শ্রী শ্রী গুরুমহারাজ স্বামী পরমানন্দের কথা (লিখিত এবং কথিত) এখানে আলোচনা করা হচ্ছিলো। আমরা গুরুমহারাজের লেখা গ্রন্থ *বাউলের মর্মকথা* থেকে বাউলতত্ত্ব বিষয়ক নানান আলোচনায় ছিলাম। আগের সংখ্যায় আমরা দেখেছি গুরুজী বাউলমতের সৃষ্টিতত্ত্বের সাথে যে উপনিষদের শ্লোকের তাৎপর্যগত মিল রয়েছে – সেই ব্যাপারে আলোকপাত করেছিলেন। আমরা বরং এখন সেই আলোচনাতেই ফিরে যাই এবং দেখি তারপরে গুরুজী এই সম্বন্ধে আরো কি কি বলেছেন।
এরপরে উনি বলেছেন – ” প্রিয় আত্মন্ ! এই পুরুষ ও প্রকৃতি (পরম পুরুষ ও পরমা প্রকৃতি)-র মধ্যে কখনোই আত্যন্তিক ভেদ নাই। এঁরা একই স্বরূপের দুই অঙ্গ। তথাপি এঁরা পরস্পর বিরুদ্ধ – কেবলমাত্র লীলা নিমিত্ত। পরস্পরবিরুদ্ধ সত্ত্বেও ‘একে অপরে’-এর জন্য অপেক্ষা করে থাকেন স্বীয় পূর্ণতার জন্য। কারণ ‘একে অপর’ ভিন্ন অপূর্ণ। এইজন্য পুরুষ তাঁর পরিপূর্ণতার জন্য প্রকৃতিকে এবং প্রকৃতি তাঁর পরিপূর্ণতার জন্য পুরুষকে কামনা করে থাকে।
অতএব দুই নহে(নয়) – দুই-এ মিলে এক। দুইটিই অর্ধাঙ্গ। এই প্রকৃতি-পুরুষরূপ দুইটি অর্ধাঙ্গের সমবায়েই একটি পূর্ণাঙ্গ। এই যে পুরুষ ও প্রকৃতির স্ব স্ব পূর্ণতার জন্য পরস্পরের দিকে ‘ঈক্ষণ’– এটাই হোলো সৃষ্টির মূল বা আদিরহস্য।” প্রিয় পাঠকবৃন্দ – বাউলমতের সৃষ্টিরহস্য সম্বন্ধে আলোকপাত করতে গিয়ে গুরুমহারাজ এ-এক অদ্ভুত যুগলতত্ত্ব শোনালেন আমাদের। পরমপুরুষ-পরমাপ্রকৃতি, অক্ষরপুরুষ-ক্ষরপুরুষ ইত্যাদি শব্দগুলি আমরা অনেকবার শুনেছি, শব্দগুলির গভীরতা সম্বন্ধে বোঝা বা ধারণায় আনবার চেষ্টাও করেছি বহুবার –কিন্তু কোথাও যেন বোধ-বুদ্ধির অগোচরেই রয়ে গেছিলো ব্যাপারগুলো। কিন্তু এইবার গুরুমহারাজ সাধারণ নর-নারীর শরীরকে উপস্থাপনা করে যখন বোঝালেন – তখন কেমন যেন ব্যাপারটা সহজ হয়ে গেল !
‘পুরুষ ও প্রকৃতি – একই স্বরূপের দুই অঙ্গ !’ এই দুই অঙ্গ-ই অপূর্ণ, কিন্তু একে অপরের সাথে মিলে গেলে পূর্ণ। মনে পড়ে যাচ্ছিলো – বনগ্রাম আশ্রমে এক পড়ন্ত বিকেলের গুরুমহারাজের সিটিং-এর একটি অংশ। যেদিন উনি বলছিলেন প্রতিটি নর এবং নারীর শরীর অপূর্ণ ও অর্ধ অংশ। যার পিছন দিকটা close এবং সামনের দিকটা উন্মুক্ত। একটি নর এবং একটি নারীর অনাবৃত শরীর দেখলেই সেটা বুঝতে পারা যায়। উভয় লিঙ্গের লজ্জাবোধও আসে__ ঐ সামনের অনাবৃত অঙ্গগুলির জন্যই । কিন্তু নারী ও পুরুষ পরস্পরে আলিঙ্গনাবদ্ধ অবস্থাতে যেহেতু পূর্ণতা আসে, ঐ অবস্থায় উভয়ের শরীরের কোনো অংশেরই আর কোনো উন্মুক্ততা থাকে না – সব যেন ঢাকা পড়ে যায়। তন্ত্র-যোগ ক্রিয়ায় এইরূপ মুদ্রায় সাধন কালেই সাধকের সিদ্ধিলাভ হয়। বাউল-বৈষ্ণবের যুগল সাধনার রহস্য এই একই মুদ্রায় নিহিত। অর্থাৎ পরস্পরের আলিঙ্গনাবদ্ধ অবস্থায় যেন একটা circuit __complete হয়।।
সুতরাং এইবার পরমপুরুষ ও পরমাপ্রকৃতির সৃষ্টিরহস্য এবং পরমেশ্বরের লীলারহস্য অনেকটাই আমাদের কাছে বোধগম্য হয়ে গেল। মহাজগতের সৃষ্টির পিছনে যে রহস্য, তার মধ্যে আমরা যেটুকু বুঝলাম__তা হোলো পরমেশ্বর বা ব্রহ্ম অখণ্ড, অদ্বৈত, মহাচৈতন্যস্বরূপ অবস্থায় মাধুর্য্যরস আস্বাদন করতে পারেন নি। সেইজন্য তিনি পুরুষ (পরমপুরুষ) ও প্রকৃতি (পরমাপ্রকৃতি) রূপে নিজেকে দ্বিধাবিভক্ত করলেন। এইভাবেই ‘এক’ থেকে ‘দুই’ এবং পরে ‘দুই’ থেকে বহু-র সৃষ্টি হোলো অর্থাৎ অখন্ড-অদ্বৈত থেকে প্রথমে পরমপুরুষ ও পরমাপ্রকৃতি এবং তা থেকেই মহাবিশ্বপ্রকৃতি বা সমগ্র সৃষ্টি রূপ পেয়েছিল। ঐ দুই সত্তা (পুরুষ ও প্রকৃতি) পরস্পর বিরুদ্ধ ভাবাপন্ন কিন্তু পরস্পর পরস্পরের প্রতি প্রচন্ড আকর্ষণপ্রবণ। এই আকর্ষণ___ মিলনের আকর্ষণ!! কেন এই তীব্র মিলনেচ্ছা ?? পূর্ণ হবার নিমিত্ত। দুটো বিরুদ্ধ সত্তাই যে অর্ধাঙ্গ – অপূর্ণ, তাই তারা পূর্ণাঙ্গ হবার জন্য লালায়িত !
প্রিয় পাঠক – অতি স্থূলস্তরে সাধারণ নর-নারীর মধ্যে মিলিত হবার যে আকর্ষণ আমরা দেখি, সেটাও সেই বিরাটতত্ত্বেরই ক্ষুদ্র সংস্করণ। আর এই মূল ধারাকে ধরে উত্তরণের সিঁড়ি বেয়ে চরম লক্ষ্যে পৌঁছে যাওয়াই বাউল সাধনা।৷
আচ্ছা, আপনারা– আর একটা কথা এখানে খেয়াল করেছেন কি, ঐ যে গুরুমহারাজ বললেন অখন্ড, অদ্বৈত, পরম মহাচৈতন্যস্বরূপ যখন নিজেকে দ্বিধাবিভক্ত করলেন – তখন পুরুষ (পরম) ও প্রকৃতি (পরমা) সৃষ্টি হল যা বিরুদ্ধসত্তা, একেই আমরা সাধারণভাবে বিপরীত শক্তির ক্রিয়া বলে থাকি। এই যে বলা হয় ‘দুই নিয়া’- দুনিয়া। এই সেই ‘দুই’ !! এইজন্যেই সমগ্র পৃথিবীজুড়ে শুধু দুটি বিরুদ্ধসত্তা বা বিপরীতমুখী ক্রিয়ার খেলা ঘটে চলেছে। Negative – positive charge বা field, চুম্বকের দুটি বিপরীত মেরু –এইগুলিকে আমরা জড়বিজ্ঞানে বা শক্তিবিজ্ঞানের ক্ষেত্রেও বিরুদ্ধসত্তা হিসেবেই পাই, কিন্তু উভয়ের মিলনে যেন neutral-ভাব বা শান্তভাব পাওয়া যায়, যেন এও এক পূর্ণতা প্রাপ্তি ! বহু যুগ ধরে ছুটে ছুটে বেড়ানোর অবসান। সামাজিক দর্শনে রয়েছে thesis, antithesis – এরাও বিরুদ্ধ সত্তা, কিন্তু এদের মিলনে হয় synthesis, যেখানে উক্ত thesis বা antithesis-এর ঘটে পরিসমাপ্তি। এই বিশ্বজগতে যত ‘দ্বন্দ্ব’ (dialectic) রয়েছে – সবেরই অবসান ঘটে উভয়ের মিলনে। মানুষ সমাজে যত বিরুদ্ধ সত্তাবিশিষ্ট সমস্যা রয়েছে – যেমন উঁচু-নীচু ভেদ, ধনী-নির্ধনের ভেদ, ধর্মবৈষম্যের ভেদ, রাজনৈতিক মতাদর্শের ভেদ—এগুলোর সমাধানও ঐএকটা ভাবেই হোতে পারে – এই বিপরীত মতাদর্শের যখন মিলন হবে তখনই।
যখন যখন পৃথিবীতে মহাপুরুষগণ শরীর নেন – তাঁরা এইভাবেই প্রেমের বন্ধনে সমস্ত বিভেদ-বিচ্ছেদ ভুলিয়ে সকল মানুষকে একসূত্রে গাঁথতে পারেন। কিন্তু তাঁর শরীর ত্যাগের পরই – জাগতিক নিয়মের অন্তর্গত থাকা মানুষেরা পুনরায় পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসে ! আর এইজন্যেই সমাজ থেকে সমস্যা কখনোই দূরীভুত হয় না, সবসময়ে থেকেই যায়!!
এরপরে উনি বলেছেন – ” প্রিয় আত্মন্ ! এই পুরুষ ও প্রকৃতি (পরম পুরুষ ও পরমা প্রকৃতি)-র মধ্যে কখনোই আত্যন্তিক ভেদ নাই। এঁরা একই স্বরূপের দুই অঙ্গ। তথাপি এঁরা পরস্পর বিরুদ্ধ – কেবলমাত্র লীলা নিমিত্ত। পরস্পরবিরুদ্ধ সত্ত্বেও ‘একে অপরে’-এর জন্য অপেক্ষা করে থাকেন স্বীয় পূর্ণতার জন্য। কারণ ‘একে অপর’ ভিন্ন অপূর্ণ। এইজন্য পুরুষ তাঁর পরিপূর্ণতার জন্য প্রকৃতিকে এবং প্রকৃতি তাঁর পরিপূর্ণতার জন্য পুরুষকে কামনা করে থাকে।
অতএব দুই নহে(নয়) – দুই-এ মিলে এক। দুইটিই অর্ধাঙ্গ। এই প্রকৃতি-পুরুষরূপ দুইটি অর্ধাঙ্গের সমবায়েই একটি পূর্ণাঙ্গ। এই যে পুরুষ ও প্রকৃতির স্ব স্ব পূর্ণতার জন্য পরস্পরের দিকে ‘ঈক্ষণ’– এটাই হোলো সৃষ্টির মূল বা আদিরহস্য।” প্রিয় পাঠকবৃন্দ – বাউলমতের সৃষ্টিরহস্য সম্বন্ধে আলোকপাত করতে গিয়ে গুরুমহারাজ এ-এক অদ্ভুত যুগলতত্ত্ব শোনালেন আমাদের। পরমপুরুষ-পরমাপ্রকৃতি, অক্ষরপুরুষ-ক্ষরপুরুষ ইত্যাদি শব্দগুলি আমরা অনেকবার শুনেছি, শব্দগুলির গভীরতা সম্বন্ধে বোঝা বা ধারণায় আনবার চেষ্টাও করেছি বহুবার –কিন্তু কোথাও যেন বোধ-বুদ্ধির অগোচরেই রয়ে গেছিলো ব্যাপারগুলো। কিন্তু এইবার গুরুমহারাজ সাধারণ নর-নারীর শরীরকে উপস্থাপনা করে যখন বোঝালেন – তখন কেমন যেন ব্যাপারটা সহজ হয়ে গেল !
‘পুরুষ ও প্রকৃতি – একই স্বরূপের দুই অঙ্গ !’ এই দুই অঙ্গ-ই অপূর্ণ, কিন্তু একে অপরের সাথে মিলে গেলে পূর্ণ। মনে পড়ে যাচ্ছিলো – বনগ্রাম আশ্রমে এক পড়ন্ত বিকেলের গুরুমহারাজের সিটিং-এর একটি অংশ। যেদিন উনি বলছিলেন প্রতিটি নর এবং নারীর শরীর অপূর্ণ ও অর্ধ অংশ। যার পিছন দিকটা close এবং সামনের দিকটা উন্মুক্ত। একটি নর এবং একটি নারীর অনাবৃত শরীর দেখলেই সেটা বুঝতে পারা যায়। উভয় লিঙ্গের লজ্জাবোধও আসে__ ঐ সামনের অনাবৃত অঙ্গগুলির জন্যই । কিন্তু নারী ও পুরুষ পরস্পরে আলিঙ্গনাবদ্ধ অবস্থাতে যেহেতু পূর্ণতা আসে, ঐ অবস্থায় উভয়ের শরীরের কোনো অংশেরই আর কোনো উন্মুক্ততা থাকে না – সব যেন ঢাকা পড়ে যায়। তন্ত্র-যোগ ক্রিয়ায় এইরূপ মুদ্রায় সাধন কালেই সাধকের সিদ্ধিলাভ হয়। বাউল-বৈষ্ণবের যুগল সাধনার রহস্য এই একই মুদ্রায় নিহিত। অর্থাৎ পরস্পরের আলিঙ্গনাবদ্ধ অবস্থায় যেন একটা circuit __complete হয়।।
সুতরাং এইবার পরমপুরুষ ও পরমাপ্রকৃতির সৃষ্টিরহস্য এবং পরমেশ্বরের লীলারহস্য অনেকটাই আমাদের কাছে বোধগম্য হয়ে গেল। মহাজগতের সৃষ্টির পিছনে যে রহস্য, তার মধ্যে আমরা যেটুকু বুঝলাম__তা হোলো পরমেশ্বর বা ব্রহ্ম অখণ্ড, অদ্বৈত, মহাচৈতন্যস্বরূপ অবস্থায় মাধুর্য্যরস আস্বাদন করতে পারেন নি। সেইজন্য তিনি পুরুষ (পরমপুরুষ) ও প্রকৃতি (পরমাপ্রকৃতি) রূপে নিজেকে দ্বিধাবিভক্ত করলেন। এইভাবেই ‘এক’ থেকে ‘দুই’ এবং পরে ‘দুই’ থেকে বহু-র সৃষ্টি হোলো অর্থাৎ অখন্ড-অদ্বৈত থেকে প্রথমে পরমপুরুষ ও পরমাপ্রকৃতি এবং তা থেকেই মহাবিশ্বপ্রকৃতি বা সমগ্র সৃষ্টি রূপ পেয়েছিল। ঐ দুই সত্তা (পুরুষ ও প্রকৃতি) পরস্পর বিরুদ্ধ ভাবাপন্ন কিন্তু পরস্পর পরস্পরের প্রতি প্রচন্ড আকর্ষণপ্রবণ। এই আকর্ষণ___ মিলনের আকর্ষণ!! কেন এই তীব্র মিলনেচ্ছা ?? পূর্ণ হবার নিমিত্ত। দুটো বিরুদ্ধ সত্তাই যে অর্ধাঙ্গ – অপূর্ণ, তাই তারা পূর্ণাঙ্গ হবার জন্য লালায়িত !
প্রিয় পাঠক – অতি স্থূলস্তরে সাধারণ নর-নারীর মধ্যে মিলিত হবার যে আকর্ষণ আমরা দেখি, সেটাও সেই বিরাটতত্ত্বেরই ক্ষুদ্র সংস্করণ। আর এই মূল ধারাকে ধরে উত্তরণের সিঁড়ি বেয়ে চরম লক্ষ্যে পৌঁছে যাওয়াই বাউল সাধনা।৷
আচ্ছা, আপনারা– আর একটা কথা এখানে খেয়াল করেছেন কি, ঐ যে গুরুমহারাজ বললেন অখন্ড, অদ্বৈত, পরম মহাচৈতন্যস্বরূপ যখন নিজেকে দ্বিধাবিভক্ত করলেন – তখন পুরুষ (পরম) ও প্রকৃতি (পরমা) সৃষ্টি হল যা বিরুদ্ধসত্তা, একেই আমরা সাধারণভাবে বিপরীত শক্তির ক্রিয়া বলে থাকি। এই যে বলা হয় ‘দুই নিয়া’- দুনিয়া। এই সেই ‘দুই’ !! এইজন্যেই সমগ্র পৃথিবীজুড়ে শুধু দুটি বিরুদ্ধসত্তা বা বিপরীতমুখী ক্রিয়ার খেলা ঘটে চলেছে। Negative – positive charge বা field, চুম্বকের দুটি বিপরীত মেরু –এইগুলিকে আমরা জড়বিজ্ঞানে বা শক্তিবিজ্ঞানের ক্ষেত্রেও বিরুদ্ধসত্তা হিসেবেই পাই, কিন্তু উভয়ের মিলনে যেন neutral-ভাব বা শান্তভাব পাওয়া যায়, যেন এও এক পূর্ণতা প্রাপ্তি ! বহু যুগ ধরে ছুটে ছুটে বেড়ানোর অবসান। সামাজিক দর্শনে রয়েছে thesis, antithesis – এরাও বিরুদ্ধ সত্তা, কিন্তু এদের মিলনে হয় synthesis, যেখানে উক্ত thesis বা antithesis-এর ঘটে পরিসমাপ্তি। এই বিশ্বজগতে যত ‘দ্বন্দ্ব’ (dialectic) রয়েছে – সবেরই অবসান ঘটে উভয়ের মিলনে। মানুষ সমাজে যত বিরুদ্ধ সত্তাবিশিষ্ট সমস্যা রয়েছে – যেমন উঁচু-নীচু ভেদ, ধনী-নির্ধনের ভেদ, ধর্মবৈষম্যের ভেদ, রাজনৈতিক মতাদর্শের ভেদ—এগুলোর সমাধানও ঐএকটা ভাবেই হোতে পারে – এই বিপরীত মতাদর্শের যখন মিলন হবে তখনই।
যখন যখন পৃথিবীতে মহাপুরুষগণ শরীর নেন – তাঁরা এইভাবেই প্রেমের বন্ধনে সমস্ত বিভেদ-বিচ্ছেদ ভুলিয়ে সকল মানুষকে একসূত্রে গাঁথতে পারেন। কিন্তু তাঁর শরীর ত্যাগের পরই – জাগতিক নিয়মের অন্তর্গত থাকা মানুষেরা পুনরায় পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসে ! আর এইজন্যেই সমাজ থেকে সমস্যা কখনোই দূরীভুত হয় না, সবসময়ে থেকেই যায়!!