে।
এইখানটাতেই অধিকাংশ সাধক যেন খানিকটা ম্যাড়ম্যড়ে হয়ে যায়, একটু-আধটু করেই আত্মসন্তুষ্টিতে ভোগে, দু-একটা সিদ্ধিলাভ হয়ে গেলেই – তা প্রকাশ করে ফেলতে চায় ! এমন অহংকারের প্রাবল্য আসে যে, সে আর নিজেকে control করতে পারে না – সকলের কাছে নিজেকে প্রকাশিত করার জন্য, গুরু হয়ে ওঠার জন্য, লোকমান্যতা প্রাপ্ত হবার জন্য ছটফট করতে থাকে। পরম পরমেশ্বর(ব্রহ্ম) সর্ব অবস্থাতেই স্থির – কিন্তু মা মহামায়া সেই স্থির চোখের দিকে সদাসর্বদা চেয়ে থেকে নাচেন, হাসেন আর সময়ে সময়ে হাততালি দেন।
সাধু-ব্রহ্মচারীদের পদ্স্খলনে গুরুশক্তি অবশ্যই কষ্ট পান, ” এই-রে – একটু জমতে না জমতেই খরচ !”– কিন্তু তারা জানেন যে – এটা পৃথিবী গ্রহ, এখানকার মানুষেরা–এমনকি সাধকেরাও এইরকমই করে থাকে। তাই তাঁরা বিচলিত হ’ন না – তাঁরা নিজের ভূমিকাটুকু পালন করে নির্দিষ্ট সময় অন্তর স্ব-অবস্থানে ফিরে যান – কখনোই কোনো ফলের আশা করেন না।৷
গুরুমহারাজ এরপরে বর্তমানের বাউল সম্বন্ধে বলেছেন – “পরবর্তীকালে বৌদ্ধতান্ত্রিক, ইসলামিক সুফী ও দক্ষিণের বৈষ্ণব মতবাদের ধারা এসে এই বাউলদের মধ্যে মিশে যায়, ফলে নানাপ্রকার মতের সৃষ্টি হোতে দেখা যায় বর্তমান বাউলদের মধ্যে। কিন্তু ধর্ম-সাধনা জীবনবিরোধী নয়। (অথচ তথাকথিত বাউলদের মধ্যে) বর্তমানে যা দেখা যায়, তা জীবনবিরোধী বিকৃত রূপ। দেহ ও মনের বিশুদ্ধতা না হোলে অপ্রাকৃত আত্মতত্ত্ব ‘বোধে বোধ’ করাই দুরূহ। নিস্কলুষ ও নিস্কপট জীবন সাধনায় মানব আত্মতত্ত্বে উপনীত হয়। কামনার পঙ্কিলতায়, ভোগের অন্ধকারে মগ্ন থাকলে পরম আত্মতত্ত্ব বোধ (বোধে বোধ) করা সম্ভব হয় না। বিশুদ্ধ সাধনায় প্রাকৃত পাশবিক কামও রূপান্তরিত হয় বিশুদ্ধ পরমপ্রেমে – ভগবৎ প্রেমরূপে। বিশুদ্ধ সাধনাতেই দুর্দান্ত কামপ্রবৃত্তি ও প্রবল বাসনার রূপান্তর ঘটে আত্ম-অনুরাগরূপে, পরমপ্রেম ও দিব্যজ্ঞানরূপে।”
বর্তমানে বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে প্রচুর বাউল-বৈষ্ণবদের আখড়া রয়েছে – যারা নিজেদেরকে বাউল-পরম্পরার সাধক বলে পরিচয় দেয়। এদের সম্বন্ধে কথা বলতে গিয়েই গুরুমহারাজ উপরিউক্ত কথাগুলি বলেছেন। উপনিষদ প্রতিপাদ্য আত্মতত্ত্বের অন্বেষণে ঘর ছেড়ে পথে বের হওয়া ‘বাতুল’ বা বাউল-পরম্পরা সমাজ বিবর্তনে একসময়ে নানান সংস্কৃতি (ইসলামিক সুফী, বৌদ্ধতন্ত্র ও দক্ষিণীয় বৈষ্ণব ধারা)-র সঙ্গে সংমিশ্রিত হয়ে জীবনবিরোধী বিকৃত হয়ে পড়েছিল। কিন্তু বিশেষ বিশেষ বাউল সাধকেরা এই মতের সাধনার মূলধারাটি ঠিকই বজায় রেখেছিল। আর আমাদের একান্ত আশা, বাউল সম্প্রদায়ের বাকি যারা একটু-আধটু মূলধারা থেকে খানিকটা বিচ্যুত হয়েছিল, তারা গুরুমহারাজ স্বামী পরমানন্দ প্রবর্তিত মূল যুগোপযোগী ধর্মমত অর্থাৎ ঔপনিষদিক প্রকৃত বাউল ধারায় নিজেদেরকে অভিসিঞ্চিত করে আবার সঠিক পথের দিশা লাভ করবে।৷
গুরুমহারাজ যে কথাগুলির উপর এখানে জোর দিয়েছেন (ভারতবর্ষের প্রাচীনকালের ঋষিগণ সমেত সমস্ত মহাপুরুষরাও এই একই কথা বলে গেছেন) যে, ‘কামনার পঙ্কিলতায় এবং ভোগের অন্ধকারে’ পড়ে থাকলে মানুষ কখনোই তার জীবনের চরম ও পরমলক্ষ্য ‘আত্মবোধ’ প্রাপ্ত হোতে পারবে না। সাধু-সন্ত-বৈরাগী-ফকির-বাউল-দরবেশদের মাহাত্ম্য এখানেই ! তাঁরা কামনা এবং বাসনা মুক্ত হবার জন্য সতত সাধনা করেন। সাধারণ মানুষ ভোগ-মুখী এবং ওঁরা ত্যাগমুখী – তাইতো সমাজের সাধারণ মানুষ সবসময় এঁদেরকে বিশেষ মর্যাদা দান করেন বা শ্রদ্ধার চোখে দেখেন। কিন্তু ঐ জীবনচর্যায় গিয়ে সকলেই যে কামনার পঙ্কিলতা মুক্ত বা ভোগ-বাসনার অন্ধকার থেকে আলোয় আসতে পেরেছেন – তা হয়তো নয়, কিন্তু তাঁরা চেষ্টা করছেন – এটাই বা কম কি ! সেই অর্থে আমাদের মতো সাধারণ মানুষজনেদের অর্থাৎ ভোগ-মুখী সাধারণ মানুষদের তো বিশেষ কোনো চেষ্টাই নাই ! আমাদের বিবেক যেন ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে দিবাস্বপ্ন দেখে চলেছে যে, ‘আমরাও একদিন কামনা মুক্ত হবো, আমরাও একদিন না একদিন ভোগের অন্ধকার থেকে ত্যাগের আলোয় ফিরে আসবো।’ কিন্তু আধ্যাত্মিক জগতে এই স্বপ্নদেখার কোনো মূল্যই নাই – সাধন-ভজন কিছু করতেই হবে! কিছু না করলে কিছু পাওয়া যায় না। সদ্গুরুগণ, মহাত্মা-মহাজনগণ মানবকল্যাণের উদ্দেশ্যে যে সমস্ত বাণী রেখে গেছেন – তা জীবনে পালন করতেই হবে, আচরণে আনতেই হবে – “নান্যং পন্থা বিদ্যতে অয়নায়।”
গুরুমহারাজ এই কথাগুলিই বললেন ঋষিনন্দিত শব্দবন্ধের ছন্দে – ” বিশুদ্ধ সাধনায় প্রাকৃত পাশবিক কামও রূপান্তরিত হয় বিশুদ্ধ পরমপ্রেমে – ভগবৎ প্রেমরূপে। বিশুদ্ধ সাধনাতেই দুর্দান্ত কামপ্রবৃত্তি ও প্রবল বাসনার রূপান্তর ঘটে আত্ম-অনুরাগ রূপে, পরমপ্রেম ও দিব্যজ্ঞানরূপে।” গুরুমহারাজ জোর দিলেন যে কথাটির উপর, তা হোলো – *বিশুদ্ধ সাধনা*৷ এইখানটাতেই গৃহী-ব্রহ্মচারী–সন্ন্যাসী-আউল-বাউল-ফকির- বৈষ্ণব-শাক্ত বা অন্যান্য মতানুসারী সাধকদের গোলমালটা ঘটে যায় ! ‘সাধনা’ হয়তো এরা সবাই করে থাকে – কিন্তু ঠিক ঠিক ‘বিশুদ্ধ সাধনা’ আর হয়ে ওঠে না। তেমনটা হোলে তো হয়েই গেল – এই জন্মেই জন্ম-জন্মান্তর ঘটে যাবে, evolution তখন revolution হয়ে যাবে রং এক জন্মেই ‘আত্মসাক্ষাৎকার’ বা ‘আত্মবোধ’ প্রাপ্তি ঘটবে।
এইখানটাতেই অধিকাংশ সাধক যেন খানিকটা ম্যাড়ম্যড়ে হয়ে যায়, একটু-আধটু করেই আত্মসন্তুষ্টিতে ভোগে, দু-একটা সিদ্ধিলাভ হয়ে গেলেই – তা প্রকাশ করে ফেলতে চায় ! এমন অহংকারের প্রাবল্য আসে যে, সে আর নিজেকে control করতে পারে না – সকলের কাছে নিজেকে প্রকাশিত করার জন্য, গুরু হয়ে ওঠার জন্য, লোকমান্যতা প্রাপ্ত হবার জন্য ছটফট করতে থাকে। পরম পরমেশ্বর(ব্রহ্ম) সর্ব অবস্থাতেই স্থির – কিন্তু মা মহামায়া সেই স্থির চোখের দিকে সদাসর্বদা চেয়ে থেকে নাচেন, হাসেন আর সময়ে সময়ে হাততালি দেন।
সাধু-ব্রহ্মচারীদের পদ্স্খলনে গুরুশক্তি অবশ্যই কষ্ট পান, ” এই-রে – একটু জমতে না জমতেই খরচ !”– কিন্তু তারা জানেন যে – এটা পৃথিবী গ্রহ, এখানকার মানুষেরা–এমনকি সাধকেরাও এইরকমই করে থাকে। তাই তাঁরা বিচলিত হ’ন না – তাঁরা নিজের ভূমিকাটুকু পালন করে নির্দিষ্ট সময় অন্তর স্ব-অবস্থানে ফিরে যান – কখনোই কোনো ফলের আশা করেন না।৷